উৎস ও উপকারিতাশিক্ষা

ভিটামিন কাকে বলে? ভিটামিনের প্রকারভেদ, উৎস ও উপকারিতা

ভিটামিন কাকে বলে: ভিটামিন হলো এমন একধরনের সুস্থতা উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরে খুব সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন হয়।

ভিটামিন কাকে বলে? 

এগুলি সাধারণভাবে আমরা পুরোপুরি সিন্থিত করতে পারিনা, তাই প্রতিদিন খাবার থেকে ভিটামিন আবশ্যক। ভিটামিনের অভাব অথবা পর্যাপ্ত অপর্যাপ্ততা স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

 খাদ্যের মাধ্যমে ভিটামিন প্রাপ্ত করার মাধ্যমে আমরা ভিটামিন অভাব থেকে বাচাতে পারি এবং সামান্য পরিমাণে প্রয়োজনীয় ভিটামিন প্রাপ্ত করতে পারি।

ভিটামিনের বিভিন্ন ধরণ আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে। ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন মধ্যে ভিটামিন এ, ডি, ই, এ, এবং কে অন্তর্ভুক্ত আছে, যেখানে ওয়াটার সলিউবল ভিটামিন মধ্যে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ভিটামিনের প্রতিটি ধরণের উপাদান আমাদের শরীরে নিয়মিত প্রবাহিত হতে হয়, যাতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সঞ্চালন করা যায়।

আরো পড়ুন: ইতালি ভিসা চেক ইতালি ভিসা চেক অনলাইন আবেদন ফরম

ভিটামিনের প্রকারভেদ | ভিটামিন কয় প্রকার ও কি কি?

ভিটামিন বিভিন্ন প্রকারে থাকে এবং প্রতিটি প্রকার শরীরে বিশেষ কাজ সম্পন্ন করে। ভিটামিনের মোট 13 প্রকার পরিচিত আছে, যেগুলি একে অপরের থেকে আলাদা প্রকারের উপাদান প্রদান করে। এই ভিটামিনগুলির মধ্যে কিছু ফ্যাট সলিউবল এবং কিছু ওয়াটার সলিউবল হয়।

ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন:

ভিটামিন এ (Vitamin A)

ভিটামিন ডি (Vitamin D)

ভিটামিন ই (Vitamin E)

ভিটামিন কে (Vitamin K)

ওয়াটার সলিউবল ভিটামিন:

  • ভিটামিন সি (Vitamin C)
  • ভিটামিন বি১ (Vitamin B1 অথবা Thiamine)
  • ভিটামিন বি২ (Vitamin B2 অথবা Riboflavin)
  • ভিটামিন বি৩ (Vitamin B3 অথবা Niacin)
  • ভিটামিন বি৫ (Vitamin B5 অথবা Pantothenic Acid)
  • ভিটামিন বি৬ (Vitamin B6)
  • ভিটামিন বি৭ (Vitamin B7 অথবা Biotin)
  • ভিটামিন বি৯ (Vitamin B9 অথবা Folate অথবা Folic Acid)
  • ভিটামিন বি১২ (Vitamin B12)

এই ভিটামিনগুলির প্রতিটি অদ্ভুতভাবে শরীরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। ফ্যাট সলিউবল ভিটামিনগুলি শরীরে সংরক্ষিত থাকে এবং ওয়াটার সলিউবল ভিটামিনগুলি শরীরে স্থায়ী ভাবে সংরক্ষিত থাকে না, তাই আমাদের প্রতিদিনের খাবারে এই ভিটামিনগুলি সম্মিলিত রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশে কৃষির গুরুত্ব, বৈশিষ্ট্য ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট

ভিটামিনের উৎস

ভিটামিনের উৎস বিভিন্ন খাবারে পাওয়া যায়, এবং প্রতিটি ভিটামিনের উৎস আলাদা আলাদা খাবারে আছে। আমরা নিম্নলিখিত খাবারগুলি থেকে প্রতিটি ভিটামিন প্রাপ্ত করতে পারি:

ভিটামিন এ:

ভিটামিন কাকে বলে? 

