মানসিক স্বাস্থ্য কাকে বলে? মুক্তপাঠ মানসিক স্বাস্থ্য
মানসিক স্বাস্থ্য কাকে বলে: মানব জীবনের সুস্থ থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য বিষয়। সুস্থ থাকার বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম প্রক্রিয়া হলো মানসিকভাবে সুস্থ থাকা। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অথবা অন্যান্য কার্যক্রমের ক্ষেত্রে মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
তাই প্রত্যেককে মানসিক সুস্থতা কাকে বলে এই সম্পর্ক ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে জানা প্রয়োজন। উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে মানসিক সুস্থতা কাকে বলে এবং লক্ষণসমূহ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা করছি।
শারীরিকভাবে সুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থতা এই দুইটি মানুষের জীবনে বিপুল আকারে প্রভাব ফেলে।
জীবনযাপনের ক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থতা যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসিক সুস্থতা।
মানসিক সুস্থতা একজন মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে এবং যেকোনো কাজের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং মানসিক সুস্থতা কাকে বলে আমাদের জীবনের মানুষের সুস্থতা কেন প্রয়োজন এই সম্ভাবনা জ্ঞান অবগত হওয়া প্রয়োজন।
সুস্থ স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবনের ক্ষেত্রে মানসিক সুস্থতার বিকল্প নেই।
আরো পড়ুন: মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান কাকে বলে
বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রয়েছে ওই সকল বিভিন্ন শাখা গুলোর মধ্যে একটি শাখা হলো মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান।
মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান হলো মূলত মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করা হয় যে গ্রন্থে অথবা বিজ্ঞানের যে শাখায় ওই শাখা কে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
মনস্তত্ব বিভিন্ন বিষয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য নির্ধারণ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে বিজ্ঞানের করা হয়।
- এছাড়াও এ শাখায় –
- মানসিক রোগের ব্যাপ্তি,
- মূল কারণ,
- প্রতিকার ও প্রতিরোধের
ইত্যাদির উপর বিভিন্ন তথাপি আলোচনা ও গবেষণা করা হয়।
কি কি কারনে মানসিক রোগ হতে পারে আবার এ সকল মানুষের রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার বিভিন্ন কৌশল সমূহ বিজ্ঞানী এ শাখায় আলোচনা করা হয়ে থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্য বৈশিষ্ট্য
মানুষের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার মধ্যে ইতিবাচক মানসিক স্বাস্থ্য এবং পাশাপাশি নেতিবাচক মানুষের স্বাস্থ্য ইত্যাদি রয়েছে।
তবে মানুষের স্বাস্থ্যের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য সমূহের মধ্যে রয়েছে :-
ইতিবাচক আনন্দ অনুভব করা,
যেমন: সুখ, গর্ব, সন্তুষ্টি এবং ভালোবাসা পাশাপাশি আনন্দময় অনুভব করা।
এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্যের ইতিবাচক লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে ইতিবাচক সম্পন্ন থাকা অর্থাৎ মানসিকতার প্রতি যত্নশীল হওয়া।
এছাড়াও রোগী সমূহ :
- তারা ভয়,,
- রাগ,,
- প্রেম,,
- ঈর্ষা,,
- অপরাধবোধ,,
- উদ্বেগের মতো,,
- অথবা আবেগ দ্বারা অভিভূত হয় না,,
মানসিক স্বাস্থ্য কাকে বলে
শরীর এবং মনের দিক থেকে সুস্থ থাকা এবং সুস্থ পরিবেশে সুস্থ ও সংগতিপূর্ণ বিধানকে মানসিক স্বাস্থ্য বলা হয়ে থাকে।মানুষ সামাজিক জীব মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূলতা রয়েছে।
ওই সকল প্রতিকূলতার সাথে তাল মিলিয়ে অথবা তা সামলানোর মাধ্যমে নিজেকে ঠিক রাখা এবং নিজের মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখা পাশাপাশি মস্তিষ্কে কে সহ্য করার মাধ্যমে,
বিভিন্ন ইতিবাচক ও নেতিবাচক পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে সামাজিকভাবে স্বাস্থ্যগতভাবে সুস্থ থাকার যে প্রক্রিয়া রয়েছে তাকে মানসিক স্বাস্থ্য বলা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন চাহিদার মাধ্যমে ও সংকটময় আবেগী ও ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এড়িয়ে সুস্থভাবে জীবন ধারণ করার প্রক্রিয়া এবং সংগতিপূর্ণ বিধানকে মানসিক স্বাস্থ্য বলা হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
১. নিয়মমাফিক ভাবে চলাচল করা। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিগুলো থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে খেয়াল রাখা এবং অতিরিক্ত চাপ না নেয়া।
২. শারীরিক এর পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই।
৩. শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য এবং মানুষের মানসিক ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা।
৪. মোবাইল ফোন ইত্যাদি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি ল্যাপটপে সমূহ অর্থাৎ যন্ত্রপাতি সমূহের ব্যবহার সম্ভব কম করা এবং এড়িয়ে চলা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিভিন্ন কার্যক্রম পাশাপাশি প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ইত্যাদি সমূহের সঙ্গে সময় কাটানো।
৫. মস্তি সুখে যথাসম্ভব উন্নয়নমূলক বা শিক্ষনীয় কাজের ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখা বা ব্যস্ত রাখা।
মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ
মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে এরূপ কিছু লক্ষণ হলো:
১. চাহিদার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে অর্থাৎ নিজের চাহিদা তুমি তো আকারে রাখতে হবে।
২. মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে ব্যক্তির সম্পূর্ণভাবে মানসিক আত্মতৃপ্তি প্রয়োজন তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
৩. পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিতে হবে। মানব জীবনের যেকোনো সময় ইতিবাচক বা নেতিবাচক পরিস্থিতি আসতে পারে।এক্ষেত্রে যথাসম্ভব ইতিবাচক পরিস্থিতিকে গ্রহণ করতে হবে এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতিবাচক পরিস্থিতিকে এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. নিজেকে নিজের আত্ম মূল্যায়ন ক্ষমতার অধিকারী করে গড়ে তুলতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের একটি অন্যতম লক্ষণ হল আত্ম মূল্যায়ন ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠা।
৫. যে কোন কাজের ক্ষেত্রে অথবা যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস দৃঢ় করে রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়,
শিক্ষায় মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব
- মানসিকভাবে সুস্থ ক্ষেত্রে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
- একজন অসুস্থ বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির শিক্ষার কোন মূল্য বোঝেনা।
- তাছাড়া, পারিবারিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকে কোনোভাবে মূল্যায়ন করা হয় না।
- সার্থকতা ভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীমভাবে উল্লেখযোগ্য।
- নিজের পরিবারের সাথে সুস্থভাবে মিশা এবং যেকোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
- বিভিন্ন দ্রুত ও তাৎক্ষণিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অথবা প্রধান ব্যবস্থা অপনয়ন ও বিভিন্ন ধরনের আদাবিপত্তি ও কাজের ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে মানসিক সুস্থতা কাকে বলে মানুষের সুস্থতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ইত্যাদি সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে আপনার যে সকল তথ্য জানার ছিল তা যদি আমাদের পোস্টের মাধ্যমে যথাযথভাবে বিস্তারিত জানতে পেরে থাকেন এবং উপকৃত হতে পারেন তাহলে অবশ্যই তা আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
এছাড়াও এই সম্পর্কে আপনার যেকোন তথ্য বা মতামত জানার থাকলে আমাদেরকে কমেন্টে মাধ্যমে জানাতে পারেন।
১. মানসিক স্বাস্থ্যে ADL মানে কি
= মানসিক স্বাস্থ্যে ADL/ দৈনন্দিন জীবনে কার্যকলাপ হল সম্মিলিতভাবে নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং মৌলিক দক্ষতাগুলোর ব্যবহার ও বর্ণনা করা।
২. স্বাধীনতার অভাব কি মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে
= হ্যা, স্বাধীনতার অভাব মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।
৩. দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ গুলি কি কি?
- = বিষণ্নতা,
- অ্যাংজাইটি,
- বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার,
- সিজোফ্রেনিয়া,
- সাইকোসিস ডিজঅর্ডার,
- সাবস্টেন্স অ্যাবিউজ,
- ওসিডি,
- হেলথ অ্যাংজাইটি ইত্যাদি।
৪. মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলতে কী বোঝায়?
= বিজ্ঞানের জিনিস থাকায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা ও গবেষণা ইত্যাদি করা হয়ে থাকে তাকে মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলে।
৫. মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক রোগের পার্থক্য
= স্বাস্থ্য সব সময় থাকলেও তা কখনো ইতিবাচক কখনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে মানসিক রোগ রোগীকে দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব ফেলার কারণে দীর্ঘ সময়ের কাজের ক্ষমতাকে বিনষ্ট করে।
৬. স্বাস্থ্য কি বা কাকে বলে?
= সামাজিক, শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার অবস্থাকে স্বাস্থ্য বলে।
৭. আমার কি মানসিক রোগ আছে নাকি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি ভাবে বুঝবো?
= অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া অথবা মানসিক রূপ দুটি আলাদাভাবে লক্ষণ রয়েছে, মানসিক অবস্থা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং তা মানসিক অবস্থা তৈরি হওয়ার বিভিন্ন লক্ষণসমূহের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয় তবে বুঝতে হবে মানসিক রোগ সৃষ্টি হয়েছে।
৮. মানসিক স্বাস্থ্য কিভাবে একজন মানুষের উপর প্রভাব ফেলে
=স্বাস্থ্য প্রভাব ফেলার ফলে রোগীর ক্ষেত্রে তা বুদ্ধিমত্তার উপর প্রভাব বিস্তার করে । মানসিক রোগ দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে রোগী তার নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তেমন কোন কাজ করতে পারে না।
৯. মানসিক স্বাস্থ্যের চার প্রকার কি কি
- =°মেজাজের ব্যাধি,,
- ° উদ্বেগজনিত ব্যাধি ,,
- ° ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,,
- ° মানসিক ব্যাধি,,
১০. শারীরিক অসুস্থতা কী?
= শারীরিক ভাবে শরীর এবং জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার যে পরিস্থিতি বা শারীরিক অবস্থা তৈরি হয় তাকে শারীরিক অসুস্থতা বলে।