বাংলাশিক্ষা

অস্থিসন্ধি কাকে বলে? অস্থিসন্ধি কত প্রকার ও কি কি

অস্থিসন্ধি কাকে বলে: এই অস্থিসন্ধিগুলো এক দম অনড়। অস্থিসন্ধি হলেও এরা এমন ভাবে নড়ে না। যেমন আমাদের এই করোটিকা অস্থিসন্ধিঈষৎ সচল অস্থিসন্ধি : এমন ধরনের অস্থিসন্ধি সামনে, আবারপেছনে, পাশে সামান্য বাঁকানো অথবা নাড়ানো যায়।

আমাদের দেহে তো অনেক ধরনের  অস্থিসন্ধি। সেগুলো হলো জোড়া লেগে থাকে কিভাবে ,এই গুলো অস্থিগুলো দৃঢ় বন্ধনী দ্বারা নানা ভাবে আটকানো থাকে আবার এর, ফলে সহজে বিচ্যুত হয় না।তাই মানবদেহে বিভিন্ন রকমের এই অস্থিসন্ধি রয়েছে।

অস্থিসন্ধি কাকে বলে

অস্থি এক ধরনের এই যোজককলা এবং মানবদেহের প্রায় সবচেয়ে শক্ত বা সুদৃঢ় কলা। অস্থিই কঙ্কালতন্ত্র কিছু এমন গঠন করে। সহজে বললে অস্থি মানে হল  হাড়। আর দুই বা ততোধিক অস্থির মধ্যম গুলো সংযোগের জায়গাকে এই অস্থিসন্ধি বলে।

অচল অস্থিসন্ধি কোথায় দেখা যায়

বাহু এবং পা চলন্ত এই ভাবে জয়েন্ট দ্বারা সংযুক্ত করা হয়। উদাহরণ হলো; হাঁটু এবং কনুই এর মধ্যে জয়েন্টগুলোতে। কশেরুকার এই কলামে কশেরুকা থাকে যা আবার সামান্য চলমান জয়েন্টের উদাহরণ।

তারা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের দুই অথবা ততোধিক হাড় হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যার কোনো নাকোন নড়াচড়া নেই। মাথার খুলির হাড় এমন একটি উদাহরণ। 

অস্থিসন্ধি কত প্রকার ও কি কি

অস্থিসন্ধি সাধারণত ভাবে তিন প্রকার ।  ১। নিশ্চল অস্থিসন্ধি হলোঃ যে অস্থিসন্ধিগুলো নাড়াচড়া নানা ভাবে করা যায় না তাকেই নিশ্চল অস্থিসন্ধি বলে। যেমন হলো – মস্তিষ্কের করোটিকা। 

২। ঈষৎ সচল অস্থিসন্ধি হলোঃ যে অস্থিসন্ধিগুলো সামান্য ভাবে নাড়াচারা করা যায় তাই ঈষৎ অস্থিসন্ধি । যেমন হলো – মেরুদণ্ড। ৩। পূর্ণ সচল অস্থিসন্ধি হলো  যে অস্থিসন্ধিগুলো নাড়াচারা গুলো করতে কোন অসুবিধা ও হয় না ।

অস্থিসন্ধি কাকে বলে

অস্থিসন্ধি গঠনের মাধ্যমে সময় অস্থির বহির্ভাগে তরুণাস্থি থাকে, যার ফলে অস্থি ঘর্ষণ থেকে নানা ভাবে রক্ষা পায় এবং ক্ষয় হয় না। আর লিগামেন্ট এমন সময় দ্বারা অস্থিগুলো বন্ধনীর মতো অনেক বেশি আবদ্ধ অবস্থায় থাকে। 

অস্থির আবরণকে পেরি এই অস্টিয়াম বলে। আমাদের হাঁটুর এমন ভাবে জয়েন্ট সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি।

অস্থিসন্ধি তরলের নাম কি

যে সবকিছু অস্থিসন্ধিতে সংশ্লিষ্ট অস্থিগুলি নানা ভাবে সঞ্চালনশীল অর্থাৎ সহজে বিচলন ঘটে,তাই সেই ধরনের অস্থিসন্ধিকে নানা ভাবে সচল অস্থিসন্ধি বলে। সাধারণত এইসব অস্থিস্থগুলি সাইনোভিয়াল তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে।

অস্থিসন্ধি কাকে বলে অস্থিসন্ধি কত প্রকার ও কি কি
অস্থিসন্ধি কাকে বলে অস্থিসন্ধি কত প্রকার ও কি কি

অস্থিসন্ধির সমস্যা

নানা কারণে এসব নানা রকমের অস্থিসন্ধিতে নানা ধরনের এই সমস্যা দেখা দেয়। একটি পরিচিত কিছু কিছু সমস্যা হলো ফ্রোজেন শোল্ডার। এর ফলে কাঁধের পেশি আবার টেনডনে প্রদাহ হওয়ায় ব্যথা করে,তাই কাঁধের অস্থিসন্ধি নাড়াতে ও সমস্যা হয়।

একিলিস টেনডিনাইটিস অথবা প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস নামের সমস্যায় পায়ের গোড়ালি আবার এই পায়ের পাতার পেশি ও টেনডনে প্রদাহ হয়।

সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি কাকে বলে

সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধিকে নানা ভাবে সচল অস্থিসন্ধিও বলা হয় এই জন্যে, এ ধরনের অস্থিসন্ধিতে নানা ভাবে অস্থি, তরুণাস্থি, এবং সাইনোভিয়াল ফ্লুইড বা রস,আবার  লিগামেন্ট বা অস্থিবন্ধনী থাকে। যখন দুটি অস্থি গুলো একসঙ্গে মিলিত হয়ে এক একটি অস্থিসন্ধি গঠন করে ।

তখন তাকে সরল সাইনোভিয়াল এই অস্থিসন্ধি বলে। দুইয়ের বেশি পরিমাণ অস্থি মিলে অস্থিসন্ধি তৈরি হলে তাই তাকে জটিল এই সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে।

অস্থিসন্ধি গঠনের সময় নানা ভাবে অস্থির বহির্ভাগে তরুণাস্থি থাকে,যার  ফলে অস্থি ঘর্ষণ থেকে রক্ষা পায় আবার ক্ষয় হয় না। আর লিগামেন্ট দ্বারা অস্থিগুলো নানা ভাবে বন্ধনীর মতো আবদ্ধ অবস্থায় থাকে। অস্থির আবরণকে এমন কিছু পেরি অস্টিয়াম বলে। 

আরো পড়ুন: প্রমিত ভাষা কাকে বলে

অস্থিসন্ধি মানে কি?

সহজে বললে এই অস্থি মানে হাড়। আর দুই অথবা ততোধিক অস্থির সংযোগের জায়গাকে এই অস্থিসন্ধি বলে।

নিশ্চল অস্থিসন্ধি কোনটি? 

অস্থিসন্ধি হলেও নানা ভাবে এরা নড়ে না। যেমন আমাদের এই করোটিকা অস্থিসন্ধি।

হাঁটুতে কোন শ্রেণীর সাইনোভিয়াল জয়েন্ট থাকে

এটি সাইনোভিয়াল জয়েন্টের এক একটি সাধারণ শ্রেণী যার মধ্যে রয়েছে এই গোড়ালি কনুই আবার এই হাঁটু আঙুলের জয়েন্টগুলি।

জয়েন্ট কোথায় অবস্থিত 

এই হাঁটুর সন্ধিতে আবার এই অস্থিগুলি একে অপরের সাথে ঘষাও খায় না ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button