পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা খাবার নিয়ম

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা খাবার নিয়ম পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও প্রসাবের জ্বালাপোড়া,পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, হলো প্রসাবের জ্বালাপোড়া কিডনির সমস্যায়  মৃগী রোগের নিরাময় করে তুলে। এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগের সবসময় কার্যকর হিসাবে পাথরকুচি পাতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

পাথরকুচি পাতা এবং উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আমরা এর বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবো। এবার জেনে নেওয়া যাক পাথরকুচি পাতার ও উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে বিস্তারিত।

  • পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, এর সম্পর্কে  
  • পাথরকুচি পাতা আদিকাল থেকে ভেষজ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে, তো এবার জেনে নেওয়া যাক কি ভাবে ।
  • পাথরকুচি পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায়।
  •  ভেষজ চিকিত্‍সার মধ্যে এটি অন্যতম উপকারী। চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীদে এবং
  • গ্রামীণ চিকিৎসায় এটা অনেক উপকারিতা । চিকিৎসা বিজ্ঞানীদেন মতে, পাথরকুচি পাতা কিডনি রোগসহ আরো বিভিন্ন রোগের  উপকারে আসে।

আরো পড়ুন: ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা 

খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেলে কি হয় 

আপনেরা অনেকেই আছেন কলেরা ডায়রিয়া রক্ত আমাশয় ভুগছেন। 

তো আপনারা যদি পাথরকুচি পাতা টার সাথে জিরা ও ঘি মিশিয়ে কিছুদিন খালি পেটে খেলে। খালি পেটে পাথরকুচি পাতা 

এবং পাথরকুচি পাতার সাথে আধা কাপ পানি গরম পানি মিশিয়ে খেতে পারলে শরীরের জ্বালাপোড়াও দূর হয়ে যাবে। আরো বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এই পাথরকুচি পাতার রসে। আমরা যদি এটা সঠিকভাবে খেতে পারি তাহলে আমরা সকল সমস্যায় থেকে সমাধান করতে পারব। 

যেমন সর্দি লাগলে এবং পুরাতন হলে পাথরকুচি পাতাটা গরম করে ভালো করে বেটে রসটা খেলে সর্দিটা আর থাকবে না।

এবং এটা জন্ডিস নিরাময় ও রক্তচাপ আয়ত্তে রাখতে পাথরকুচির পাতাটা অনেক কার্যকারী হয়।

পাথরকুচির পাতাটা বিভিন্ন রোগের উপকারে আসে।

এবং ক্ষতস্থানে যদি এর টাটকা পাতাটা গরম পানিতে ভালো করে  ধুয়ে লাগাতে পারলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

আরো পড়ুন: দূর্বা ঘাস – দূর্বা ঘাসের উপকারিতা

পাথরকুচি পাতা খাবার নিয়ম।

সব ধরনের ওষুধি গাছের সেবন করার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।  

পাথরকুচি পাতা খাবার   আপনারা যদি নিয়ম অনুযায়ী পাথরকুচি পাতার রস ভালোভাবে সেবন করতে পারেন।

 তাহলে দেখা যাবে আপনারা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত হতে পারবেন। কিন্তু আপনারা যদি সঠিক নিয়মে এই রস না খেতে পারেন তাহলে দেখা যাবে আপনাদের শরীরে অনেক কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। 

তাহলে অবশ্যই আমাদের  সেবন করার পূর্বে পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

1.পাথরকুচির পাতাটা ভালোভাবে মিহিন করে খেতে পারলে। আমাদের শরীরে এতে করে জ্বালাপোড়া অনেকটা অংশে কমে আসবে।

2.পাথরকুচি পাতাটা ভালোভাবে বেটে এর রস যদি আমরা প্রয়োজন মোতাবেক পাতার রসের সাথে  কিছুটা গোল মরিচ ,ও মধুসহ বিভিন্ন উপাদান মিশাতে পারলে। 

তাহলে দেখা গেছে আমাদের কিডনির সমস্যার সমাধানের জন্য অবশ্যই পাথর কুচির রস খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো হবে।

আপনারা চাইলে কিন্তু সরাসরি পাথরকুচির পাতাটা  চিবিয়ে খেতে পারেন। 

দেখা গেছে আমরা অনেকেই সর্দি জনিত সমস্যায় পড়ে থাকি, এজন্য আমরা যদি নিয়মিত পাথরকুচি পাতার রসটা ভালোভাবে বেটে এবং তার সাথে মধু দিয়ে খেতে পারলে আপনারা অনেক উপকার পাবেন।

আরো পড়ুন: মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ম ও সময়

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা

এটা এমন একটা ওষুধ এর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।  পাথরকুচি পাতার উপকারিতা অনেক আগে থেকেই এই পাতাটি বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে।

এবং সকল রোগের ক্ষেত্রেই এই পাথরকুচির পাতার রসটা খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। দেখা গেছে আমরা অনেকেই আছি ইন্টারনেটে পাথরকুচি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। 

