শর্করা কাকে বলে? শর্করা জাতীয় খাদ্যের উৎস? শর্করার পুষ্টিগুণ
শর্করা কাকে বলে: শর্করা প্রাথমিকভাবে উদ্ভিদের ফল, পানি, মিষ্টি, সাগর ইত্যাদি থেকে প্রাপ্ত হয়, এবং এই উদ্ভিদগুলি শূন্যতা এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে ফলন প্রক্রিয়ায় শর্করা উৎপন্ন করে।
শর্করা কাকে বলে
শর্করা হলো একধরনের উপাদান বা যৌগিক যা খাবারে উপস্থিত হয় এবং উপাদানগুলি মূলত কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন থেকে গঠিত থাকে। এই উপাদানগুলির উপাদানিক সংমিলনের অনুপাত প্রায়ঃ C:H:O = 1:2:1।
শর্করা প্রাথমিকভাবে উদ্ভিদের ফল, পানি, মিষ্টি, সাগর ইত্যাদি থেকে প্রাপ্ত হয়, এবং এই উদ্ভিদগুলি শূন্যতা এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে ফলন প্রক্রিয়ায় শর্করা উৎপন্ন করে।
এই শর্করা উপাদান খাবারে প্রাথমিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে এবং প্রায় সব জীবন্ত জীবনও এটি উপভোগ করে।
মানুষের জীবন্ততা জনিত প্রতিটি কার্যকলাপে, শর্করা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা খাবার সেবন করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
শুভ জন্মদিন বন্ধু স্ট্যাটাস, শুভেচ্ছা, ক্যাপশন
শর্করার প্রকারভেদ ও কি কি
শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট বিভিন্ন প্রকারে পাওয়া যায়, যা তাদের সংমিলিত সংরক্ষণাগার এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দ্বারা বিভক্ত করে। মৌলিকভাবে, শর্করা দুই প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত হতে পারে:
১.সিম্পল কার্বোহাইড্রেট (মনোস্যাকারাইড): এই কার্বোহাইড্রেটগুলি সিম্পল এবং প্রতিষ্ঠানিক রূপে বিক্রিয়া প্রদান করে।
এগুলি তাদের মৌলিক রাসায়নিক বিন্যাসের কারণে তাদের গঠন পূর্বে হয় এবং তাদের শর্করা বা স্যাকারাইড মনোনিবন্ধনের আবশ্যকতা হয় না। সিম্পল কার্বোহাইড্রেটের উদাহরণ হলো গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ফ্রাক্টোজ, গ্যাল্যাক্টোজ, এবং ল্যাক্টোজ।
২.কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট (পলিস্যাকারাইড): এই কার্বোহাইড্রেটগুলি বেশি জটিল বুদ্ধিমত্তা দেয় এবং সাধারণভাবে গঠিত থাকে প্রাণীর শরীরে শর্করা সংরক্ষণাগার হিসেবে।
এগুলি পোলিস্যাকারাইড বলা হয় কারণ এগুলি অনেকগুলি মোনোস্যাকারাইড মতো সংরক্ষণাগার বিস্তার করে এবং ব্যাগে রাখে।
প্রমুখ পলিস্যাকারাইডের উদাহরণ হলো স্টার্চ (পোলিস্যাকারাইডের উপাদান যৌগ এবং বৃদ্ধি করে), গ্লাইকোজামিন (ফাইবারে প্রাপ্ত), গ্লিকোজান (অন্তর্গত পাচনে অবদান রেখে)।
এছাড়াও, কার্বোহাইড্রেট উপাদানগুলি স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থায় পৃথিবীর অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় অপরিণত হয়, যা পরিবর্তন হতে পারে এবং বিভিন্ন খাদ্যের রূপে মানুষের উপাদানিক প্রয়োজনগুলি পূরণ করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: সুষম খাদ্য কাকে বলে?
