গ্নবীজী উদ্ভিদ | নগ্নবীজী উদ্ভিদ কাকে বলে
নগ্নবীজী উদ্ভিদ (Cryptogams) হলো সেগুলো উদ্ভিদের গ্রুপের একটি বিভাগ যা পাঁচটি মূল শাখা শাখা বা আদর্শপ্রাণিক বাঁকা থেকে গঠিত।
নগ্নবীজী উদ্ভিদের মধ্যে পরিচিততম গ্রুপ হলো ছাইবা (Bryophytes),তার উদাহরণ জীবালঙ্কারী (Liverworts)।
অতিরিক্ত নগ্নবীজী উদ্ভিদের মধ্যে শুষ্কপট (Lichens), খলিগাছ (Ferns), চিলেবীজ (Horsetails) এবং কোণেকামপ্রা (Clubmosses) অন্যান্য পরিচিত গ্রুপ।
নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলো বীজ উৎপাদন না করে বরং স্পোর (spore) উৎপাদন করে।
স্পোরগুলো খাদ্য, জল এবং বায়ু দ্বারা বিস্তৃত হয় এবং স্বাধীনভাবে নতন উদ্ভিদগুলোকে উৎপাদন করতে সক্ষম হয়।
আরো একটি উদাহরণ
নগ্নবীজী উদ্ভিদ হলো ঐ উদ্ভিদ যার বীজ গোপন অবস্থায় থাকে এবং প্রকাশিত হয় না।
এই উদ্ভিদগুলোর মধ্যে পাতাবীজী উদ্ভিদগুলো প্রধানত প্রতিদিনের খাবার হিসেবে প্রযোজ্য হতে পারে, যেমন গম, চাল, ভুট্টা, মটরশুঁটি, সরগম, রীহীন ধান, মসুর ইত্যাদি।
এছাড়াও এই উদ্ভিদগুলোর কিছু উদাহরণ হলো বাঁশ, নাল, গোলপাতা আদি।
নগ্নবীজী উদ্ভিদের বীজ ছিলে সাধারণত ছোট আর সহজেই হলুদ রংযুক্ত হয়ে থাকে। এদের বীজ প্রকৃতভাবেই বীজশালী ও হালকা হয়ে থাকে।
নগ্নবীজী উদ্ভিদের অধিকাংশ প্রকৃত পরিবেশে উদ্ভিদ হিসেবে পাওয়া যায় এবং প্রাকৃতিক ভাবেই তাদের উৎপাদিত বীজ বস্ত্রাকৃতি বিশিষ্ট থাকে।
এদের পাতা, গাছের শাখা ও মূলতল অংশ সরাসরি আকারের এবং অনুমান করা যায় এই উদ্ভিদগুলোর সাথে সম্পর্কিত।
নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বিদ্যমান থাকে, যেমন জলাবদ্ধ অঞ্চল, জলপাথর, ভিতরপথর বা অশ্বচালিত স্থানস্থাপনা যার সাথে প্রাকৃতিক জৈব পদার্থ যেমন ছাদ, গ্রস্ত ইত্যাদির কাছাকাছি থাকে।
এই উদ্ভিদগুলোর বীজ প্রকৃত ভাবেই বয়ে উঠে ও তাদের প্রজনন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই উদ্ভিদগুলো নগ্নবীজী উদ্ভিদের জীবনচক্র সম্পন্ন করে।
নগ্নবীজী উদ্ভিদ কাকে বলে
নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলি হল সেসমুম, প্রাগকালীন উদ্ভিদগুলির একটি গ্রুপ। এগুলির কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিতঃ
১.বৈশিষ্ট্য: নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলির মূল বৈশিষ্ট্য হল তাদের বীজ নগ্ন থাকে। বীজের কোন অঙ্গ তাদের সুরঙ্গে আবহাওয়া বা লম্বা হয় না।
২.প্রজনন পদ্ধতি: নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলির প্রজনন পদ্ধতি বীজ দ্বারা হয়। এদের বীজ বাতাসে উড়িয়ে যায় এবং পরবর্তী বছরের প্রথম বৃষ্টি বা আবহাওয়া এবং মাটিতে সংঘাত হয়ে মূলত তাদের উদ্ভিদগুলির গাছ বা পাতা উঠতে শুরু করে।
৩.আনুষঙ্গিক পরিবেশ: নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলি আনুষঙ্গিক পরিবেশে ভাল উগ্রণ্য হয়। যেমনঃ তাদের মাটিতে অধিক সুর্যের আলো লাগলেও তা কোন ক্ষতি করে না।
৪.উগ্রণ্য প্রদান: নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলি উগ্রণ্য প্রদান করে এবং বাস্তবিক পরিবেশে শক্তিশালী এবং সহনশীল হতে পারে। তাদের বীজে অনেক সময় ধাতব ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান থাকে।
