শিক্ষাক্রম কি ও কাকে বলে? যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম কি?

শিক্ষাক্রম কি: শিক্ষা হলো একটি অন্যতম এবং প্রধান অংশ। একটি আদর্শ জাতি গঠনের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্যের কোন তুলনা হয় না।
অর্থাৎ শিশুদেরকে বা শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক ভাবে গাইডলাইন করার মাধ্যমে আদর্শ শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তোলা এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করা হচ্ছে শিক্ষার প্রধান ও অন্যতম লক্ষ্য।
তাই শিক্ষার বিভিন্ন অংশ বা কার্যক্রম সম্পর্কে মতবাদ জানা প্রয়োজন। পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম কি শিক্ষাক্রম ও কাকে বলে এবং যোগ্যতা ভিত্তিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ কি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন।
তাই উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে শিক্ষা রিলেটেড বিভিন্ন তথ্য যেমন শিক্ষা গ্রহণ কি শিক্ষাক্রমক কাকে বলে এবং যোগ্যতা ভিত্তিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ কি ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানাচ্ছি।
মানব জীবনের বিভিন্ন অংশ রয়েছে এবং বিভিন্ন অংশ সময়ের মধ্যে প্রধান এবং অন্যতম অংশ জুড়ে রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
বর্তমান সময় মধ্যযুগের সময়ের মতো নয় যেখানে শিক্ষার কোন মূল্য ছিল না কিন্তু বর্তমান সময়ে শিক্ষা অমূল্য একটি সম্পদ।
প্রতিটি বাবা-মা অথবা অভিভাবক চায় যে তাদের সন্তান যথেষ্ট ভাবে আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ যেন তৈরি করতে পারে। তবে ইয়ে সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে প্রথমে আমাদের শিক্ষার সর্ব ঘোড়ার দিকটি তুলে আনতে হবে।
এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম বা শিক্ষা ক্রমশমূহ ইত্যাদি বিস্তারিত। এজন্য ক্রমশভাবে সকলকে শিক্ষাক্রম কি এবং শিক্ষা ক্রম কাকে বলে পাশাপাশি এই যোগ্যতা ভিত্তিকভাবে শিক্ষাক্রমকে ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে অবগত হওয়া খুবই প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: মিশ্র অর্থনীতি কাকে বলে
আবশ্যকীয় শিক্ষাক্রম কি
যে সকল শিখনক্রম গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত এবং এই যোগ্যতা সমূহ অবশ্যই পুরোপুরিভাবে শিক্ষার্থীরা শিখবে,কেমন আশা করা যায় ওই সকল শিক্ষাক্রমগুলোকে আবশ্যকীয় বলা হয়।
এই সকল শিক্ষাগ্রম এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা ক্রম সমূহ। প্রাথমিক শিক্ষাগুলো অর্থাৎ প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে অথবা প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণী থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত যে শিক্ষা রয়েছে তা শিক্ষার্থীদের জন্য আবশ্যকীয়।
অর্থাৎ আবশ্যকীয় ও শিক্ষাক্রমা বলতে ওই সকল শিক্ষাগ্রমকে বোঝানো হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের ওপর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।এছাড়া ও যে শিক্ষা কার্যসমূহ বা শিক্ষা কার্যক্রম গুলো পরিপূর্ণভাবে শিখবে।
প্রাথমিক শিক্ষাক্রম কি
প্রাথমিক শিক্ষা কার্য প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম হলো মূলত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সূচনা অথবা দ্বিতীয় স্তর। অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা হলো শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কিভাবে পরিচালনা করার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়া যায় এবং শিশুদের মানসিক ও শারীরিকভাবে শিক্ষা অর্জনের বিকাশ ঘটে।
