টেকনোলজি

অপটিক্যাল ফাইবার কি : গঠন, বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার

অপটিক্যাল ফাইবার কি :-সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ, আসসালামুয়ালাইকুম,,, আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা রিলেটেড অপটিক্যাল ফাইবার সম্পৃক্ত প্রযুক্তি ভিত্তিক উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। 

আজকে আমরা আমাদের উক্ত পুষ্টির মাধ্যমে আপনাদেরকে — 

👉অপটিক্যাল ফাইবার কি

👉অপটিক্যাল ফাইবারের প্রকারভেদ 

👉অপটিক্যাল ফাইবার এর বৈশিষ্ট্য

👉অপটিক্যাল ফাইবার এর  ব্যবহার

👉অপটিক্যাল ফাইবার কিভাবে কাজ করে?

ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি। 

বর্তমান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে অপটিক্যাল ফাইবার একটি প্রয়োজনীয় এবং উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থা। প্রযুক্তি ব্যবস্থার যুগে প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অপটিক্যাল ফাইবার বিভিন্ন প্রযুক্তিতে বিভিন্নভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি সম্পর্কে এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন ভিত্তি সম্পর্কে যথাযথভাবে জানার ক্ষেত্রে অপটিক্যাল ফাইবার সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

অপটিক্যাল ফাইবার কি

অপটিক্যাল ফাইবার হল সিলিয়া বা কাজ দিয়ে তৈরি অথবা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি একটি স্বচ্ছ, অথচ নমনীয় ফাইবার। সাধারণত মানুষের চলে এসে কিছুটা পুরু ব্যাস বিশিষ্ট হয়ে থাকে অপটিক্যাল ফাইবার সমূহ। প্রধানত ইন্টারনেট সমূহে এবং বিভিন্ন ডাটা ট্রান্সমিশনের কাজে অপটিক্যাল ফাইবার কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

মাইক্রোপ্রসেসর কি

অপটিক্যাল ফাইবারের প্রকারভেদ 

সাধারণভাবে অপটিক্যাল ফাইবার কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এছাড়ো পরিমাপকের উপর ভিত্তি করে অপটিক্যাল ফাইবারকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। 

  • প্রতিসরণ সূচকের উপর ভিত্তি করে :-

Mono Mode Optical Fibre → যেখানে  কোর অংশ সরু এবং  ব্যাস প্রায় 5µm কিংবা তার কম, ক্ল্যাডিং তুলনামূলকভাবে বড় হয়ে থাকে।

  • Multi-mode Optical Fiber→
  1. Step Index Multi-Mode Fiber,,,
  2. Graded Index Multi-Mode Fiber,,,,
  • ফাইবার তৈরিতে যে সকল উপাদান ব্যবহার করা হয় সে উপাদানের ভিত্তিতে :-
  1. Optical Fibers → যা  Polymethylmethacrylate,,, নামক একটি  উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়।
  2. Fibers → যা অত্যন্ত সুখ কাচের ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়। 
  • আলোর বিচ্ছুরণের ভিত্তিতে:-
  1. Fibers → এই ফাইবার সমূহ তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ দূরত্বের ক্ষেত্রে সংকেত পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 
  2. Multimode Fibers → এই ফাইবার সময় সাধারণত দূরত্বের সংকেত প্রেরণের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

অপটিক্যাল ফাইবার এর বৈশিষ্ট্য

অপটিক্যাল ফাইবারের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম্নে অপটিক্যাল ফাইবারের বৈশিষ্ট্যসমূহ তুলে ধরা হলো :-

১. অপটিক্যাল ফাইবার সমূহ রাসায়নিক নিষ্ক্রিয়তা সম্পন্ন। 

২. খুব অল্প পরিমাণে শক্তি ক্ষয় হয় যাকে শক্তির অপচয় হয় না বললেই চলে। 

৩. এগুলো একই সাথে একের অধিক মানে তথ্য প্রেরণ করা যায়। 

৪. অপটিক্যাল ফাইবার সমূহ এর গতি আলোর গতির সমান।

৫. এটিতে সাধারণ অনুযায়ী গিগাবাইট অথবা তার বেশি কোন দ্রুত গতিতে ডাটা চলাচল করে। 

৬. বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন হিসেবে অপটিক্যাল ফাইবার কে বেশি কেবল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 