এইজন্য আমরা আপনাদের মাঝে পাথরকুচি পাতার কয়েকটা উপকারের কথা আমরা তুলে ধরব।

সর্দি:  যাদের সৌদি অনেক পুরনো হয়ে গেছে তাদের জন্য এটি অনেক উপযোগী হবে। এবং একটা কাফের ভিতরে পাথরকুচির পাতাটার রস করে সেটা একটু উমাওমা গরম করে করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সঙ্গে কিছুটা চিনি মিশাতে হবে। এবং তিন চামচের সাথে ২৫০মিলিগ্রাম যেন হয়। 

এবং সকাল বিকাল দুবার করে এটা খেতে হবে। দেখা গেছে এর ধারা আমাদের পুরনো সর্দিগুলো সেরে যাবে ও আমাদের কাশি থেকে আমরা পুরোপুরি রেহাই পেয়ে যাব।

পোকামাকুরে কামড় দিলে এই পাথরকুচি পাতার রস টা  ভালোভাবে গরম করে রাখলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

জন্ডিস নিরাময় করা জন্য: লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে তাজা পাথরকুচি পাতার রসটা আমাদের জন্য অনেক উপকারী হবে।এবং রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণ সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা আমাদের মুক্ত দেয়।

আরো পড়ুন: কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি? 

কাটা বা থেতলে যাওয়া:  পাথরকুচি পাতাটা টাটকা পরিমাণ মতো হালকা ভাবে তাপ দিলে কাটারা বা তেতলে যাওয়া সেই জায়গা চেক দিলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।

রক্তপিও:  আমাদের যদি পিত্তজনিত ব্যথায় কখনো রক্তক্ষরণ হলে আমরা যদি দুবেলা এক চামচ করে পাথরকুচি পাতার রসটা ভালোভাবে দুদিন খেতে পারি তাহলে আমাদের সেরে যাবে।

পেট ফাঁপা: আমাদের অনেকের পেট ফুলে যায় এবং প্রসাব আটকে থাকে, দেখা গেছে সেগুলো আধোবায়ু সরছে না, 

সে ক্ষেত্রে যদি আমরা একটু চিনির সঙ্গে একবার দুই চামচ পাথরকুচি পাতার রসটা ভালোভাবে গরম করে তাপ দিয়ে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারি, 

তাহলে দেখা গেছে এর ধারা আধোবায়ু নিঃসরণ হবে এবং ফাঁপাটাও আমাদের কমে যাবে।

শিশুদের পেট ব্যথা: শিশুদের যদি পেট ব্যথা হয় তাহলে ৩০ থেকে ৬০ ফোটা পাথরকুচি পাতাটার রস পেটে যদি মালিশ করে তাহলে দেখা গেছে ব্যথাটা উপশম হয়। কিন্তু পেট ব্যথাটা অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে।

রোগে আক্রান্ত সময়ে যদি পাথরকুচির পাতার রসটা দুই থেকে ১০ ফোটা করে মুখে দিতে পারি তাহলে একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।

শরীর জ্বালাপোড়া: পাথরকুচির পাতার রসটা দু চামচ বা আধা কাপ গরম পানিতে আমরা যদি মিশিয়ে দুবেলা খেতে পারি তাহলে দেখা গেছে আমাদের শরীরের  জ্বালাপোড়া অনেকটা দূর হয়ে যাবে।

কিডনির পাথর অপসারণ: পাথরকুচি পাতাটা কিডনি  পাথর অপসারণ করতে আমাদের সাহায্য করে। 

এবং আমাদের দিনে দুইবার থেকে তিনবার পাথরকুচি পাতা চিবিয়ে অথবা রস খেতে হবে।

পাইলস রোগের চিকিৎসায়: আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রসটা এবং গোল মরিচ একসাথে মিশিয়ে খেতে পারলে পাইলস ও অশ্ব রোগের উপশম হয়।

মেহ: সর্দিজনিত কারণে নানান স্থানে শরীরের আমাদের ফোড়া দেখা যায়। এই শরীরে ফোড়া দেখা দেয়। সে কারণে অনেক ব্যথা হয়। যাকে মেহ বলে। 

ক্ষেত্রে দেখা যায় পাথরকুচির পাতার রসটা যদি আমরা এক চামচ করে সকাল বিকাল এক সপ্তাহ খেতে পারি তাহলে দেখা গেছে এতে আমাদের অনেক উপকার পাওয়া যায়।

এবং আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোলমরিচ কিছুটা মিশিয়ে পান করলে পাইলস ও অশ্ব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এবং ডায়রিয়া ও কলেরা বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচির পাতার কোন জড়ি নেই। আমরা যদি তিন মি. লি.  পাথরকুচির পাতার সঙ্গে তিন গ্রাম জিরা ও ৬ গ্রাম ঘি একসাথে মিক্সার করে কয়েক দিন পর্যন্ত এসব খেতে পারলে এইসব রোগ থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এবং এর থেকে মাথা ব্যথা দূর করে।

