শিক্ষা

তাকওয়া শব্দের অর্থ কি? তাকওয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

তাকওয়া শব্দের অর্থ কি: তাকওয়া” শব্দটি ওয়াকা হলো একটি (আরবি: وقى) ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়েছে,এবং  যার আক্ষরিক অর্থ আত্মরক্ষা,আবার সংরক্ষণ, সুরক্ষা, ঢাল ও ইত্যাদি।

আরবি শব্দ তাকওয়া মানে হল “সহনশীলতা, ভয় এবং নানা ভাবে বিরত থাকা। সূরা লাইল এর এই ৮ নং আয়াত অনুযায়ী তাকওয়ার বিপরীত ভাবে হলো ইস্তিগনাহ (আরবি: اسْتِغْنَاء), এটি হলো আরবি ক্রিয়ামূল এমন গনী (আরবি: غَنِيٌّ) থেকে এসেছে ।

অন্যকথায় সকল কিছু প্রকার হারাম থেকে নিজেকে নানা ভাবে রক্ষা করে কুরআন সুন্নাহ থেকে মোতাবেক জীবন পরিচালনা গুলো করাকে তাকওয়া ও বলা হয়। এটি প্রায়শই কুরআনে নানা ভাবে পাওয়া যায়।

যারা তাকওয়া অনুশীলন করে আবার— ইবনে আব্বাসের ভাষায়, “আল্লাহর সাথে এমন ভাবে শিরক পরিহার করে আবার তাঁর আনুগত্যে কাজ করে এমন কিছু বিশ্বাসী”- তাদের বলা হয় আবার মুত্তাকি (আরবি: مُتَّقِينَ, আল-মুত্তাকিন, ধার্মিক) অথবা  তাক্বী (আরবি: تقي)।

আরো পড়ুন: আমের উপকারিতা ও অপকারিতা – আমের ও পুষ্টিগুণ

তাকওয়া শব্দের অর্থ কি

তাকওয়া (আরবি: تقوى) শব্দের অর্থ হলো বিরত থাকা,আবার বেঁচে থাকা, নিষ্কৃতি লাভ করা,এবং ভয় করা, নিজেকেও রক্ষা করা। ব্যবহারিক অর্থে দ্বীনদারি, আবার ধার্মিকতা, পরহেজগারি,এবং আল্লাহভীতি, খোদাভীতি, আত্মশুদ্ধি , আবার আল্লাহ ও সত্যের প্রতি সচেতন অথবা পরিজ্ঞাত হওয়া, “ধর্মপরায়ণতা, মহান আল্লাহর ভয়” ইত্যাদি ও বোঝায়।

ইসলামি পরিভাষায় বলা যায় ,সর্বাবস্থায় আল্লাহ তাআলাকে নানা ভাবে ভয় করে হারাম থেকে বেঁচে থাকা আবার তাঁর হুকুম-আহকাম গুলো মেনে চলাই হল এই তাকওয়া

তাকওয়া কত প্রকার

পাপ-পুণ্য মানব-জীবনের এমন এক সাধারণ অনুষঙ্গ। মানুষের মাঝে অনেক পাপীও আছে,আবার পুণ্যবানও আছে। তবে অধিকাংশ এই মানুষের পরিচয় এই যে তাদের অনেক আমলনামা পাপ-পুণ্যে ও মিশ্রিত। অতএব এ বিষয়েও নানা ভাবে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন।

কুরআন মাজীদ এ সব বিষয়ে আমাদের অনেক সঠিক ধারণা প্রদান করে। এটি কুরআন মাজীদের বিশেষ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু ।

তাকওয়া শব্দের অর্থ কি তাকওয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
তাকওয়া শব্দের অর্থ কি তাকওয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

তাকওয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

আল্লাহর চেতনা…এবং ধার্মিকতা, আল্লাহর ভয়, আবার আল্লাহর প্রতি ভালবাসা ও আত্মসংযম”।

“আল্লাহর-চেতনা অথবা খোদাভীরু তাকওয়া”, “এই পুণ্য”, “সতর্কতা”।

আল্লাহর ভয়, আবার”সতর্ক থাকা, পরকালে নিজ এমন ভাবে স্থান জেনে রাখা”। তাকওয়ার এমন ভাবে”প্রমাণ” হল আল্লাহর নানা ভাবে “ভয় পাওয়ার অভিজ্ঞতা”, গুলো যা “একজন ব্যক্তিকে নিয়ে অন্যায় কাজ থেকে সতর্ক করে থাকতে অনুপ্রাণিত করে” আবার আল্লাহকে খুশি করে এমন কাজ গুলো করতে আগ্রহী করে।

আক্ষরিক অর্থে হলো “রক্ষা করা”। সাধারণভাবে, আবার নিজেকে “আল্লাহর ক্রোধ থেকে” নানা ভাবে রক্ষা করার জন্য “আল্লাহ এমন ভাবে নিষেধ করেছেন তাতে ও লিপ্ত না হওয়া”।

তাকওয়ার শিক্ষা

উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন যে, আপনি কি কখনও কাঁটা বিছানো এমন পথে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বললেন যে হ্যাঁ। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন যে, এই কাঁটা বিছানো পথে হেঁটেছেন , আপনি কীভাবে হেঁটেছেন ।

মূলকথা

 ওমর (রা.) বলেন যে, সতর্ক-সচেতনতার সঙ্গে নানা ভাবে যাতে আমার শরীরে ও কাঁটা না বিঁধে। উবাই ইবনে কাব (রা.) বললেন যে এটাই হচ্ছে এই তাকওয়া। 

তাকওয়ার সোপান কয়টি ও কি কি

তাকওয়া, তাজকিয়া এবং ইহসান ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় সর্বোচ্চ তিনটি ধাপ। এগুলো শরিয়তের বিধান অভ্যন্তরীণ অংশ অথবা প্রকৃত উদ্দেশ্য। তাকওয়া অর্থ হলো সাবধান হওয়া, সতর্কতাও অবলম্বন করা, ভয় করা, এবং বেছে চলা, আবার পরিহার করা ও দূরে থাকা।

ইসলামের একটি অতি প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই তাকওয়া। একজন প্রকৃত অর্থে মোমিন তাকওয়া দ্বারাই হলো পরিচালিত হন।

তাকওয়া মানুষকে নানা পাপ থেকে দূরে রাখে ও সত্কাজে অনুপ্রাণিত করে। কোরআনুল কারিমে বলা হয়েছে যে, ‘তোমরা যারা ইমান এনেছ এবং তারা তাকওয়া গুলো অর্জন করো’ ।

তাজকিয়া অর্থ সূচিতা, এবং পবিত্রতা, মানোন্নয়ন, ও শ্রীবৃদ্ধি ইত্যাদি। পরিভাষায় তাজকিয়া হলো এই আত্মশুদ্ধি, অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা,এবং আত্মিক উন্নতি, আবার চারিত্রিক উৎকর্ষ। মূলত তাজকিয়া হলো এই ষড়্‌রিপু, তথা কাম, এবং ক্রোধ, লোভ, মোহ,আবার মদ, মাৎসর্যকে নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার ও করা ।

এই মানব চরিত্রের নেতিবাচক এমন গুণাবলি, যথা লালসা, অন্যায় বাসনা, আবার পরনিন্দা, মিথ্যা, এবং হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, আত্মপ্রচার, আবার আত্ম-অহংকার, কার্পণ্য ইত্যাদি থেকে নানা ভাবে মুক্ত হওয়া।

আরো পড়ুন: বাইক নিয়ে ক্যাপশন উক্তি স্ট্যাটাস কবিতা

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button