রেখাংশ কাকে বলে? রেখাংশের প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য
রেখাংশ কাকে বলে সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের ওয়েবসাইটের শিক্ষা রিলেটেড গণিতের জ্যামিতি ভিত্তিক রেখাংশ নিয়ে আলোচিত উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। উক্ত পোস্টে আমরা আপনাদেরকে রেখাংশের সংঙ্গা, প্রকারভেদ এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
শিক্ষণীয় বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে গণিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গণিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং তার পাশাপাশি গণিতের একটি অন্যতম আলোচনার বিষয় হল জ্যামিতি। দিতে বিভিন্ন প্রকারভেদ বা বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গণিতে একাংশের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। এজন্য গণিতের সকল বিষয়ের মতই রেখাংশ একটি অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য।
রেখাংশ কাকে বলে
একটি নির্দিষ্ট রেখার শচীন অংশ যার দুটি প্রান্তবিন্দু রয়েছে সে রেখাকে রেখাংশ বলা হয়। যদি একই নির্দিষ্ট রেখাংশের উপর দুইটি বিন্দু থাকে অর্থাৎ দুটি দিন বিভিন্ন বিন্দু থাকে তবে ওই বিন্দু দুটি সহ মধ্যবর্তী সকল বিন্দুর চ্যাটগুলোকে বিন্দু দুইটির সংযোগ সরল রেখার রেখাংশ বলা হয়।
অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন দুটি বিন্দু নিয়ে গঠিত একটি রেখার প্রান্ত বিন্দু নিয়ে গঠিত চিত্রকে রেখাংশ বলা হয়। একটি রেখাংশের দুটি প্রান্ত বিন্দুর মধ্যবর্তী সকল বিন্দুগুলো ওই রেখাংশের উপর অবস্থিত থাকে। যদি A এবং B একটি বিন্দুর দুইটির এখন তো থাকে তাহলে এদেরকে নিয়ে গঠিত রেখা থেকে একটি নির্দিষ্ট রেখাংশ বলা হয়।
রেখাংশের প্রকারভেদ
রেখাংশকে সাধারণ ভাবে নিন্মোক্ত কয়েকটি বাঘে ভাগ করা
যায়—
১) বদ্ধ রেখাংশ,,,
২) খোলা রেখাংশ,,,
৩) অর্ধ-খোলা রেখাংশ,,,
১)বদ্ধ রেখাংশ:- উভয় প্রান্তবিন্দদ্বয় শহর একাংশ টির উপর যে সকল বিন্দু রয়েছে সেগুলো রেখাংশ টি ধারণ করে তাকে বদ্ধ রেখাংশ বলে।
২) খোলা রেখাংশ:- যে সকল রেখাংশের উভয় প্রান্ত বিন্দু ব্যতীত অন্যান্য সকল রেখাংশের উপর যে সকল বিন্দুগুলো রয়েছে সেগুলো ধারণ করে তাকে খোলা রেখাংশ বলা হয়।
৩) অর্ধ-খোলা রেখাংশ:- যে সকল রেকাংশ গুলোর দুইটি প্রান্তের প্রান্ত বিন্দুগুলো যেকোনো একটিকে রেখাংশের উপর ধারণ করা যায় তাকে অর্ধ খোলা রেখাংশ বলে।
রেখাংশের বৈশিষ্ট্য
১. রেখাংশ কখনো বৃদ্ধি পায় না এবং হ্রাস ও পায় না।
২. একটি রেখা দুই পাশে যেতে চিহ্ন থাকে সে তীর চিহ্ন উঠিয়ে দিলে সে রেখাটি একটি রেখাংশ হয়ে যায়।
৩. একটি রশ্নির এক প্রান্তে যে তীর চিহ্ন থাকে সেটি উঠিয়ে দিলে একটি রেখাংশ পাওয়া যায়।
৪. যদি নির্দিষ্ট পরিমাপের কোন রেখা কিংবা দৈর্ঘ্য আঁকা হয় তাহলে তাকে একটি রেখাংশ বলা যায়।
৫. রেখাংশ অসীম নয় এজন্য রেখাংশে দুই প্রান্তের তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয় না।
৬. রেখাংশের দৈর্ঘ্য সুনির্দিষ্ট এবং পরিমাপ যোগ্য।
৭. একটি দৈর্ঘ্য দেওয়া থাকলে রেখাংশ আঁকা যায়।
৮. একটি প্রস্থ দেওয়া থাকলে রেখাংশ আঁকা যায়।
৯. একটি রেখার যে কোন অংশকে একাংশ বলা যায় অর্থাৎ এর একা থেকে রেখাংশের উৎপত্তি ঘটে।
১০. নির্দিষ্ট দূরত্বের যেকোনো দুটি বিন্দুকে যোগ করলে একটি রেখাংশ পাওয়া যায়।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে রেখাংশের সংজ্ঞা, প্রকারভেদ এবং উদাহরণ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনার মাধ্যমে জানিয়েছি।
আশা করি,, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে রেখাংশ সম্পর্কিত যে সকল তথ্য আপনারা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানার মাধ্যমে উপকৃত হতে পেরেছেন।