সাইবার নিরাপত্তা কাকে বলে? সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা
সাইবার নিরাপত্তা কাকে বলে: অনলাইন নিরাপত্তা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে তথ্যসমূহকে নিরাপদে রাখা যায়। তবে আধুনিকায়নের যুগে বিভিন্ন ধরনের তথ্যসমূহ বা ইমেল অথবা পাশাপাশি ম্যালওয়্যার গুলো সংরক্ষণের অভাবে চুরি হয়ে যেতে পারে।
এজন্য অনলাইন বিজনেস বা অনলাইনে যারা কাজ করে তাদের নিজেদের পাসওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তি প্রয়োগে নিজেদের তথ্যগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে পারে।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করে জানাচ্ছি।
হাতে-কলমে বা কাগজের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য জমা রাখার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে একটি কম্পিউটার একটি মোবাইল ফোনে রাখা যাচ্ছে নিজেদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য জমা করে।
তবে সে তথ্য যেন কোনভাবে হ্যাক হয়ে যেতে অথবা চুরি হয়ে যেতে না পারে সেজন্য তাতে নিরাপত্তা প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়।
প্রতিটি অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রমের জন্য প্রত্যেককে সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে যথাযথভাবে জানা প্রয়োজন। ফলে ব্যক্তি আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের গোপনীয় ও প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংরক্ষণ করতে পারবে।
সাইবার নিরাপত্তা কি
কম্পিউটারের বিভিন্ন তথ্য ডাটা বা ম্যালওয়্যার সমূহ চুরি হওয়ার বা হ্যাক করা থেকে বাঁচাতে নিরাপত্তা স্বরূপ যে পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয় তা হলো সাইবার নিরাপত্তা পদ্ধতি।
সাইবার নিরাপত্তা পদ্ধতি ব্যবহার করে যখন অনলাইনে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অথবা ফাইলে যখন তথ্য বা ডেটা রাখে তখন নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী নিজেদের পছন্দের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে তা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। ফলে প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য বা উপাত্তসমূহ সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়।
সাইবার নিরাপত্তা কাকে বলে
কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক,কম্পিউটার সিস্টেম প্রোগ্রাম, ডেটা, অনুমোদিত অ্যাক্সেস সমূহ ক্ষতি বা চুরি এবং অন্যান্য ধরনের সাইবার হুমকির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয় তাকে সাইবার নিরাপত্তা বলে।
ডিজিটাল কম্পিউটার, স্মার্টফোন এমনকি tablet এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসকে ইন্টারনেটে প্রয়োগ করার মাধ্যমে আন্তঃসংযোগ যোগাযোগ রক্ষা করার পাশাপাশি নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করা যায়।
কম্পিউটারের এ সকল বিস্তারিত তথ্যসমূহ যে কেউ চাইলে যেকোনো সময় হ্যাক করে তথ্যগুলো চুরি করতে পারে। চুরি করার হাত থেকে তথ্যসমূহকে যথাযথভাবে রাখার জন্য এবং বাঁচানোর জন্য এক ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় যা হলো সাইবার নিরাপত্তা পদ্ধতি।
সাইবার নিরাপত্তা আইন
বর্তমান যুগকে তথ্য প্রযুক্তির যুগ বলা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে বর্তমান সময়কে ব্যাপকভাবে অনলাইন মুখী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
তবে অনলাইন বুকিং করার মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন তথ্য বা ডেটা সমূহ সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা প্রণয়ন করা হয়।
২০১৮ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সাইবার নিরাপত্তা আইন নামক একটি আইন প্রণয়ন করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন ভিত্তিকভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে তথ্যকে
এবং তথ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন আদান-প্রদান ইমেইল ইত্যাদিকে সংরক্ষণ করার জন্য যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে তা হলো সাইবার নিরাপত্তা আইন।
সাইবার নিরাপত্তা আইন কি
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমকে ব্যবহার করে বর্তমান সময়কে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আধুনিকরণ করার পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্নভাবে হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে।
ফলে অনলাইনের সমস্ত ডকুমেন্ট বা তথ্য সময় যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার জন্য সাইবার নিরাপত্তা আইন নামক একটি আইন প্রণয়ন করার মাধ্যমে তার সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
অর্থাৎ যে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে অনলাইন ভিত্তিকভাবে কম্পিউটার মোবাইল বা_স্তব এর বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন ফাইল তৈরির মাধ্যমে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি এবং তার মধ্যে নিরাপত্তা প্রণয়ন করার পদ্ধতিকে সাইবার নিরাপত্তা আইন বলে।
সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা
এবার নিরাপত্তার জন্যও ২০১৮ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত নতুনভাবে বিভিন্ন বিধান প্রণয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন নীতিমালা প্রয়োগ করা হয়েছে।
নীতিমালা সমূহ নিম্নরূপ :-
- আইনের অতিরাত্রিক প্রয়োগ
- এজেন্সি গঠন,,,
- কার্যালয়,,,
- মহাপরিচালক ও পরিচালকগণের নিয়োগ,,,
- এজেন্সির জনবল,,,
- প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাদি,,,
- কতিপয় তথ্য-উপাত্ত অপসারণ,,,
- ব্লক করিবার ক্ষমতা,,,
- কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম নিয়োগ,,
- ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব প্রয়োগ,,,
- ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের মাধ্যমে মান নিয়ন্ত্রণ,,,
- জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কাউন্সিল,,,
- কাউন্সিলের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ,,,
- কাউন্সিলিং সভা,,,,
- অপরাধ ও দণ্ড,,,
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বে-আইনি প্রবেশের দণ্ড,,
- কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইসে প্রবেশ ও দন্ড,,,
- কম্পিউটার সিস্টেমে দন্ড,,,
- বে-আইনি প্রবেশ ও দণ্ড,,, ইত্যাদি।
- কম্পিউটার সোর্স কোড পরিবর্তন বিষয়ে অপরাধ ও দণ্ড,,,
- ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক জালিয়াতি করা,,,
- ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক প্রতারণা,,,
- পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণকারী,,,
- আক্রমণাত্মক,,,
মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক,,,
তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ ও প্রকাশ,, ইত্যাদি।
- আইন প্রয়োগে তদন্ত,,,,
- তদন্তের সময়সীমা,,,
- তদন্তকারী অফিসার গণের ক্ষমতা,,,
- পরোয়ানার মাধ্যমে তল্লাশি ও জব্দ করা,,,
- তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি প্রয়োগ,,,
সাইবার বুলিং কাকে বলে
বর্তমানে যে সকল ডিজিটাল ও আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে সেই সকল প্রযুক্তির ব্যবহার করার মাধ্যমে হয়রানীর স্বীকার করা বা হয়রানি করাকে সাইবার বুলিং বলে।
অনলাইন মিডিয়া হচ্ছে একটি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম। সামাজিক মিডিয়াতে প্ল্যাটফর্ম প্রয়োগ করার মাধ্যমে বা ও গেমিং ইত্যাদি বিভিন্ন প্রয়োগকে ব্যবহার করার মাধ্যমে মানুষকে হয়রানির স্বীকার করাকে সাইবার বুলিং বলা হয়।
অনলাইন ভিত্তিকভাবে বিভিন্ন ধরনের সাইবার ক্রাইম রয়েছে, সে সকল সাইবার ক্রাইমগুলোর মধ্যে সাইবার বোলিং একটি অন্যতম।
আরো পড়ুন: সামাজিক পরিবর্তন কাকে বলে
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে সাইবার নিরাপত্তা এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি আমাদের পোষ্টের পড়ার মাধ্যমে আপনি সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে এবং সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তার যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।