  • অ্যাপ্রিকট, কেলা, প্যাপায়া, মেঙ্গো
  • গাজর, কলিফ্লাওয়ার, পুম্পকিন
  • পালং শাক, স্পিনেচ
  • মাখন, ডেয়ারি প্রোডাক্টস
  • মাছ, কোলড ওয়াটার মাছের তেল

ভিটামিন ডি:

সূর্যের আলো (ডিরেক্ট সানলাইট)

ম্যাক্রেল, সার্দিন, সালমন

ডেয়ারি প্রোডাক্টস (ডেয়ারি মিল্ক, ইয়োগার্ট)

ভিটামিন ই:

সোয়ামি, এলমন্ড, সানফ্লাওয়ার

সানফ্লাওয়ার অয়েল, ওয়ালনাট, স্পিনেচ

ম্যাঙ্গো, স্পিনেচ, সূর্যমুখী তেল

আরো পড়ুন: অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও অপকারিতা

ভিটামিন কে:

গোবিংহা, ব্রোকলি, কেলা

গাজর, স্ট্রবেরি, স্পিনেচ

কাউলিফ্লাওয়ার, পুম্পকিন, পটেটো

ভিটামিন সি:

লেমন, অরেঞ্জ, কিরা

স্ট্রবেরি, পাপায়া, পাইনাপল

ক্যাপসিকাম (শিমলা ও মোরিচ), ব্রোকলি, স্পিনেচ

ভিটামিন বি১ (থিয়ামিন):

গোবিংহা, মাংস, পুড়

ডেয়ারি প্রোডাক্টস, গাঁড়াপাতা সবজি

ভিটামিন বি২ (রিবফ্লাবিন):

ডেয়ারি প্রোডাক্টস, মুরগির মাংস

অর্গেন্ডা, স্পিনেচ, আলমন্ড

ভিটামিন বি৩ (নিয়াসিন):

মাংস, ম্যাক্রেল, সালমন

পুড়, ডেয়ারি প্রোডাক্টস, অর্গেন্ডা

ভিটামিন বি৫ (প্যান্টোথেনিক এসিড):

অভাষ, আলমন্ড, ক্যাশিউ

ক্যাপসিকাম, মুশুরদাল, পুড়

ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সিন):

বাণানা, আবকা, পুড়

স্পিনেচ, মাংস, ডেয়ারি প্রোডাক্টস

ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন):

আলমন্ড, ক্যাশিউ, গোবিংহা

মাংস, ডেয়ারি প্রোডাক্টস, অর্গেন্ডা

আরো পড়ুন: আয়তক্ষেত্র কাকে বলে? আয়তক্ষেত্রের বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ের সূত্র

ভিটামিনের উপকারিতা

ভিটামিন আমাদের স্বাস্থ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি ভিটামিন শরীরে বিভিন্ন কাজে সহায়ক হয় এবং সমস্ত প্রজনন ব্যবস্থা, পুরস্কার প্রণালী, প্রতিষ্ঠান, ও বিক্রিয়া প্রণালী চালানোর জন্য মৌলিক এলিমেন্টগুলির উৎস হয়।

ভিটামিনের উপকারিতা নিম্নলিখিত সামাগ্রিক দিকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করে:

১.শরীরে প্রস্তুতি ও পরিক্ষণ: ভিটামিন শরীরের বৃদ্ধি, বিকাশ, পরিক্ষণ এবং উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রদান করে।

২.পুরস্কার প্রণালী: বিভিন্ন প্রকারের পুরস্কার প্রণালী শরীরের বিভিন্ন প্রকারের উপাদানের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।

শক্তি প্রণালী সংরক্ষণ: ভিটামিন শরীরে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের শক্তি প্রণালী সংরক্ষণ করে।

৩.মজুদ ডিফেন্স প্রণালী সুরক্ষা: কিছু ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই শরীরের ডিফেন্স প্রণালী সহায়ক হয়, যা শরীরকে সমস্ত আক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়া বিষাণুর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।

৪.রক্ত গঠন এবং স্থায়িত্ব: কিছু ভিটামিন যেমন ভিটামিন কে ও ভিটামিন কে সংকোচন স্থিতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা রক্তের গঠন এবং স্থায়িত্বে সাহায্য করে।

৫.মস্তিষ্ক ফাংশন সম্পন্ন করা: কিছু ভিটামিন যেমন ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্ক ফাংশন সম্পন্ন করে।

৬.ব্যক্তিগত বিকাশ এবং বৃদ্ধি: ভিটামিন বাচ্চাদের নিয়মিত বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত বিকাশ সহায়ক করে।

৭.ডিজেস্টিভ সিস্টেমের সহায্য: কিছু ভিটামিন ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের স্বাস্থ্য সম্পন্ন করার জন্য মহত্ত্বপূর্ণ।

ভিটামিন উৎস ও উপকারিতা ভিটামিন হলো এমন একধরনের সুস্থতা উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরে খুব সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন হয়।

আরো পড়ুন: পুষ্টিহীনতা কাকে বলে? পুষ্টিহীনতার কারণ, লক্ষণ ও 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button