আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে ভৌত পরিবর্তন কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো, জানতে চাইলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
ভৌত পরিবর্তন কি
ভৌত পরিবর্তন হল যেখানে পদার্থের রূপ পরিবর্তিত হয় এমন এক ধরনের পরিবর্তন কিন্তু একটি পদার্থ অন্য পদার্থে রূপান্তরিত হয় না। বস্তুর আকার অথবা আকৃতি পরিবর্তিত হতে পারে, তবে কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয় না।
ভৌত পরিবর্তনে কোনো রকমের নতুন পদার্থ তৈরি হয় না, যদিও পদার্থের রূপ বদল হয় যেমন, আকার, আকৃতি, আয়তন, চেহারা, এবং রঙ, অবস্থা (যেমন কঠিন, ও তরল, গ্যাস) ইত্যাদি।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পানিতে চিনি দ্রবীভূত করা (চিনি পানির সাথে মিশে যায় তবে অণু পরিবর্তন হয় না ও পানি ফুটিয়ে চিনি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব) একটি ভৌত পরিবর্তনের উদাহরণ।
ভৌত পরিবর্তনের উদাহরণ
ভৌত পরিবর্তনের উদাহরণগুলোর মধ্যে আছে
# পানি বরফে রূপান্তর হওয়া।
# বরফ গলে যাওয়া।
# জল বাষ্পে রূপান্তর হওয়া।
# মোম গলে যাওয়া।
# লোহার টুকরার চুম্বকত্ব লাভ করা।
# মাটি দিয়ে মৃৎপাত্র তৈরি করা।
# কর্পূরের বাষ্পীভবন।
# পানিতে চিনি দ্রবীভূত করা।
# কাগজ টুকরা করা।
# ড্রাই বরফের উর্ধ্বপাতন।
# তরল নাইট্রোজেন বাষ্পীকরণ।
ভৌত পরিবর্তনের ৫ টি উদাহরণ
১. পানি, বরফ এবং জলীয় বাষ্প একই রকম পদার্থের তিনটি ভিন্ন ভৌত অবস্থা রয়েছে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানি তরল অবস্থায় থাকে তবে পানির তাপমাত্রা ক 0º সেলসিয়াসে হলে, তরল থেকে বরফে পরিণত করতে থাকে। যদি আবার এই বরফের তাপ বৃদ্ধি করা হয়, তবে বরফ গলে পানিতে পরিণত করে থাকে।
পানির তাপমাত্রা 100º সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়ানো গেলে, এটি জলীয় বাষ্পে রূপান্তরিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ পানি তরল অবস্থা থেকে জলীয় বাষ্পে তৈরি হয়ে থাকে। জলীয়বাষ্পকে ঠান্ডা করা হলে সেইটা পানিতে পরিণত হয়।
২. মোমের দহন হলো ভৌত পরিবর্তন। মোমের সলতেতে আগুন জ্বালালে গরমে কিছু মোম গলে তরল হয়। এই তরল মোম, মোমের গা বেয়ে নিচের দিকে গড়িয়ে পড়তে থাকে। তরল মোমকে ঠান্ডা করলে সেইটা আবার কঠিন মোমে পরিণত হয়ে যায়। মোমের এরুপ পরিবর্তনে এর অণুর গঠনে রকম পরিবর্তন হয় না, তাকেই বলা হয় ভৌত পরিবর্তন।
৩. একটি লোহার টুকরাকে চুম্বক দ্বারা ঘর্ষণ তৈরি করলে লোহার টুকরাটি চুম্বুকত্ব প্রাপ্ত হয়ে যায় তবে লোহা অথবা অন্য কোন পদার্থে পরিণত হয় না। আবার চুম্বকত্ব প্রাপ্ত লোহার টুকরাকে তাপ সৃষ্টি করলে সেইটা চুম্বকত্ব হারিয়ে আবার সাধারণ লোহায় পরিণত হয়ে যায়। সুতরাং এটি হলো ভৌত পরিবর্তন।
৪. খাবার লবণ পানিতে এক লবণ দ্রবীভূত হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। লবণের দ্রবণকে বাষ্পীভূত করা হলে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে উপরের দিকে উড়ে যায় ও লবণ পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। সুতরাং লবণকে পানিতে দ্রবীভূত করার ফলে ভৌত পরিবর্তন হয়।
৫. কঠিন সালফার নরম হয়ে তরল সালফারে পরিণত করা হলে সালফারের রঙ বদল হয়। তবে সালফারের রাসায়নিক গঠন গুলো একই রকম থাকে।
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে ভৌত পরিবর্তন কি? সে সম্পর্কে জানতে পারলেন, আপনার যদি এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে, তবে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করুন।