শিক্ষা

অগ্নিকাণ্ড কাকে বলে? আগুন কি ও কত প্রকার

অগ্নিকাণ্ড কাকে বলে: বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ বা দুর্ঘটনার মধ্যে অগ্নিকাণ্ড একটি অন্যতম দুর্ঘটনা। ইয়ে অগ্নিকাণ্ড সাধারনত মানুষের অসাবধানতার কারণে ঘটে থাকে। তবে কখনো কখনো প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা হিসেবে এটি হয়ে থাকে। 

এজন্য এ মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য সকলকে অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন। এজন্য উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা অগ্নিকাণ্ড কাকে বলে এবং অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি। 

কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনার ঘটার মধ্যে অগ্নিকাণ্ড একটি অন্যতম দুর্ঘটনা। এ মারাত্মক দুর্ঘটনাটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে গড়তে পারে এবং তা যৌন জীবনে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। তাই ইয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিরোধের উপায় থেকে শুরু করে অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যথাযথভাবে জানা প্রয়োজন। 

অগ্নিকাণ্ড কাকে বলে

দ্রুত পর চলনকারী বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি পদার্থের সঙ্গে অন্য একটি পদার্থের দহন বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন দাহ্য পদার্থ বা পরিস্থিতিকে অগ্নিকাণ্ড বলে।

সাধারণভাবে আগুন গরম হওয়ার কারণে অক্সিজেন এর দুর্বল দি বন্ধন ভেঙ্গে যায় পড়ে তখন বিক্রিয়ার মাধ্যমে দুইটি বিক্রিয়ক  বিক্রিয়া করে দহন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে উৎপাত সৃষ্টি করে তার কারণে আগুন লেগে যায় এবং এ কান্ডকে অগ্নিকাণ্ড বলা হয়। 

আগুন কি ও কত প্রকার

আগুন হলো প্রচলনশীল একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া বিশেষ। আগুনকে বিভিন্ন প্রকারে ভাগ করা যায় তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দমকল বাহিনী আগুনকে ৬ ভাগে ভাগ করেছে। 

সেগুলো হলো :-

১. ধাতব পদার্থ সংমিশ্রণের মাধ্যমে তৈরি আগুন। 

২. বৈদ্যুতিক বিভিন্ন ধরনের গোলযোগ এর কারণে তৈরি হওয়া আগুন। 

৩. তেল করতে তৈরি হওয়া আগুন। 

৪. রাসায়নিকভাবে রাসায়নিক বিভিন্ন উদ্য পদার্থ হতে তৈরি আগুন। 

৫. পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বা কয়লা হয়ে গেছে সে সকল কয়লার মাধ্যমে আবার পুনরায় তৈরি হওয়া আগুন। 

৬. গ্যাস হতে সৃষ্টি হওয়া বা লেগে যাওয়া আগুন।  ইত্যাদি। 

আগুন কি দিয়ে তৈরি

সাধারণত জ্বালানি অথবা তাপ ও অক্সিজেনের কারণে আগুন লেগে থাকে। আগুন লাগার চরিত্র উপাদান হিসেবে রাসায়নিক বিক্রিয়া মুখ্য। কেননা ইহার মধ্যে টেট্রা হেড্রন থাকার কারণে তাপ এবং অক্সিজেনের পাশাপাশি জ্বালানের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আগুন তৈরি হয়। 

অর্থাৎ আগুন → তাপ, অক্সিজেন, জ্বালানি এবং টেট্রাহেড্রন  জাতীয় রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। 

এ সকল রাসায়নিক উপাদান গুলো মিশ্রিত হওয়ার মাধ্যমে বা একে অপরের সাথে বিক্রিয়া গটার মাধ্যমে আগুন তৈরি হয়।

