বিজ্ঞানশিক্ষা

পাতন কাকে বলে? পাতন বলতে কি বুঝায়?

পাতন কাকে বলে: সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম। আমাদের ওয়েব সাইটের শিক্ষা রিলেটেড পাতন নিয়ে আলোচিত উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম।

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে পাতন, বাষ্প পাতন,, উর্ধ্ব পাতন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনায় মাধ্যমে জানাচ্ছি। 

রাসায়নিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পদার্থের অবস্থান নির্ণয় করার ক্ষেত্রে পদার্থের বিভিন্ন গঠন বা অবস্থা দেখা যায়। পদার্থ কঠিন অবস্থায়,, তরল অবস্থায়,, গ্যাসীয় অবস্থা ছাড়াও পাতন অবস্থায়, ঊর্ধ্বপাতন অবস্থায় ইত্যাদি পদ্ধতিতে থাকতে পারে। তাই পদার্থের বিভিন্ন অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য পাতন ও উর্ধ্বপাতন সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

পাতন কাকে বলে

যদি কোন তরল পদার্থকে তা প্রদান করা হয় এবং পদার্থটি বাষ্পী পরিণত করার পর পুনরায় এই পদার্থটিকে শীতলীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তরলের রূপান্তর করা যায় তাহলে সেই প্রক্রিয়াকে পাতন বলা হয়। 

উক্ত প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ময়লা আবর্জনাযুক্ত বিভিন্ন পানিতে তা প্রদান করার মাধ্যমে ওই পানিটিকে বাষ্পে পরিণত করে একটি কাচের বক্সে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা হয়। 

এর কারণে ময়লা আবর্জনাগুলোকে পাত্রে পড়ে থাকে না বরং জলীয় বাষ্প পদ্ধতিতে পানির কাছে নিজের বক্সের সংরক্ষিত হয়। এভাবে ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানি খেয়ে বিশুদ্ধ পানিতে পরিণত করা যায়। 

পাতন হলো একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় যেখানে এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করে একসঙ্গে দুইটিনকাজ করা যায়। এর মধ্যে শীতলীকরণ প্রক্রিয়াটি ঘটে থাকে।

পাতন প্রক্রিয়ার একসঙ্গে বাষ্পে পরিণত হওয়া এবং পুনরায় দ্বিতীয় রাশিতিকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানি পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আনা যায়।

পাতন বলতে কি বুঝায়?

তন যা হল কোন তরল পদার্থের মিশ্রণ থেকে উপাদান সমূহ কে গণিভবন এবং বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আলাদা করা।এ প্রক্রিয়াটি হতে পারে সম্পূর্ণরূপে পৃথকভাবে অর্থাৎ খাঁটি উপাদান পদার্থের কাছাকাছি কিংবা আংশিক কৃতজ্ঞ হতে পারে।

আংশিকভাবে প্রকৃত খাবার ক্ষেত্রে মিশ্রণের পদার্থটির গণমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং এটির মাধ্যমে গনীভবন এবং বাষ্পীভবন একসাথে মিশ্রিত হয়। 

অর্থাৎ, পাতন  =  (বাষ্পীভবন + ঘনীভবন)

পাতন প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করার মাধ্যমে দ্রবণের কিংবা মিশ্রণের উপাদান গুলোকে পৃথক করে। উদাহরণ :- যদি ইথানল এবং পানির দ্রবণকে পাতন প্রক্রিয়ায় পৃথক করা যায় তাহলে পদ্ধতিতে দ্রবণের যে উপাদানটি রয়েছে অর্থাৎ উপাদানসমূহের স্ফুটনাঙ্ক যেটির কম সেটি প্রথমে বাষ্পীভূত হবে। 

বাষ্প পাতন পদ্ধতি কি?

যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করার মাধ্যমে অন্যান্য সকল উদ্বায়ী  এবং অ-উদ্বায়ী উপাদানগুলো একত্রে মিশ্রিত হয়ে পাতিত  পদ্ধতিতে জল নিয়ে গঠিত হয়। 

এক্ষেত্রে ফুটন্ত পান থেকে বাষ্পী ভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্বায়ী পদার্থের ভাস্পকে কনডেনসারে নিয়ে আসা যায়। এভাবে উবেই ঠান্ডা হওয়ার পাশাপাশি কঠিন বাদল অবস্থায় ফিরে আসে এ পদ্ধতিতে তখন অ-উদ্বায়ী গুলো রয়েছে সেগুলো অবশিষ্ট অংশগুলো ফুটন্ত পাত্রে থেকে যায় 

পাতন কাকে বলে
পাতন কাকে বলে

উর্ধ্বপাতন কি ব্যাখ্যা কর?

যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন পদার্থকে তা প্রদান করা হলে কঠিন পদার্থ থেকে তরলে পরিণত না হয়ে পদার্থটি সরাসরি গ্যাসীয় অর্থাৎ বাষ্পীয় অবস্থায় পরিণত হয় এবং পদার্থটিকে ঠান্ডা করলে গ্যাসের অবস্থা থেকে পুনরায় সরাসরি কঠিন পদার্থে পরিণত করা যায় তাকে ঊর্ধ্বপাতন বলে। 

উদাহরণ :- অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড,, আয়োডিন,, কঠিন CO2,, 

ন্যাপথালিন,, কর্পূর,, নিশাদল,, ইত্যাদি।

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে পাতন,, বাষ্পাতন,, ঊর্ধ্বপাতন ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনার মাধ্যমে জানিয়েছি। 

আশা করি,, আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে পাতন রিলেটেড যে সকল তথ্য জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানার মাধ্যমে উপকৃত হতে পেরেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button