টেকনোলজি

মাইক্রোপ্রসেসর কি?  Microprocessor এর কাজ

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের ওয়েবসাইটের মাইক্রোপ্রসেস রিলেটেড মাইক্রোপ্রসেসের ভিত্তিক উক্ত পোস্টটিতে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আমাদের এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে —

→মাইক্রোপ্রসেসর কি→কিভাবে কাজ করে? 

→মাইক্রোপ্রসেসরের উদাহরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি। 

তোমার সময় সবচেয়ে উন্নত অন্যতম ইলেকট্রনিক ডিভাইস হিসেবে পরিচিত হলো কম্পিউটার। যে কারণে কম্পিউটারকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করা যায়। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটারের প্রধান ও অন্যতম অংশ হলো মাইক্রোপ্রসেসর। 

ব্যবহার করার মাধ্যম বিভিন্ন জটিল ও সহজ কাজ করা যায়। কিভাবে কাজ করে,, কি কি কাজ করে ইত্যাদি বিভিন্ন উদাহরণ সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য। 

মাইক্রোপ্রসেসর কি

কম্পিউটারে যে সকল কার্য ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কম্পিউটারের যে অংশটি বাজে হার্ডওয়ারটি সর্বাধিক ভূমিকা পালন করে থাকে তাকে মাইক্রোপ্রসেসর বলা হয়। 

সাধারণত সিলিকনের তৈরি এক ধরনের ভিএলএসআই চিপ। অর্থাৎ VLSI- Very Large Scale Integration,,,এটি সাধারণত একটি একক সিলিকন চিপের মধ্যে এক মিলিয়নের মত বা তার চেয়ে অধিক ট্রানজিস্টর রেজিস্টার, ক্যাপাসিটর, ডায়োড,,ইত্যাদি থাকে। 

তাছাড়া মাইক্রোপ্রসেসর একটি মাইক্রো কম্পিউটার প্রক্রিয়াকরণ হিসেবে সর্বদা কাজ করে থাকে। সে কারণে মাইক্রোপ্রসেসর হলো কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বা ব্রেইন। 

মাইক্রোপ্রসেসরের কিভাবে কাজ করে

মাইক্রোপ্রসেসর একটি মাইক্রো কম্পিউটারে সিস্টেম ক্লক এর মাধ্যমে কার্যাবলী গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে সিস্টেম ব্লকের কাজের গতি যদি অনেক বেশি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে কম্পিউটারের কাজে গতীয় বৃদ্ধি পায়। তবে সিস্টেম ব্লকের গতি যদি কম হয় তাহলে কম্পিউটারের কাজ কাজের গতি কমে যায়। 

মাইক্রো কম্পিউটারের গতি বিবেচনা করার জন্য মাইক্রোপ্রসেসর এর যে ব্লক স্পিড রয়েছে তা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে ক্লোক স্পিড পরিমাণ করা হয় প্রতি সেকেন্ডে কতটি স্পন্দন হওয়ার সময় কি এক মেগা হার্টের হিসেবে অভিহিত করা হয়। 

যেমন :-যদি কোন প্রসেসরের গতি ৩৫ মেগা হার্টের হয়, তাহলে তার অর্থ হবে সেটি প্রতি সেকেন্ডে ৩৫,০০০,০০০ স্পন্দন তৈরি করতে পারে। অর্থাৎ  প্রসেসরটি প্রতি সেকেন্ডে ৩৫,০০০,০০০ ইন্সট্রাকশন আদান প্রদান করতে পারবে। এভাবে এই স্পন্দনটি ক্লিক স্পিড নামে পরিচিত। একটি প্রসেসর এর প্রিন্ট কেমন হবে সেটি ভেজাহাজের মাধ্যমে অথবা মেগা হার্ট ও কিলো হার্জ এর মাধ্যমে বোঝানো হয়। 

সাধারণভাবে বিভিন্ন কম্পিউটার নির্মাতা গণ কম্পিউটার তৈরি করার প্রথম দিকে 5 MHz থেকে 8 MHz পর্যন্ত স্পিড সমূহ কে সমৃদ্ধ করে এবং পরবর্তীতে তা 8 MHz থেকে 12 MHz-এ উন্নীত করে। এভাবে ১৯৯০ সালের দিকে সর্ব প্রথম ইন্টার কর্পোরেশন যখন 

8046 DX নির্মাণ করা শুরু করেন তারপর থেকে 66 MHz স্পিডের বিভিন্ন প্রসেসর তৈরি করা শুরু হয়। এভাবে পরবর্তী সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন স্পিডের প্রসেসর নির্মাণ করেন এবং বর্তমান সময়ে তা 500 MHz থেকে 4 GHz পর্যন্ত স্পিডে পরিণত হয়। 

তবে সার্বিকভাবে কম্পিউটারের ভালো গতি পাওয়ার জন্য কম্পিউটারের আরো বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয় করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেগুলো একের পর এক কম্পিউটার ভিত্তিক বিভিন্ন কাজ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। 

মাইক্রোপ্রসেসরের উদাহরণ

  • বর্তমান সময়ে মাইক্রোপ্রসেসর গুলো খুজে পেতে বিভিন্ন পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী বাজেটের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত একটি অর্জন। যার মাধ্যমে সঠিক তথ্যের সাথে নির্ভুলভাবে বালক খরচ সুবিধা অনুপাত ইত্যাদি সমূহ থাকবে। 
  • মাইক্রোপ্রসেসর এর একটি অন্যতম অংশ হলো পেট্রিয়াম। পেটিএমটি ব্যবহার করার মাধ্যমে তারা ইন্টার প্রসেসর অর্থাৎ একক সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি। যেটি অতীতকালে সার্কিটের সাথে অধিগ্রহণযোগ্যভাবে ব্যাপক পরিচিত থাকার ফলে বর্তমান সময়ে বাণিজ্যিকভাবে খুব উপকৃত হচ্ছে। 

