ভাগের বিপরীত প্রক্রিয়া কি: সাধারণত বাংলা ভাষায় অথবা বাংলা ব্যাকরণের অন্যান্য টপিকের মত একটি টপিক হিসেবে বিপরীত শব্দটি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়ে থাকে।
ভাগের বিপরীত প্রক্রিয়া কি
ভাগ হল একটি গানকে প্রক্রিয়া। কে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন হিসাব নিকাশের মাধ্যমে এর উত্তর হিসেবে যেটা পাওয়া যায় সেটা তুলনামূলক ছোট আকার হয়।
তবে অপরদিকে যদি আমরা গুণ এর হিসাব করি তাহলে সে ক্ষেত্রে যেকোনো দুটি মানে গুণফল একটি বৃহৎ সংখ্যা হয় ওই দুটি সংখ্যা থেকে। তাই গুণকে বিয়োগ এর বিপরীত প্রক্রিয়া বলা হয়ে থাকে।
গুণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলটি বড় আকারের হয় অপরদিকে ভাগের মাধ্যমে সমাধান করা অংক এর ফলাফলটি তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট হয়ে থাকে। উক্ত কারনে ভাগ এর বিপরীত প্রক্রিয়া হিসেবে গুণকে বলা হয়ে থাকে।
ভাগের বিপরীত প্রক্রিয়া
কোনে সংখ্যার দ্বারা ভাগফল নির্ণয় কর,,
৬৩÷৭=?
৬০÷৬=?
৮১÷৯=?
সুতরাং
৬৩÷৭=৯,,
৬০÷৬=১০,,
৮১÷৯=৯,
অর্থাৎ ভাগ প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত ফলাফল ভাজ্য অপেক্ষা সর্বদা কম হয়।
আবার অপরদিকে গুন করার ক্ষেত্রে যেকোনো দুটি সংখ্যাকে গুণ করলে একটি গুণফল পাওয়া যায় এবং গুণফল প্রাপ্ত মান সমূহ অপেক্ষা সর্বদা বড় হয়।
এজন্য গাণিতিক বিশ্লেষণার ফলে ভাগ্যে গুণ এর বিপরীত প্রক্রিয়া বলা হয়।
ভাগের বিপরীত রাশির নাম কী
প্রতিটি রাশির ই বিপরীত রাশি বা সমার্থক রাশি রয়েছে। তেমনি গাণিতিক বিভিন্ন কার্যক্রম অথবা সমাধান করার ক্ষেত্রেও গাণিতিক বিভিন্ন পদক্ষেপের রাশি সমূহের বিপরীত রাশি বিদ্যমান।
যেমন :-যোগ একটি রাশি, বিয়োগ একটি রাশি, গুন একটি রাশি এবং ভাগ একটি রাশি এবং এই সকল রাশিগুলো গাণিতিক রাশি।
এক্ষেত্রীর যোগ রাশিটির বিপরীত শব্দ হলো বিয়োগ রাশি, আবার একইভাবে বিয়োগ রাশির বিপরীত শব্দ হল যোগ রাশি।
তারই ধারাবাহিকতায় গুণ রাশির বিপরীত শব্দ হচ্ছে বাগড়াশী এবং বাগ রাশির বিপরীত শব্দ। অর্থাৎ ভাগের বিপরীত রাশির নাম হল গুন রাশি।
ভাগের বিপরীত পদ্ধতি
যে পদ্ধতিতে দুইটি রাশি বা সংখ্যাকে যোগ করা হয় তাকে যুক্ত রাশির পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া বলা হয়।
আবার যে প্রক্রিয়ায় দুইটি সংখ্যাকে বিয়োগ করার ফলে প্রাপ্ত উত্তর পাওয়া যায় সেই প্রক্রিয়াকে বিয়োগ পদ্ধতি বলা হয়।
একইভাবে যে কোন দুইটি সংখ্যা কে গুণ করলে যে মান পাওয়া যায় বা যে পদ্ধতিতে গুণ করা হয় তাকে গুণ রাশি বলা হয়।
পক্ষান্তরে যে প্রক্রিয়ায় দুটি সংখ্যাকে ভাগ প্রয়োগ করার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ভাগফল পাওয়া যায় তাকে ভাগ করার পদ্ধতি বলা হয়।
যেহেতু যোগ এবং বিয়োগ পরস্পর বিপরীত পদ্ধতি অথবা রাশি ঠিক তেমনি ভাগ এবং গুণ হলো পরস্পর বিপরীত প্রক্রিয়া বা রাশি।
অতএব এজন্য বলা যায় যে ভাগ প্রক্রিয়াটির বিপরীত পদ্ধতি হলো গুণ করার প্রক্রিয়া।
ভাগের বিপরীত পদ্ধতি কোনটি
কয়েকটি সংখ্যাকে গুন করলে দেখা যায় :-
১২×১০= ১২০,,
৯×৭= ৬৩,,,
৮×৮= ৬৪,,
৯×৯= ৮১,,
গুন করে প্রাপ্ত মানগুলোকে এবং গুণ করার উপাদানসমূহকে ব্যবহার করে যদি ভাগ অংক করা হয় তাহলে দাঁড়ায় নিম্নরুপ :-
১২০÷১০= ১২,,,
৬৩÷৭= ৯,,
৬৪÷৮=৮,,,
৮১÷৯=৯,,,
অর্থাৎ অংক গুলো বিপরীতভাবে পরিবর্তিত হয়েছি।
এই সমাধান গুলো করতে গিয়ে মানের বিভিন্ন পরিবর্তন হয়েছে যেমন প্রয়োজন ভেদে মানকে চেঞ্জ করা হয়েছে তবে মানগুলো বা সংখ্যাগুলো এবং উত্তর গুলো প্রক্রিয়াগত দিক ভাবে আলাদা হয়েছে যা একেই উপাদান হওয়া সত্ত্বেও।
উক্ত কারণগুলোর জন্য ভাগের বিপরীত পদ্ধতি হিসেবে গুণ কি বিবেচনা করা হয়।
ভাগের বিপরীত কি
সাধারণত বাংলা ভাষায় অথবা বাংলা ব্যাকরণের অন্যান্য টপিকের মত একটি টপিক হিসেবে বিপরীত শব্দটি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: গুণের বিপরীত প্রক্রিয়া কি
তবে এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ধরনের শব্দ কি এর বিপরীত শব্দ অনুযায়ী স্থানান্তরিত করা বা কাজ করা যায়।
তাহারী ধারাবাহিকতায় অথবা বিপরীত শব্দের নিয়ম অনুসারে ভাগ একটি শব্দ অর্থাৎ এসব দুটি গাণিতিক একটা শব্দ। গাণিতিক শব্দ ভাগ এর বিপরীত শব্দ হলো গুন।