অপটিক্যাল ফাইবার এর  ব্যবহার

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য।  নিম্নে অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহারসমূহ তুলে ধরা হলো :-

→ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এ ব্যবহার করা হয়। 

→সার্জারি এবং দন্তচিকিৎসা এ ব্যবহার করা হয়। 

→মোটরগাড়ি শিল্প এ ব্যবহার করা হয়। 

→ টেলিফোন এ ব্যবহার করা হয়। 

→ আলোকসজ্জা এ ব্যবহার করা হয়। 

→ মেকানিক্যাল পরিদর্শন এ ব্যবহার করা হয়। 

→ ক্যাবল টেলিভিশন এ ব্যবহার করা হয়। 

→ মিলিটারি এবং স্পেস অ্যাপ্লিকেশন এ ব্যবহার করা হয়। 

অপটিক্যাল ফাইবার কি
অপটিক্যাল ফাইবার কি

অপটিক্যাল ফাইবার কিভাবে কাজ করে?

কম্পিউটারে বিভিন্নভাবে অপটিক্যাল ফাইবার কে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত আলোকরশ্মির উপর ভর করে অপটিক্যাল ফাইবার সমূহ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্যসমূহ প্রেরণ করি।

যার মাধ্যমে একটি ক্যাবলের মধ্যে যে বিষয়টি পরিচালনা করা হয় তাই ক্যাবলের মাধ্যমে তথ্যসমূহ একত্র হয়ে আলোর মাধ্যমে সেগুলো একটি পয়েন্ট থেকে অন্য একটি পয়েন্টে ভ্রমণ করতে পারে। 

এভাবে ক্যাবলের ভেতরের যে অংশটি রয়েছে সেগুলো সেটি সমান্তরাল নয় প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্টে আলো এবং তার গতিপথ পরিবর্তন হয়। এভাবে গতিপথে পরিবর্তন করে আলো তার তথ্যসমূহ একটি স্থান থেকে অন্য একটি স্থানে অথবা পুনরায় সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলে। 

ব্যবহার করার মাধ্যম সাধারণত আরো রশিগুলো বাঁকা হয়ে যায়। তবে সব কেঁদে সেটি নাও হতে পারে। কিন্তু এর মানে এটা বোঝায় যে একটি সাইটে আলো রিফলেক্ট হয়ে গেলে অপর একটি সাইটে আবার রিফ্লেক্ট হতে পারে।

যার মাধ্যমে হতে হতে একটি সময় রিসিভার এর নিকট তথ্যসমূহ পৌঁছায়।  কিন্তু রিসিভার এই আলো সরাসরি ভাবে গ্রহন করে না। 

মূলত একটি ডাটা অন্য একটি স্থানে প্রেরণ করার ক্ষেত্রে ট্রান্সমিটার যুক্ত করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এ ট্রান্সমিটার গরু তথ্যসমূহকে যাচাই করার জন্য বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করে। পিরিত হওয়া একটি তথ্য যাচাই করার জন্য প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিক্স এবং  ইমফর্মেশাল সকলের কাছে পরিচিত। 

এভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে ডাটা কিংবা তথ্যসমূহ ইলেকট্রনিক পালস থেকে ডিজিটাল আকারে পরিবর্তন হয়।

পরবর্তী সময়ে রিসিভার সর্বশেষ বাইনারিতে সেই ডাটা সমূহ রূপান্তর করার মাধ্যমে কম্পিউটার কিংবা অন্য যেকোনো ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারে একজন ব্যক্তি চাইলে তার দেখতে পারে। উল্লেখিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী অপটিক্যাল ফাইবার তার কাজ করে থাকে। 

উক্ত পোস্টটি পড়ার  মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে অপটিক্যাল ফাইবার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বা প্রশ্নের উত্তর আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি। 

আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা অপটিক্যাল  ফাইবার রিলেটেড যে সকল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button