নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিচার বিভাগও অন্য দু’টি কিছু বিভাগের নিয়ন্ত্রণমুক্ত নয়। সিনেটের অনুমোদন করে সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের এমন কিছু বিচারপতিদের নিযুক্ত করেন। তবে মূলত এমন ভাবে নিয়োগ রাজনৈতিক দলের বিচার বিবেচনার দ্বারা নানা ভাবে নিয়ন্ত্রিত।
কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের এমন কিছু বিচারপতিদের সংখ্যা নির্ধারণ করেতে পারে। তাছাড়া আবার কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এর বিষয়ক ক্ষমতা, জাতীয় এই আদালতসমূহের এক্তিয়ার, বিভিন্ন সময়ে অধঃস্তন ও জাতীয় আদালত এই গঠন ও বিলোপ প্রভৃতি কারণে বিষয়ে ক্ষমতা ভোগ করেন।
সর্বোপরি বিচার বিভাগ বিভাগীয় সিদ্ধান্ত রোধ এবং বিধিনিষেধের নানা ভাবে অপসারণের উদ্দেশ্যে কংগ্রেস এবং আইন প্রণয়ন করতে পারে।
নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী রচয়িতাগণ ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষার্থে মন্টেস্কুর নানা ভাবে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি দ্বারা নানা ভাবে যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছিলেন।
ঔপনিবেশিক শাসনের নামে তিক্ত অভিজ্ঞতায় জর্জরিত তৎকালীন সময়ে নেতৃবৃন্দ অনুভব করেছিলেন যে কোনো সরকারের সকল ক্ষমতা একই ভাবে ব্যক্তি বা সংস্থার হাতে ন্যস্ত হলে স্বৈরাচার জন্ম থেকে নিতে বাধ্য।
তাই তারা সরকারের তিনটি বিভাগের এমন ক্ষমতা একে অপরের হস্তক্ষেপ মুক্ত রাখার জন্য নানা ভাবে নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য রক্ষা নীতি প্রয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ হন।
নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি বলতে কি বুঝায়
এ ব্যবস্থার মাধ্যমে এই মার্কিন কংগ্রেস, রাষ্ট্রপতি এবং সুপ্রিম কোর্ট একে অপরের কার্যাবলি গুলো নিয়ন্ত্রণ করছে আবার নিজেদের ক্রিয়াকলাপের ভারসাম্য এমন ভাবে রক্ষা করে চলেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রপতির হাতে নানা ভাবে ব্যাপক নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ধি অথবা চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধি ন্যস্ত থাকলেও এগুলো সিনেটের এই ভাবে অনুমোদন ছাড়া কার্যকরী হয় না।
ক্ষমতার ভারসাম্য নীতি কি
মার্কিন রাষ্ট্রপতি কংগ্রেসের গুলো বিশেষ অধিবেশন আহ্বান জানিয়ে করতে পারে এবং যে কোন প্রস্তাব কংগ্রেসে পেশ নানা ভাবে করতে পারেন।
তবে কংগ্রেস এ প্রস্তাব গ্রহণ আবার বর্জন কিংবা সংশোধন অথবা মূল এমন ভাবে প্রস্তাবের আমূল পরিবর্তন করতে ও পারে।এক্ষেত্রে কংগ্রেস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ক্ষমতাকে সীমিত করে থাকে।
- নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির সুবিধা কী ব্যাখ্যা কর
ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির কঠোর প্রয়োগ ঘটলে সেটা সরকারের বিভাগগুলোর মধ্যে অকাম্য এবং অশুভ প্রতিযোগিতার সৃষ্টি ও হবে।
প্রতিটি বিভাগের মধ্যে নিজের এমন কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আবার স্বৈরাচারী হওয়ার একটা প্রবণতাও দেখা দিবে। এ আশঙ্কায় সংবিধান অনুযায়ী রচয়িতাগণ সরকারের কাছে বিভাগগুলোর স্বৈরাচারী কায়দায় প্রবণতা রোধের জন্য পারস্পরিক সম্পর্ক
নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য বজায় ও পারস্পরিক সমঝোতা এবং সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উপযোগী এক অনন্য ও অসাধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রবর্তন করেন । যা পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রণ এবং ভারসাম্য নীতি নামেও পরিচিত হয়।
মার্কিন সংবিধানের নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইন অথবা কংগ্রেসের কার্যাবলির উপর নিয়ন্ত্রণ এবং ভারসাম্য নীতির প্রয়োগও করা হয়েছে। যদিও মার্কিন রাষ্ট্রপতি এবং কংগ্রেস দু’টি এমন কিছু স্বতন্ত্র সংস্থা এবং সম্পূর্ণ পৃথকভাবে নানা নির্বাচিত, তবুও উভয়ের কাছে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা করে মার্কিন সংবিধানের অন্যতম এক বৈশিষ্ট্য।
আবার কংগ্রেস প্রণীত আইনের উপর দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভেটো প্রয়োগ করতেও পারেন। তবে পরবর্তীতে এমন কিছু বিলটি আবার যদি কংগ্রেসের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সদসস্যের ভোটে পাস হয়, আবার তাহলে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি বিলে স্বাক্ষর গুলো দিতে বাধ্য।
উদাহরণস্বরূপ,আবার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন ভার্সাই চুক্তি আবার জাতিসংঘের সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর করলেও এই সিনেট তা অনুমোদন করে নি। ফলে আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে যোগও দিতে পারে নি।
আরো পড়ুন: পৌরনীতি কাকে বলে
স্বতন্ত্রীকরণ নীতি কি?
ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ বলতে গেলে বুঝায় রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন,আবার শাসন ও বিচার ক্ষমতা বৃদ্ধি পৃথক ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির এই ভাবে হাতে অর্পণ করা যাতে এক বিভাগ এর অন্য বিভাগের ক্ষমতায় এমন হস্তক্ষেপ করতে না ও পারে।
যাচাই ও ভারসাম্যের নীতি বলতে কী বোঝো
যাচাইকরণ নীতি হলো এই যে যৌক্তিক ইতিবাদী দার্শনিকদের এই ভাষা বিশ্লেষণ ও পরিষ্করণেরও নীতি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতার বন্টন কিভাবে হয় ?
সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্র বং রাজ্যগুলোর মধ্যে ক্ষমতা গুলো বিভাজন করেও দেওয়া হয়।