শিক্ষা

বুনিয়াদি শিক্ষা কি? বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য

বুনিয়াদি শিক্ষা কি: বুনিয়াদি শিক্ষা কার্যক্রম হলো প্রাচীনকালের একটি শিক্ষা কার্যক্রম যা বর্তমান সময় পর্যন্ত অবগত রয়েছে। এজন্য প্রতিটি স্তরে অর্থাৎ শিক্ষার প্রতিটি স্তরের পাশাপাশি বুনিয়াদি শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। পাশাপাশি বুনিয়াদি শিক্ষিকা কি বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য। 

তাই উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বুনিয়াদি শিক্ষা কি বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য সম্পর্ক ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য আলোচনার মাধ্যমে জানাচ্ছি। 

বুনিয়াদি শিক্ষা কার্যক্রম প্রাচীনকালে নারীদেরকে শিক্ষা দেওয়ার একটি কার্যক্রম হিসেবে পরিচালনা করা হয়েছিল। এছাড়া এ শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু ছাড়াও তাদের পিতামাতাদেরকে বিভিন্ন তথ্য ও জ্ঞান সম্পর্কে অবগত করা যায়। 

এজন্য সকলকে বুনিয়াদি শিক্ষা কি এবং বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও বিস্তারিতভাবে জানতে হবে এবং জানা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ বুনিয়াদি টাকার মাধ্যমে নারীরা তাদেরকে স্বনির্ভর করে তুলতে পারবে  

আরো পড়ুন: গুণগত শিক্ষা কি? গুণগত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য

বুনিয়াদি শিক্ষা কি?

যে শিক্ষা প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কে স্বনির্ভর ভাবে গড়ে তোলা এবং স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হয় তাকে বুনিয়াদি শিক্ষা বলে।এছাড়াও বুনিয়াদি শিক্ষা নারীদের ক্ষেত্রে অধিকারে কার্যকর। 

এছাড়াও কৃষিভিত্তিকভাবে বা গ্রামীণভাবে মহিলাদেরকে বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদেরকে নির্ভর অর্থাৎ আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা যায় বুনিয়াদি শিক্ষা প্রযুক্তির মাধ্যমে। 

বুনিয়াদি শিক্ষার স্তর কয়টি? 

বুনিয়াদি শিক্ষার মোট স্থল রয়েছে চারটি এবং তা নিম নিয়ে তুলে ধরা হলো :-

১. প্রাক বুনিয়াদি শিক্ষা স্থর: 

যে সকল শিশুদের বয়স সাত বছরের পূর্বে অর্থাৎ শূন্য বয়স থেকে শুরু করে সাত বছরের পূর্ব পর্যন্ত বয়সে যে শিক্ষা গ্রহণ করা হয় তা হল প্রাক বুনিয়াদি শিক্ষা স্থর।

২. বুনিয়াদি শিক্ষা স্তর :-

যে সকল শিশুদের বয়স ৭ বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে তাদেরকে বুনিয়াদি শিক্ষা স্তর বা শিক্ষা প্রদান করা হয়। 

৩. উত্তর বুনিয়াদি শিক্ষা স্তর  :-

যে সকল শিক্ষার্থীদের বয়স ১১ থেকে ১৪ বছর এবং ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে বুনিয়াদি কার্যক্রমের যে শিক্ষা গ্রহণ করা হয় তাকে উত্তর বুনিয়াদি শিক্ষা স্তর বলা হয়।। 

৪. প্রাপ্তবয়স্ক স্তর :

যাদের বয়স ১৪ বছরের উড়তে তাদেরকে যে শিক্ষা কার্যক্রম দেয়া হয় বুনিয়াদি পদ্ধতিতে তাকে প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার স্তর বলা হয়। 

বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য

বুনিয়াদি শিক্ষার বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা নিম্নে দেয়া হলো :-

১. কে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী সহ তাদের পিতামাতাদেরকে শিক্ষা প্রদান করা হয়। 

২. এটি একটি বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রযুক্তি এটি সকল শিক্ষার্থীদের কে গ্রহণ করা হয় বিশেষ করে শিশুদের। 

৩. এতে অনুবন্ধ প্রণালীতে শিক্ষা প্রদান করা হয় শিক্ষার্থীদেরকে। 

৪. বুনিয়াদি এটি শিক্ষার্থীদের জীবনের সাথে খুবই ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত একটি শিক্ষা প্রযুক্তি। 

৫. বুনিয়াদি শিক্ষা প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেরা সুষ্ঠুভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে। 

৬. এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সহ সকলকে জ্ঞান লাভ করা হয়। 

বুনিয়াদি শিক্ষা কি বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য
বুনিয়াদি শিক্ষা কি বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য

বুনিয়াদি শিক্ষা অন্য কী নামে পরিচিত?

প্রশ্ন: বুনিয়াদি শিক্ষা অন্য কী নামে পরিচিত?

উত্তর: বুনিয়াদি শিক্ষা অন্য নঈতালিম নামে পরিচিত।

তৎকালীন সময় ১৯৩৭ সালে সর্বপ্রথম যখন গান্ধীজি বুনিয়াদি শিক্ষাগার্যক্রম পরিচালনা করেন তখন, সমষ্টিগতভাবে বিভিন্ন মহিলাদেরকে এই শিক্ষা প্রদান করা হতো। এবং তৎকালীন সময় থেকে বুনিয়াদি শিক্ষার অন্য একটি নামে পরিচিতি লাভ করে এবং সেটি হল নঈতালিম।

বুনিয়াদি শিক্ষার সুবিধা কি

১. কর্ম জগতে প্রবেশের পথ সুগম করে, 

২. বাস্তব জীবনের বাস্তবিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে, 

৩. নিজের প্রতি অর্থনৈতিক সুদৃতা এবং সচ্চলতা আনয়ন করে, 

৪. পারস্পরিকভাবে সৃজনশীলতার বিকাশকে বৃদ্ধি করে। 

৫. বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ ঘটায়। 

৬. শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সকল নৈতিক গুণাবলী রয়েছে সেগুলো বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

৭. শ্রমের প্রতি মর্যাদা দান করে এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে।

৮. সকলকে সুপ্রিয়তা ভিত্তিক শিক্ষাদান করে। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে বুনিয়াদি শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যেমন বুনিয়াদি শিক্ষা কাকে বলে বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কে জানানোর। 

বুনিয়াদি শিক্ষা সম্পর্কে আপনার যদি কোন তথ্য জানা থাকে এবং তা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরে উপকৃত হতে পেরে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখে আমাদেরকে জানাতে পারেন, এছাড়াও যদি বুনিয়াদি শিক্ষা সম্পর্কে আরো কোন তথ্য জানতে চান তাহলে তা কমেন্ট বক্সে লিখুন। 

আমাদের পোষ্টের সাথে সম্পর্কিত রয়েছে এরকম কিছু প্রশ্নের উত্তর নিম্নে রয়েছে :

১. বুনিয়াদি শিক্ষা কবে চালু হয়?

= ১৯৩৭ সালে।

২. ওয়ার্ধা প্রকল্পের সুবিধা কি

= একত্রিত করনের মাধ্যমে একসাথে অনেক জনকে শিক্ষা প্রদান করা যায়। 

আরো পড়ুন: ব্যষ্টিক অর্থনীতি ও সামষ্টিক অর্থনীতির পার্থক্য

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button