এরিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা
এরিস্টটল অগ্রগণ্য গ্রিক দার্শনিক ও বিজ্ঞানী ছিলেন, যিনি মাইলেটাস, প্লেটো, এবং সোক্রেটিসের শিক্ষামূলক প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন।
এরিস্টটল বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেন, যেমন রাষ্ট্রবিজ্ঞান, নীতিবিদ্যা, জ্যোতিষ, মনোবিজ্ঞান, বৌদ্ধিকতা, এতেও কিছু।
এরিস্টটলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে তিনি ধারণা প্রদান করেন যেমন রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি মানবিক বিজ্ঞান, যা সমাজ ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে অধ্যয়ন করে।
তিনি একটি সুষ্টু ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের বিশেষত্বগুলি নির্দেশ করেন, এমনকি তার রাষ্ট্রপদ্ধতি ও শাস্ত্রও উল্লেখ করেন।
এরিস্টটলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচালনা, নীতি, সামাজিক ব্যবস্থা, সংস্কৃতি ও শাস্ত্র বিষয়গুলির প্রশ্ন উপস্থাপন করে।
তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যগুলি বিশ্লেষণ করে এবং একটি উত্তম রাষ্ট্রের গঠন এবং কার্যক্রম নির্ধারণ করতে যোগাযোগের মাধ্যমে সমাজের পুরোনো ও নতুন অংশগুলি বিবেচনা করেন।
এরিস্টটলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান তার গ্রন্থ “পরাশর পলিটিকা” (Politics) এ প্রধানত বর্ণিত হয়েছে।
এই গ্রন্থে তিনি সুষ্ঠু রাষ্ট্র গঠন, পরামর্শদাতা শাস্ত্র, শাস্ত্রীয় নীতিবিদ্যা এবং রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অ্যারিস্টটল রাজনীতির সংজ্ঞা |অ্যারিস্টটলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা কি
অ্যারিস্টটল একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক, মতবাদী, বিজ্ঞানী এবং লেখক ছিলেন।
তিনি প্রাচীন গ্রিক দার্শনের একটি প্রমুখ আইনগত তত্ত্ববিদ ছিলেন এবং তাঁর কাজ প্রাচীন গ্রিক দর্শনের বৈশিষ্ট্যগুলির বিভিন্ন বিভাগের ভেতরে পড়ে।
তাঁর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল রাজনীতি বা রাজনীতিবিদ্যা।
অ্যারিস্টটল রাজনীতি বা রাজনীতিবিদ্যার উপর বিচার ও প্রবন্ধ করেছেন এবং তাঁর রাজনীতিবিদ্যার সংজ্ঞা প্রায়শই সংক্ষেপে একটি শাস্ত্র বা তত্ত্ব হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
তিনি রাজনীতিবিদ্যার মাধ্যমে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিষয়ে স্বর্ণিম মতামত প্রদান করেছেন।
অ্যারিস্টলের রাজনীতিবিদ্যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল স্বপক্ষে ন্যায় ও স্বপক্ষের সুখ এবং সমগ্র সমাজের সুখ বিনামূল্যে সংরক্ষণ করা।
তিনি মনে করতেন যে, একটি সুষম রাষ্ট্র অনুভব করার জন্য সর্বোত্তম রাজ্য পদ্ধতি আবশ্যক।
তিনি রাষ্ট্রীয় শাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য, নীতি, শাসনবিদ্যা এবং রাষ্ট্রীয় সমাজজীবন সম্পর্কিত বিষয়ে অনেক গবেষণা করেন।
অ্যারিস্টলের রাজনীতিবিদ্যা নির্ভরশীলভাবে মানবসম্প্রদায়ের মাধ্যমে স্থানীয় শাসন ও পররাষ্ট্রব্যবস্থার বিষয়ে চিন্তা করে।
তিনি রাষ্ট্রপদক্ষেপ বা রাজনীতিবিদ্যার মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন, নীতি গঠন, সংঘ গঠন, আদালতিক পদ্ধতি, শাসন ও শাসন ব্যবস্থা এবং পররাষ্ট্র ব্যবস্থার পর্যবেক্ষণ করেন।
এছাড়াও তিনি নীতিমালা, নীতির পরিপ্রেক্ষিত, সমাজবিজ্ঞান এবং অর্থনীতি বিষয়েও গবেষণা করেন।
অ্যারিস্টলের রাজনীতি সংক্রান্ত কাজ সাম্প্রতিক রাজনীতিবিদদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তাঁর মতামত ও সমালোচনা আধুনিক রাজনীতিবিদের রাজনীতিবিদ্যার প্রগতি এবং উন্নয়নে মাধ্যমিক ভূমিকা পালন করেছে।
অ্যারিস্টটলকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন
অ্যারিস্টটলকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কারণ তিনি প্রায় দুই হাজার বছর আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মহান ধারণাগুলি প্রতিষ্ঠা করেন।
অ্যারিস্টটল গ্রীক দার্শনিক, বিজ্ঞানী, লেখক এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন যিনি নীতি, রাজনীতি, আর্থিক ব্যবস্থা, সমাজতন্ত্র এবং শাস্ত্রবিজ্ঞানে একটি গভীর আদৌ করেন।
অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রমুখ অংশগুলির উদ্ভাবন করেন, যা এখনও আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মৌলিক সিদ্ধান্ত হিসাবে বিবেচিত হয়।
তাঁর কাজের মধ্যে রাজনীতির ধারণা, রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি, আইন এবং সরকারি প্রশাসন সম্পর্কিত বিষয়গুলি ছিলো।
তিনি একটি বিশ্বব্যাপী পরিবেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করেন, যা ব্যবহৃত হয়ে আসছে সমগ্র পশ্চিমী রাষ্ট্রবিজ্ঞানে।
অ্যারিস্টটল নীতিশাস্ত্রের জনক হিসাবেও বিখ্যাত ছিলেন, যা রাষ্ট্রের সঠিক পরিচালনা এবং সুশাসনের উপর ভিত্তি করে।
তিনি মনে করতেন যে, একটি ভাল পরিচালনা ও সুশাসনের জন্য রাজনীতিবিদের দায়িত্ব হয়ে থাকে সর্বাধিক ক্ষমতা এবং বিজ্ঞানবিদের ব্যবহার করা উচিত।
সুতরাং, অ্যারিস্টলকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসাবে বলা হয় কারণ তিনি আধুনিক
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মৌলিক ধারণাগুলি প্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঁর কাজ বর্তমানেও সমালোচনার বিষয় রয়েছে।
এরিস্টটলের মতে রাষ্ট্র কি
এরিস্টটল একজন প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক ছিলেন যিনি বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করেছিলেন,
যেমন বিজ্ঞান, নীতিবিদ্যা, মনোবিজ্ঞান ইত্যাদি। এরিস্টটলের দৃষ্টিতে রাষ্ট্র নির্দেশ করার জন্য বিভিন্ন কনসেপ্ট আছে।
এরিস্টটলের বিচারে, রাষ্ট্র হলো সংঘটিত মানুষের সমগ্রতা বা সম্প্রদায়ের একটি সংস্থা যা নীতি ও শাস্ত্রাবলীর মাধ্যমে কার্যকর হয়।
রাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো সমগ্র সমাজের কল্যাণ এবং সুখের বিকাশ।
এছাড়াও এরিস্টটল বলেন, রাষ্ট্রের প্রাথমিক কর্তব্য হলো ন্যায়বিচার এবং সংরক্ষণ।
তিনি মনে করছিলেন যে, রাষ্ট্রের মৌলিক উদ্দেশ্য হলো সমাজের সামাজিক স্থিতিকে রক্ষা করা এবং ন্যায়বিচার প্রদান করা।
এরিস্টটলের মতে, রাষ্ট্রের শাস্ত্রাবলী অনুসারে সরকারের বিভিন্ন কার্যকারিতা সম্পাদিত হয় যাতে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং
শাস্ত্রাবলীর মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রয়োগ করা যায়। এরিস্টটল রাষ্ট্রকে একটি সাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিগণনা করেন।
তিনি একটি সুশাসনযোগ্য রাষ্ট্রের জন্য নিম্নলিখিত গুনগুলি উল্লেখ করেন:
1.স্বাধীনতা: রাষ্ট্রে নাগরিকদের স্বাধীনতা এবং স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ দেওয়া উচিত।
2.সমানতা: রাষ্ট্রে সমগ্র নাগরিকদের সমান অধিকার ও সুযোগ দেওয়া উচিত।
3.ন্যায়বিচার: রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার প্রদান করা উচিত যাতে সমাজের ন্যায় ও বিচার সম্পন্ন হয়।
সামাজিক কল্যাণ: রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হলো সামাজিক কল্যাণ ও সমাজের উন্নতি।
এগুলি মাত্র কিছু এরিস্টটলিয়ান কনসেপ্ট যা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য এবং গুণগুলি প্রতিষ্ঠা করার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এগুলি একটি সার্বিক সম্পূর্ণ সংজ্ঞা নয় এবং প্রতিদিনের আধুনিক রাষ্ট্রগত পরিবর্তনগুলির সাথে সমন্বয়ে নিতে হয়।