এছাড়াও শিক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন অংশ রয়েছে যে কার্যক্রম গুলো শিক্ষাকে তথা শিক্ষার্থীদের কে প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের কে প্রতিদিন কি পরিমানে শিক্ষা দিতে হবে,,
এবং তাদের দিয়ে কিভাবে শিক্ষা সমূহ গুলো আদায় করে নিতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কে বছরব্যাপী অথবা বছরের বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষামূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে কিভাবে যাচাই করা হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা করার যে কার্যক্রম রয়েছে তা হল প্রাথমিক শিক্ষা ক্রম।
প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য
শিক্ষার্থীদের কে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য এবং প্রাথমিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদেরকে আদর্শ মানুষ তাদের তাদেরকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার বেশ কিছু লক্ষ বা উদ্দেশ্য রয়েছে। এরকম প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যসমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো :-
- *শিশুর শারীরিক বিকাশ,
- * মানসিক বিকাশ,
- * সামাজিকবিকাশ,
- *নৈতিক,
- *মানবিক,
- *নান্দনিক,
- * আধ্যাত্মিক,
- * আবেগিক বিকাশ সাধন,
- *দেশাত্মবোধে,
- * বিজ্ঞানমনস্কতায়,
- *সৃজনশীলতায়,
- * উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্শন,
- ইত্যাদি খেতে উদ্বোধন করা।

যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম কি
বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা যখন শিক্ষা কার্যক্রম বা শিক্ষা গ্রহণ করে তখন সে ক্ষেত্রে –উচ্চ মাধ্যমিক মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক এ সকল ক্ষেত্রে আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদের কে বিভিন্ন বয়সবেঁধে এসব ক্ষেত্রে ভর্তি নেয়া হয় এবং শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে।
যেমন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানোর ক্ষেত্রে তার বয়স সর্বনিম্ন পাঁচ হতে হয় পাশাপাশি তার দক্ষতা অর্জন করা এবং জ্ঞান অর্জন করা ইত্যাদি
বিভিন্ন ধরনের আচরণের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয় ওই শিক্ষা কার্যক্রমকে যাকে যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে।
১. শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে জ্ঞানকে প্রয়োগ করার মাধ্যমে ও তাদের অর্জিত যে যোগ্যতা বা জ্ঞান রয়েছে তা অনুধাবন করার মাধ্যমে আত্মপ্রত্যুই হতে পারে।
২. বয়স বিদেশ শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যতে চাহিদা বা নিজেদের মানসিক এবং সামর্থ্য পাশাপাশি তাদের যোগ্যতা আরোপ করার মাধ্যমে সুনির্দিষ্টকরণ পদ্ধতিতে তাদের নির্বাচনক্ষেত্র কে বিবেচনা করতে পারে।
৩. শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার সমস্ত কর্মকাণ্ডের আয়োজন মুখস্ত সনদপত্র ইত্যাদি অর্জন নয় বরং তাদের মানসিকভাবে ও দৃঢ়ভাবে তাদের বয়স ভেদে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
শিক্ষাক্রম বিস্তরণ কি
শিক্ষাক্রম বিস্তার হলো:-
“Curriculum,,,
মূলত বিভিন্নভাবে শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে যে কোর্সগুলো অথবা স্থাপিত পাঠক্রম ইত্যাদি সম্পর্কে সমন্বয়ের মাধ্যমে যে উপস্থাপন করা হয় কার্যক্রমকে তাকে মূলত শিক্ষাক্রমে বিস্ফোরণ বলে।
এছাড়া ও শিক্ষাক্রম ও বিস্তরণ এর প্রধান ও অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের জন্য যে সকল চাহিদা বা শিক্ষাগত লক্ষ্য রয়েছে সে সকল লক্ষ্যসমূহ নির্দিষ্টভাবে শিক্ষাগত কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পন্ন করা।।
