শিক্ষাপুষ্টিহীনতা কাকে বলে

পুষ্টিহীনতা কাকে বলে? পুষ্টিহীনতার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

পুষ্টিহীনতা: অপর্যাপ্ত খাদ্যাদি আপাত স্থিতি: আপাত স্থিতি বা বিপদগ্রস্ত অবস্থা যেমন বৃষ্টিপাত, সম্পত্তি নেই, অথবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ এই সময়ে খাবারের অপর্যাপ্ত পর্যাপ্তক্ষণ অনুভব করতে পারেন, যার ফলে পুষ্টিহীনতা উত্থান করতে পারে

পুষ্টিহীনতা কাকে বলে

পুষ্টিহীনতা হলো শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব বা তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ না থাকার অবস্থা।

অর্থাৎ, এটি শারীরিক সম্পূর্ণ উন্নতি এবং স্বাস্থ্য প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সামগ্রীগুলির পর্যাপ্ত পরিমাণ না থাকার ফলে উত্থানশীল বা সুস্থ শরীর বিকাশ না করার অবস্থা।

পুষ্টিহীনতার কারণ

পুষ্টিহীনতা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যেগুলি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব না থাকার কারণে উত্থান করতে পারে। নিম্নলিখিত কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:

কারণ

১.খাদ্য উপাদানের ঘাটতি বা সুষম খাদ্যের ঘাটতি: পুষ্টিহীনতার একটি মূল কারণ হলো খাদ্য উপাদানের অভাব বা সঠিক পরিমাণের পুষ্টিপ্রদ খাবার না প্রয়োজন করা। যদি আপনি বিভিন্ন খাবার গ্রুপ থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পরিপূর্ণ খাবার প্রাপ্ত না করেন, তাহলে আপনার শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব হতে পারে।

২.অপর্যাপ্ত খাদ্যাদি আপাত স্থিতি: আপাত স্থিতি বা বিপদগ্রস্ত অবস্থা যেমন বৃষ্টিপাত, সম্পত্তি নেই, অথবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ এই সময়ে খাবারের অপর্যাপ্ত পর্যাপ্তক্ষণ অনুভব করতে পারেন, যার ফলে পুষ্টিহীনতা উত্থান করতে পারে।

৩.সার্জিক্যাল প্রক্রিয়া বা রোগের পরবর্তী সময়: কিছু সার্জিক্যাল প্রক্রিয়া বা গুরুত্বপূর্ণ রোগের পরবর্তী সময়ে আপনার শরীরের পুষ্টি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পুষ্টি হীনতার কারন হয়ে থাকে। 

আরো পড়ুন: বাংলা ব্যাকরণের বারবার আসা 70 টি প্রশ্ন

পুষ্টিহীনতার লক্ষণ

পুষ্টিহীনতা বা অপুষ্টির কারণে শরীরে আত্মবিকাশ ও সঠিক কার্যক্রম ঘটতে পারে না। এটি আমাদের সামান্য থেকে সামগ্রিক শারীরিক স্বাস্থ্য স্থিতির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন লক্ষণ উত্পন্ন করতে পারে। নিম্নলিখিত কিছু সাধারণ পুষ্টিহীনতা লক্ষণ রয়েছে:

পুষ্টিহীনতা কাকে বলে পুষ্টিহীনতার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

লক্ষণ

১.ওজন কমে যাওয়া: একটি প্রধান পুষ্টিহীনতা লক্ষণ হলো অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া। যখন আপনি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাপ্ত না করেন, তখন আপনার ওজন কমে যেতে পারে।

২.দুর্বলতা এবং অস্বাস্থ্যকর দেখা: পুষ্টিহীনতার ফলে আপনার দেহ দুর্বল হতে পারে এবং আপনি অস্বাস্থ্যকর দেখতে পারেন। আপনার চুল, নখ, ত্বক, মুখের আশা, এবং শরীরের অন্যান্য অংশগুলি অস্বাস্থ্যকর দেখতে পারে।

