স্যাটেলাইট কি? এর প্রকার ও ব্যবহার

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের ওয়েবসাইটের স্যাটেলাইট রিলেটেড প্রযুক্তিভিত্তিক উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। আমাদের উক্ত পোস্টে আমরা আপনাদেরকে  স্যাটেলাইট কি স্যাটেলাইটের বিভিন্ন প্রকারভেদ ইত্যাদি সম্পর্কে যথাযথভাবে জানাচ্ছি। 

প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করার মাধ্যমে মানুষের জীবনমানকে সহজ করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তির পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট আবিষ্কার করেছে।

স্যাটেলাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে দূরবীন স্বরূপ বা অন্যান্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুলব্ধ করার মাধ্যমে খুব সহজে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারছে। 

উক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাকাশে রকেটের গতিতে একটি স্যাটেলাইট পাঠিয়ে বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহের খবর জানতে পারছে এবং তা অনুযায়ী নতুন কিছু তৈরি করার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা উদ্বোদ্ধ হচ্ছে। 

স্যাটেলাইট কি

মহাকাশে উৎক্ষেপিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত উপগ্রহগুলো স্যাটেলাইট।  কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার খবর নিমিষেই জানা যায়।

স্যাটেলাইট কি রকেট অথবা স্পেস সাটলের কার্গো বে-এর মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন কক্ষপথে পাঠানো যায়। বিভিন্ন কক্ষপথে পাঠানোর সময় রকেট নিয়ন্ত্রণের জন্য তাতে ব্যবহার করা হয় এনার্শিয়াল গাইডেন্স সিস্টেম। এছাড়ো পৃথিবীর অভিকর্ষ  পেরিয়ে রকেটকে প্রতি ঘন্টায় ২৫ হাজার ৩৯ মাইল ধরনের ছুটে যেতে হয়। 

যার ফলে একটি স্যাটেলাইট স্থাপনের সময় কক্ষীয় গতি ও তার যে জড়তার  পৃথিবীর অভিকর্ষের প্রভাব রয়েছে এবং তার মাধ্যমে সামঞ্জস্য বিধান করতে না পারলে একটি স্যাটেলাইট অভিকর্ষের টানে ফের ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসতে পারে।

ফলে একটি স্যাটেলাইট কি ১৫০ মাইল উচ্চতা বিশিষ্ট কক্ষপথ কে ঘুরিয়ে আনতে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৭ হাজার মায়ের গতিতে পরিভ্রমণ করতে পারে। এখানে মূলত গতিবেগ কত হবে তা নির্ভর করে স্যাটেলাইটটি পৃথিবী থেকে ঠিক কতদূর রয়েছে তার ওপর। 

এছাড়াও কোন একটি কাজের উপর অর্থাৎ কাজ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে স্যাটেলাইটটি কত উচ্চতায় পাঠানো হবে বা কত উচ্চতায় বসবে সেটি নির্ধারণ করা হয়। 

প্রাণী এবং উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে বন্যপ্রাণী যদি চড়ে বেড়ানো হয় বা পর্যবেক্ষণ করা হয়, অ্যাস্ট্রোনমি এবং অন্যান্য বিভিন্ন পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে সায়েন্স স্যাটেলাইট বসানো হয় এবং সে ক্ষেত্রে 30 হাজার থেকে ছয় হাজার মাইল উচ্চতায় সেটি অবস্থান করে। 

এছাড়াও গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয় প্রায় ছয় হাজার থেকে 12 হাজার মাইল উচ্চতায়।বলে এক ধরনের স্যাটেলাইটের বৈশিষ্ট্য রয়েছে

এবং গঠন প্রণালী এক এক রকম হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের স্যাটেলাইট কে ব্যবহার করে সাধারণ কিছু এবং অসাধারণ কিছু বিভিন্ন উপগ্রহ সম্পর্কে জানার মাধ্যমে তৈরি করা হয়। 

একটি স্যাটেলাইট এর মধ্যে অর্থাৎ স্যাটেলাইটের শরীর ধাতুর সংকরণের মাধ্যমে প্রাণ দিয়ে তৈরি করা হয়। একে বাস বলে। এর মাধ্যমে স্যাটেলাইটের যত সকল যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলো অবস্থানরত হিসেবে থাকে।

