“”আসসালামু আলাইকুম “”সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ,, আমাদের ওয়েবসাইটের শিক্ষা রিলেটেড গুরুত্বপূর্ণ উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। আমাদের উক্ত পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনারা —
👉ফি আমানিল্লাহ অর্থ কি? কখন বলতে হয়?
👉ফি আমানিল্লাহ উত্তরে কি বলতে হয়? ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সাধারণত বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা ফি আমানিল্লাহ এই শব্দটি বলে থাকি। এই শব্দটির অর্থ বোঝায় একজন মানুষ বাঁচে কোন ক্ষেত্রে
মহান আল্লাহ তায়ালা সকলকে নিরাপদে রাখার উদ্দেশ্যে এই দোয়াটি পড়া হয়। তবে এই দোয়াটি পাঠ করার ক্ষেত্রে কিংবা পড়ার ক্ষেত্রে কোন কোন ক্ষেত্রে এবং কিভাবে পাঠ করতে হবে সেই সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ফি আমানিল্লাহ অর্থ কি?
^^^ফি আমানিল্লাহ হলো একটি আরবি শব্দ। এই শব্দটির অর্থ আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তায়।
স্বাভাবিকভাবে যদি আপনি কোন স্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন তাহলে সে সময় আপনার নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্ব হিসেবে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকটটি আমানিল্লাহ শব্দটি বলা যায়। এর ফলে আপনি যেন নিরাপদে থাকেন সে ব্যবস্থার জন্য মন আল্লাহ তাআলা দায়িত্ব নেবে।
আল্লাহতালার উপরে বিশ্বাস রেখে যদি আপনি কোন জায়গায় যাওয়ার জন্য বের হন তাহলে অবশ্যই ফি আমানিল্লাহ এই শব্দটি বলবেন। এর কারণ হলো আল্লাহ তাআলা যেন আপনাদেরকে সুস্থ সবল ভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেয় এবং আপনাদেরকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। এজন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফি আমানুল্লাহ বলতে হবে।
ফি আমানিল্লাহ কখন বলতে হয়?
ফি আমানুল্লাহ শব্দটি বলার ক্ষেত্রে অবশ্যই ফি আমানিল্লাহ বলার কিছু সময় রয়েছে। এজন্য কখন কিভাবে ফি আমানিল্লাহ বলতে হবে বিষয়ে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
১. কেউ যদি ভ্রমন করার জন্য কিংবা সফরের জন্য কোন জায়গার উদ্দেশ্যে বের হয় তাহলে মহান আল্লাহতালার নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে ফি আমানিল্লাহ বলতে হবে।
২. যদি আপনার খুব পরিচিত কোন ব্যক্তি অসুস্থ হয় তাহলে সেই থেকে আপনি যদি দেখতে যান তাহলে তার সুস্থতা কামনায় অবশ্যই আপনাকে ফি আমানিল্লাহ বলতে হবে।
৩. আপনি যখন রাতের বেলা ঘুমাতে যাবেন তখন অবশ্যই ফি আমানিল্লাহ কথাটি উল্লেখ করবেন।
৪. সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে ফি আমানিল্লাহ কথাটি বলা যেতে পারে। । এর ফলে মন আল্লাতালা আপনাকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব নেবেন।
৫. যদি কারো জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন তাহলে ফি আমানিল্লাহ কথাটি বলতে পারেন।
৬. বিপদের জন্য ঠান্ডা মাথার রেখে ফি আমানুল্লাহ কথাটি বলতে পারেন।
৭.আপনাদের পরিচিত যেকোন ব্যক্তিকে সুস্থ রাখার জন্য মহান আল্লাহতালার নিকট অবশ্যই ফি আমানিল্লাহ কথাটি বলতে পারেন।
৮. যদি আপনার পরিচিত বা কাছের মানুষ খুব দূরে কোথাও গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যায় তাহলে তার নিরাপত্তা কামনায় তুই আমানিল্লাহ বলতে পারেন।
আপনারা যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে এবং মহান আল্লাহতালার কাছে সুস্থতা কামনায় ও সুস্থ সবল রাখার জন্য ফি আমানিল্লাহ এই শব্দটির পাঠ করতে হবে। ফি আমানিল্লাহ পাঠ করলে অবশ্যই মহান আল্লাহ তা’আলা আপনাদেরকে নিরাপদে রাখবেন এবং আপনাদেরকে হেফাজতে রাখবেন।
ফি আমানিল্লাহ কেন বলা হয়?