৫.প্রজনন অবস্থা: নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলির মধ্যে অনেক উদ্ভিদগুলি ধনাত্মক প্রজনন অবস্থা ধারণ করে। এটি তাদের মৌলিক প্রজনন সুবিধা দেয় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের প্রতিষ্ঠান করতে সাহায্য করে।
৬.স্পোরগুলো প্রধানত একক কণা হিসেবে উপস্থিত থাকে এবং উদ্ভিদের প্রতিনিধিত্ব করে করে।
৭.ছাইবা এবং জীবালঙ্কারী পাতাবিশিষ্ট হলেও তারা স্পর্শ করা যায় না এবং তাদের অবস্থান ধারাবাহিকভাবে নির্দিষ্ট হয়ে থাকে না।
৮.নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলো অপূর্ব উদ্ভিদ পদ্ধতিতে সমাবেশ করে এবং কার্বন সংশ্লিষ্ট ক্যারবোহাইড্রেট হিসেবে গ্রহণ করে।
৯.এই উদ্ভিদগুলো সাধারণত অত্যন্ত সরাসরি প্রতিস্থাপিত হয় বা উপজীবিত হয় না, বরং এদের অসম্পূর্ণ উপজীবিত বা অসম্পূর্ণ উপজীবিত অবস্থা রাখার জন্য পর্যায়ক্রমে অন্য উদ্ভিদের সাথে সম্পর্ক রাখে।
নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায় এবং তাদের প্রধান ভূমিকা হলো পরিবেশের অর্থনীতির সংক্রমণ এবং প্রতিরোধ করা। এই উদ্ভিদগুলো আমাদের জীবনপ্রণালী ও পৃথিবীর পারিস্থিতিক সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য
নগ্নবীজী উদ্ভিদ হল এমন উদ্ভিদ যার বীজ কোনো খনিজ পরিবহন না করে বহন করে।
এই ধরনের উদ্ভিদের বীজ মূলত ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, মূল্যবান তেল এবং ডুমোর রূপে কার্বনহীন উপাদান সহজেই পরিবহন করতে পারে।
এই উদ্ভিদের উদাহরণ হতে পারে পুষ্পপাতি, ফলের গাছ, সবজি গাছ ইত্যাদি।
নগ্নবীজী উদ্ভিদ গুলো তাদের পুষ্টি এবং বৃদ্ধির জন্য আবশ্যিক পুষ্টিকারক এবং জীবাণু গন্ধককে বাধ্যতামূলকভাবে বাইরে থেকে প্রাপ্ত করে থাকে।
পরিমাণমতো বৃষ্টি, বায়ু, আলো এবং সানানুকূলভাবে বিন্যাসিত পরিবেশ থাকলে এই উদ্ভিদগুলো ভাল করে বাড়তি বাড়ছে।
নগ্নবীজী উদ্ভিদের উপযুক্ত উদাহরণ হতে পারে ঘাস, গাছ, পুষ্পপাতি, ফলের গাছ, সবজি গাছ ইত্যাদি। এই ধরনের উদ্ভিদগুলো প্রকৃতির সম্পদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সংকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নগ্নবীজী উদ্ভিদ বলতে | নগ্নবীজী উদ্ভিদ এর উদাহরণ
নগ্নবীজী উদ্ভিদের উদাহরণ নিম্নলিখিত:
ফুল: অনেক ফুল নগ্নবীজী উদ্ভিদ। উদাহরণস্বরূপ, গোলাপ, মরিচ, সোনারগাঁধা, চামেলি ইত্যাদি ফুল নগ্নবীজী উদ্ভিদ।
সবুজ সবজি: কিছু সবজি উদাহরণস্বরূপ, পটল, শশা, মটরশুটি, কুমড়া, কচু, লাউ ইত্যাদি সবুজ সবজি নগ্নবীজী উদ্ভিদ।
গাছ: কিছু গাছসমূহও নগ্নবীজী উদ্ভিদ। উদাহরণস্বরূপ, তুলসি, নিম, কাঠবাদাম, নারকেল, আম, লিচু, জাম, পেয়ারা ইত্যাদি নগ্নবীজী উদ্ভিদ।
সূক্ষ্ম বীজপত্রধারী উদ্ভিদ: বীজপত্র নিয়ে নগ্নবীজী উদ্ভিদের উদাহরণ হতে পারে হরতাল, শর্করা, গম, ধান, বাদাম, গামবু, তিল ইত্যাদি।
অন্যভাবে বলা যায়
- নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলি হল সেসমামুম, তিল, লিনসিড, কালো সরিষা, গ্রেপসিড এবং সাদা সরিষা ইত্যাদি।
- এগুলি বীজ হিসাবে সংগ্রহ করা হয়, যারা বীজ ভাবে বিক্রি করা হয় বা খাওয়া হয়।
