লোকশিল্প কাকে বলে লোক শিল্পের নির্মাতারা অতি সাধারণত সংস্কৃতির ললিতকলা এক ঐতিহ্যের পরিবর্তে একটি জনপ্রিয় অন্যতম ঐতিহ্যের মাধ্যমে নানা ভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে থাকেন। লোকশিল্প লোক এই সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে তৈরি সমস্ত ধরনের এমন চাক্ষুষ শিল্পকে অন্তর্ভুক্তও করে।
গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষ এমন ভাবে যারা উন্নত সমাজের কাঠামোর মধ্যে নানা ভাবে বিরাজমান করে কিন্তু আবার ভৌগোলিক অথবা এই সাংস্কৃতিক কারণে শিল্পের উন্নত ধারা এর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, এবং তাদের নির্মিত এ শিল্পকে লোকশিল্প রূপে নানা ভাবে বিবেচনা করা হয়।
লোকশিল্প কাকে বলে
লোকশিল্প একটি এমন সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক জীবনের এক শিকড় এবং জীবন ব্যবস্থাগুলো প্রতিফলিত হয়। তারা লোকশিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত হয়ে সুস্পষ্ট সংস্কৃতির চিরায়ত এই রূপকে ধারণ করে।
দৃশ্যমান লোকশিল্প এক একটি ঐতিহ্যগত সম্প্রদায়ের এমন ভাবে মধ্যে ব্যবহারের জন্য এই ঐতিহাসিকভাবে তৈরি করা এমন ভাবে বস্তুসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করে।
- কাঠের নকশা করা ছাঁচে রং লাগিয়ে এই ভাবে কাপড় এবং কাঁথা ছাপানো হয়।
লোকশিল্পের গুরুত্ব
প্রকৃতপক্ষে দৃশ্যমান আবার অদৃশ্য উভয়ই গড়ে উঠেছিল তখনকার এমন ভাবে প্রয়োজন মিটানোর জন্য। যখনই এর বাস্তবিক এর উদ্দেশ্য শেষ হয়ে যায় বা হারিয়ে যায়, এবং তবে এর প্রাথমিক উদ্দেশ্যে অথবা যে কারণে এটি সৃষ্টি প্রায় হয়েছিল তা প্রয়োজনীয়তা এমন ছাড়া সেটির রুপান্তরের কোন না কোন কারণ অবশিষ্ট থাকে না।
- এ ছাঁচে ফেলে বস্ত্তকে বিভিন্ন ভাবে আবার আকৃতিতে রূপদান করা হয়।
লোকশিল্পের তালিকা | বাংলাদেশের লোকশিল্পের তালিকা
কারুশিল্পের বিশাল এই সব ভান্ডারে রয়েছে জামদানি, সতরঞ্জি,এবং ধাতব শিল্প, শঙ্খ শিল্প, আবার মৃৎশিল্প, দারুশিল্প
, ঝিনুক শিল্প, ও পুতুল শিল্প, পিতল-কাঁসা শিল্প, এবং বাঁশ-বেত শিল্প, শোলা শিল্প ও ইত্যাদি। বেঁচে থাকার তাগিদে এমন কাজ করতে গিয়ে এবং অবসর গুলো মুহূর্তে বসে এসব শিল্প-সম্পদ হিসেবে তৈরি করেছে কারুশিল্পীরা।
মাটি, পাথর বা কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের এমন ভাবে ছাঁচ তৈরি করা হয়।
লোকশিল্পের উদাহরণ
লোকশিল্পের কিছু কিছু সাধারণ উদাহরণ হল:
পটচিত্র: বাংলাদেশে নকশি কাঁথা এবং, পটচিত্র, আলপনা,আবার নকশি শিকা ইত্যাদি লোকশিল্পের এক অন্যতম জনপ্রিয় নিদর্শন।
কারুশিল্প: বাংলাদেশের এমন একটি কারুশিল্পের মধ্যে রয়েছে হস্তশিল্প, ধাতুশিল্প, কাঠশিল্প, এবং পাথরশিল্প, মৃৎশিল্প ইত্যাদি।নকশি ছাঁচ এই লোকশিল্পকলার একটি স্থায়ী হলো ফর্ম।
১০ টি লোকশিল্পের নাম
এ ছাড়া আরও উল্লেখযোগ্য এই সব লোকশিল্প হচ্ছে সরাচিত্র, আলপনা, লোকবাদ্যযন্ত্র, এবং শোলার কাজ, পটচিত্র, বাঁশ আবার বেতের বেড়া, নকশি পিঠা, নকশি পাখা,এবং শীতলপাটি, শিকা প্রভৃতি। কারুশিল্প:হলো শুধু নান্দনিক গুণসম্পন্নই নয়, আবার যার ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা-ই হলো কারুশিল্প।
কাঠ, মাটি এবং পাথরের ছাঁচে মিঠাই, ক্ষীর,আবার আমসত্ত্ব, ও গুড়ের পাটালি ইত্যাদি তৈরি করা হয় ।
লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায়
লোকশিল্প চর্চা নানা ভাবে অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গুলো নিতে হবে যেমন :
১। লোকশিল্পের কারিগরদের এমন ভাবে যথাযথ সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে ও হবে ।
২। লোকশিল্প কে যথাযথ ভাবে মূল্যায়ন করতে হবে ।
জাদুঘরে কিংবা অন্যকোন প্রদর্শনীর এমন কিছু স্থানে লোকশিল্প সংরক্ষণ করতে হবে এমন ভাবে সুপরিকল্পীত উপায় ।
গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষ যারা এমন ভাবে উন্নত সমাজের কাঠামোর মধ্যে বিরাজমান করে কিন্তু ভৌগোলিক বা সাংস্কৃতিক কিছু কিছু কারণে শিল্পের উন্নত ধারা থেকে নানা ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে , তাদের নির্মিত এমন শিল্পকে লোকশিল্প রূপে নানা ভাবে বিবেচনা করা হয় ।
দৃশ্যমান লোকশিল্প এমন একটি ঐতিহ্যগত সম্প্রদায়ের কিছু কিছুর মধ্যে ব্যবহারের জন্য ঐতিহাসিকভাবে এমন ভাবে তৈরি করা বস্তুসমূহকে নানা ভাবে অন্তর্ভুক্ত করে থাকে ।
আরো পড়ুন: সামাজিক পরিবর্তন কাকে বলে
লোকশিল্প ও কারুশিল্প কাকে বলে
কারুমন্ডিত করার উদ্দেশ্য হলো অলঙ্ককরণকেই আমরা এই কারুশিল্প’ হিসেবে অভিহিতও করি। অন্যদিকে যৌথ চেতনার এমন ফসল হচ্ছে এই লোকশিল্প।
লোকশিল্প ও কারুশিল্প কি?
অন্যকে আনন্দ দেওয়ার জন্য এমন যে সহজ-সরল শিল্পকর্ম তৈরি গুলো করে, তাকে বলে এই লোকশিল্প। হাতের সাহায্যে যেসব কিছু দ্রব্যসামগ্রী তৈরি করে, তাই তাকে বলে কারুশিল্প।
লোকশিল্প কেন মানুষ পছন্দ করে?
লোকশিল্প এক একটি সম্প্র দায়ের সাংস্কৃতিক ও জীবনের শিকড় আবার জীবন ব্যবস্থা প্রতিফলিত হয়।