রচনা লেখার নিয়ম? প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম

প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম: উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় পত্রে দিনলিপি  নির্মিতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তবে দিনলিপি লেখার নিয়ম hsc জানার কারণে সহজ হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই বিষয় এড়িয়ে যায়। তাই আজ কোর্সটিকায় আমরা এ টপিকটি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।

প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম

বিষয়বস্তু অনুসারে রচনাকে প্রধানত দুই প্রায় ভাগে ভাগ করা যায়: ক. বর্ণনা মুলক রচনা, থ চিন্তামূলক ও রচনা। এই বর্ণনামূলক রচনার সাধারণত স্থান, কাল, বস্তু, ব্যক্তিগত স্মৃতি আবার অনুভুতি ইত্যাদি বিষয়ে থাকে। 

ধান, পাট, শরৎকাল,কাগজ, টেলিভিশন, বনভোজন, ও শৈশবস্মৃতি ইত্যাদি রচনা এই শ্রেণির এই  অন্তর্ভুক্ত। তাই চিন্তা মূলক রচনায় থাকে সাধারণত তত্ত্ব,তথ্য, ধ্যান-ধারণা, ও চেতনা ইত্যাদি শ্রমের মর্যাদা,বাংলাদেশের বন্যা এবং  তার প্রতিকার,পরিবেশদূষণ,অধ্যবসায়,সত্যবাদিতা আবার  চরিত্র গঠন প্রভৃতি এই শ্রেণির রচনার ও মধ্যে পড়ে।

বর্ণনার মধ্য দিয়ে দৃষ্টি, রং, ধ্বনি, স্বাদ, অনুযায়ী গন্ধ,অনুভুতি ব্যবহার করে বিষয়বস্তুকে ছবির মতো ফুটিয়ে তুলতেও হবে।

বর্ণনামূলক রচনা লেখার সময় সময়সীমা ও পরিসরের কথা মনে রেখে বিশেষ কিছু দিক বেছে নিতে হয়। সেগুলির এর সাহায্যে মূল বিষয়বস্তুকে সংক্ষেপে উপস্থাপন ও করতে হয়।

রচনা লেখার সময় পরম্পরা বা ধারাবাহিকতার এর দিকে লক্ষ রাখতে হবে।চিন্তাগুলো যেন এলোমেলো ও না হয় তাই সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।

জানা বিষয় ছাড়া অনেক সময় অজানা বিষয় নিয়ে রচনা লিখতে হতে পারে।বিষয়ের ধারণাগুলো এর একটির পর একটি এমনভাবে সাজাতে হবে, যাতে ভাব এর কোনো অসংগতি না থাকে।

শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে রচনার আকার আবার সাধারণত নির্দিষ্ট পরিসরের হয়ে থাকে। পরিমিত পরিসরে  রচনার সামগ্রিক বিষয়কে তুলে ধরতে হয়। অযথা বিষয়কে প্রলম্বিত করা ও ঠিক নয়।

অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক বাক্য লেখা থেকে বিরত নানা ভাবে থাকতে হয়। এক কথায় রচনা খুব ছোট বা খুব বড় হওয়া ও উচিত নয়।

প্রবন্ধের ভাষা সহজ এবং প্রাঞ্জল হওয়া উচিত বাঞ্ছনীয়। সন্ধি, সমাসবদ্ধ পদ, অপরিচিত বা অপ্রচলিত শব্দ যথাসম্ভব চেষ্টা পরিহার করা ভালো।

বাগাড়ম্বর বা অলংকারবহুল শব্দ ব্যবহার এর করা হলে অনেক সময় বিষয়টি জটিল ও দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে পড়ে। সাবলীল এবং প্রাঞ্জল ভাষারীতির মাধ্যমে রচনাকে যথাসম্ভব রসমন্ডিত হৃদয়গ্রাহী করার চেষ্টা করতে হয়।

প্রবন্ধরচনায় রাতারাতি দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব ও নয়। এ নিয়মিত অনুশীলন দরকার। এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত দিকগুলো তুলে সহায়ক হতে পারে :

