সার্বজনীন দ্রাবক কাকে বলে :- আসসালামু আলাইকুম। আমাদের ওয়েবসাইট এবং আমাদের ওয়েব সাইটের এই পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম । আমাদের উক্ত পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা —
সার্বজনীন দ্রাবক কি,, সার্বজনীন দ্রাবক কাকে বলে,, জলকে সার্বজনীন দ্রাবক বলে কেন,, দ্রবণীয়তা কাকে বলে,, সার্বজনীন দ্রাবক কাকে বলে,, ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিভিন্ন বস্তু গবেষণাগারে মিশ্রণ তৈরি করার মাধ্যমে গবেষণা করা হয়ে থাকে। সাধারণত রসায়নের বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিয়ে গবেষণা করা হয়।
সে ক্ষেত্রে গবেষণার সুবিধার জন্য বিভিন্ন বিকারে রাখা দ্রবণসমূহ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন পদার্থ এবং পানি মিশ্রিত করে দ্রবণ তৈরি করা হয়ে থাকে।
এভাবে বিভিন্ন বস্তু বা বিভিন্ন পদার্থের সমন্বয়ে দ্রবণ তৈরি করা হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের রসায়নের বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ল্যাবরেটরির এই অংশ সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে দ্রবণীয়তা সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য।
সার্বজনীন দ্রাবক কি
যে সকল দ্রাবক সমূহ জৈব এবং অজৈব সকল প্রকার পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে তা হলো সার্বজনীন দ্রাবক। অর্থাৎ যে সকল পদার্থ দ্রবীভূত হয় সে সকল পদার্থ দ্রাবক।
তবে এ সকল দ্রাবকের মধ্যে যে দ্রাবকসমূহ জৈব এবং অজৈব উভয় প্রকার এমন কি সকল প্রকার পদার্থ কে পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে সে পদার্থগুলো দ্বারা তৈরি দ্রাবক হলো সার্বজনীন দ্রাবক।
সার্বজনীন দ্রাবক কাকে বলে
যে সকল পদার্থ অন্য পদার্থের সাথে দ্রবীভূত করতে পারে তাদেরকে সাধারনত দ্রাবক বলা হয়। তবে যদি কোন পদার্থ অজৈব এবং জৈব সকল প্রকৃতির পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে তাহলে সেই পদার্থকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।
অর্থাৎ যে সকল দ্রাবক অনেক জৈব ও অজৈব দ্রবকের দ্রবীভূত করে তাকে ওই সকল পদার্থের সর্বজনীন দ্রাবক বলে। উদাহরণ :- পানি।
জলকে সার্বজনীন দ্রাবক বলে কেন
জলকে সাধারণত সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়। কারণ –যেকোনো তরল পদার্থের তুলনায় জল সবচেয়ে বেশি দ্রবীভূত ক্ষমতা রাখে।
অর্থাৎ যে সকল ধাতব পদার্থ রয়েছে সেগুলো সাধারণ তাপমাত্রা দূর না হলেও বেশি তাপমাত্রায় দ্রবীভূত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে স্পিরিট, ভিটামিন সি, ভিনেগার, গ্লুকোজ, চিনি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের জৈব পদার্থ সহজেই পানির সাথে দ্রবীভূত হয়।
কথা যে সকল পদার্থ প্রকৃতিতে রয়েছে তার মধ্যে জৈব ও অজৈব এমনকি সকল প্রকার পদার্থ পানির সাথে সহজে দ্রবীভূত হয়। এজন্য জলকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।
দ্রবণীয়তা কাকে বলে
কোন নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যদি ১০০ গ্রাম দ্রাবক নিয়ে কোন দ্রবের সাথে সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি করা হয় তাহলে সেখানে যতটুকু দ্রবের প্রয়োজন হয় তাকে ওই দ্রাবকে ওই দ্রবের দ্রবণীয়তা বলা হয়।
অর্থাৎ দ্রবণীয়তা হল কোন একটি দ্রবের সাথে যদি ১০০ গ্রাম দ্রাবক নিয়ে সম্পৃক্ত করা হয় সে ক্ষেত্রে যতটুকু দ্রবকে দ্রবণ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় বা প্রয়োজন হয় তাহলে সে তা হলো সে দ্রবের দ্রবণীয়তা।
সার্বজনীন দ্রাবক কাকে বলে
যে সকল পদার্থ অন্য পদার্থের সাথে দ্রবীভূত করতে পারে তাদেরকে সাধারনত দ্রাবক বলা হয়। তবে যদি কোন পদার্থ অজৈব এবং জৈব সকল প্রকৃতির পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে তাহলে সেই পদার্থকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।
অর্থাৎ যে সকল দ্রাবক অনেক জৈব ও অজৈব দ্রবকের দ্রবীভূত করে তাকে ওই সকল পদার্থের সর্বজনীন দ্রাবক বলে। উদাহরণ :- পানি।
আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে দ্রবণীয়তা, দ্রবণ এবং সার্বজনীন দ্রবণ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি,, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা দ্রবণ বা দ্রবণীয়তা সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন সে সম্পর্কে যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।