শিক্ষা

রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে কিছু নীতি মালা

রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে কিছু নীতি মালা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান কথাটি সর্বপ্রথম কে প্রয়োগ করেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি প্রথম প্রয়োগ ঘটান কে, আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান কে বলেছেন, রাষ্ট্র বিজ্ঞানের কিছু নীতি মালা,

রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ফ্রাঞ্চ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গাব্রিয়েল আলমোন্টে। তিনি ১৮১৯ সালে তাঁর বই “Traité élémentaire de science politique” এ শব্দটি ব্যবহার করেন।

তবে, এই বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে, কারণ আলমোন্টের পরে অন্যান্য লেখকরা রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি ব্যবহার করেছেন

এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তুও আলমোন্টের বইতের থেকে ভিন্ন হতে পারে।

এই কারণেই গাব্রিয়েল আলমোন্টের বইটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উৎপত্তি সম্পর্কে বিশ্লেষণ একটু বিভিন্ন হতে পারে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন এমিলি বালচ।

এমিলি বালচ হলেন ফ্রাঞ্চ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।

তিনি তাঁর 1880 সালে লেখা “Traité de science politique” বইয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি ব্যবহার করেন।

এই বইটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম মহৎ গ্রন্থ হিসাবে চিহ্নিত হয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে কিছু নীতি মালা

রাষ্ট্রবিজ্ঞান কথাটি সর্বপ্রথম কে প্রয়োগ করেন

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল ধারণা ও অনুশীলন মানব সভ্যতা সৃষ্টির সাথে একসঙ্গে প্রারম্ভিক সময়ে মিলেছে।

মানব সমাজের আদিকাল থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান সংক্রান্ত ধারণাগুলো উদ্ভাবন হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ, ব্যবহার ও নীতি তৈরি, রাষ্ট্র গঠন ও প্রশাসন ইত্যাদি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল ক্ষেত্রগুলো।

তবে, সাধারণত রাষ্ট্রবিজ্ঞান কথাটি প্রথম প্রয়োগ করেন কে তা সংক্ষেপে বলা কঠিন, কারণ এটি একটি বিস্তত ক্ষেত্র যা বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট ধারণা ও অনুশীলনের উপর নির্ভর করে। এমনকি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সৃষ্টিকালের বিষয়টি উদ্ধৃত করা কঠিন। তবে, মানব সভ্যতার প্রাথমিক চিহ্নিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উদাহরণগুলোর মধ্যে অনেকে নিম্নলিখিত ঘটনাগুলোকে উল্লেখ করেছেন:

1.আদি সময়ে প্রাচীন সমাজগতিকে সংঘাতমুক্ত রাখার জন্য মানব সভ্যতার একটি সংগঠিত আবাসন ব্যবস্থা উদ্ভাবন করা হয়।

এটি সংগঠিত নিয়ম ও অনুশাসনের প্রথম উদাহরণ ছিল।

2.মধ্যযুগের আগে একটি বৃহত্তর স্থানীয় অবশ্যমীয়তা বিনিয়োগ করে সংঘাতমুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠিত কোনও নীতি বা পদ্ধতি ছিল। এটি একটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আঙ্গিনা হতে পারে।

3.মধ্যযুগের পর আরব জগতে আল-ফারাবি এবং আল-মাওইয়া উদ্ভাবন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান সংক্রান্ত নীতি ও সমাজতন্ত্রের সাধারণ ধারণা।

4.রাজনীতি ও শাসনের বিভিন্ন আঙ্গুল হিসাবে চিহ্নিত করা যায় চীনের কনফিউশিয়াসদের ও সুন্-ত্সুয়ের দর্শন।

এদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাধারণ ধারণাগুলো অন্যতম।

5.আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যেও স্বশাসন ও নীতি প্রয়োগের ধারণা ছিল।

