রেচনতন্ত্র কাকে বলে: মানবদেহের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গের মধ্যে মানব দেহকে সুস্থ স্বাভাবিক ও বিপাকক্রিয়ায় সচ্ছল রাখার জন্য রেচনতন্ত্রের ভূমিকা পরিসীমা।
এজন্য শরীরে কিভাবে রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে বজ্র পদার্থ নিষ্কাশন হয় তা সম্পর্কে জানা জরুরী। তাই উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে রেচনতন্ত্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
মানবদেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম সচ্ছল রাখার জন্য এবং দেহে বিপাক ক্রিয়া সংগঠন করার জন্য যে প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব অপরিসীম সেটি হলো রেচনতন্ত্র।
মানবদেহের রেচন পদার্থসমূহ সাধারণত শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ সমূহ বের করার মাধ্যমে শরীরে শারীরিক কার্যক্রম এবং ক্রিয়া সমূহ সম্পন্ন করে। এজন্য রেয়াতন্ত্র সম্পর্কে প্রতিটি মানুষের জ্ঞান ধারণ করে জরুরী এবং এ সম্পর্কে যথাযথভাবে জানা প্রয়োজন।
রেচনতন্ত্র কাকে বলে
যে প্রান্তের মাধ্যমে দেহের বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশিত হয় তাকে রেচনতন্ত্র বলে। শরীরের অতিরিক্ত পানির লবন এবং জৈব পদার্থগুলো সাধারণত রেচন এর মাধ্যমে দেহে থেকে বের করে দিয়ে বৃক্ষদের সারির ভিত্তি ও ভারসাম্য রক্ষা করে।
মানবদেহের প্রধান রেচন অঙ্গ কী
মানব দেহের রেচন অঙ্গ অর্থাৎ প্রধান রেচন অঙ্গ হল কিডনি অথবা বৃক্ষ। আর বৃক্কের একক হলো নেফ্রন। রেচন মানবদেহের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া।
যার মাধ্যমে দেহে বিভাগ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন নাইট্রোজেন গঠিত ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থগুলো বের করে দেওয়া হয়। দেহের এই বাজ্যপদার্থ গুলো শরীরে কোন কারনে জমতে থাকলে নানা রকমের রোগ হতে পারে, এমনকি,মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
অর্থাৎ মানবদেহে যে সকল বজ্র পদার্থ রয়েছে তা মানব দেহের প্রধান রেচন অঙ্গের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়া হয়।
রেচন কাকে বলে
রেচন পদার্থ বলতে নাইট্রোজেন গঠিত বজ্র পদার্থ কে বুঝায়। মানবদেহের রেচন পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে আসে। মূত্রের প্রায় ৯০ ভাগ উপাদান হচ্ছে পানি। অন্যান্য উপাদানের মধ্যে আছে ইউরিয়া ইউরিক অ্যাসিড ক্রিয়েটিনিন ও বিভিন্ন ধরনের লবন।
ইউরোক্রোম নামে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতিতে মত মূত্রের রং হালকা হলুদ হয়। আমিষ জাতীয় খাদ্য খেলে মূত্রের অম্লতা বৃদ্ধি পায় আবারও ফলমূল এবং তরকারি খেলে সাধারণত ক্ষারীয় মতো তৈরি হয়।
আরো পড়ুন: আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে
রেচনতন্ত্র কি
যে ত্রন্ত কে ব্যবহার করে শরীরের বিভিন্ন জৈবনিক ক্রিয়া বা শরীরে যে সকল নাইট্রোজেন গঠিত বজ্র পদার্থ রয়েছে সেগুলো বের করে দেয়ার প্রক্রিয়া হলো রাজতন্ত্র।
রাজতন্ত্রকে ব্যবহার করে শরীরে নাইট্রোজেন গঠিত যে সকল বজ্র পদার্থ রয়েছে তা মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়া হয়।
শরীর থেকে বজ্র পদার্থ সমূহটা যে সকল বিষাক্ত বজ্র পদার্থ রয়েছে সেগুলো নিষ্কাশিত করার মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক ও শারীরবৃত্তি ও ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে যে তন্ত্ৰটির ভূমিকা সর্বোচ্চ এবং অপরিসীম তা হলো রেচনতন্ত্র।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে রেচনতন্ত্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি রে তন্ত্র সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানা ছিল অথবা যে সকল তথ্য আপনারা জানতে চেয়েছেন তা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।