সাধারণত বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা ফি আমানিল্লাহ কথাটি বলে থাকি। তবে কেন ফি আমানিল্লাহ বলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এছাড়া ও সুযোগ ভাবে সঠিক সময়ে শব্দটি কিভাবে পাঠ করা যায় তার সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
১. যদি আপনি কোথাওযেতে চান এবং আপনার চলার পথে বিভিন্ন জায়গায় বিপদে পড়েন তাহলে অবশ্যই এ দোয়াটি পড়তে পারেন।
২. আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি অসুস্থ থাকে এবং আপনি দেখতে যান তাহলে অবশ্যই আমানিল্লাহ বলতে পারেন।
৩. কয়েকটি জায়গার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে এবং কোথাও ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ফি আমানিল্লাহ বলতে পারেন।
৪. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় থেকে শুরু করে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে অবশ্যই একটি আমানিল্লাহ এই শব্দটি নিরাপত্তা রক্ষায় বলতে পারেন।
৫. স্বাভাবিকভাবে যখন আপনি ঘুমাতে যাবেন অথবা সকালে ঘুম থেকে উঠবেন তখন ফি আমানিল্লাহ বলবেন।
৬. ঘুমাতে যাওয়ার সময় নয় শুধুমাত্র অন্যান্য সময় কিংবা বন্ধুকে উঠার সময় ও ফি আমানিল্লাহ কথাটি আপনাদেরকে বলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
৭. যদি আপনি কারো কাছ থেকে কোন সময়ের জন্য বিদায় নেন কিংবা কোথাও যাচ্ছেন এমন সময় বিদায়ের উদ্দেশ্যে একটি আমানুল্লাহ এই দোয়াটি পড়তে পারেন।
৮. আপনারা যখন স্বাভাবিকভাবে এই দোয়াটি করবেন অবশ্যই আমানিল্লাহ এই শব্দটি বলতে পারেন।
৯. ফি আমানিল্লাহ এই শব্দটির মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা’আলা আপনাদেরকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব নেবেন। এ জন্য ফি আমানিল্লাহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিংবা যে কোন কারনে আপনার বলতে পারেন।
ফি আমানিল্লাহ উত্তরে কি বলতে হয়?
যদি কোন ব্যক্তি ফি আমানিল্লাহ এই শব্দটি বলে থাকে,, তাহলে এই শব্দটির উত্তর অবশ্যই হবে যে —
^^^মহান আল্লাহতালা আপনাদেরকে নিরাপদে রাখবে।^^^
তবে প্রথম কথায় যদি বলা হয় যে ফি আমানিল্লাহ এই শব্দটির কোন জবাব নেই। কেননা এটি বললে এমন অর্থ বোঝায় যে মন আল্লাতালা আপনাদেরকে নিরাপদে রাখবে। যদি কারো কাছে কেউ দোয়া প্রার্থনা চাইলে, সেজন্য আপনি ফি আমানিল্লাহ শব্দটি বলতে পারেন।
তবে সকল ক্ষেত্রে এমন ভাবে বলতে পারেন যে মন আল্লাহ তা’আলা যেন আপনাদেরকে সুস্থ রাখে এবংআল্লাহতালা আপনাদের ভালো করুক।
হঠাৎ এই শব্দটির অর্থ হিসেবে মহান আল্লাহতালা করতে কল্যাণ দান করাকে বোঝানো হয়। ফলে, ফি আমানিল্লাহ পাঠ করলে যেকোনো ব্যক্তির জন্য সব সময়ের জন্য ভালো ফলাফল প্রার্থনা করা হয়।
যদি কোন ব্যক্তি আপনার কাছে দোয়া চায় তাহলে তার উত্তরে আপনি বলতে পারবেন যে ফি আমানিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর কাছে আপনি ওই ব্যক্তির জন্য প্রার্থনা করবেন যেন ওই ব্যক্তির সকল বিপদ আপদ থেকে মুক্ত ও রক্ষা করা পেতে পারে।
শেষ কথা :-সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ, উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ফি আমানিল্লাহ শব্দটির অর্থ এবং কখন কোন কোন সময়ে পড়তে হবে ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি।
আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা ফি আমানিল্লাহ সম্পর্কে যে সকল তথ্য বা কিভাবে পড়তে হবে তা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন।