শিক্ষা

রম্বস কাকে বলে? রম্বসের ৩টি বৈশিষ্ট্য

রম্বস কাকে বলে: সামান্তরিকের সন্নিহিত বাহুদ্বয় এমন ভাবে পরস্পর সমান হলে তাকে রম্বস বলে। রম্বস হলো এক বিশেষ ধরণের একটি চতুর্ভুজ যার বাহুগুলোর এই দৈর্ঘ্য পরস্পর সমান।

প্রথম পদ্ধতিঃ রম্বসের কর্ণদ্বয়ের গুণফলকে তার অর্ধেক করলে ক্ষেত্রফল পাওয়াও যায়। ABCD রম্বসের কর্ণ এমন ভাবে দুইটি d1 ও d2 হলে, এর এই ক্ষেত্রফল হবে

রম্বস সম্পর্কে নানা ভাবে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে হলে ও রম্বস কাকে বলে চিত্র সহ ভালভাবে দেখতে ও জানতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, এই রম্বস হলো সামান্তরিকের এক একটি বিশেষ রূপ অর্থাৎ, আবার সামান্তরিকের সন্নিহিত বাহুদ্বয় সমান ভাবে হলে তখন তা এই রম্বস হয়ে যায়।

সামান্তরিকের ভূমিকে উচ্চতা সর্বোচ্চ এমন দ্বারা গুণ করলে ক্ষেত্রফল পাওয়া যায়। এই রম্বস এক একটি সামান্তরিক রম্বসের ভূমিকে উচ্চতা নির্ভর দ্বারা গুণ করলে ক্ষেত্রফল ও পাওয়া যায়।

রম্বস কাকে বলে | rhombus kake bole

যে চতুর্ভুজের চারটি এমন একটি বাহুর দৈর্ঘ্য পরস্পর সমান তাকে এই রম্বস বলে। অন্যভাবে বললে,আবার যে চতুর্ভুজের সব বাহুর এমন দৈর্ঘ্য সমান কিন্তু কোণগুলো আবার সমকোণ নয় তাকে রম্বস বলে।

রম্বসের সবগুলো বাহু যেমন আবার পরস্পর সমান; আবার তেমনিভাবে রম্বসের বিপরীত দিক কোণগুলো পরস্পর ভাবে সমান।

রম্বসের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে নানা ভাবে সমদ্বিখণ্ডিত করে। আবার,এই ভাবে রম্বসের কর্ণ দুইটি পরস্পরকে সমকোণে ও ছেদ করে।

আরো পড়ুন: আর্থিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে – গুরুত্ব উদ্দেশ্য

রম্বস আকার নিয়ম

প্রকৃতপক্ষে, রম্বস হলো একটা সামান্তরিকের একটি বিশেষ রূপ আবার অর্থাৎ, সামান্তরিকের সন্নিহিত বাহুদ্বয় এমন ভাবে সমান হলে তখন তা রম্বস হয়ে যায়।

রম্বসকে অনেকসময় এইটা ডায়মন্ড বলা হয় কারণ এটি দেখতে অনেকটা এই ডায়মন্ডের মত।আবার এটিকে সমবাহু এমন চতুর্ভুজও বলা হয় কারণ এর প্রায় চারটি বাহুর দৈর্ঘ্য এমন পরস্পর সমান।

রম্বস কাকে বলে চিত্র সহ

রম্বসের বাহুগুলোর প্রায় সমষ্টিকে রম্বসের পরিসীমা বলে। যেহেতু রম্বসের বাহুগুলো এমন ভাবে পরস্পর সমান, তাই রম্বসের একটি বাহু জানা থাকলে আবার এর পরিসীমা নির্ণয়গুলো করা যায়।

আবার রম্বসের কর্ণ দুইটি ভাবে জানা থাকলে সেখান আবার থেকে এর বাহুর দৈর্ঘ্য নির্ণয় করাও যায়; অতপর রম্বসের এমন কিছু পরিসীমা নির্ণয় করা যায়।

