পরিপাকতন্ত্র কাকে বলে: প্রতিটি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহণ করে। খাদ্য পরিপাক হয়। তবে খাদ্য পরিপাক কাকে বলে অথবা খাদ্য পরিপাক কি এবং কিভাবে পরিপাক হয় তা সম্পর্কে অনেকে জানতে চায়।
আমাদের উক্ত পুষ্টির মাধ্যমে আমরা খাদ্য পরিপাক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাচ্ছি।
পরিপাক হল যান্ত্রিক এবং রাসায়নিক ভাবে খাদ্যবস্তু ভেঙে শক্তি বাপ রুটিন তৈরির এবং কার্বো প্রোটিন তৈরির প্রক্রিয়া।তবে এই শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিপাক কিভাবে হয়ে থাকে
পরিপাক কাকে বলে ইত্যাদি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন এবং পরিপাক সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন। বিজ্ঞানভিত্তিক অথবা মেডিকেলের একটি অন্যতম আলোচনার বা প্রধান বিষয়ের মধ্যে একটি হলো পরিপাক ক্রিয়া।
পরিপাকতন্ত্র কি
যে তন্ত্র ব্যবহার করার মাধ্যমে খাদ্য বস্তু শোষণ এবং পরিপাক হয় হৃদ তন্ত্র টিকে পরিপাকতন্ত্র বলে।এছাড়াও যে প্রান্ত ব্যবহার করার মাধ্যমে খাদ্য পরিপাক করা হয় সে চুরন্ত টিকে পরিপাকতন্ত্র বলা হয়। তবে পরিপাকতন্ত্র এর অন্য একটি নাম হলো পৌষ্টিকতন্ত্র।
পরিপাকতন্ত্র কাকে বলে
খাদ্য পরিপাক এবং শোষণ করার ক্ষেত্রে যে তন্ত্রটি খাদ্যকে পরিপাক এবং শোষণ করে থাকে সে তন্ত্রটিকে পরিপাকতন্ত্র বলে। অর্থাৎ যে তন্ত্র ব্যবহার করে খাদ্যকে পরিপাক করা হয় সে ত্রন্তটিকে পরিপাকতন্ত্র বলা হয়ে থাকে।
পরিপাকতন্ত্র কিভাবে কাজ করে
পরিপাকতন্ত্র যেভাবে কাজ করে ধরা হলো :
সাধারণত আমিষ, শর্কা, জাতীয় খাদ্য পরিপাকে অংশগ্রহণ করে।এক্ষেত্রে এঞ্জেন সমূহের ভূমিকা মুখ্য। একটি খাদ্যকে যখন এন্ড জামে পরিণত করা হয় তখন বিভিন্ন অ্যাঞ্জাম করতে পরিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
→আন্ত্রিক রসের মিউজিনের ক্রিয়ায় ক্ষুদ্রান্তে অবস্থিত খাদ্যবস্তু
পিচ্ছিল স্থানান্তরিত হয়।
→ব্রুনাস গ্রন্থি ও গবলেট কোষ থেকে মিউকাস উৎপন্ন হয়। মিউকাস ক্ষুদ্রান্তের প্রাচীর কে এনজাইমের কার্যকারিতা থেকে রক্ষা করে।
→পিত্তরস পরোক্ষভাবে অন্তরে জীবাণুর কর্মদক্ষতা কমিয়ে দেয়।
→ পিত্ত লবণগুলো ক্ষুদ্রান্তের পেশির ক্রমশঙ্কোচন বাড়িয়ে বৃহদান্তের দিকে খাদ্যের গতি বৃদ্ধি করে।
→স্কুলের সৃষ্ট কাহিনী নামক হরমোন পিপাসয়ের সংগঠন ঘটিয়ে পিত্রাশয়ের সঞ্চিত পিত্তরয় ক্ষুদ্রান্তে পৌঁছে দেয়।
→পিতলবণ স্নেহ দ্রব্য কি ও দ্রবণের মাধ্যমে সাবানের মত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় পরিণত করে।
ফলের পরিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
পরিপাকতন্ত্রের গঠন ও কাজ
সাধারণত পরিপাকতন্ত্র টি হল একটি দীর্ঘ মোচড়ানো নল। এ নলটি মুখ থেকে শুরু করে অননালী, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্তের মধ্য দিয়ে যায় এবং পরিশেষে তা মলদ্বারে শেষ হয়।
পরিপাকতন্ত্রের মূল কাজ হলো খাদ্যকে সহজ পুষ্টিতে ভেঙে দেওয়া যেমন কোন খাদ্যকে কার্বোহাইড্রেট, চর্বি এবং প্রোটিন এ পরিণত করা।
হঠাৎ খাদ্য কি পরিপাক প্রান্তরে গঠন দ্বারা পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অংশগ্রহণের ছোট ছোট আকারে খাদ্য গ্রহণ করা থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে ছোট ছোট আকারে তা পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায় এবং পরিচিত তার পরিপাক হয়।
পরিপাক হওয়ার মাধ্যমে প্রোটিন চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় পদার্থ উৎপাদন করে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান প্রয়োগ করে।
পরিপাকতন্ত্রের রোগ
পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের রোগ রয়েছে। যে রোগ গুলো পরিপাকতন্ত্রে আক্রমণ করে বা আক্রমণ করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়ে থাকে। নিম্নে পরিপাকতন্ত্রের রোগ গুলো উল্লেখ করা হলো :-
পেট ব্যথা,,,
পিত্তথলিতে পাথর,,,,
কোষ্ঠকাঠিন্য,,,,
পিইউডি,,,,
পেপটিক আলসার,,,,
ক্রনস্ ,,,,
রোগমলদ্বারে রক্তক্ষরণ,,,,
উদরাময় বা ডায়রিয়া,,,,,
পাকস্থলীর আলসার,,,,,
ডাইভার্টিকুলোসিস,,,,,
ডাইভার্টিকুলাইটিস,,,,,,খাদ্য গলাধঃকরণে জটিলতা,,,, ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: পরমতসহিষ্ণুতা কাকে বলে
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে পরিপাক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি পরিপাক সম্পর্কে আপনি যে সকল তথ্য জানতে চান তা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।
