শ্রেণি ব্যবধান কি? শ্রেণি ব্যবধান কাকে বলে
শ্রেণি ব্যবধান কাকে বলে: গনিতের অন্যতম আলোচ্য বিষয় হলো পরিসংখ্যান। তবে পরিসংখ্যানের মূল বিষয়বস্তু হলো শ্রেণী ব্যবধান ব্যবহার করে বিভিন্ন সংখ্যা গড় অথবা অন্যান্য মান নির্ণয় করা।
আমাদের উক্ত পোস্টটি পড়া মাধ্যমে আপনি শ্রেণী ব্যবধান কাকে বলে এই সম্পর্কে তথ্যাদি জানতে পারবেন। এজন্য উক্ত পোস্টে আমরা শ্রেণী ব্যবধান নিয়ে আলোচনা করছি।
পরিসংখ্যান হলো গণিতের একটি প্রাচীনতম শাখা। যে শাখাতে বিভিন্ন ধরনের উপাত্ত ব্যবহার করে শ্রেণী ব্যবধানসহ আর অন্যান্য সংখ্যা নির্ণয় করা হয়।
তবে শ্রেণী ব্যবধান নির্ণয় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্যাদি জানা প্রয়োজন এবং কিভাবে নির্ণয় করা যায় তার সম্পর্কে যথাযথভাবে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কে সন্তান সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রেণী ব্যবধান সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
শ্রেণি ব্যবধান কি
প্রত্যেকটি শ্রেণীর দুইটি মানের মধ্যে যে পার্থক্য বিদ্যমান তা হলো শ্রেণী ব্যবধান। কোন একটি শ্রেণীতে যদি ৩০ থেকে শুরু করে ৪০ পর্যন্ত সংখ্যা বিদ্যমান থাকে, তবে এয়ার মধ্যে বিদ্যমান যেকোনো দুটি সংখ্যার পার্থক্য অথবা ব্যবধান কে শ্রেণী ব্যবধান বলা হয়।
শ্রেণি ব্যবধান কাকে বলে
বিভিন্ন সংখ্যা সারণির মধ্যে যেকোনো একটি শ্রেণীর দুটি মানের বা সংখ্যার মধ্যে যে পার্থক্য থাকে তাকে শ্রেণী ব্যবধান বলা হয়।
শ্রেণী ব্যবধান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যেকোনো দুটি সংখ্যার সর্বোচ্চ সংখ্যা থেকে সর্বনিম্ন সংখ্যাটি বিয়োগ করলে যে সংখ্যাটি পাওয়া যায় তা হচ্ছে ওই শ্রেণীর শ্রেণী ব্যবধান। তবে একে শ্রেণীব্যপ্তিও বলা হয়।
শ্রেণি ব্যবধান নির্ণয়ের সূত্র
কোন একটি শ্রেণীর অবিচ্ছিন্ন শ্রেণীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রান্তিক মান বিদ্যমান থাকে। ওই সকল প্রান্তিক মান কি বিবেচনা করে অবিচ্ছিন্ন শ্রেণীর প্রান্তিক মান গুলো যদি ৫ এবং ১০ হয়,
সে ক্ষেত্রে শ্রেণীবৃত্তি অথবা শ্রেণি ব্যবধান নির্ণয়ের সূত্রটি হল :
১০-৫ =৫,
ক্ষেত্রে যে দুটি সংখ্যা ব্যবহার করা হয় সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যা থেকে সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন সংখ্যা ডি বিয়োগ করতে হয়।
শ্রেণি ব্যবধান বের করার নিয়ম
শ্রেনিতে বিদ্যমান যে সকল সম্ভাব্য সংখ্যা রয়েছে সে সকল সংখ্যাগুলোকে প্রান্তিক মান বিবেচনা করে বড় সংখ্যাটি থেকে ছোট সংখ্যাটি বিয়োগ করতে হয়। এভাবে শ্রেণী ব্যবধান বের করা হয়।
পর্যায় সারণির ক্ষেত্রে অবিচ্ছিন্ন অসংখ্য সংখ্যা বিদ্যমান থাকে। সংজ্ঞাগুলোকে যদি ক্রমান্বয়ে সাজানো হয় অথবা নাও সাজানো হয় সে ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সংখ্যা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সংখ্যা পর্যন্ত সংখ্যাগুলোকে প্রতিটি ধাপের শ্রেণী ব্যবধান কে ৫ অথবা ১০ ভিত্তি অনুযায়ী ব্যবহার করে সংখ্যার ট্যালি নির্ণয় করা যায়।
শ্রেণি ব্যাপ্তি কাকে বলে
বিভিন্ন সংখ্যা সারণির মধ্যে যেকোনো একটি শ্রেণীর দুটি মানের বা সংখ্যার মধ্যে যে পার্থক্য থাকে তাকে শ্রেণী ব্যপ্তি বা শ্রেণি ব্যবধান বলা হয়।
শ্রেণী ব্যপ্তি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যেকোনো দুটি সংখ্যার সর্বোচ্চ সংখ্যা থেকে সর্বনিম্ন সংখ্যাটি বিয়োগ করলে যে সংখ্যাটি পাওয়া যায় তা হচ্ছে ঐ শ্রেণীর শ্রেণী ব্যপ্তি। তবে একে শ্রেণী ব্যবধান ও বলা হয়।
আরো পড়ুন: পদার্থ কি
শ্রেণি সংখ্যা কাকে বলে
পরিসংখ্যান ভুক্ত যে সকল উপাত্ত থাকে ওই সকল উপাত্তের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির ভিতরে যে উপাত্ত গুলোকে ব্যবহার করে শ্রেণী গঠন করা যায় তাকে শ্রেণী সংখ্যা বলে।
অর্থাৎ উপাত্ত গুলো যখন বিন্যস্ত অথবা অবিন্যস্ত আকারে থাকে তখন ওই সংখ্যাগুলোকে বা উপাত্তগুলোকে ব্যবহার করে গঠিত শ্রেনীকে শ্রেণীর সংখ্যা বলা হয়।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে শ্রেণী ব্যবধান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানো চেষ্টা করেছি।
আশা করি উক্ত পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি শ্রেণী ব্যবধান সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।