পলিমার কাকে বলে: অ্যালকাইন ও অন্যান্য প্রতিস্থাপিত এমন ভাবে অ্যালকিনসমূহ উচ্চচাপ, উচ্চতাপ ও অনুঘটকের এই প্রথম উপস্থিতিতে এক অণু আবার অপর অণুর সাথে পরপর যুক্ত হয়ে নানা ভাবে উচ্চ আণবিক ভর বিশিষ্ট এমন যৌগ গঠন করে ।
এ উচ্চ আণবিক এমন ভাবে ভরবিশিষ্ট যৌগটি হল পলিমার গুলো এবং মূল মাতৃ যৌগটি হল এই মনোমার। পলিমার সৃষ্টির প্রক্রিয়া গুলোই পলিমারকরণ এই বিক্রিয়া।
জাতীয় পলিমারকরণ এমন ভাবে বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে মনোমার এই অণুসমূহ কোন পদার্থের অপসারণ করা ব্যতীত পরস্পরের সাথে ও যুক্ত হয় ।
পলিমার কি
ঘনীভবন পলিমারকরণ এই ভাবে বিক্রিয়ার মাধ্যমে দুই বা ততোধিক পদার্থের মনোমার ভাবে গুলো মিথস্ক্রিয়ার ফলে অনেক সময় NH3, HCl ও H2O প্রভৃতি সরল অণু পরিমাণ দূরীভূত হয়ে যে পলিমার গুলো উৎপন্ন হয় তাকে ঘনীভূত এই পলিমার বলে।
একই কার্যকরী মূলক যুক্ত এমন মনোমার যেমন, এই অ্যালকিন, প্রতিস্থাপিত অ্যালকিন,আবার ভিনাইল যৌগ, এবং অ্যালকাইন, অ্যালডিহাইড প্রভৃতি সংযোজন এই পলিমারকরণ বিক্রিয়া প্রদর্শন ও করে থাকে।
পলিমার কাকে বলে
যুত পলিমার (Homo Polymer) হলো: একই ধরনের একাধিক মনোমারের সমন্বয়ে যে সব পলিমার গঠিত হয় তাকে এই পলিমার বলে।
পলিপ্রোপিলিন এমন ভাবে উৎপন্ন হয়। এটিও শক্ত ভাবে প্লাস্টিক। পলিপ্রোপিলিন সবচেয়ে এমন হালকা অথচ শক্ত এই পলিমার প্লাস্টিক। কৃত্রিম সুতা, মোটা রশ্মি, এবং কার্পেট, উন্নত মানের এই সব কন্টেইনার তৈরিতে এর ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়।
প্রাকৃতিক পলিমার কাকে বলে
সংযোজন পলিমার কাকে বলে যেসব এমন পলিমার প্রকৃতিতে পাওয়া যায়, সেসব এমন পলিমারকে প্রাকৃতিক পলিমার বলে ।
মনোমার কাকে বলে
যে সকল সরল অণু পরিমাণ পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে পলিমারগুলো গঠন করে তাদেরকে এই মনোমার বলে। যেমন: পলিথিন হলো এই ইথিলিন মনোমার থেকে তৈরি এমন পলিমার।
পিভিসি পাইপ আবার হলো ভিনাইল ক্লোরাইড নামক এই মনোমার থেকে তৈরিও পলিমার।
ঘনীভবন পলিমার কাকে বলে
যখন একাধিক যৌগের এমন অসংখ্য অণু পরস্পরের সাথে সাথে বিক্রিয়া করে পলিমার গুলো তৈরী করে তখন তাকে কমপক্ষে ঘনীভবন পলিমারকরন বিক্রিয়া ও বলে।
ঘনীভবন বিক্রিয়ায় আবার সাধারনত অ্যালকোহল, অ্যালডিহাইড, আবার অ্যামিন এবং জৈব অ্যাসিডের অণু মনোমার হিসেবে ব্যবহারও করা হয়ে থাকে।
দৈনন্দিন জীবনে পলিমারের ব্যবহার
আমরা পলিথিন, এবং মেলামাইন বাসন, ইউপিভিসি পাইপ,আবার আরএফএল পাইপ ইউজ করে থাকি আবার এসব হলো পলিমার। আমরা যে শর্করা খাবার খাচ্ছি কিন্তু এটাও পলিমার। আমাদের শরীরের ডিএনএ আবার আরএনএ এই পলিমার। তবে এরা প্রাকৃতিক এই পলিমার বলে ।
পলিমার তৈরি হয় এমন কিছু অ্যালকাইন ও অন্যান্য এমন কিছু প্রতিস্থাপিত অ্যালকিনগুলো উচ্চচাপ, এবং উচ্চতাপ ও অনুঘটকের উপস্থিতিতে এক একটা অণু অপর অণুর সঙ্গে পরপর নানা ভাবে যুক্ত হয়ে। সস্তা, বহনযোগ্য এবং সহজলভ্য হওয়ায় এর জন্য বহুরূপী ব্যবহার দেখাও যায়।
আরো পড়ুন: ভেষজ উদ্ভিদ কাকে বলে
কৃত্রিম পলিমার কাকে বলে
রসায়নাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরি এমন কিছু পলিমারকে সংশ্লেষিত বা কৃত্রিম এই পলিমার বলে।
কো পলিমার কাকে বলে
অনিয়মিত উপায়ে একে অপরকে অন্যের সাথে মুক্ত অবস্থায় এমন থাকে তাকে সহ পলিমার বলে।
জৈব পলিমারের উদাহরণ
যে পলিমারের প্রধান এই শিকল কার্বন পরমাণু দ্বারা এমন ভাবে গঠিত তাকে জৈব পলিমার বলে।
পলিমার ও মনোমার কাকে বলে
উচ্চ আণবিক ভরবিশিষ্ট এই জন্যে যৌগটি হল পলিমার এবং মূল মাতৃ যৌগটি হল এই মনোমার।
পলিমার কাকে বলে উদাহরণ দাও
প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য এই পলিমারগুলি : স্টার্চ এবং, প্রোটিন,
পলিমারের উদাহরণ
পলিমার হল : নাইলন এবং টেফলন ইত্যাদি ।
যুত পলিমার কাকে বলে
একই ধরনের একাধিক এমন মনোমারের সমন্বয়ে যে এমন কোনো পলিমার গঠিত হয় তাকে এই যুত পলিমার বলে।
