বায়ু দূষণ কাকে বলে? বায়ু দূষণের কারণ
সুপ্রিয় পাটকবৃন্দ,, আমাদের ওয়েবসাইটের শিক্ষা রিলেটেড দূষণ ভিত্তিক উত্তর আপনাদেরকে স্বাগতম। উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বায়ু দূষণ কাকে বলে এবং বায়ু দূষণের বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
ক্রমান্বয়ে শহর ও নগরায়ন বৃদ্ধির ফলে এবং যানবাহনের চলাচলের বৃদ্ধির কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে বায়ু দূষণ। সুন্দর সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক সুষ্ঠু অক্সিজেন গ্রহণের লক্ষ্যে বায়ু দূষণ এড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সেজন্য শিক্ষার্থী সহ প্রতিটি ব্যক্তিকে বায়ু দূষণ কাকে বলে এবং বায়ু দূষণের বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে যথাযথভাবে জানতে হবে।
বায়ুদূষণ কাকে বলে?
এক বা একাধিক বিভিন্ন ধরনের দূষক পদার্থ বায়ুতে মেশার মাধ্যমে বায়ুর উপাদান গুলোর ভারসাম্য নষ্ট করে এবং জীবজগৎ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তখন তাকে বায়ুদূষণ বলা হয়।
বায়ু দূষণ যা বায়ুমণ্ডলের দূষণ নামে পদার্থের বিভিন্ন উপস্থিতির কারণে পরিচিত। বায়ু দূষণের কারণে জীবের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। যার ফলে জলবায়ু এবং পদার্থের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয় এমন কি রাসায়নিক ভৌত জগতের অভ্যন্তরীণ বাইরের পরিবেশ বায়ুমণ্ডলের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবর্তন হয়ে থাকে।
বায়ু দূষণের কারণ
বায়ু দূষণের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। বায়ু দূষণের বিভিন্ন কারণ সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হলো :-
১. অগ্নুৎপাত :- অগ্নুৎপাতের ফলে অগ্নেয়গিরি থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড এবং সালফার ডাই অক্সাইড নির্গত হয়ে বায়ুকেদর্শিত করে। অগ্নুৎপাত এর ফলে সালফারের মোট ৭০% পরিমাণ বাতাসে মিশে যায়।
২. দাবানল :- গাছে গাছে ঘর্ষণ, লাভা প্রবাহ, বজ্রপাত ইত্যাদির কারণে বনভূমিতে বিভিন্ন সময় আগুন লেগে দাবানলের তৈরি হয়। যার ফলে বায়ু দূষণ ঘটে থাকে।
৩. মহাজাগতিক বস্তু :- মহাকাশ থেকে ভূপৃষ্ঠে আগত বিভিন্ন ধরনের উল্কাপিণ্ড এবং মহাজাগতিক ধূলিকণা বাতিল সাহায্যে মিশে বায়ু দূষণ ঘটায়।
৪. পচন:-প্রকৃতিতে বিভিন্ন ধরনের মৃত জীবদেহ পড়ছে তা থেকে অনেক দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস তৈরি হয়। যেমন:- নাইট্রোজেন, সালফে, মিথেন ইত্যাদি। পরবর্তীতে এগুলো বাতাসের সাথে মিশ্রিত হয়ে বায়ু দূষণ ঘটায়।
৫. ধূলিঝড়:- মরু অঞ্চলে এবং মোর প্রায় দিনের বেলায় প্রচন্ড পরিমানে ওস্তাদ থাকার ফলে ধূলি ঝড় সৃষ্টি হয়। ধূলি ঝড়ের ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধূলিকণা ভাতের সাথে মিশি এবং বায়ুর ভারসাম্যকে নষ্ট করে ফেলে।
৬. যানবাহন :- বিভিন্ন ধরনের যানবাহন যেগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল, ডিজেল থাকার ফলে তা দহনের মাধ্যমে ক্ষতিকর গ্যাস কে নির্গত করে। এর ফলে বায়ু দূষক হিসেবে প্রায় ৭০ শতাংশ কার্বন মনোক্সাইড যানবাহন থেকে নির্গত হয়। এভাবে যানবাহনের আধিক্ক্যের ফলে শহরাঞ্চলে বেশি পরিমাণে বায়ু দূষিত হয়।
৭. কলকারখানা :- বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে কারখানা বৃদ্ধি পাওয়ায় কারখানা থেকে নির্গত হচ্ছে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন, ধোয়া, ধাতব কণা, নাইট্রোজেন ইত্যাদি যেগুলো বাতাসের সাথে মিশ্রিত হয়ে বাতাসকে দূষিত করে।
৯. জনসংখ্যা বৃদ্ধি :– অতিরিক্ত পরিমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বায়ু দূষণ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে।
১০.পারমানবিক কেন্দ্র :– পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে চুল্লি থেকে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গত হচ্ছে যেগুলো ক্রমান্বয়ে বাতিলের সাথে মিশে বাতাসকে দূষিত করে।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বায়ু দূষণ কাকে বলে এবং বায়ু দূষণের বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানিয়েছি।
আশা করি,, আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে বায়ু দূষণ কাকে বলে এবং বায়ু দূষণের কারণ সম্পর্কে যে সকল তথ্য আপনারা জানতে চেয়েছে,, সেগুলো যথাযথভাবে জানার মাধ্যমে উপকৃত হতে পেরেছেন।