  1. প্রবন্ধ লেখার দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রচুর এমন প্রবন্ধ বা রচনা পড়তে হবে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ, সংবাদ, ও প্রতিবেদন, ফিচার ইত্যাদি নিয়মিত করলে নানা বিষয়ের ধারণা জন্মায় আবার শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পায়। এতে লেখা সহজ ও হয়ে ওঠে।
  2. প্রবন্ধের বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ও ধারণা থাকা দরকার। প্রবন্ধের বিষয়বস্তু, যুক্তি, তথ্য, তত্ত্ব, বিচার- বিশ্লেষণ হয় ইত্যাদি বিষয়ানুগ প্রাসঙ্গিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত চাই। এই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সেদিকে লক্ষ রাখা হয় দরকার।
  3. ভাষারীতিতে সাধু এবং চলিত যেন মিশে না এই যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অযথা অপ্রাসঙ্গিক এমন তথ্য, উদ্ধৃতি ব্যবহার ও করা উচিত নয়।
  4. প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া  নিজের বক্তব্যকে আরো আবার জোরালো করার জন্য প্রবাদ- প্রবচন, কবিতার এর পঙক্তি উদ্ধৃতি ইত্যাদি সন্নিবেশ করা চলে।
  5. নিজের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, চিন্তাশক্তি, পঠন পাঠন, ভাষাগত দক্ষতা এবং  উপস্থাপন কৌশল ইত্যাদি প্রয়োগ করে প্রবন্ধ যথাসম্ভব হৃদয়গ্রাহী করার চেষ্টা করা উচিত।

দিনলিপি রচনা লেখার নিয়ম

উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় পত্রে দিনলিপি  নির্মিতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তবে দিনলিপি লেখার নিয়ম hsc জানার কারণে সহজ হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই বিষয় এড়িয়ে যায়। তাই আজ কোর্সটিকায় আমরা এ টপিকটি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।

ইংরেজি Diary এসেছেন ল্যাটিন এর শব্দ Diarium থেকে। শব্দটির বাংলা আভিধানিক অর্থ ব্যক্তিগত দৈনিক অর্থনীতি জীবনযাত্রার কাহিনী বা দিনলিপি। এটির ফার্সি পরিভাষা এই রোজনামচা।

অর্থাৎ দিনলিপি হচ্ছে তা-ই, যেখানে মানুষ তার প্রতিদিনের মত জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো লিপিবদ্ধ করে। (A book in which one keeps  daily record of event in and experience)।

প্রতিদিনকার ব্যস্ত জীবনে মানুষ মুখোমুখি হয় এমন বিচিত্র অভিজ্ঞতার সেগুলো কখনো সুখের কখনো কোনো  দুঃখের। কিন্তু মনে হয় সে সুখ বা দুঃখটাই জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া।

শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তিটুকুকে মানুষ অক্ষয় করে তুলতে ভালোবাসে সেজন্য কেউ কেউ সে বিষয় নিয়ে গান কবিতা লেখে, কেউ বা প্রিয় খাতায় তার গদ্য ভাষা থাকে লিপিবদ্ধ করে। দিনলিপি রচনার ব্যাপারটা অনেক তেমনই।

একজন ব্যক্তি জীবনের ঘটে যাওয়া বিশেষ ঘটনা যখন লিপিবদ্ধ যখন দিনলিপিতে লিপিবদ্ধ করেন তখন ব্যক্তির মানসিক অবস্থা, ইচ্ছা, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ,

সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বাইরের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার ইচ্ছা ভালবাসার প্রকৃতির সুস্পষ্ট তথ্যসূত্র আবিষ্কার করা সহজ হয়। তবে হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন খাতায় লিখে রাখলে সেটা হয়ে যায় না। দিনলিপি হতে গেলে তাকে আরও শর্ত মেনে চলতে হয়।