ত্বকের যত্ন: পাথরকুচির পাতায় অনেক পরিমাণে পানি থাকে, যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হয়। এবং এর সঙ্গে সঙ্গে জ্বালাপোড়াটাও কমানোর ক্ষমতা থাকে।  

যারা ত্বক সম্পর্কে সচেতন তারাই পাথরকুচির পাতা ভালোভাবে বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। এবং ব্রণ ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকেই রক্ষা পাওয়া যাবে। 

আরো পড়ুন: অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও অপকারিতা

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

এটা এমন একটা ওষুধ এর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। অনেক আগে থেকেই এই পাতাটি পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। 

এবং সকল রোগের ক্ষেত্রেই এই পাথরকুচির পাতার রসটা খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। দেখা গেছে আমরা অনেকেই আছি ইন্টারনেটে পাথরকুচি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। 

এইজন্য আমরা আপনাদের মাঝে পাথরকুচি পাতার কয়েকটা উপকারের কথা আমরা তুলে ধরব।

সর্দি:  যাদের সৌদি অনেক পুরনো হয়ে গেছে তাদের জন্য এটি অনেক উপযোগী হবে। এবং একটা কাফের ভিতরে পাথরকুচির পাতাটার রস করে সেটা একটু উমাওমা গরম করে করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সঙ্গে কিছুটা চিনি মিশাতে হবে। 

এবং তিন চামচের সাথে ২৫০মিলিগ্রাম যেন হয়। এবং সকাল বিকাল দুবার করে এটা খেতে হবে। দেখা গেছে এর ধারা আমাদের পুরনো সর্দিগুলো সেরে যাবে ও আমাদের কাশি থেকে আমরা পুরোপুরি রেহাই পেয়ে যাব।

পোকামাকুরে কামড় দিলে এই পাথরকুচি পাতার রস টা  ভালোভাবে গরম করে রাখলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

জন্ডিস নিরাময় করা জন্য: লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে তাজা পাথরকুচি পাতার রসটা আমাদের জন্য অনেক উপকারী হবে।

এবং রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণ সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা আমাদের মুক্ত দেয়।

কাটা বা থেতলে যাওয়া:  পাথরকুচি পাতাটা টাটকা পরিমাণ মতো হালকা ভাবে তাপ দিলে কাটারা বা তেতলে যাওয়া সেই জায়গা চেক দিলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।

ডায়বেটিক প্রশমনে:

আর যারা যারা ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত রয়েছে তারা নিয়মিত পাথরকুচির পাতার রসটা খেলে অনেক উপকার হবে।

পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ:

আমাদের শরীরে নানান ধরনের পানি বাহিত রোগ প্রতিরোধ বেশ কার্যকরী একটা সমাধান হলো। পাথরকুচি পাতা, 

তাই আমাদের যে কোন ধরনের পানিবাহিত রোগ হলে আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রসটা বেটে খায় তাহলে আমরা অনেক উপকার পাবো। 

খোস পাচড়া প্রতিরোধে:

আমাদের শরীরে কোন ধরনের এলার্জি হলে আমাদের শরীরে নানান জায়গায় খুশ ওর পাচড়ার আক্রমণ দেখা যায়। 

তাই এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আমরা ব্যবহার করতে পারি পাথরকুচি পাতার রস এতে করে আমরা খুব সহজেই কোন ঝামেলা ছাড়াই এই সমস্যাটা সমাধান করতে পারি।

রক্তপিও:  আমাদের যদি পিত্তজনিত ব্যথায় কখনো রক্তক্ষরণ হলে আমরা যদি দুবেলা এক চামচ করে পাথরকুচি পাতার রসটা ভালোভাবে দুদিন খেতে পারি তাহলে আমাদের সেরে যাবে।

পেট ফাঁপা: আমাদের অনেকের পেট ফুলে যায় এবং প্রসাব আটকে থাকে, দেখা গেছে সেগুলো আধোবায়ু সরছে না, 

সে ক্ষেত্রে যদি আমরা একটু চিনির সঙ্গে একবার দুই চামচ পাথরকুচি পাতার রসটা ভালোভাবে গরম করে তাপ দিয়ে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারি, তাহলে দেখা গেছে এর ধারা আধোবায়ু নিঃসরণ হবে এবং ফাঁপাটাও আমাদের কমে যাবে।

শিশুদের পেট ব্যথা: শিশুদের যদি পেট ব্যথা হয় তাহলে ৩০ থেকে ৬০ ফোটা পাথরকুচি পাতাটার রস পেটে যদি মালিশ করে তাহলে দেখা গেছে ব্যথাটা উপশম হয়। কিন্তু পেট ব্যথাটা অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে।

মৃগী রোগী: রোগে আক্রান্ত সময়ে যদি পাথরকুচির পাতার রসটা দুই থেকে ১০ ফোটা করে মুখে দিতে পারি তাহলে একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।