- এই উদাহরণগুলি প্রাণিজীবীদের প্রাকৃতিক তৈরী খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে এবং
- প্রাণিসমূহের উপাদানগুলির জন্য প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে।
- এগুলি বিভিন্ন প্রয়োজনে উপযুক্ত সামগ্রী হিসাবে ব্যবহার করা হয়, যেমন খাদ্য, ঔষধ, তেল ইত্যাদি।
- এই নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলি ধানের মতো বীজ দিয়ে প্রতিপক্ষে বিত্তিক বা খাদ্যার্থে ব্যবহার করা হয়।
- এছাড়াও এই উদ্ভিদগুলি পোশাকের জন্য ও ঔষধের উৎস হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
- তিলের বীজ তেলের উৎস হিসাবে ব্যবহার করা হয় এবং সেসমামুম বা তিলের ক্ষারতত্ত্বিক উপাদান পার্থক্যের জন্য ব্যবহার করা হয়।
- এই উদাহরণগুলি প্রাকৃতিক উপাদানের সাথে পুরোপুরি পারস্পরিকভাবে সংগঠিত নয়, যার ফলে এদের উৎপাদন ও ব্যবহার মান পরিবর্তিত হতে পারে
নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদের পার্থক্য
নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদ দুটির মধ্যে পার্থক্য হলো তাদের বীজ সংরক্ষণের পদ্ধতি।
নগ্নবীজী উদ্ভিদের বীজ পূর্ণতঃ অবর্ণনীয় থাকে এবং সুস্থতা প্রদান করার জন্য পর্যবেক্ষণ ও সেম রক্ষার প্রয়োজন হয় না।
এই উদ্ভিদের বীজ অবশ্যই সুস্থ এবং উপযুক্ত পরিবেশে বিতরণ করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, কিছু ফসল যেমন ভুট্টা বা রাইস নগ্নবীজী উদ্ভিদের উদাহরণ।
এই ধরনের উদ্ভিদ কৃষিতে ব্যবহৃত হয় এবং বীজগুলি প্রতিষ্ঠিত পরিষ্কার জমিতে ছাড়াই বিতরণ করা যায়।
বীজগুলি জমিতে বিতরণ করার পর বীজগুলি প্রাকৃতিক পদার্থ এবং পরিবেশ শর্তগুলিতে ভিত্তি করে নির্ধারিত পরিমাণ সূক্ষ্মজীবাণু বা খাদ্যান্ন
প্রাপ্ত করে এবং তারপর প্রকৃতিক গতিতে বীজের বেড়ানো শীতল এবং অপ্রাকৃত শর্তগুলিতে কোনও সংক্রমণ বা ক্ষতি পেতে পারেনা।
আবৃতবীজী উদ্ভিদের বীজ একটি পরিষ্কার ও দৃঢ়ভাবে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে।
এই বীজগুলি প্রকৃতিক শর্তায় নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং তার জন্য সম্পূর্ণ সময় এবং পরিস্থিতি সুবিধায় প্রয়োজন নেই।
আবৃতবীজী উদ্ভিদের উদাহরণ হতে পারে বৃক্ষ, ফুল, গাছ ইত্যাদি।
যেমন একটি আবৃতবীজী উদ্ভিদের বীজ যখন বৃক্ষের ফল বা ফুল বোকা হয় তখন তার বীজ নতুন উদ্ভিদে প্রস্তুত হয় এবং উপযুক্ত পরিবেশে পাওয়া যায়।
এই বীজগুলি নানাবিধ পদার্থের প্রভাবে অনপ্রভাবিত হয় এবং বীজের সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কঠিনতা বা পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই।
সুতরাং, পার্থক্যটি প্রায় বীজের বিভিন্ন সংরক্ষণ এবং বিতরণের পদ্ধতিতে পাওয়া যায়।
নগ্নবীজী উদ্ভিদগুলি কৃষিতে ব্যবহৃত হয় এবং বীজগুলি সুস্থ ও উপযুক্ত পরিবেশে ছাড়াই বিতরণ করা যায়,
যেমন সুক্ষ্মজীবাণু বা খাদ্যান্ন প্রাপ্ত করে। আবৃতবীজী উদ্ভিদগুলির বীজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং পরিবেশের শর্তায় নিষ্ক্রিয়তার জন্য বিশেষ পরিচর্যা করার প্রয়োজন নেই।