 মাইক্রোপ্রসেসরের কয়টি অংশ

সাধারণত মাইক্রোপ্রসেসরের  তিনটি অংশ। সেগুলো যথাক্রমে :-

  1. নিয়ন্ত্রণ অংশ,,,

২. গাণিতিক যুক্তি অংশ,,, 

৩. রেজিস্টারসমূহ,,,,

  1. নিয়ন্ত্রণ অংশ:-নিয়ন্ত্রণ বা কন্ট্রোল ইউনিটের কম্পিউটারের যে সকল অংশ রয়েছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনার কাজে এটি নিয়োজিত। এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে একটি কম্পিউটারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নির্দেশসমূহ দেওয়া যায়। এছাড়াও এটি  কার্যকর এবং প্রয়োজনীয় সংকেত প্রদান করে।

নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ইউনিট বা প্রদান কাজ হলো মেমোরি হতে যেসকল ইনস্ট্রাকশন রয়েছে সেগুলোর কোড পড়া এবং ডিকোড  করা। ফলে মাইক্রোপ্রসেসর টি বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় যে সকল কন্ট্রোল রয়েছে সেগুলো সিগনাল তৈরি করে।

যখন কোন তথ্যের প্রয়োজন হয় তখন সহায়ক মেমোরি হতে যে সকল তথ্যসমূহ প্রদান মেমোরিতে নিতে হয় সেগুলো কখনো কখনো ইনপুট হতে উপাত্ত হিসেবে ফলাফল প্রদান করে। এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

২. গাণিতিক যুক্তি অংশ:-কম্পিউটারে নিয়ন্ত্রণ অংশে তত্ত্বাবধান অনুযায়ী গাণিতিক যে সকল যুক্তি রয়েছে এবং গাণিতিক লজিক্যাল অপারেশন কাজ সম্পাদন করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গাণিতিক অপারেশন গুলো যোগ করা, বিয়োগ করা, গুন করা, ভাগ করা, ইত্যাদি বিভিন্ন লজিক্যাল অপারেশনগুলো তুলনা শর্ত নেতা যাচাই ইত্যাদি করা হয়। 

এছাড়াও রেজিস্ট্রেশনের যে সকল তথ্য রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ করা,, রেজিস্ট্রেশন পরিষ্কার করুন,, সংরক্ষিত তথ্যসমূহ ডান থেকে বামে বাম থেকে ডানে ইত্যাদি সরানোর কাজে এটি সম্পাদন করে।

 বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক বর্তনী রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে গাণিতিক যুক্তিসমূহ এবং বিভিন্ন কার্যাবলী সম্পাদন করার মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী অস্থায়ীভাবে রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হয়। 

বর্তমান সময়ে মাইক্রোপ্রসেসরে যে কোডগুলো রয়েছে সেগুলো কাজের গতি বাড়ানোর প্রয়োজনে একবার একাধিক গাণিতিক যুক্তি অংশে ব্যবহার করা হয়। 

৩. রেজিস্টারসমূহ:-মাইক্রোপ্রসেসরে যে সকল অস্থায়ী মেমোরি রয়েছে সেগুলো রেজিস্টার কাজ করে থাকে। করে রেজিস্ট্রার সমূহ বিভিন্ন flip ফ্লপেট  সাহায্যে এগুলো তৈরি করে। সম্পাদন করার জন্য রেজিস্টারে ব্যবহৃত অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ফ্লিপ  রয়েছে। 

যেমন:- প্রোগ্রাম কাউন্টার,, ইনস্টাকশন রেজিস্টার,, অ্যাকুমুলেটর,  ইত্যাদি। যখন হিসাব নিকাশের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে তখন ডেটা গুলোকে জমা রাখার জন্য সাময়িক ভাবে রেজিস্টার সমূহ ব্যবহার করা হয়। 

মাইক্রোপ্রসেসর কি
মাইক্রোপ্রসেসর কি

 Microprocessor এর কাজ কি

মাইক্রো প্রসেসর এর বিভিন্ন কাজ রয়েছে। নিম্নে মাইক্রোপ্রসেসর এর কাজগুলো তুলে ধরা হলো :-

১. কম্পিউটারের মেমোরিতে সংরক্ষিত বিভিন্ন প্রোগ্রাম সমূহ নির্বাহ করা। 

২. বিভিন্ন ধরনের যুক্তি মূলক বা গাণিতিক মূলক কাজ করা এবং সিদ্ধান্ত মূলক কাজ গ্রহণ করা। 

৩. এনকোড  ও ডিকোট এবং ইন্সট্রাকশন প্রদান করা। 

৪. আউটপুট এবং ইনপুট এর অংশগুলো সমন্বয় সাধন করা। 

৫. বিভিন্ন ধরনের ডাটা মজুদ করন এবং সহায়ক স্মৃতিতে নির্দেশনা প্রদান করে। 

৬. কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রক্রিয়া করণ করার পর হিসাবের ফলাফল গুলো প্রদর্শন করা এবং প্রস্তুত করা। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে কম্পিউটারে অন্যতম প্রধান অংশ মাইক্রোপ্রসেসর সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি। 

আশাকরি আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা মাইক্রোপ্রসেসের সম্পর্কিত যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথ ভাবে জানার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button