পদার্থ কাকে বলে? পদার্থের বৈশিষ্ট্যসমূহ

পাঠক বৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম।  আজকে আমাদের উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আপনারা পদার্থ কাকে বলে,,, পদার্থের শ্রেণীবিভাগ,,, বৈশিষ্ট্যসমূহ,, কঠিন,, তরল, বায়বীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য,,,,,,,, ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

পৃথিবীতে দৃশ্যমান ও অসংখ্য বস্তু রয়েছে। তবে সকল বস্তুকে পদার্থ বলা যায় না। একটি পদার্থের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে এবং উপাদান গুলোর বৈশিষ্ট্য মিল থাকলে সে উপাদানটিকে বৈশিষ্ট্য বলা হতে পারে। 

এছাড়াও একটি পদার্থ অথবা একাধিক পদার্থের বিভিন্ন অবস্থার উপর ভিত্তি করে তাকে পদার্থ হিসেবে বলা হয়। এজন্য শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পদার্থ এবং পদার্থের প্রকারভেদ পাশাপাশি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য। 

পদার্থ কাকে বলে? 

যে সকল বস্তুর ভর এবং নির্দিষ্ট আয়তন বিদ্যমান থাকে এবং বল প্রয়োগ করার মাধ্যমে বাধা প্রদান করে তাদেরকে পদার্থ বলা হয়। 

অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট রচনা বা নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান কিছু বিশুদ্ধ উপাদান বা বিশুদ্ধ যৌগের সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে পদার্থ। 

তবে বিশুদ্ধ যৌগ বা উপাদান সমূহের নির্দিষ্ট বড় আয়তন থাকার মাধ্যমে বল প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে এমন সকল বস্তুসমূহ কে পদার্থ বলা হয়। 

যেমন :- চিনি, লোহা, তেল, মানুষ, বাতাস ইত্যাদি। 

পদার্থের শ্রেণীবিভাগ

পদার্থের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ বিদ্যমান। পদার্থকে প্রধানত দুই প্রকারে ভাগ করা যায়। সেগুলো হলো :-

১. মৌলিক পদার্থ,,, 

২. যৌগিক পদার্থ,,,, 

→ এছাড়াও অবস্থানের উপর ভিত্তি করে তিন প্রকারে পদার্থের অবস্থাকে ভাগ করা যায়। 

সেগুলো হলো :-

১. কঠিন অবস্থা। উদাহরণ :- বরফ।

২. তরল অবস্থা। উদাহরণ :- পানি। 

৩. বায়বীয় অবস্থা। উদাহরণ :- জলীয় বাষ্প।

পদার্থের বৈশিষ্ট্যসমূহ

সাধারণভাবে পদার্থের প্রকারভেদের উপর ভিত্তি করে পদার্থের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করা হয়ে থাকে। 

তবে সাধারণভাবে একটি পদার্থের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে। সেগুলো হলো :-

১.পরিমাপযোগ্য,,,

২. ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য,,,,

৩. স্থান অধিকার করে অথবা  এর আয়তন আছে,,,,,

৪. ভর যুক্ত অর্থাৎ কোনো পদার্থ দিয়ে তৈরি এমন,,

পদার্থ কাকে বলে পদার্থের বৈশিষ্ট্যসমূহ
পদার্থ কাকে বলে পদার্থের বৈশিষ্ট্যসমূহ

কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য

কঠিন পদার্থের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য হলো :-

→ কঠিন পদার্থের ওজন আছে। 

→ কঠিন পদার্থ জায়গা দখল করে। 

→ কোন বস্তুতে বল প্রয়োগের ফলে কঠিন পদার্থ সমূহ বাধার সৃষ্টি করে। 

→ কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার বিদ্যমান। 

→ কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে পদার্থসমূহ প্রসারিত হয়। 

© তবে কিছু কিছু কঠিন পদার্থ আছে যেগুলো তাপ দিলে প্রচলিত হয় না।  যেমন:- ন্যাপথলিন। 

তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য

তরল পদার্থের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :-

১. তরল পদার্থ সমূহের আকার নেই তবে আয়তন আছে। 

২. তরল পদার্থের ওজন আছে। 

৩. তরল পদার্থ জায়গা দখল করে। 

৪. যেকোনো পাত্রে রাখা হলে সেই পাত্রের আকার তরল পদার্থ সমূহ ধারণ করে। 

৫. তরল পদার্থ সাধারণত নিচের দিকে গড়িয়ে চলে।

বায়বীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য

বারবীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :-

→ বারবীয় পদার্থের আকার এবং আয়তন নেই। 

→ বায়বীয় পদার্থের ওজন আছে। 

→ বায়বীয় পদার্থকে ঠান্ডা করলে তার তরলের পরিণত হয়ে যায়। 

→ এছাড়াও বায়বীয় পদার্থ স্থান দখল করতে পারে। 

এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে পদার্থ কাকে বলে, পদার্থের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে পদার্থ সম্পর্কিত বিভিন্ন সংজ্ঞা এবং প্রকার সম্পর্কিত যে সকল তথ্য আপনারা জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন, তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Leave a Comment