দিনলিপি পৃষ্ঠার একেবারে উপরের ডান বা বাম পাশে তারিখ ও বারের নাম লিখতে হয়। কেননা এর মাধ্যমে বোঝা যায় এমন  ঘটনাটি কত তারিখে এবং কি বারে ঘটেছিল।

২. দিনলিপিতে ঘটনার সময় ও স্থানের এমন নাম লিখতে হবে এর মাধ্যমে ঘটনাটির সময় এবং স্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

৩. দিনে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা এবং বিস্তারিত বিবরণ নয়, বরং উল্লেখযোগ্য বিশেষ বিশেষ ঘটনা সংক্ষেপে এমন লিপিবদ্ধ করতে হবে।

৪. দিনলিপিতে সহজ, সরল, স্পষ্ট ও প্রত্যক্ষ এমন ভাষায় কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কোন বিশেষ ভাবনা চিন্তা বা কৌতূহলজনক এই কিছু লিখে রাখা হয়।

৫. দিনলিপিতে নিজের বা উত্তম মাধ্যম পুরুষ (আমি, আমরা) লেখা হয়।

৬. দিনলিপিতে সাধারণত কোন অনুষ্ঠান, প্রধান কোন বিপর্যয়, কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, কোন বিশেষ ভাবনাচিন্তা বা এই কৌতূহলজনক কিছু লিখে রাখা হয়।

৭. দিনলিপির ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন চরিত্রগুলোর পরিচয় সংক্ষেপে তুলে ধরতে হবে।

৮. দিনলিপিতে লেখক এর বর্ণনা বা বিবরণ গোছালো এবং পরিচ্ছন্ন লেখা হওয়া উচিত।

৯. দিনলিপি একান্ত ব্যক্তিগত জীবনে রচনাবলী। এতে নিজস্ব অভিমত প্রকাশ দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ইত্যাদি খোলাখুলিভাবে  করা চলে।

১০. দিনলিপিতে সব সময় সত্য ও প্রকৃত ঘটনা এবং  তুলে ধরতে হবে।

রচনা লেখার নিয়ম প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম
রচনা লেখার নিয়ম প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম

প্রতিবেদন রচনা লেখার নিয়ম

প্রতিবেদন অংশে মোট নম্বরের দশ শতাংশ অন্তত আছেই। তাই প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সঠিক জেনেই পরীক্ষার হলে ঢোকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

আর লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া ব্যাপারই না। আবার ছোটখাটো ভুলের জন্য মোটা অঙ্ক খাতা  সরে যাই যাই অবস্থা হয়। ব্যাপারটা প্রতিরোধ করার উপায়: প্রতিবেদন লেখার যথাযথ কাঠামো অনুসরণ করা।

প্রতিবেদন শব্দটি ইংরেজি শব্দ “Report” থেকে প্রায় এসেছে। এর অর্থ হলো সমাচার, বিবৃতি বা বিবরণী। নির্দিষ্ট কোন এক বিষয় সংশ্লিষ্ট যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধানের পর আর সেটিকে সুসংগঠিত করে বিবরণী আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো উপস্থাপন করাই হল প্রতিবেদন।

অর্থাৎ, যেকোন সময় নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ বিবরণীকেই সংক্ষেপে প্রতিবেদন জমা বলা যেতে পারে। প্রতিবেদন লেখার নিয়ম ও উদাহরণ এ ব্লগের মূল আলোচ্চ্য বিষয়।

প্রতিবেদনের নির্দিষ্ট শ্রেণিবিভাগ নেই। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এর  প্রতিবেদন নানা রকম হতে পারে। নবম-দশম শ্রেণিতে এই প্রতিবেদনকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।

যেমন : সংবাদ প্রতিবেদন, তদন্ত প্রতিবেদন এবং সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন। প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন লেখার নিয়ম, সংবাদ প্রতিবেদন এর লেখার নিয়ম  তদন্ত প্রতিবেদন লেখার নিয়মের মধ্যে তেমন কিছু পার্থক্য রয়েছে।