৩.মন্দ শারীরিক কার্যক্রম: পুষ্টিহীনতার ফলে আপনার দেহের সাধারণ কার্যক্রমগুলি মন্দ হতে পারে। আপনি উচ্চতর শারীরিক ক্ষমতা, শক্তি এবং টন প্রদর্শন না করতে পারেন।

৪.চুল, নখ এবং ত্বকের অবস্থা দুর্বল: পুষ্টিহীনতা বা অপুষ্টির ফলে আপনার চুল, নখ এবং ত্বক দুর্বল এবং অস্বাস্থ্যকর হতে পারে। তাদের অবস্থা খারাপ হতে পারে এবং পুষ্টিপ্রদ উপাদানের অভাবের সূচনা হতে পারে।

৫.মানসিক ও মানসিক সমস্যা: পুষ্টিহীনতা একটি মানসিক সমস্যার উদ্ভাবক হতে পারে, যার ফলে আপনি সামগ্রিকভাবে মন্দ বোধ করতে পারেন, মনোনিবিষ্ট হতে পারেন এবং কাজের উপর মনোনিবিষ্ট প্রভাব প্রদান করতে পারেন।

৬.অস্বাস্থ্যকর আস্তরণ এবং বমি: পুষ্টিহীনতার অবস্থায়, আপনার শরীর অস্বাস্থ্যকর আস্তরণ এবং বমি অনুভব করতে পারে।

আরো পড়ুন: সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে

পুষ্টিহীনতার প্রতিকার

পুষ্টিহীনতার প্রতিকার নিম্নলিখিত উপায়ে করা উচিত:

প্রতিকার

১.সঠিক খাবার সেবন: প্রথমত, পুষ্টিপ্রদ খাবার সেবন করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট এবং মন্য পুষ্টি উপাদানের সঠিক পরিমাণ সম্পন্ন খাবার গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

২.পুষ্টিপ্রদ স্নিগ্ধ খাবার সেবন: পুষ্টিপ্রদ খাবারের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, মিনারেল এবং ক্যালোরি থাকতে হবে। তাই, মাংস, মাছ, ডেয়রি প্রোডাক্ট, ড্রাই ফ্রুট, নুটস, ঘি, তেল ইত্যাদি খাবার সেবন করা উচিত।

৩.প্রয়োজনীয় প্রতিদিনের খাবার পরিমাণ পূরণ: আপনার প্রতিদিনের খাবার পরিমাণ পূর্ণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের যত্ন নেওয়া উচিত যাতে খাবারের পরিমাণ সঠিক হয়।

৪.সঠিক পরিমাণ পানি পান: পানি শরীরের স্বাস্থ্যকে বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন প্রায় 8 গ্লাস পানি পান করা উচিত।

৫.পুষ্টিপ্রদ সাপ্লিমেন্ট সেবন: যদি আপনি আপনার খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রাপ্ত না করতে পারেন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করে পুষ্টিপ্রদ সাপ্লিমেন্ট সেবন করা উচিত।

৬.পুষ্টিপ্রদ নিউট্রিশনাল থেকে পরামর্শ নিন: পুষ্টিপ্রদ নিউট্রিশনাল এক্সপার্টের সাথে যোগাযোগ করে আপনি আপনার পুষ্টিহীনতা সম্পর্কিত সঠিক পরামর্শ প্রাপ্ত করতে পারেন।

৭.স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পালন করা পুষ্টিহীনতা সমস্যা থেকে বাচাতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন যোগাযোগাত্মক শারীরিক কার্যক্রম, প্রায় 8 ঘণ্টা ঘুম এবং প্রায় 30 মিনিট ফিটনেস করা গুরুত্বপূর্ণ।

উপরের উল্লিখিত বিষয় গুলো অনুসরণ করলে পুষ্টি হীনতা থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। –

আরো পড়ুন: মাসিকের রক্ত বন্ধ করার ঔষধের নাম, 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button