শিক্ষাক্রমে বিস্তার এ কাজের এ ধাপটি মূলত কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান অথবা কোন একটি নির্দিষ্ট শিক্ষার স্তরের উন্নয়নের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক অথবা প্রাইমারি লেবেলে যে কোন ক্ষেত্রে হঠাৎ করে যদি শিক্ষার্থীদের বিবেচনার জন্য পরীক্ষা কার্যক্রমের উন্নতি করানো অর্থাৎ নতুন কোন ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি নেওয়া হয় বা শিক্ষা দেয়ার পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে পরিবর্তন রয়েছে, সেটি মূলত শিক্ষাক্রম ও বিস্তরণ।
শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
শিক্ষাক্রমের ক্ষেত্রে শিক্ষা ক্রমের বিভিন্ন ধরনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য রয়েছে। নিম্নে শিক্ষা ক্রমের বিভিন্ন লক্ষ্য তুলে ধরা হলো :
১. শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থা ছুটির পরিচালনা করা হলো শিক্ষাক্রমে প্রধান লক্ষ্য।
২. শিক্ষার্থীদের মেধাকরম কে বিভিন্নভাবে বিকাশ ঘটানো হচ্ছে গটানোর যাবতীয় পদক্ষেপ অবলম্বন করা হচ্ছে শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্য।
৩. সময় সাপেক্ষ অনুযায়ী কখন কোন একটি বিষয়ের উপর কতটুকু পরিমাণে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান দেয়া প্রয়োজন এই সম্পর্কে যাচাই করা এবং সিদ্ধান্ত নেয়া।
৪. শিশুদেরকে অথবা শিক্ষার্থীদের কে শিক্ষা প্রদানের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা।
৫.শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গুণ বিবেচনা করার মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা সহ অন্যান্য বিবেচনা মূলক পরীক্ষার ফলাফল দেয়া।
৬.উচ্চশিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী যাতে করে তার ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তুলতে পারে এবং সঠিক অবস্থানে যেতে পারে তা হলো শিক্ষার প্রধান অন্যতম একটি অংশ।
৭.সামাজিকভাবে এবং আর্থিকভাবে শিক্ষার্থীদের উপর বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা জাতীয় করা।
৮. শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের যাতে করে মনোযোগ আকর্ষিত হয় এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে শিক্ষা কার্যক্রম এর বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। শিক্ষা কার্যক্রম কি শিক্ষা কার্যক্রম কাকে বলে যোগ্যতা ভিত্তিক অনুযায়ী শিক্ষা কিভাবে বুঝানো হয় ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও মতামত আপনাদের সামনে তুলে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
শিক্ষাক্রমণ সম্পর্কে যদি আপনার কোন তথ্য জানা থাকে তা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এছাড়াও আরো যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে তা অবশ্যই আমাদেরকে আমাদের কমেন্ট বক্সে প্রশ্নগুলো লিখে পাঠান
আমাদের পোস্টের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এরকম বিভিন্ন তথ্যের আলোকে কিছু প্রশ্নের উত্তর নিম্নে তুলে ধরা হলো :-
১. যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম বলতে কি বুঝায়?
= শিক্ষার্থীদেরকে বয়স বেদে কখন কোন শিক্ষা কার্যক্রমে বা শিক্ষা ক্ষেত্রে কোন ধাপে পড়াশোনা বা অর্জন করা উচিত সে সম্পর্কে যোগ্যতা ভিত্তিক আলোচনা কে যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম বুঝায়।
২. শিক্ষাক্রমের মূল ৪টি উপাদান কি কি?
= উদ্দেশ্য, মূল্যায়ন, পদ্ধতি, বিষয় বস্তু।
৩.মূল্যায়ন কী?
= শিক্ষার্থীদের যে সকল কৃতিত্ব রয়েছে সেগুলোর বনবাচক বা পরিমাণগত দিক দিয়ে মাত্রা।
৪. শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় কেন?
= নতুন সময়ে এবং বর্তমানের তুলনা সাথে তাল মিলিয়ে নতুনভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এবং যা প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথভাবে শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়।
আরো পড়ুন: দাম প্রভাব ও আয় প্রভাবের পার্থক্য