শরীর জ্বালাপোড়া: পাথরকুচির পাতার রসটা দু চামচ বা আধা কাপ গরম পানিতে আমরা যদি মিশিয়ে দুবেলা খেতে পারি তাহলে দেখা গেছে আমাদের শরীরের  জ্বালাপোড়া অনেকটা দূর হয়ে যাবে।

কিডনির পাথর অপসারণ: পাথরকুচি পাতাটা কিডনি  পাথর অপসারণ করতে আমাদের সাহায্য করে। এবং আমাদের দিনে দুইবার থেকে তিনবার পাথরকুচি পাতা চিবিয়ে অথবা রস খেতে হবে।

পাইলস রোগের চিকিৎসায়: আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রসটা এবং গোল মরিচ একসাথে মিশিয়ে খেতে পারলে পাইলস ও অশ্ব রোগের উপশম হয়।

মেহ: সর্দিজনিত কারণে নানান স্থানে শরীরের আমাদের ফোড়া দেখা যায়। এই শরীরে ফোড়া দেখা দেয়। সে কারণে অনেক ব্যথা হয়। 

যাকে মেহ বলে। ক্ষেত্রে দেখা যায় পাথরকুচির পাতার রসটা যদি আমরা এক চামচ করে সকাল বিকাল এক সপ্তাহ খেতে পারি তাহলে দেখা গেছে এতে আমাদের অনেক উপকার পাওয়া যায়।

এবং আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোলমরিচ কিছুটা মিশিয়ে পান করলে পাইলস ও অশ্ব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এবং ডায়রিয়া ও কলেরা বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচির পাতার কোন জড়ি নেই। 

আমরা যদি তিন মি. লি.  পাথরকুচির পাতার সঙ্গে তিন গ্রাম জিরা ও ৬ গ্রাম ঘি একসাথে মিক্সার করে কয়েক দিন পর্যন্ত এসব খেতে পারলে এইসব রোগ থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এবং এর থেকে মাথা ব্যথা দূর করে।

ত্বকের যত্ন: পাথরকুচির পাতায় অনেক পরিমাণে পানি থাকে, যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হয়। এবং এর সঙ্গে সঙ্গে জ্বালাপোড়াটাও কমানোর ক্ষমতা থাকে।

যারা ত্বক সম্পর্কে সচেতন তারাই পাথরকুচির পাতা ভালোভাবে বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। এবং ব্রণ ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকেই রক্ষা পাওয়া যাবে। 

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা খাবার নিয়ম

পাথরকুচি পাতার অপকারিতার

উপকারিতার পাশাপাশি পাথরকুচি পাতা ভেতরে রয়েছে অনেক ধরনের অপকারিতা। তাহলে এবার জেনে নেওয়া যায় পাথর কচুরি পাতার অপকারিতা সম্পর্কে।

অতিরিক্ত আমরা যদি পাথরকুচির পাতার রস খাই তাহলে দেখা গেছে মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আমরা যদি অতিরিক্ত পাথরকুচির পাতায় রসটা খালি পেটে খায় তাহলে দেখা যাচ্ছে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আমরা যদি অতিরিক্ত পাথরকুচির পাতার রসটা খাই তাহলে পিত্তথলিদে আবার সমস্যা হতে পারে।

আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রস খাই তাহলে ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত আমরা যদি পাথরকুচির পাতার রস খাই তাহলে দেখা গেছে গাইয়া বা কলেরা মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে অনেক সময়।

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা কি

এটা এমন একটা ওষুধ এর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। 

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা অনেক আগে থেকেই এই পাতাটি বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। এবং সকল রোগের ক্ষেত্রেই এই পাথরকুচির পাতার রসটা খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। 

দেখা গেছে আমরা অনেকেই আছি ইন্টারনেটে পাথরকুচি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। এইজন্য আমরা আপনাদের মাঝে পাথরকুচি পাতার কয়েকটা উপকারের কথা আমরা তুলে ধরব।

সর্দি:  যাদের সৌদি অনেক পুরনো হয়ে গেছে তাদের জন্য এটি অনেক উপযোগী হবে। 

এবং একটা কাফের ভিতরে পাথরকুচির পাতাটার রস করে সেটা একটু উমাওমা গরম করে করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সঙ্গে কিছুটা চিনি মিশাতে হবে। 

এবং তিন চামচের সাথে ২৫০মিলিগ্রাম যেন হয়। এবং সকাল বিকাল দুবার করে এটা খেতে হবে। দেখা গেছে এর ধারা আমাদের পুরনো সর্দিগুলো সেরে যাবে ও আমাদের কাশি থেকে আমরা পুরোপুরি রেহাই পেয়ে যাব।

পোকামাকুরে কামড় দিলে এই পাথরকুচি পাতার রস টা  ভালোভাবে গরম করে রাখলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

জন্ডিস নিরাময় করা জন্য: লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে তাজা পাথরকুচি পাতার রসটা আমাদের জন্য অনেক উপকারী হবে।

এবং রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণ সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা আমাদের মুক্ত দেয়।

