অপারেটিং সিস্টেম কি? এর প্রকার ও কার্যাবলী
অপারেটিং সিস্টেম কি :-কম্পিউটার ভিত্তিক শিক্ষনীয় অপারেটিং সিস্টেম বিষয়ক উক্ত পুষ্টি আপনাদেরকে স্বাগতম। উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে –
👉অপারেটিং সিস্টেম কি?
👉 এর প্রকারভেদ
👉অপারেটিং সিস্টেমের কার্যাবলী,,, ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের আধুনিকায়নের ফলে কম্পিউটারের অবদান সর্বাধিক। এক্ষেত্রে কম্পিউটারের বিভিন্ন সিস্টেম বা প্রোগ্রাম রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়।
এরকম একটি বিষয় হল অপারেটিং সিস্টেম। কম্পিউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারে সকল নিয়ম ও অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করি তাদের সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
অপারেটিং সিস্টেম কি?
যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারে হার্ডওয়ার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করা যায় তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়।
পুরো কম্পিউটার সিস্টেমকে অপারেটিং সিস্টেম চালু করে। ফলে অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের আত্মা নামে পরিচিত। ইংরেজিতে এজন্য অপারেটিং সিস্টেমকে soul of the computer system বলা হয়।
অর্থাৎ যে সিস্টেম ব্যবহার করার মাধ্যমে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়ারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা যায় এবং পাশাপাশি কম্পিউটারের সমস্ত কাজ পরিচালনা করে তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়।
অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ
অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ গুলো নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো :-
Batch Operating System :- এই অপারেটিং সিস্টেমটি বর্তমান সময়ে ব্যবহার করা হয় না। অনেক আগে থেকেই এই os টি৷ ব্যবহার করা হতো। বিশেষ করে যে মেন ফ্রেম রয়েছে কম্পিউটারের,
Multiprogramming Operating System:- অনেকে যখন একসাথে একটি CPU দ্বারা execute করা হয় তখন তাকে মাল্টি প্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়। অর্থাৎ মাল্টি প্রোগ্রামিং অ্যাপ অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান কাজ হল একটি কম্পিউটারের সঙ্গে একত্রে একাধিক বা অনেকগুলো প্রোগ্রাম পরিচালনা করা।
Multiprocessing Operating system:-মাল্টি প্রসেসিং নাম শুনলে প্রথমে এর মানে বা অর্থ বোঝা যায় অনেকগুলো প্রসেসর হিসেবে। কেননা একাধিক প্রসেসর ব্যবহার করার মাধ্যমে কম্পিউটারের কাজ খুব দ্রুততার সাথে করার জন্য উক্ত প্রসেসর গুলো ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও একবার একাধিক CPU ( central Processing Unit) কম্পিউটারের সিস্টেমে অবস্থান করে থাকে।
Real Time Operating System:-বাস্তবে অপারেটিং সিস্টেম গুলো সাধারণত খুব অল্প সময়ের জন্য ইনপুটগুলোকে প্রসেস প্রক্রিয়ায় প্রতিদান জানাই। যদি এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমগুলো নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে প্রক্রিয়াকরণ আবশক না হয় তাহলে এই সিস্টেমটি ব্যর্থ হবে।
রিয়াল টাইম এর ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেমগুলোর উদাহরণসমূহ :- Robot,, network multimedia system,, Airline traffic control systems,,, ইত্যাদি।
Distributed Operating System:- যে সিস্টেম ব্যবহার করার মাধ্যমে একাধিক কম্পিউটারের সিস্টেমের মধ্যে কমিউনিকেশন অর্থাৎ যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাকে Distributed Operating System বলা হয়।
এক বা তার বেশি কম্পিউটার সিস্টেম একত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে। এভাবে অতি অল্প খরচে এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায়।
Time Sharing Operating System:- Time Sharing শব্দটি দ্বারা টাইম শেয়ার করা বোঝায়। যার ফলে এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান কাজ হল ব্যবহারকারী টাইম নির্ধারণ করা।
অপারেটিং সিস্টেমের কার্যাবলী
অপারেটিং সিস্টেমের কার্যাবলী নিম্নে তুলে ধরা হলো :-
১. মেমোরি ম্যানেজমেন্টে একটি ফাংশন থাকে যা প্রাইমারি মেমোরি কে পরিচালনা করে। মেমোরি ম্যানেজমেন্ট এ প্রতিটি মেমোরির অবস্থান ট্র্যাক করে এবং একটি প্রক্রিয়ায় কতটি মেমোরি consume হবে তা অপারেটিং সিস্টেম নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
২. প্রসেসরের ক্ষেত্রে একটি ম্যানেজমেন্ট কম্পিউটারের যে সকল প্রসেস রয়েছে সেগুলো ম্যানেজ করে। যখন একজন ব্যক্তি কম্পিউটার একাধিক কাজ করবে তখন যদি ব্রাউজারে একজন ব্যক্তি কাজ করে
এবং একই সাথে টাইপিং করার জন্য ওয়ার্ড কাজ করে থাকেন পাশাপাশি গান শোনার জন্য অডিও প্লেয়ার ওপেন করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কাজগুলো সঠিকভাবে করার জন্য প্রসেসর ম্যানেজমেন্ট করে থাকে। সাধারণত কম্পিউটারে কাজের জন্য প্রসেসর যে সময় পর্যন্ত কাজ করবে সেগুলো কাজের OS কর্তৃক করা হয়।
৩. একজন ব্যক্তি যখন কম্পিউটারে কাজ করে তখন কিছু external device রয়েছে, অর্থাৎ প্রিন্টার,, স্পিকার,, মাউস,, কিবোর্ড ইত্যাদি,,,। অর্থাৎ কম্পিউটারের যে সিস্টেমগুলো রয়েছে সেগুলো ইনপুট বা আউটপুট ডিভাইস রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ কাজ করে থাকে OS,,
৪. একটি কম্পিউটারে হার্ডডিস্ক রয়েছে যার মধ্যে যেকোন ফাইল সেভ করা হয়। তবে যে ডাটাগুলো রয়েছে বাজে পায়েল গরুর জমা করা হয় এবং কপি করা সমস্ত কাজগুলো অপারেটিং সিস্টেম কর্তৃক হয়ে থাকে।
৫. একটি অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটার সুরক্ষা প্রদান করার কাজে ব্যবহার করে। কম্পিউটারে হ্যাকার ,, মেলওয়ার,, ভাইরাস,, ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে অপারেটিং সিস্টেম। এছাড়াও কম্পিউটারের অটোমেটিক ভাইরাস চলে আসা এই প্রোগ্রামটি অপারেটিং সিস্টেম সেটি ঠিক করে রাখে এবং নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে অপারেটিং সিস্টেম এবং অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন কাজ সম্পর্কিত আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি।
আশা করি,, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কিত যে সকল তথ্য অথবা প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।