বিভিন্ন আদিবাসী সমাজে রাজনৈতিক সংগঠন ও নীতিমালা বিদ্যমান ছিল, যা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আগমন হিসাবে গণ্য হতে পারে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি প্রথম প্রয়োগ ঘটান কে

রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি প্রথম প্রয়োগ করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি প্রথমবারের প্রয়োগ ঘটান  ফ্রান্সিসি বেকনেল নামক একজন ফরাসি দার্শনিক এবং রাজনীতিবিদ।

তিনি সন্ধান করেছিলেন রাষ্ট্রের মৌলিক অংশগুলি এবং মানুষের সমাজবদ্ধতা, সরকার এবং রাষ্ট্রের ভূমিকা, রাষ্ট্রের শক্তি এবং বিচার বিভাগ সম্পর্কে তার ধারণা প্রতিপাদন করেছিলেন।

তার কার্যকলাপের ফলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি প্রথমবারের হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

বেকনেল এই পরিবর্তনকারী ধারণাগুলি নিয়ে তাঁর গ্রন্থ “রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠান” (Traité de la Science Politique) প্রকাশিত করেন।

এটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি পুরানো এবং গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসাবে পরিচিতি পায়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন দার্শনিক, রাজনীতিবিদ এবং প্রশাসনিক চিন্তাধারার অন্যতম একটি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটির মূল অর্থ হলো “রাষ্ট্রের বিজ্ঞান” বা “রাষ্ট্রের সমালোচনা”। এটি সরকার, রাষ্ট্র এবং সমাজের নির্দিষ্ট মানবিক এবং নীতির সম্পর্কে গবেষণা করে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারের নির্দিষ্ট কাজ ও দায়িত্বের সম্পর্কে জ্ঞান সংগ্রহ করা এবং এটি আরও জ্ঞানের প্রয়োগ করে নীতিমালা তৈরি ও রাষ্ট্র প্রশাসন উন্নয়নে সহায়তা করা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি বিশেষ শাখা হিসাবে বিকাশ পায় এবং এটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন দিকের সামাজিক, আর্থিক, রাজনৈতিক এবং সংস্কৃতিক বিষয়ে জ্ঞান সংগ্রহ করে তাদের বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করে।

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক মানা হয় থমাস হোবস (Thomas Hobbes)

হোবস একজন ইংরেজি দার্শনিক, রাজনীতি বিজ্ঞ এবং গবেষক ছিলেন।

তিনি মানুষের স্বাভাবিক অবস্থা, রাষ্ট্র এবং রাজনীতির সম্পর্কে মনোযোগ দিয়েছিলেন।

হোবসের কাজ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো তাঁর গ্রন্থ “লেবিয়াথান” (Leviathan)।

এই গ্রন্থে হোবস রাজনীতি, সামাজিক বৃদ্ধি এবং মানবিক সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন।

হোবসের ধারাবাহিক বিশ্লেষণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উদ্ভাবনী হিসাবে গন্য হয়।

অধীনস্থ দার্শনিক নিকোলস মাচিয়াভেলি (Niccolò Machiavelli) পরবর্তীকালে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ আদর্শগত আইকন হিসাবে পরিচিত।

তিনি ইতালীয় রাজনীতি বিজ্ঞ, লেখক এবং ডিপ্লোম্যাট ছিলেন। তাঁর কার্যকলাপ ও লেখা “আর্থশাস্ত্র” (The Prince) হল মাছিয়াভেলির সবচেয়ে পরিচিত কৃতি।

এই বইটি বিশ্বজনীন ধর্মীয় এবং নৈতিক মূল্যবোধের বিপরীতে, যার সাথে মাছিয়াভেলি রাজা ও নেতাদের করনীয় বিবেচনা করেন।

তিনি একটি রাষ্ট্রের প্রয়োজন মানে ধর্ম, নৈতিকতা এবং মানুষের স্বাভাবিক মূল্যবোধের কমপক্ষে ধর্মীয় এবং নৈতিক আদর্শের কমপক্ষে গুরুত্ব দেন।

