অরবিটাল কাকে বলে? 2d অরবিটাল সম্ভব নয় কেন
অরবিটাল হল দশম শ্রেণী এবং একাদশ শ্রেণির একটি অন্যতম পড়াশোনার অংশ এবং তারও রসায়ন বিষয়ের।বিজ্ঞানের গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রতিটি সাবজেক্টে অমূল্য। এবং তাদের প্রতিটি বিষয়ের প্রতি অক্লান্ত পরিশ্রম ব্যয় করতে হয়।
ঠিক তেমনি রসায়ন ও তার ব্যতিক্রম নয়। রসায়নের একটি অন্যতম অংশ হলো অরবিটালের অংশ। এরকম অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যাদের সম্পর্কে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে অথবা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে চাই।
অরবিটাল কাকে বলে, 2d সম্ভব নয় কেন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আমরা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাচ্ছি।
অরবিটাল হলো মূলত নিউক্লিয়াসের ক্লান্ত করে যে কক্ষপথ গুলো রয়েছে ওই কক্ষপথে যে সকল ইলেকট্রন গুলো করন এমন তাকে ওই সকল ইলেকট্রনের গণিতের পরিমাণ। ওই সকল ইলেকট্রনের বন অর্থ মোটামুটি ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ তার বা তার বেশি আকারে হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে অরবিটাল কাকে বলে আবার 2d অরবিটাল সম্ভব নয় কেন ইত্যাদি সম্পর্কে ব্যাপক অর্থ সমূহ এবং কত সময় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল করতে গেলে প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক মান ও উন্নয়ন প্রয়োজন।
অর্পিতা সম্পর্কে বিস্তারিত মান ও উন্নয়ন সম্পর্কে বিভিন্ন শব্দের অর্থ তথ্য আলোচনা অথবা কাকে বলে এটা তিনি আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুন: প্রকৃত ভগ্নাংশ কাকে বলে?
অরবিটাল কাকে বলে?
নিউক্লিয়াসের চারদিকে ইলেকট্রনের কক্ষপথ রয়েছে, কক্ষপথগুলোতে ইলেকট্রন সর্বদা তার নিজেরদের মতো করে পরিভ্রমণ করতে থাকে।
পরি ভ্রমণকালে নিউক্লিয়াসের চারদিকে পরিবেশিত যে ইলেকট্রনের গুরু নয়নের পথ রয়েছে ওই পথের যে অঞ্চলের 90 থেকে 95 শতাংশ বা তার অধিক ইলেকট্রন গুলো পাওয়া যায় ওই অঞ্চলকে অরবিটাল বলা হয়। অর্থাৎ অরবিটাল হলো ইলেকট্রন প্রাপ্তি সর্বোচ্চ সংখ্যা, এবং সর্বোচ্চ সংখ্যার ইলেকট্রন যে অরবিটালি দেখতে পাওয়া যায়।
উপশক্তিস্তর বা andঅরবিটালকে কি দ্বারা C সূচিত করা হয়
উপশক্তির স্তর বা ওর বিড়াল সমূহ কে, K,L,M,N,O প্রভৃতি ধারা চিহ্নিত করা হয়।
এখানে,,
K= প্রথম কক্ষপথ বা প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা,
L= দ্বিতীয় কক্ষপথ বা সরকারি কোয়ান্টাম সংখ্যা,
M= তৃতীয় কক্ষপথ বা ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা,
N= চতুর্থ কোয়ান্টাম সংখ্যা বা পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা ,
O = পঞ্চম কোয়ান্টাম সংখ্যা, অথবা পঞ্চম কক্ষপথ কে নির্দেশ করে।
2d অরবিটাল সম্ভব নয় কেন
2d অরবিটাল সম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, n= 2,
তাই সরকারি কোয়ান্টাম সংখ্যা, l= 0,1,,
ফলে সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যার মান দুইটি হওয়ায় সর্বোচ্চ দুইটি অরবিট পর্যন্ত সময় যেতে পারে অর্থাৎ,
S, P পর্যন্ত যেতে পারে,
2d পূর্ণ করতে হলে সরকারি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান সর্বোচ্চ তিনটি পর্যন্ত প্রয়োজন,
কারন আমরা জানি,
s= 0
p= 1
d = 2
তাই d অরবিটাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিনটি সংখ্যা প্রয়োজন যা উক্ত ক্ষেত্রের প্রধান সংখ্যার সাথে মিলেনা। এজন্য 2d সম্ভব নয়।
আরো পড়ুন: কর্কটক্রান্তি রেখা কাকে বলে
অরবিট ও অরবিটাল এর পার্থক্য
অরবিট এবং অরবিটালি আর পার্থক্যসমূহ হলো:-
১. অরবিট দ্বারা নিউক্লিয়াসের চারদিকে দ্বিমাত্রিক বৃত্তাকার প্রতি ইলেকট্রনের আবর্তনকে বুঝায়।
অপরদিকে ওর বিকাল দ্বারা নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে ত্রিমাত্রিক স্থানে ইলেকট্রনের আবর্তন কে বুঝায়।
২. ইলেকট্রনের অরগেট সমূহ বৃত্তাকার হলেও অরবিটালের আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়।
যেমন : s অরবিটাল গুলোক আকৃতির, pঅরবিটাল দুইটি লো ডাম্বেলের মত, d অরবিটাল ডাবল ডাম্বেলের মত, প্রতি d অরবিটালের চারটি লোব থাকে।
৩. অরবিটাল সমূহ কে K,L,M,N,O প্রভৃতি ধারা চিহ্নিত করা হয়।
কিন্তু সরকারি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান, l= 0,1,2,3,4 হলে অরবিটাল সমূহ s,p,d,f, g দ্বারা সূচিত করা হয়।
আরো পড়ুন: স্বাভাবিক সংখ্যা কাকে বলে
অরবিট ও অরবিটাল কাকে বলে
অরবিট: নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে সুনির্দিষ্ট বৃত্তাকার কক্ষপথে ইলেকট্রন আবর্তন করে সেই বৃত্তাকার কক্ষপথ কে উপর বলা হয়।
অর্থাৎ ওরবিট হল নিউক্লিয়াসের চারপাশে যে গুনায়মান পদ ওই পথ, যে পথে ইলেকট্রন গুলো বৃত্তাকার ভাবে আবর্তন করতে থাকে।
অরবিটাল: নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে অঞ্চলে ইলেকট্রন প্রাপ্তির সম্ভাবনা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সেই অঞ্চলকে অরবিটা বলা হয়। অর্থাৎ নিউক্লিয়াসের চারদিকে রয়েছে কক্ষপথ আর কক্ষপথে ইলেকট্রন সর্বদা ঘূর্ণায়মান।
ইলেকট্রন সর্বদা যে পদে কৌন এমন ওই পদে ইলেকট্রন প্রাপ্তির সম্ভাবনা যদি সর্বাধিক হয় অর্থাৎ তা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ বা তার অধিক হয়ে থাকে তাহলে সেই অবস্থা বলা হয়। অরবিটের তুলনায় অরবিটাল ইলেকট্রন প্রার্থীর সম্ভাবনা এবং ইলেকট্রনের সংখ্যা বেশি থাকে।
প্রধান শক্তিস্তর কাকে বলে?
- পরমাণুর নিউক্লিয়াসের সবচেয়ে নিকটবর্তী শক্তি ইউজ করবেন কে প্রধান শক্তিশালী বলা হয়।
- এতে যা ইলেকট্রন হয়েছে তা সমস্ত শক্তিশালী উপস্থিত নয় বরং একটি নির্দিষ্ট অংশে বিন্যস্ত থাকে।
- এসব ইলেকট্রন প্রধান সংখ্যা বলা হয় এবং এক্ষেত্রে n এর মান 1 বলা হয়।
- সর্বনিম্ন শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- অর্থাৎ প্রধান শক্তি শক্তিশ্বর হলো ইলেকট্রনের পঞ্জিকা নিউক্লিয়াসের খুব কাছাকাছি রয়েছে অথবা যে শক্তির চটি রয়েছে সেদিকে প্রধান শক্তি স্তর বলা হয়ে থাকে।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ওই বেটার সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে অথবা আপনার কোন প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেই উত্তর আমাদের পোস্টের মাধ্যম থেকে জানতে পারবেন।
উক্ত পোস্টে আমরা আপনাদের জন্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছি, অরবিটাল সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন জানা থাকে এবং তা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে থাকেন এবং উপকৃত হতে পারেন তাহলে অবশ্যই তা আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আমাদের পোস্ট রিলেটেড আরো কিছু প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হল :-
১. অরবিটাল বলতে কী বুঝায়?
= নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে অঞ্চলে ইলেকট্রন প্রাপ্তির সম্ভাবনা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সেই অঞ্চলকে অরবিটা বলা হয়। অর্থাৎ নিউক্লিয়াসের চারদিকে রয়েছে কক্ষপথ আর কক্ষপথে ইলেকট্রন সর্বদা ঘূর্ণায়মান।
ইলেকট্রন সর্বদা যে পদে কৌন এমন ওই পদে ইলেকট্রন প্রাপ্তির সম্ভাবনা যদি সর্বাধিক হয় অর্থাৎ তা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ বা তার অধিক হয়ে থাকে তাহলে সেই অবস্থা বলা হয়। অরবিটের তুলনায় অরবিটাল ইলেকট্রন প্রার্থীর সম্ভাবনা এবং ইলেকট্রনের সংখ্যা বেশি থাকে।
২. অরবিটাল নামকরণ করেন কে?
= F. Hund এবং R.S. মুলিকেন।
৩. এস অরবিটালের আকৃতি কেমন?
= সুষম গোলাকার।
৪.3d অরবিটাল সম্ভব নয় কেন?
= 3d অরবিটাল সম্ভব।
৫. 1p কেন সম্ভব নয়?
= এখানে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার মান n= 1,
ফলে সহকারী কোয়ান্টাম সরকার মান, l= 0,
অর্থাৎ সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যার মান একটি নির্দেশ করে যা সর্বোচ্চ s পর্যন্ত হতে পারে,
তবে আমরা জানি,
s= 0,.p= 1,,
অর্থাৎ সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যার মান 0 থেকে বেশি না হওয়ার কারণে 1p সম্ভব নয়।
৬. 2d অরবিটাল নেই কেন?
= আমরা জানি,
s= 0
p= 1
d = 2
তাই d অরবিটাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিনটি সংখ্যা প্রয়োজন যা উক্ত ক্ষেত্রের প্রধান সংখ্যার সাথে মিলেনা।
এজন্য 2d সম্ভব নয়।
এজন্যই 2d অরবিটাল নেই।
৭. আমরা কি 2d তে একটি অরবিটাল নির্ধারণ করতে পারি?
= না, সেটা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