কাটা বা থেতলে যাওয়া:  পাথরকুচি পাতাটা টাটকা পরিমাণ মতো হালকা ভাবে তাপ দিলে কাটারা বা তেতলে যাওয়া সেই জায়গা চেক দিলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।

খোস পাচড়া প্রতিরোধে: আমাদের শরীরে কোন ধরনের এলার্জি হলে আমাদের শরীরে নানান জায়গায় খুশ ওর পাচড়ার আক্রমণ দেখা যায়। 

তাই এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আমরা ব্যবহার করতে পারি পাথরকুচি পাতার রস এতে করে আমরা খুব সহজেই কোন ঝামেলা ছাড়াই এই সমস্যাটা সমাধান করতে পারি।

রক্তপিও:  আমাদের যদি পিত্তজনিত ব্যথায় কখনো রক্তক্ষরণ হলে আমরা যদি দুবেলা এক চামচ করে পাথরকুচি পাতার রসটা ভালোভাবে দুদিন খেতে পারি তাহলে আমাদের সেরে যাবে।

পেট ফাঁপা: আমাদের অনেকের পেট ফুলে যায় এবং প্রসাব আটকে থাকে, দেখা গেছে সেগুলো আধোবায়ু সরছে না, 

সে ক্ষেত্রে যদি আমরা একটু চিনির সঙ্গে একবার দুই চামচ পাথরকুচি পাতার রসটা ভালোভাবে গরম করে তাপ দিয়ে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারি, 

তাহলে দেখা গেছে এর ধারা আধোবায়ু নিঃসরণ হবে এবং ফাঁপাটাও আমাদের কমে যাবে।

শিশুদের পেট ব্যথা: শিশুদের যদি পেট ব্যথা হয় তাহলে ৩০ থেকে ৬০ ফোটা পাথরকুচি পাতাটার রস পেটে যদি মালিশ করে তাহলে দেখা গেছে ব্যথাটা উপশম হয়। কিন্তু পেট ব্যথাটা অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে।

মৃগী রোগী: রোগে আক্রান্ত সময়ে যদি পাথরকুচির পাতার রসটা দুই থেকে ১০ ফোটা করে মুখে দিতে পারি তাহলে একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।

শরীর জ্বালাপোড়া: পাথরকুচির পাতার রসটা দু চামচ বা আধা কাপ গরম পানিতে আমরা যদি মিশিয়ে দুবেলা খেতে পারি তাহলে দেখা গেছে আমাদের শরীরের  জ্বালাপোড়া অনেকটা দূর হয়ে যাবে।

কিডনির পাথর অপসারণ: পাথরকুচি পাতাটা কিডনি  পাথর অপসারণ করতে আমাদের সাহায্য করে। এবং আমাদের দিনে দুইবার থেকে তিনবার পাথরকুচি পাতা চিবিয়ে অথবা রস খেতে হবে।

পাইলস রোগের চিকিৎসায়: আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রসটা এবং গোল মরিচ একসাথে মিশিয়ে খেতে পারলে পাইলস ও অশ্ব রোগের উপশম হয়।

মেহ: সর্দিজনিত কারণে নানান স্থানে শরীরের আমাদের ফোড়া দেখা যায়। 

এই শরীরে ফোড়া দেখা দেয়। সে কারণে অনেক ব্যথা হয়। যাকে মেহ বলে। ক্ষেত্রে দেখা যায় পাথরকুচির পাতার রসটা যদি আমরা এক চামচ করে সকাল বিকাল এক সপ্তাহ খেতে পারি তাহলে দেখা গেছে এতে আমাদের অনেক উপকার পাওয়া যায়।

এবং আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোলমরিচ কিছুটা মিশিয়ে পান করলে পাইলস ও অশ্ব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এবং ডায়রিয়া ও কলেরা বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচির পাতার কোন জড়ি নেই। আমরা যদি তিন মি. লি.  পাথরকুচির পাতার সঙ্গে তিন গ্রাম জিরা ও ৬ গ্রাম ঘি একসাথে মিক্সার করে কয়েক দিন পর্যন্ত এসব খেতে পারলে এইসব রোগ থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়।এবং এর থেকে মাথা ব্যথা দূর করে।

ত্বকের যত্ন: পাথরকুচির পাতায় অনেক পরিমাণে পানি থাকে, যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হয়। এবং এর সঙ্গে সঙ্গে জ্বালাপোড়াটাও কমানোর ক্ষমতা থাকে।

যারা ত্বক সম্পর্কে সচেতন তারাই পাথরকুচির পাতা ভালোভাবে বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। এবং ব্রণ ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকেই রক্ষা পাওয়া যাবে। 

আরো পড়ুন: চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

পাথরকুচি পাতার গুনাগুন

বেদ শব্দের অর্থ হচ্ছে জ্ঞান, আয়ু শব্দের অর্থ হচ্ছে জীবন, এবং আয়ুর্বেদ শব্দের অর্থ হচ্ছে জীববিজ্ঞান বা জীব বিদ্যা। 