অগ্নিকাণ্ড কাকে বলে আগুন কি ও কত প্রকার

আগুন নেভানোর পদ্ধতি প্রধানত কত প্রকার

সাধারণভাবে বিভিন্ন পদ্ধতি বা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আগুন লেগে থাকে। সেটা কখনো গ্যাস কর্তৃক তৈরি আবার কখনো দাঁতও পদার্থের আবার কখনো কখনো রাসায়নিক বিভিন্ন পদার্থের সংমিশ্রণের মাধ্যমে তৈরি হয়। সে কারণে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আগুন লেগে যায় যেহেতু তাই আগুন নেভানোর পদ্ধতি গুলো আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। 

তবে সাধারণভাবে আগুন নেভানোর পদ্ধতি তিন প্রকারের। যথা :-

→ স্টার্ভেশন পদ্ধতি,,,,

→ স্মোদারিং পদ্ধতি,,,

→ কুলিং পদ্ধতি। 

আগুন লাগার কারণ কি

সাধারণত বিভিন্ন কারণে আগুন লাগতে পারে। যদি একটি গুদাম ঘরে অথবা একটি স্থানে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যাদি মজুদ করে রাখা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে কোনো কারণে একটি রাসায়নিক পদার্থ অন্য একটি রাসায়নিক পদার্থের সংমিশ্রণে লাগার কারণে উর্দাহী পদার্থ তৈরি হয় এবং তা থেকে আগুন লাগতে পারে। 

কখনো কখনো অধিক হারে দীর্ঘদিন যাবত একটি আগুন লাগা অব্যাহত থাকতে পারে যাকে দাবানল বলা হয়। এক্ষেত্রে বড় বড় বন একটি গাছ অপর গাছের সাথে সংঘর্ষের কারণে আগুন লেগে যায়। 

সিলিন্ডার হতে কোন কারণে গিয়াস যদি অপ্রাজ্য আকারে বেরিয়ে যায় তবে সে গ্যাস কোন অধ্যায়ী পদার্থের সংস্পর্শে এলে অথবা আগুনের সংস্পর্শে এলে তা থেকে বড় আকারে দুর্ঘটনামূলক আগুন লাগতে পারে। 

বৈদ্যুতিক বিভিন্ন কারণে বৈদ্যুতিক একটি তারের সংমিশ্রণের সাথে অন্য একটি তারে সংযোজন কোন ভাবে গোল যোগ হওয়ার কারণে তা থেকে আগুন লাগতে পারে। সর্বোপরি মানুষের অসচেতনতার কারণে এই আগুন লাগা নামক দুর্ঘটনাটি করতে পারে। 

আরো পড়ুন: মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারণ ও প্রতিকার

দাবানল কাকে বলে

দাবানোর এই শব্দটির ইংরেজি অর্থ হলো : Wildfire,,

সাধারণভাবে পাহাড়ি অঞ্চলের ক্ষেত্রে বনভূমির পরিমাণ বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত আকারে বনাঞ্চল থাকার কারণে গাছে গাছে ঘর্ষণের মাধ্যমে যদি আগুন লেগে যায় তবে তা দীর্ঘদিন সর্বোচ্চ একমাস বা তার চেয়েও বেশি সময় পর্যন্ত আগুন লেগে থাকতে পারে। 

এক্ষেত্রে বনভূমি যেহেতু বিশাল আকারের বাবা বনাঞ্চল অনেক বড় হওয়ার কারণে বনাঞ্চলের একটি অবস্থান থেকে আগুন লাগা শুরু করলে তা দীর্ঘ সময় ব্যাপী পুরো বন পড়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আগুন লাগতে পারে এবং অধিক সময় যাবৎ এই আগুন লাগাকে দাবানোর বলা হয়। 

অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের তাপ নিয়ন্ত্রণ বা তাপ ক্রমশ উপর দিকে উঠার মাধ্যমে ক্যাম্পের আগুন গুলো অনায়াসে উড়ে যথাক্রান্ত বনাঞ্চল গুলোর বিভিন্ন গাছগুলোর মাধ্যমে আগুনলাগা শুরু হয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বা বড় আকারে দুর্ঘটনা মূলক ভাবে আগুন লেগে থাকাকে দাবানল বলা হয়। 

এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি, অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত যে সকল তথ্য আপনি জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button