প্রথম অংশ: দুই লাইনের মধ্যে একটি দৃষ্টিনন্দন এই শিরোনাম দেয়া উচিত।

দ্বিতীয় অংশ: এরপরের অংশে বিস্তারিত এমন বর্ণনা লিখতে হয়। সংবাদ প্রতিবেদন লেখার সুবিধা হলো এতে তাই শুধু শিরোনাম লিখেই সরাসরি মূল লেখায় চলে যাওয়া যায়।

এ ধরনের তাই প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে সম্পাদকের নিকট আনুষ্ঠানিক  কিংবা খাম আঁকার প্রয়োজন নেই। প্রশ্নে সংবাদপত্র বা প্রতিবেদকের থাকলে সেটা অনুসরণ করতে হবে। আর তা না থাকলে কাল্পনিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম

যে কোন বিষয়ে প্রবন্ধ লেখার শুরুতে রচনাকারীকে বিষয়বস্তুটি ভালভোবে লক্ষ্য করতে হয়। বিষয়টি গুরুত্ব ও তাৎপর্য নির্ধারণ করতে হয় তারপরই। প্রবন্ধকার বিষয় সম্পর্কে নিজের বক্তব্যগুলো নির্ধারণ করবেন।

অর্থাৎ প্রবন্ধ এর বিষয় সম্পর্কে তার কী বলবার অছে সেগুলোকে নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় এই নোট সংগ্রহ করবেন। তারপর তিনি কোন পদ্ধতিতে তার যুক্তিগুলো করে উপস্থাপন করবেন তা নির্ধারণ করবেন। কারণ তথ্য ও যোগাযোগ যুক্তির পারম্পর্য সফল ও সার্থক প্রবন্ধের পূর্বশর্ত।

প্রবন্ধকে তিনটি অংশে রয়েছে বিভাজন করে নেয়া প্রয়োজন; সূচনা, মূলবক্তব্য এবংউপসংহার। সূচনা অংশে এমন প্রবন্ধকার তাঁর বিষয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করবেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে একটি প্রবন্ধ রচনা করতে যাচ্ছেন তার কার্যকারণ এবং ব্যাখ্যা করবেন।

মূল বক্তব্য অংশে প্রবন্ধকার তাঁর যুক্তিজাল বিস্তার করবেন ও ধাপে ধাপে তাঁর বক্তব্যকে সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থাপন করবেন। এই অংশে তিনি বিষয়ের পক্ষে ও বিপক্ষে যত ‍যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি অর্থাৎ রেফারেন্স এবং ক্রস রেফারেন্স প্রদান করবেন।

ও সেই সঙ্গে পক্ষে-বিপক্ষের যুক্তিগুলোকে আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে এই  একটি সাধারণ সত্যে উপনীত হবার চেষ্টা করবেন।

আর উপসংহার নানা ভাবে অংশে প্রবন্ধকার তাঁর মতামতসহ সমগ্র বক্তব্যের এটি সংক্ষিপ্তসা উপস্থাপন করবেন। কোন কোন ক্ষেত্রে এ অংশ প্রবন্ধকার বিষয়বস্তু দাবী অনুযায়ী এই  আলোচনালব্ধ পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করতেও পারেন।

প্রবন্ধ এর যে তিনটি অংশের কথা বলা হল, যেন একটি জৈবিক ঐক্যে গ্রথিত হয়। সূচনা, মূলবক্তব্য এবং উপসংহার অংশ তিনটি যেন পরস্পর পরস্পরের সম্পূরক হয়- সেগুলো যেন সেটা  কোনভাবে তিনটি বিচ্ছিন্ন অংশে পরিণত না হয়।

মনে হয় রাখা দরকার, সূচনা অংশেরই বিবর্ধিত রূপ পাওয়া যাবে মূল অংশে।তাই আবার একইভাবে, উপসংহার অংশে থাকতে হবে সূচনা ও  অংশের অর্থাৎ সমগ্র অংশের সংক্ষিপ্ত সার।