রম্বসের বাহুর দৈর্ঘ্য আবার জানা থাকলে রম্বসের এমন কিছু কর্ণের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করা যায়। তাহলে এমন ভাবে দেখা যাক- কিভাবে রম্বসের কর্ণ নির্ণয়ের সূত্র মতে উদ্ভাবন করা যায়।

রম্বসের কর্ণ কি সমান

রম্বসের বিপরীত এমন কিছু কৌণিক বিন্দু দুইটি যোগ করলে যেকোনো রেখাংশ পাওয়া যায় ও তাকে রম্বসের কর্ণ বলে।রম্বসের এরূপ

দুই জোড়া লাগতে বিপরীত কৌণিক বিন্দু রয়েছে। দুই জোড়া কৌণিক আবার বিন্দুর জন্য দুইট কর্ণ ও পাওয়া যায়। তাই রম্বসের এমন কর্ণ দুইটি। রম্বসের কর্ণদ্বয় এই ভাবে পরস্পরকে সমকোণেও সমুদ্বখণ্ডিত করে।

রম্বসের কর্ণদ্বয় গুলো জানা থাকলে অথবা রম্বসের এমন ভাবে ক্ষেত্রফল ও একটি কর্ণ দেওয়া হয়েছে। টা থাকলে রম্বসের বাহুর দৈর্ঘ্য নির্ণয় ওরকরা যায়।

তাহলে দেখা যাক,এই ভাবে রম্বসের কর্ণ দুইট দেওয়া থাকলে কিভাবে এমন রম্বসের বাহুর দৈর্ঘ্য ওনির্ণয়ের সূত্র উদ্ভাবনও করা যায়।

রম্বস কাকে বলে রম্বসের ৩টি বৈশিষ্ট্য
রম্বস কাকে বলে রম্বসের ৩টি বৈশিষ্ট্য

রম্বসের কর্ণদ্বয়ের দৈর্ঘ্য

রম্বসের বাহু, রম্বসের কোণ, ও রম্বসের কর্ণ, রম্বসের ক্ষেত্রফল এবং, রম্বসের কর্ণদ্বয়ের ছেদবিন্দু,আবার রম্বসের পরিসীমা অন্যদিকে, রম্বসের সন্নিহিত বাহু

রম্বসের এই ভাবে সন্নিহিত কোণ ইত্যাদি বিশ্লেষণ ও করলে কতকগুলো রম্বসের এইসব বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। রম্বসের সকল গুণাবলী নানা ভাবে জানার জন্য রম্বস কাকে বলে আবার বৈশিষ্ট্য বিস্তারিত আলোচনা ও প্রয়োজন। 

রম্বসের ৩টি বৈশিষ্ট্য

  • রম্বসের সবগুলো বাহু পরস্পর এমন ভাবে সমান।
  • রম্বসের বিপরীত কোণগুলো এমন ভাবে পরস্পর সমান।
  • রম্বসের প্রত্যেক কর্ণ সংশ্লিষ্ট বিপরীত এই কোণ দুইটিকে সমদ্বিখণ্ডিতও করে।
  • রম্বসের যেকোন এমন কোণের সাইন(sine)কে বাহুর বর্গ গুলো দ্বারা গুণ করলে ক্ষেত্রফলও পাওয়া যায়।
  • মনে করি, ABCD রম্বসের বাহু a এবং আবার ক্ষেত্রফল A ।

রম্বসের ক্ষেত্রফল বলতে বুঝায়,এমন ভাবে এর চারটি বাহু দ্বারা বেষ্টিত জায়গা। রম্বসের কর্ণদ্বয় গুলোই মান জানা থাকলে এর মধ্যে ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা যায়।

আবার, রম্বসের একটি বাহু এবং সন্নিহিত কোণের পরিমাপ গুলো দেওয়া থাকলে এর কর্ণ নির্ণয়ও করা যায়; অতপর কর্ণদ্বয়ের মান এবং ব্যবহার করে রম্বসের ক্ষেত্রফল কত নির্ণয় করা যায়। রম্বসের ক্ষেত্রফল এক একাধিক পদ্ধতিতেও নির্ণয় করা যায়।

আরো পড়ুন: এসিড বৃষ্টি কি? এসিড বৃষ্টি কাকে বলে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button