স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাকে বলে:সুস্থ এবং স্বাস্থ্যতা হচ্ছে মানুষের অন্যতম অংশ। স্বাস্থ্য কে সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ধরনের ব্যায়াম ও বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে অভ্যাসগত কারণ সমূহে যথাযথভাবে প্রয়োগ করে সারিয়েকো মানসিকভাবে সুস্থ থাকা প্রয়োজন।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যেমন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাকে বলে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কি? ইত্যাদি জানাচ্ছি।
মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। তবে প্রথমেই একজন ব্যক্তিকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে সকল কার্যক্রম অথবা যে সকল নিয়ম অনুবর্তিত জীবনে আনা প্রয়োজন তা জানতে হবে।
পাশাপাশি তাদেরকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কি বা কাকে বলে এ সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে জেনে যথাযথভাবে কার্যক্রম গুলোকে ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা যায়। এজন্য প্রতিটি মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং এ ব্যাপারে যথাযথভাবে জানতে হবে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা কি
অভ্যাস বা আচরণের পরিবর্তন হলো স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রধান। কারণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা হলো এমন একটি অভ্যাসগত আচরণ যার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়।
অর্থাৎ সুস্থ স্বাভাবিক ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য জীবনের যে সকল যে সকল সুরক্ষা গুলো অবলম্বন করা হয় তা হল স্বাস্থ্য সুরক্ষা। তাছাড়া একটি বহুল প্রচলিত কথা হলো “”স্বাস্থ্যই হলো সম্পদ””।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাকে বলে
জনগণের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য যে সকল ব্যবস্থা রয়েছে তাকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বলে। সামাজিকভাবে সুস্বাস্থ্যতা শারীরিক এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উপর দৃষ্টি নিবিড় করে।
জনগণের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা করা এবং ক্রমাগত শাস্তির উন্নতি করা পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ অথবা আঘাতের ঝুঁকি কমিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বলে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা বলতে কি বুঝায়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বলতে শারীরিক-মানসিক এবং সামাজিক সুস্বাস্থ্য তার একটি অবস্থাকে নির্দেশ করে। তাছাড়া এমন বলা হয় যে শুধুমাত্র রোগ অথবা দুর্বলতা অনুপস্থিতি নয় পাশাপাশি স্বাস্থ্যকে উন্নতির প্রক্রিয়া এবং স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা করার প্রক্রিয়া সমূহকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বলা হয়ে থাকে।
শাস্ত্রের যে পরিস্থিতিতে অসুস্থতা এবং রোগ অনুপস্থিত থাকবে এবং শারীরিক-মানসিক ও সামাজিক সুস্থতা নির্দেশ করবে সে পরিস্থিতি বলতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কে বোঝায়।
স্বাস্থ্য কাকে বলে
পূর্ণাঙ্গভাবে মানসিক শারীরিক এবং সামাজিক সুস্থতার অবস্থাকে স্বাস্থ্য বলা হয়। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রোগ অথবা দুর্বলতার অনুপস্থিতি থাকবে না।
মানুষের বিভিন্ন মৌলিক অধিকারসমূহের মধ্যে স্বাস্থ্যকে রাজনৈতিক বিশ্বাস অর্থনীতি বা সামাজিক অবস্থার ভেদাভেদ ছাড়াই সর্বোচ্চ অর্জনে উপভোগ করা যায়।
অর্থাৎ রোগমুক্ত অথবা দুর্বলতা ছাড়া সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে শারীরিক অবস্থার পরিস্থিতিকে স্বাস্থ্য বলে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৬ষ্ঠ শ্রেণি
শরীরকে সুস্থ এবং ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে খাদ্য ও পুষ্টি পাশাপাশি শরীর চর্চা খেলাধুলা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্নতা থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও নিজের অনুভূতির যত্ন নেয়া, শখের কাজ, মনের যত্নের জন্য প্রয়োজন ভাবে বিনোদন ইত্যাদি প্রয়োজন।
পাশাপাশি রোগমুক্ত এবং নিরাপদ থাকার জন্য পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখা, রূপ নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রতিরোধ করা প্রয়োজন।
আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত, রোগ প্রতিরোধ করা এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিরাপদ থাকার প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরনের শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন চাল, গম, যব,আলু ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন।
প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠনে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি স্নেহ বা চর্বি জাতীয় খাবার খেলে সয়াবিন, সরিষার তেল, বাদাম ইত্যাদি স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন
ফলমূল, দুধ, ডিম, সবুজ শাকসবজি, ঢেঁকিছাঁটা চাল ইত্যাদি থেকে আমরা খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন পাই। খনিজ লবণ, যা, রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লালশাক, কচুশাক ও ছোট মাছে খনিজ লবণ পাওয়া যায়। পানি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।এছাড়া, খাদ্য হজমে সাহায্য করে- ফাইবার বা খাবারের আঁশ।সাধারণত ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে বয়সন্ধিকালের সূচনা ঘটে। তাই এ সময়েও উপরোক্ত খাবার গুলো যথাযথভাবে গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য এগুলো অপারিসীম।u
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৭ম শ্রেণী
স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পরিণত পরিমাণে সুষম খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন। তবে সপ্তম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ প্রাপ্ত অথবা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা বলতে স্বাস্থ্যকে সুন্দর এবং মানসিকভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য পরিণত পরিমাণে খাবার গ্রহণ এবং ব্যায়াম করাকে বোঝায়।
এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার কার্যক্রমে অংশ নিতে, পাশাপাশি পড়ালেখা এবং খাবার খাও গ্রহণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
যে সকল খাবারে প্রোটিন বিদ্যমান আঁশ জাতীয় খাবার এবং হজমে উপকারিতা ভূমিকা পালন করে ঐ সকল খাবারগুলো তাদের জন্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।
অর্থাৎ সপ্তম শ্রেণীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পিরামিডের উপর নির্ভর করে বয় চন্দ্রকালে যে সকল খাবার গ্রহণ প্রয়োজন ওই সকল খাবার খেতে হবে পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম বা শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যে সকল কার্যক্রম রয়েছে সে সকল কার্যক্রমে যথাযথভাবে অংশ নেওয়া জরুরী।
আরো পড়ুন: মানসিক স্বাস্থ্য কাকে বলে
এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানো চেষ্টা করেছি।
আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।