পাথরকুচি পাতার গুনাগুন সুতরাং যে জ্ঞানের মাধ্যমে জীবের কল্যাণ সাধন হয় তাকে আয়ুর্বেদ বা জীববিজ্ঞান বলা হয়। আয়ুর্বেদের চিকিৎসা বলতে এসপিও বা উদ্ভিদের মাধ্যমে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে কি বুঝানো হয়েছে। 

৫০০০ বছরের পুরাতন এই চিকিৎসা , বিভিন্ন রকমের গাছের পাতা, এবং শেকর ,বাকল এই সমস্ত দিয়ে চিকিৎসা হয়ে আসছে দীর্ঘদিন।

পাথরকুচি গাছের পাতা টা গ্রামীণ চিকিৎসায় এটা অনেক উপকারিতা। চিকিৎসকদের মতে পাতা পাথকুচি পাতা কিডনি রোগ সহ আরো বিভিন্ন রোগের অনেক উপকার আসে এই গাছের পাতায়।

তো আর দেরি না করে এবার জেনে নেওয়া যাক পাথরকুচি পাতার ঔষধ গুলোর গুনাগুন সম্পর্কে।

সর্দি:  যাদের সৌদি অনেক পুরনো হয়ে গেছে তাদের জন্য এটি অনেক উপযোগী হবে।

এবং একটা কাফের ভিতরে পাথরকুচির পাতাটার রস করে সেটা একটু উমাওমা গরম করে করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সঙ্গে কিছুটা চিনি মিশাতে হবে। 

এবং তিন চামচের সাথে ২৫০মিলিগ্রাম যেন হয়। এবং সকাল বিকাল দুবার করে এটা খেতে হবে। দেখা গেছে এর ধারা আমাদের পুরনো সর্দিগুলো সেরে যাবে ও আমাদের কাশি থেকে আমরা পুরোপুরি রেহাই পেয়ে যাব।

পোকামাকুরে কামড় দিলে এই পাথরকুচি পাতার রস টা  ভালোভাবে গরম করে রাখলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

জন্ডিস নিরাময় করা জন্য: লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে তাজা পাথরকুচি পাতার রসটা আমাদের জন্য অনেক উপকারী হবে।

এবং রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণ সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা আমাদের মুক্ত দেয়।

কাটা বা থেতলে যাওয়া:  পাথরকুচি পাতাটা টাটকা পরিমাণ মতো হালকা ভাবে তাপ দিলে কাটারা বা তেতলে যাওয়া সেই জায়গা চেক দিলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।

খোস পাচড়া প্রতিরোধে: আমাদের শরীরে কোন ধরনের এলার্জি হলে আমাদের শরীরে নানান জায়গায় খুশ ওর পাচড়ার আক্রমণ দেখা যায়। 

তাই এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আমরা ব্যবহার করতে পারি পাথরকুচি পাতার রস এতে করে আমরা খুব সহজেই কোন ঝামেলা ছাড়াই এই সমস্যাটা সমাধান করতে পারি।

রক্তপিও:  আমাদের যদি পিত্তজনিত ব্যথায় কখনো রক্তক্ষরণ হলে আমরা যদি দুবেলা এক চামচ করে পাথরকুচি পাতার রসটা ভালোভাবে দুদিন খেতে পারি তাহলে আমাদের সেরে যাবে।

পেট ফাঁপা: আমাদের অনেকের পেট ফুলে যায় এবং প্রসাব আটকে থাকে, দেখা গেছে সেগুলো আধোবায়ু সরছে না, 

সে ক্ষেত্রে যদি আমরা একটু চিনির সঙ্গে একবার দুই চামচ পাথরকুচি পাতার রসটা ভালোভাবে গরম করে তাপ দিয়ে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারি,

তাহলে দেখা গেছে এর ধারা আধোবায়ু নিঃসরণ হবে এবং ফাঁপাটাও আমাদের কমে যাবে।

শিশুদের পেট ব্যথা: শিশুদের যদি পেট ব্যথা হয় তাহলে ৩০ থেকে ৬০ ফোটা পাথরকুচি পাতাটার রস পেটে যদি মালিশ করে তাহলে দেখা গেছে ব্যথাটা উপশম হয়। কিন্তু পেট ব্যথাটা অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে।

মৃগী রোগী: রোগে আক্রান্ত সময়ে যদি পাথরকুচির পাতার রসটা দুই থেকে ১০ ফোটা করে মুখে দিতে পারি তাহলে একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।

শরীর জ্বালাপোড়া: পাথরকুচির পাতার রসটা দু চামচ বা আধা কাপ গরম পানিতে আমরা যদি মিশিয়ে দুবেলা খেতে পারি তাহলে দেখা গেছে আমাদের শরীরের  জ্বালাপোড়া অনেকটা দূর হয়ে যাবে।

কিডনির পাথর অপসারণ: পাথরকুচি পাতাটা কিডনি  পাথর অপসারণ করতে আমাদের সাহায্য করে। এবং আমাদের দিনে দুইবার থেকে তিনবার পাথরকুচি পাতা চিবিয়ে অথবা রস খেতে হবে।

