সন্নিহিত কোণ এর বৈশিষ্ট্য: সন্নিহিত কোণের বেশ কিছু কিছু উদাহরন আমাদের সাথে বাস্তব জীবনে লক্ষ্য করা যায়। উদাহরনস্বরুপ- যেমন হলো :ঘড়ির তিন কাটা , এবং পিৎজা বক্সে রাখা পিৎজা স্লাইম,আবার গাড়ির ইস্টিয়ারিং এর হুইলে ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই সন্নিহিত কোণ দেখা যায় ।
একই শীর্ষবিন্দু হলেও প্রায় দুইটি কোণ যেমন সবসময় এমন ভাবে সন্নিহিত কোণ হয় না, তেমনিভাবে আবার একই সাধারণ বাহু থাকলেও সবসময় তারা নানা ভাবে সন্নিহিত কোণ হয় না।
আবার, একই শীর্ষবিন্দু আবার হলো একই সাধারণ বাহু হওয়া সত্ত্বেও কোণদ্বয় সবসময় এই ভাবে সন্নিহিত কোণ নাও হতে পারে। সন্নিহিত কোণ কাকে বলে | সন্নিহিত কোণ কাকে বলে চিত্র সহ
যদি দুইটি কোণের এক একটি সাধারণ শীর্ষবিন্দু আবার একটি সাধারন বাহু থাকে তাহলে কোণ থেকে দুটিকে একটি এমন অপরটির সন্নিহিত কোণ বলে।
একই সমতলে অবস্থিত যদি এই দুইটি কোণের একটি সাধারন প্রায় শীর্ষবিন্দু ও একটি সাধারন বাহু গুলো থাকে যেখানে সাধারন এই সব বাহুর বিপরীত পাশে কোণ থেকে নানা ভাবে দুটি অবস্থিত তখন এই সব কোণ দুটি কে পরস্পরের এই সন্নিহিত কোণ বলা হয়।
একই সমতলে অবস্থিত ভাবে একই শীর্ষবিন্দুবিশিষ্ট দুইটি এমন কিছু কোণের যদি একটি সাধারণ বাহু গুলো থাকে এবং কোণ দুইটি, এমন ভাবে সাধারণ বাহুর বিপরীত পার্শ্বে অবস্থিত হয় ।তাহলে কোণদ্বয়কে পরস্পর নানা ভাবে সন্নিহিত কোণ বলে।
সন্নিহিত কোণ এর বৈশিষ্ট্য, কত ডিগ্রী
- সন্নিহিত কোণ গুলো প্রায় সর্বদা একটি সাধারন বাহু ভাগ ও করে ।
- কোণগুলো একটি ভাবে সাধারন শীর্ষবিন্দু দ্বারা এই ভাবে বিভক্ত।
- কোণদ্বয় পরস্পরকে নানা ভাবে ওভারলেপ করে না ।
- তাদের সাধারন বাহুর উভয় পাশে অন্য কোন ও আরেকটি করে বাহু থাকে।
সন্নিহিত কোণ দুটির যোগফলের ওপর নানা ভাবে ভিত্তি করে কোণগুলো পরস্পরের পূরক অথবা সম্পূরক কোণ বলা হয়ে থাকে।
দুইটি সন্নিহিত কোণের যোগফল প্রায় ১৮০০ হলে কোণ দুইটিকে পরস্পর এই সম্পূরক কোণ বলে। তবে এ ক্ষেত্রে সাধারণ এই সব বাহু ব্যতীত অন্য রশ্মি দুইটি এমন ভাবে পরস্পর মিলে একটি রেখা তৈরি হয়।
দুইটি কোণ পরস্পর থেকে সন্নিহিত হলে তাদের একটি এমন কোণ অপর কোণের অংশ হতেও পারে না।
সন্নিহিত কোণ কত ডিগ্রী
যদি দুটি কোণের পরিমাণ প্রায় ৯০° কোণের সমান হয় তবে এক একটি কোণকে অপর কোণের এমন পূরক কোণ বলে। যদি দুটি এমন কোণের একটি সাধারণ বাহু গুলো থাকে তবে একটি কোণকে আবার অপর কোণের এই সন্নিহিত কোণ বলে।তাহলে, সন্নিহিত এই সব কোণের সংজ্ঞা থেকে যে সব এমন বৈশিষ্ট্যগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো হলোঃ
- একটি সাধারণ এমন শীর্ষবিন্দু থাকে।
- একটি সাধারণ কিছু রশ্মি থাকে।
- কোণ দুইটি সাধারণ রশ্মির বিপরীত ভাবে এর পাশে অবস্থান ও করে।
আরো পড়ুন: সন্নিহিত কোণ কাকে বলে
সন্নিহিত কোণ বলতে কি বুঝায়?
একটি সাধারন বাহু থাকে এই জন্যে তাহলে কোণ দুটিকে একটি অপরটির এই সন্নিহিত কোণ বলে।
দুটি সন্নিহিত কোণের যোগফল কত?
দুইটি সরলরেখা গুলো পরস্পরকে ছেদ করলে সন্নিহিত এই সব কোণগুলির যোগফল হলো ১৮০ ডিগ্রি হবে।
সন্নিহিত কোণ সমান কত ডিগ্রি?
১৮০ ডিগ্রি হয়।