শর্করা জাতীয় খাদ্যের উৎস
শর্করা জাতীয় খাবারের মূল উৎস হলো উদ্ভিদের ফল, পানি, মিষ্টি, সাগর, শস্য প্রথা ইত্যাদি। এই উদ্ভিদগুলি শূন্যতা এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে ফলন প্রক্রিয়ায় শর্করা উৎপন্ন করে।
শর্করা জাতীয় খাবারের মাধ্যমে মৌলিক শক্তি প্রাপ্তি করার জন্য বেশিরভাগ লোক নিম্নলিখিত উদ্ভিদের ফল বা প্রোডাক্ট খায়:
১.ফল: পরিবারের বেশিরভাগ ফল শর্করা জাতীয় খাবারের উৎস হয়। উদাহরণস্বরূপ, আপেল, কোলা, ব্যানানা, কমলা, পিনাপল, আম, পেয়ারা, প্লাম, গ্রেপফ্রুট, ম্যাঙ্গো ইত্যাদি।
২.গুড়: পাল্ম গুড় তৈরি করার জন্য খুব ব্যবহৃত উদ্ভিদ হলো কঠিরা তল পাতা গাছ।
৩.শস্য প্রথা: অনেক শস্য প্রথা একটি গুড়ের উৎপন্নকারী উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত, যেমন খোয়া, তাল, বাম্বু, সোর্ন ইত্যাদি।
৪.মিষ্টি: দুধ, চিনি, পানি বা মিষ্টি তৈরি করার সময় ব্যবহৃত উদ্ভিদ যেমন দুধের গোলপাতা, চিনি বেলে, মিষ্টি পাতা ইত্যাদি।
৫.সাগর: সমুদ্র জীবজগত থেকে উদ্ভুত খাদ্যমধ্যে মতলব, মাছ, কুসুম ক্রীম, সামুদ্রিক গবেষণার ফলে প্রাপ্ত শর্করা যুক্ত খাবার গুলিও আসতে পারে।
এই উদ্ভিদগুলি মানবজীবনে শর্করা জাতীয় খাবার সরবরাহ করে এবং মানব সম্প্রদায়ে উপভোগ্য খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়।
আরো পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগীর খাবার তালিকা
শর্করা এর পুষ্টিগত গুরুত্ব
শর্করা একটি মুখ্য পুষ্টিগত উপাদান, একদিকে এটি আমাদের শরীরের প্রাথমিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের দৈনন্দিন কাজকাজের জন্য প্রয়োজনীয় শোধ করে। শর্করা জাতীয় খাবার নিম্নলিখিত উপাদানগুলি সরবরাহ করে:
১.শক্তি প্রদান: শর্করা জাতীয় খাবারের মাধ্যমে আমরা প্রাথমিক শক্তি প্রাপ্ত করি, যা আমাদের দৈনন্দিন কাজকাজ চালানোর জন্য প্রয়োজন।
২.মানসিক কাজকামে সাহায্য: শর্করা উপাদানগুলি মনোবিজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে, এটি মনোবিজ্ঞানের প্রশিক্ষণ ও মেমরি ফাংশন সাপোর্ট করতে সাহায্য করে।
৩.প্রয়োজনীয় শোধ: সাধারণভাবে, আমাদের দৈনন্দিন খাবারে শর্করা প্রায়ঃ ধান, পুদিনা, স্বীট পটেটো, ফল, সবজি ইত্যাদির মধ্যে থাকে এবং এটি প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের উৎস প্রদান করে।
আরো পড়ুন: হার্টের রোগীর খাবার তালিকা?
৪.পাচনশক্তি সাহায্য করা: ফাইবার যোগফল থাকা খাবার উপাদান শর্করা সাহায্য করে পাচনশক্তি বৃদ্ধি করতে, যা পরিণত খাদ্য সংগ্রহণ এবং পাচনে অবদান রেখে।
৫.স্যাটিটি কন্ট্রোল করা: শর্করা যুক্ত খাবার খেলে মানবজীবন অধিক সময় বিচার করে, যা স্যাটিটি লেভেল বা প্রসারিত লাগে এবং উপাদানের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে, মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, শর্করা ব্যবহার নিয়মিত এবং মাত্রায় প্রয়োজন এমন মাত্রায় পরিয়োজন এবং প্রাথমিক উপাদান সরবরাহ করে, যা শক্তি প্রাপ্তি, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।