পাইলস রোগের চিকিৎসায়: আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রসটা এবং গোল মরিচ একসাথে মিশিয়ে খেতে পারলে পাইলস ও অশ্ব রোগের উপশম হয়।

মেহ: সর্দিজনিত কারণে নানান স্থানে শরীরের আমাদের ফোড়া দেখা যায়। এই শরীরে ফোড়া দেখা দেয়। সে কারণে অনেক ব্যথা হয়। 

যাকে মেহ বলে। ক্ষেত্রে দেখা যায় পাথরকুচির পাতার রসটা যদি আমরা এক চামচ করে সকাল বিকাল এক সপ্তাহ খেতে পারি তাহলে দেখা গেছে এতে আমাদের অনেক উপকার পাওয়া যায়।

এবং আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোলমরিচ কিছুটা মিশিয়ে পান করলে পাইলস ও অশ্ব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এবং ডায়রিয়া ও কলেরা বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচির পাতার কোন জড়ি নেই। 

আমরা যদি তিন মি. লি.  পাথরকুচির পাতার সঙ্গে তিন গ্রাম জিরা ও ৬ গ্রাম ঘি একসাথে মিক্সার করে কয়েক দিন পর্যন্ত এসব খেতে পারলে এইসব রোগ থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। 

এবং এর থেকে মাথা ব্যথা দূর করে।

ত্বকের যত্ন: পাথরকুচির পাতায় অনেক পরিমাণে পানি থাকে, যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হয়। 

এবং এর সঙ্গে সঙ্গে জ্বালাপোড়াটাও কমানোর ক্ষমতা থাকে।  যারা ত্বক সম্পর্কে সচেতন তারাই পাথরকুচির পাতা ভালোভাবে বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। এবং ব্রণ ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকেই রক্ষা পাওয়া যাবে। 

উচ্চ রক্তচাপ: পাথরকুচির পাতাটা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সমস্যা থেকে মুক্ত দেয়।

আরো পড়ুন: আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা 

পাথরকুচি পাতার বিজ্ঞানসম্মত নাম 

বৈজ্ঞানীর নাম:Kalanchoe pinnata

সমনামী: Bryophyllum pinnatum/ cotyledon pinnata

পরিবার: Crassulaceae

পাথরকুচি পাতার বিজ্ঞানসম্মত

পাথরকুচি গাছ টা দুই থেকে দেড় ইঞ্চি উচা হয়। এবং ৬ থেকে ১০ ইঞ্চির পর পাতা গজাতে থাকে। পাতাগুলো গোলাকার হয়ে থাকে, পাথরকুচি গাছটার পাতা ডিমের মতো হয়ে থাকে, 

পাতাগুলোর চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খোঁজ ,, এই নতুন পাতা থেকেই ছোট ছোট গোল খোঁজ তৈরি হয়।  বিশেষ করে এই কাজগুলো যদি বুড়ো হয়ে যায় । 

ওই পাতার খোঁজ থেকে চারা গজায়। এবং গাছ থেকে খাঁজ একটা পাতা মাটিতে পড়লে সেখান থেকে চারা গজায়।

রোগ প্রতিরোধের জন্য এই গাছের পাতাটা অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। ছোট বড় সবাই এই গাছের পাতার রস খাওয়ানো হয়।

সর্দি,, বেশি পুরাতন হয়ে গেলে বা এই পাথরকুচি পাতাটা  ভালোভাবে শেষে রস করে দুই চামচ করে দুবেলা খেতে হবে।

কাটা ছেঁড়া,, অনেক সময় আছে কেটে যায় বা ছেঁচে থদলে যায়। তখন যদি পাথরকুচির টাটকা পাতা টান হালকা গরম করে ওই ক্ষত জায়গায় লাগালে বেশ আরাম পাওয়া যায়।

পোকামাকুরে কামড় দিলে এই পাথরকুচি পাতার রস টা  ভালোভাবে গরম করে রাখলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

জন্ডিস নিরাময় করা জন্য: লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে তাজা পাথরকুচি পাতার রসটা আমাদের জন্য অনেক উপকারী হবে।

এবং রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণ সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা আমাদের মুক্ত দেয়।

রক্তপিও:  আমাদের যদি পিত্তজনিত ব্যথায় কখনো রক্তক্ষরণ হলে আমরা যদি দুবেলা এক চামচ করে পাথরকুচি পাতার রসটা ভালোভাবে দুদিন খেতে পারি তাহলে আমাদের সেরে যাবে।

পেট ফাঁপা: আমাদের অনেকের পেট ফুলে যায় এবং প্রসাব আটকে থাকে, দেখা গেছে সেগুলো আধোবায়ু সরছে না, 