মাছিয়াভেলির কার্যকলাপ এবং মন্তব্য রাজনীতিতে নীতিবাণী হিসাবে গণ্য হয়, এবং তাঁর কিছু অংশ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নাতি হিসেবে গণ্য হয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান কে বলেছেন

রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান যা সমাজের রাষ্ট্র ও সরকারের গঠন, কর্তৃকতা, নীতি ও পদ্ধতির উন্নতি এবং পরিচালনা সংক্রান্ত শিক্ষাগত,

পর্যবেক্ষণাত্মক ও তথ্যবিজ্ঞানগত গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান উৎপন্ন করে।

এটি রাষ্ট্রের কর্তৃকতা এবং প্রশাসন পদ্ধতির নিপুণতা ও সংস্করণের মাধ্যমে সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক এবং নীতিগত পরিবর্তনের উপকরণ হিসাবে কাজ করে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি অন্তরঙ্গ বিজ্ঞান হওয়ার পাশাপাশি এটি একটি অন্তরঙ্গ বিজ্ঞানও, যার মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রিক প্রশাসনিক সমস্যার সমাধান নির্ভরযোগ্য করা হয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গবেষণা ক্ষেত্র হিসাবেও বিশেষ মর্যাদায় রয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ, পর্যবেক্ষণ এবং প্রশাসনের ক্ষেত তৈরিতে সহায়তা করে।

রাষ্ট্র বিজ্ঞানের কিছু নীতি মালা

রাষ্ট্র বিজ্ঞানের কিছু নীতি মালা আলোচনা করা হলো:

  • রাষ্ট্র ও সরকারের গঠন ও কর্তৃকতা: রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্র ও সরকারের গঠন এবং কর্তৃকতা সংক্রান্ত বিভিন্ন মানদণ্ড, নীতি, পদ্ধতি ও কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান উত্পন্ন করে। এটি রাষ্ট্রের সামরিক, আইনসংগত, নীতিগত ও অর্থনৈতিক বিষয়ে প্রভাবশালী সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাথে সম্পর্কিত।
  • রাষ্ট্রিক নীতি এবং পরিকল্পনা: রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা এবং নীতিগত পরিবর্তনের উপকরণ হিসাবে কাজ করে। এটি রাষ্ট্রের আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক উন্নয়নের সম্ভাব্য পথ নির্ধারণ করে এবং নীতির সংশোধন ও পরিবর্ধন করে।
  • রাষ্ট্রিক সমাজশাস্ত্র এবং নীতিবিদ্যা: রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্রের সামাজিক প্রশাসন ও সমাজশাস্ত্রের নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখে। 
  • রাষ্ট্র প্রশাসন: রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্র প্রশাসনের উন্নতি ও পরিচালনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে। এটি রাষ্ট্রিক সংস্থাগুলির কার্যকারিতা, প্রশাসনিক নীতি এবং কর্মপদ্ধতি, কর্মক্ষেত্রে কার্যক্রম পরিচালনা, সেবা প্রদান ও লোকসেবা, সংগঠন ও পরিচালনা, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নীতি নির্ধারণ ও নীতিপালন সংক্রান্ত বিষয়ে মার্গদর্শন প্রদান করে।
  • রাষ্ট্র ও সমাজ বিজ্ঞান: রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে সম্পর্ক এবং পার্থক্য সম্পর্কে গবেষণা করে। এটি রাষ্ট্র ও সমাজের পরিবর্তন, শক্তি ও নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, সামাজিক অবস্থা, সমাজসেবা, সংঘটন, আইনসংগত বিষয়ে পর্যবেক্ষণাত্মক গবেষণা পরিচালনা করে।

পূর্ণ সংখ্যা কাকে বলে পূর্ণ সংখ্যা কাকে বলে উদাহর

কৃষি প্রযুক্তি কাকে বলে বলতে কি বুঝায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি নাম ভান্ডার

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button