প্রবন্ধ মূলত ভাষা এবং যুক্তির শিল্পরূপ। কারণে রচনাকারের ভাষাগত দক্ষতা ও সাবলীলতা এটি আকর্ষণীয় প্রবন্ধ লেখার পূর্বশর্ত। আর ভাষাগত দক্ষতা ও সাবলীলতা আবার অর্জিত হয় ভাষার নিয়মিত ও পর্যাপ্ত অনুশীলনের মাধ্যমে। এজন্য এমন  সার্থক প্রবন্ধকার হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে নিয়মিত ভাষার অনুশীলনও করতে হবে।

এবং আসুন প্রবন্ধ লেখার নিয়ম আবার  কৌশলগুলো সূত্রাকারে উপস্থাপন করি-

ক) প্রবন্ধ রচনার শুরুতে মূল এমন বক্তব্য স্থির করতে হবে;

খ) বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ের নানা নোট সংগ্রহ করতে হবে;

গ) যুক্তির পারস্পর্য সাজিয়েও নিতে হবে;

ঘ) প্রবন্ধটি তিনটি অংশে বিভক্ত ও করতে হবে;

ঙ) প্রবন্ধের তিনটি অংশ জৈবিক এবং ঐক্যে সংগ্রথিত হতে হবে;

চ) প্রবন্ধের ভাষা নির্ধারিত হবে এমন  বিষয়বস্তু অনুসারে;

ছ) প্রবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য ও তত্ত্ব এর যথাযথ সূত্র নির্দেশ করতে হবে; এবং

জ) রচনারীতির ব্যাপারে লেখক এর  বিবেচনা বোধ প্রখর হতে হবে।

রচনা লেখার নিয়ম
রচনা লেখার নিয়ম

রচনা লেখার নিয়ম

মালা গাঁথতে হলে যেমন নানারকম ফুল সংগ্রহও করতে হয়, প্রবন্ধ রচনা করতে হলেও তেমনি নানা চিন্তা ভাবনা তথ্য জোগাড় করতে হয়।

কোনো বিষয়ে প্রবন্ধ লিখতে হলে এমন  বিষয়ে যে সব চিন্তা ও তথ্য মাথায় আসে সেগুলো সংকেত হয়  সূত্র হিসেবে প্রথমে খসড়াভাবে টুকে রাখবে।

আরো পড়ুন: স্তম্ভ লেখ কাকে বলে

ঐ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কোনো যেকোনো বই, পত্র পত্রিকার সাহায্য নিয়ে বা শিক্ষক শিক্ষিকা, মা বাবা বা অন্য সঙ্গে আলোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করে তাও টুকে রাখবে।এগুলো হলো প্রবন্ধ রচনা এর  উপকরণ।

মালা গাঁথার সময় যেমন এক রঙের ফুলকে অন্য রঙের সঙ্গে মিলিয়ে সাজাতে হয় তেমনই প্রবন্ধ হয়  লেখার সময় প্রবন্ধের এক একটা দিককে গুরুত্ব অনুযায়ী প্রশ্নের সাজাতে হয়।

  • প্রবন্ধ লেখার আগে তাই তোমার একটু এলোমেলো সংক্তেসূত্রগুলো ধারাবাহিকভাবে এই সাজিয়ে নেবে।
  • প্রবন্ধ রচনার একটা তে সাধারণ কাঠামো রয়েছে।এর তিনটি ও অংশ। যেমন:
  • ভূমিকা, মূল অংশ এবং উপসংহার।
  • প্রবন্ধ রচনার সময় এ কাঠামো অনুসরণ করা দরকার।
  • এটি প্রবন্ধ এর মধ্যভাগ। প্রবন্ধের মূল বক্তব্য এখান কয়েকটি অনুচ্ছেদে উপস্থাপন ও করা হয়।
  • এজন্যে প্রথমে মনে ছক করে নেওয়া ভালো। কাগজে খসড়া করে নেওয়া চলে।
  • প্রতিটি অনুচ্ছেদের শুরুতে প্রয়োজনে সংকেত এবং পয়েন্ট লেখা যেতে পারে। সংকেতগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী পর এক সাজাতে হয়।

Leave a Comment