শিক্ষা

তরঙ্গ কাকে বলে? তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কাকে বলে

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কাকে বলে: তরঙ্গ বা ঢেউ হলো এক এমন ধরনের কম্পনরত আন্দোলন যা হলো এক স্থান থেকে অন্য আবার স্থানে শক্তি এমন ভাবে সঞ্চারিত করে । মাধ্যম ব্যতিরেকে তরঙ্গ শূন্যস্থান দিয়েও সঞ্চারিতও হতে পারে। এ ধরনের তরঙ্গ হলো এমন ভাবে তাড়িতচ্চৌম্বক তরঙ্গ ও মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। 

জড় মাধ্যমের কণার আন্দোলনের করার ফলে বা কোনো বস্তুর কলাকৌশলের ফলে আবার যে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে এই যান্ত্রিক তরঙ্গ বলে। এই তরঙ্গ মাধ্যমের কণার কোনো না কোন ভাবে স্থায়ী ঘটায় না, বরং এই তরঙ্গ মাধ্যমের মতো কণাগুলোর স্পন্দন অথবা কম্পন এমন ভাবে দ্বারা সঞ্চালিত হয়।

তরঙ্গ কাকে বলে

এ ধরনের তরঙ্গ হলো এমন তাড়িতচ্চৌম্বক তরঙ্গ ও মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। জড় মাধ্যমের কণার ভাবে এই আন্দোলনের ফলে কোনো বস্তুর কলাকৌশলের ফলে যে ভাবে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে এই যান্ত্রিক তরঙ্গ বলে।

তরঙ্গ বেগ কাকে বলে

নির্দিষ্ট দিকে, প্রায় প্রতি সেকেন্ড সময়ে তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রমও করে, তাকে ঐ তরঙ্গের তরঙ্গ এর বেগ বলে। সব তরঙ্গ হলো শক্তি আবার তথ্য সঞ্চারণও করে। তরঙ্গের বিস্তার,কম্পন, এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য আছে।

আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত

তরঙ্গদৈর্ঘ্য হচ্ছে পরপর এমন দুটি তরঙ্গশীর্ষের (এবং তরঙ্গপাদের) এমন মধ্যবর্তী দূরত্ব। এটি এমন গাণিতিকভাবে আবার �\lambda দ্বারা কিছু চিহ্নিতও করা হয়।

  1. T) হলো একটি পূর্ণ স্পন্দন এমন ভাবে সম্পন্ন করতে একটি তরঙ্গ সঞ্চারকারী কণার যেকোনো সময় লাগে। কম্পাঙক গুলো

{\displaystyle f} বা 

�{\displaystyle \nu }) হচ্ছে এমন এক একটি তরঙ্গ সঞ্চারকারী আবার কণা এক সেকেন্ডে মানে যতগুলো পূর্ণ কম্পন অনুভব সম্পন্ন করতে পারে সেই সব সংখ্যা। 

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কাকে বলে

স্থির তরঙ্গ হলো এমন এক একটি তরঙ্গ যা নানা ভাবে সঞ্চারণশীল নয়, বরং স্থির। স্থির তরঙ্গ ব্যবহার সৃষ্টি হতে পারে এমন কিছু ক্ষেত্রে যখন তরঙ্গের মাধ্যমটি আবার তরঙ্গের বিপরীত দিকে নানা ভাবে সঞ্চারণশীল থাকে ।

কোন ভাবে স্থির মাধ্যমে দুটি এমন বিপরীতমূখী তরঙ্গের এমন ভাবে উপরিপাতনের ফলে ।

 তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এর একক

তরঙ্গের বিস্তার আবার,কম্পন, এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য আছে।

  • তরঙ্গ অগ্রগামী অথবা স্থির হতে ও পারে।
  • তরঙ্গ আড় বা লম্বিক আবার অনুপ্রস্থ বা এমন অনুদৈর্ঘ্য বরাবর হতে পারে ।
  • এর প্রতিফলন আবার, প্রতিসরণ,ব্যতিচার ও,অপবর্তন ঘটে।
  • তরঙ্গের প্রবাহের অভিমুখ অথবা দিক আছে।
তরঙ্গ কাকে বলে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কাকে বলে
তরঙ্গ কাকে বলে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কাকে বলে