সে ক্ষেত্রে যদি আমরা একটু চিনির সঙ্গে একবার দুই চামচ পাথরকুচি পাতার রসটা ভালোভাবে গরম করে তাপ দিয়ে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারি, তাহলে দেখা গেছে এর ধারা আধোবায়ু নিঃসরণ হবে এবং ফাঁপাটাও আমাদের কমে যাবে।

শিশুদের পেট ব্যথা: শিশুদের যদি পেট ব্যথা হয় তাহলে ৩০ থেকে ৬০ ফোটা পাথরকুচি পাতাটার রস পেটে যদি মালিশ করে তাহলে দেখা গেছে ব্যথাটা উপশম হয়। কিন্তু পেট ব্যথাটা অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে।

মৃগী রোগী: রোগে আক্রান্ত সময়ে যদি পাথরকুচির পাতার রসটা দুই থেকে ১০ ফোটা করে মুখে দিতে পারি তাহলে একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।

শরীর জ্বালাপোড়া: পাথরকুচির পাতার রসটা দু চামচ বা আধা কাপ গরম পানিতে আমরা যদি মিশিয়ে দুবেলা খেতে পারি তাহলে দেখা গেছে আমাদের শরীরের  জ্বালাপোড়া অনেকটা দূর হয়ে যাবে।

কিডনির পাথর অপসারণ: পাথরকুচি পাতাটা কিডনি  পাথর অপসারণ করতে আমাদের সাহায্য করে। এবং আমাদের দিনে দুইবার থেকে তিনবার পাথরকুচি পাতা চিবিয়ে অথবা রস খেতে হবে।

পাইলস রোগের চিকিৎসায়: আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রসটা এবং গোল মরিচ একসাথে মিশিয়ে খেতে পারলে পাইলস ও অশ্ব রোগের উপশম হয়।

মেহ: সর্দিজনিত কারণে নানান স্থানে শরীরের আমাদের ফোড়া দেখা যায়। এই শরীরে ফোড়া দেখা দেয়। সে কারণে অনেক ব্যথা হয়।

যাকে মেহ বলে। ক্ষেত্রে দেখা যায় পাথরকুচির পাতার রসটা যদি আমরা এক চামচ করে সকাল বিকাল এক সপ্তাহ খেতে পারি তাহলে দেখা গেছে এতে আমাদের অনেক উপকার পাওয়া যায়।

এবং আমরা যদি পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোলমরিচ কিছুটা মিশিয়ে পান করলে পাইলস ও অশ্ব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এবং ডায়রিয়া ও কলেরা বা রক্ত আমাশয় রোগ

পাথরকুচি পাতা কখন খেতে হয়

পাথরকুচুরি ঔষধি উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে পাথরকুচি পাতা। 

অনেক আগে থেকেই পাথরকুচুরিকে ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। তো আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ঠিক কোন সমস্যায় আপনি পড়লে পাথর কচুরিকে খেতে পারবেন।

এবং কিভাবে আপনারা পাথর কচুরিপাতাটা খাবেন। তো এবার জেনে নেওয়া যাক পাথরকুচি কিভাবে খাওয়া হয়। 

আপনাদের যদি কখনো শরীরের মধ্যে কোন অংশ জ্বালাপোড়া করে থাকে তাহলে আপনি পাথরকুচি পাতা টা  গরম পানিতে নিয়ে  তা ভালো করে ধুয়ে নেবেন। 

তারপর সেটা ভালো করে পেটে আপনি নিয়মিত খাবেন। তাহলে দেখবেন আপনি খুব তাড়াতাড়ি সেই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

কিডনির সমস্যায় আপনি যদি আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি দুইবার দিনে পাথরকুচির পাতাটা চিবিয়ে তার রস খাবেন। তাহলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনার কিডনির পাথর অপসারণ করতে পারবেন।

গলগন্ড রোগে আপনি যদি আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি প্রতিদিন এই পাথরকুচির পাতাটার রস দিনে দুবেলা খেতে পারবেন এতে করে আপনি অনেক উপকার পাবেন।

সর্দি জনিত  সমস্যায় যদি আপনি পড়েন তাহলে পাথরকুচি পাতা টা নিয়মিত রস বেটে তার সাথে মধু দিয়ে নিয়তি খেলে অনেক উপকার পাবেন।

জন্ডিস প্রতিরোধে,, পাথরকুচুরি পাতাটা বেটে তার রস আপনি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার জন্ডিস প্রতিরোধ অল্প সময়ের মধ্যে পড়তে পারবেন এবং এটি রস নিয়মিত খেতে পারলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।

শেষ কথা:  প্রিয় পাঠক বন্ধুরা

পাথরকুচি আমাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা,, পাথরকুচি নানান ধরনের রোগের প্রতি ভেষক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। 

তো আপনাদের আজকে এই আলোচনা থেকে আমরা পাথরকুচি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে এবং ধারণা দিতে পেরেছি। আপনাদের নানান শারীরিক সমস্যা সমাধানের বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

তো আশা রাখি আপনারা এই আলোচনা থেকে পাথরকুচি  পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানাতে পেরেছি,, 

Leave a Comment