বলে স্যাটেলাইটের একটি অন বোর্ড কম্পিউটার থাকে এবং একে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে সিস্টেম মনিটরিং করা হয়। তবে স্যাটেলাইটের আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য বা মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো এর রেডিও সিস্টেম ও এন্টেনা। 

স্যাটেলাইট কি
স্যাটেলাইট কি

স্যাটেলাইটের প্রকারভেদ

স্যাটেলাইট এর প্রকারভেদ নিয়ে নিম্ন নিয়ে আলোচনা করা হলো :-

একটি স্যাটেলাইট কি ডিজাইন করা হয় যখন তখন ফর এন্ড স্পেসিফিক টাস্ক এর মাধ্যমে।  তবে কাজের ভিত্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু কাজে ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট গুলোকে কয়েকটি বাঘে ভাগ করা হয়ে থাকে। 

  • ওয়েদার স্যাটেলাইট:-এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে একটি স্যাটেলাইটের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়। স্যাটেলাইটটি ব্যবহার করে পৃথিবীর আবহাওয়া সংক্রান্ত ফটো ধারণ করা হয়ে থাকে। যেমন :-  GEOS স্যাটেলাইট, COSMOS এবং TIROS,,,,,
  • কম্যুনিকেশন স্যাটেলাইট:-সিগন্যাল বা তথ্যের আযান প্রদান যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে করা হয় তাকে কম্যুউনিকেশন স্যাটেলাইট।  এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্রডকাস্টিং স্যাটেলাইট এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 এই কম্যুউনিকেশনকে স্পেস  কম্যুউনিকেশন বলে। উক্ত স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে একটি ট্রান্সমিটার তথা প্রেরকজন তো, রিসিভার তথা গ্রাহক যন্ত্র, পাওয়ার সাপ্লাই এবং এন্টেনা সিস্টেম যন্ত্র থাকে।

ফলে উক্ত সিস্টেমের মধ্যে আর্থো স্টেশন ট্রান্সমিটার থেকে মডুলেটেড করা হয় এবং মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল প্লাস উচ্চ কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট বহন করে এবং তরঙ্গের মাধ্যমে সিটির স্যাটেলাইট পাঠানো হয়।

এভাবে একটি স্যাটেলাইট মডুলেটেড ওয়াপকে বিবর্জিত করে এবং পৃথিবীতে বিভিন্ন স্টেশনের মাধ্যমে স্থাপিত গ্রাহককে স্টেশন সমূহে পাঠানো হয়।

  • ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট:-স্যাটেলাইটকে সমুদ্রগামী জাহাজ বা বিমান ও ডিটেক্ট, ন্যাভগেট নির্দেশনা করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উদাহরণ :- GPSNAVSTAR স্যাটেলাইট।
  • ।জিপিএস সিস্টেমকে ব্যবহার করার মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্কে যা ২৪ টি স্যাটেলাইট নিয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে এবং বিভিন্ন তথ্য ও পৃথিবীর যে কোন স্থানের বা অবস্থানের ছবি পাঠাতে সক্ষম হয় এমনকি বিভিন্ন স্থানের আবহাওয়া পর্যন্ত।
  • আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট:-উক্ত স্যাটেলাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে পৃথিবীতে বিভিন্ন অংশের ছবি তোলা যায় এবং পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশ নিরীক্ষণ করা যায়।
  • মিলিটারী স্যাটেলাইট:-এই স্যাটেলাইটটি ব্যবহার করার মাধ্যমে সামর বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এতে এর মূল কাজ হলো:-শত্রুর গতিবিধ পর্যবেক্ষন,  ফটোগ্রাফি, রাডার ইমেজিং, মনিটরিং,  নিউক্লিয়ার ।

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে স্যাটেলাইট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যেমন স্যাটেলাইট কাকে বলে এবং স্যাটেলাইটের বিভিন্ন প্রকারভেদ সমূহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। 

আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা স্যাটেলাইট রিলেটেড যে সকল তথ্য জানতে চেয়েছেন তা যথাযথ জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Leave a Comment