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্কের সূত্র

সরল ছন্দিত তরঙ্গ গুলো তরঙ্গশীর্ষ বা চূড়া আবার তরঙ্গপাদ বা তল দ্বারা এমন ভাবে বৈশিষ্টায়িত। এই তরঙ্গ সাধারণত একটি দুই ধরনের, অনুপ্রস্থ তরঙ্গ এবং অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ। 

যে তরঙ্গের এই সঞ্চালনের দিক মাধ্যমের কণাগুলোর নানা ভাবে স্পন্দনের দিকের সাথে সাথেই সমকোণে থাকে তাকে অনেক বেশি অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলা হয়।

  • তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ও তরঙ্গ বেগের সম্পর্ক
  • তরঙ্গের সৃষ্টি হয় মাধ্যমের কণার এমন স্পন্দন বা কম্পনের ফলে। 
  • কিন্তু এর প্রভাবে মাধ্যমের মতো কণা স্থানান্তরিত হয় না তাই শুধুমাত্র মাধ্যমের ভিতর দিয়ে আবার তরঙ্গাকারে আন্দোলন সঞ্চারিত হয়।

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র

তরঙ্গের বেগ এবং মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দনের এমন ভাবে বেগ আলাদা। মাধ্যমের সব সময় জায়গায় তরঙ্গের বেগ একই ভাবে থাকে কিন্তু মাধ্যমের মতো কণাগুলো বিভিন্ন বেগে এমন ভাবে স্পন্দিত হয়।

সাম্যাবস্থানে এমন কিছু কণাগুলোর বেগ সবচেয়ে বেশি।

যে জড় মাধ্যম দ্বারা তরঙ্গ ব্যবহার করে সঞ্চারিত হয় তাকে তরঙ্গ ও মাধ্যম বলা যায়। তরঙ্গ মাধ্যমকে নিম্নলিখিত এমন ভাবে প্রকারান্তর করা যায় ।

সীমিত মাধ্যম আবার অসীম মাধ্যম: সরলরৈখিক মাধ্যম যদি এর মাধ্যমের যে কোন কোনো বিন্দুতে অবস্থিত ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের এমন  বিস্তার যোগ করা যায়।

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি সবচেয়ে ছোটো তরঙ্গদৈর্ঘ্য হল এই প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্যের ও কাছাকাছি । 

তরঙ্গ সংখ্যা: তরঙ্গ প্যাকেটগুলি বিভিন্ন তরঙ্গ সংখ্যা অথবা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সাইনোসয়েডাল তরঙ্গের এমন অসীম সমষ্টি ।

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলতে কী বোঝো?

তরঙ্গদৈর্ঘ্য বলে এটি হলো তরঙ্গের একই ফেজ এর জন্য পরপর সংশ্লিষ্ট বিন্দুর মধ্যে এমন দূরত্ব।

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত?

দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের এমন ভাবে পরিসর ৩৮০-৭৬০ ন্যানোমিটার।

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কি class 11

পরপর দুটি তরঙ্গচূড়া অথবা পর পর দুটি তরঙ্গখাঁজের মধ্যবর্তী প্রায় দূরত্ব হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্য।

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কি class 12

কোনো তরঙ্গের পরপর দুটি, এমন একই দশা সম্পন্ন কণারওর মধ্যকার দূরত্বকে এমন ভাবে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (Wave length) বলা হয়। 

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত প্রকার?

যে তরঙ্গের সঞ্চালনের দিক দিয়ে মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দনের এই দিকের সাথে সমকোণে করে থাকে তাকে এই অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলা হয়।

আরো পড়ুন:তৃণভূমি কাকে বলে

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত?

তাড়িতচৌম্বকীয় তরঙ্গ অথবা সুতার মধ্যে দিয়ে সঞ্চারিত ও তরঙ্গ।

দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত?

মানুষের চোখ হলো ৩৮০ থেকে ৭৫০ ন্যানোমিটার তরঙ্গ ও দৈর্ঘ্যে সাড়া দেয়।

কোন আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি?

দৃশ্যমান আলোর মধ্যে এই লাল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও সবচেয়ে বেশি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button