তড়িৎ ক্ষেত্র কাকে বলে

তড়িৎ ক্ষেত্র কাকে বলে :-আসসালামু আলাইকুম।  আমাদের ওয়েবসাইটের উক্ত পোস্টটি তে আমরা আপনাদেরকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আমাদের উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আপনারা —

তড়িৎ ক্ষেত্র কাকে বলে,, তড়িৎ ক্ষেত্র ও তড়িৎ তীব্রতা একই নয় কেন,, তড়িৎ ক্ষেত্রের মাত্রা,, তড়িৎ ক্ষেত্রের সূত্র,, তড়িৎ ক্ষেত্র একক,, তড়িৎ ক্ষেত্র কে আবিষ্কার করেন?,, ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়গুলোর মধ্যে তড়িৎ ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা একটি অন্যতম বিষয়।  এছাড়া ও পদার্থবিজ্ঞানের একটি নির্দিষ্ট কলম্বের সূত্র অথবা কুলম্বের সূত্রের সমন্বয়ের তড়িৎ ক্ষেত্র নিয়ে একটি অধ্যায়ের মাধ্যমে তড়িৎ ক্ষেত্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করে জানানো হয়। 

এজন্য তড়িৎ ক্ষেত্র সম্পর্কে যথাযথভাবে জানার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় তড়িৎ ক্ষেত্র নিয়ে প্রশ্নের সমাধান করার ক্ষেত্রে তড়িৎ ক্ষেত্র সম্পর্কিত সকল তথ্য যথাযথভাবে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

তড়িৎ ক্ষেত্র কাকে বলে

কোন একটি আহুত  বস্তুর চারদিকে যে অঞ্চল জুড়ে তড়িৎবলের প্রভাব বিদ্যমান থাকিস সেই অঞ্চলকে বস্তুটির তড়িৎ ক্ষেত্র বলা হয়। 

পাশাপাশি একটি আহত কণা যে পরিমাণ তড়িৎ কোন একটি চুম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত করে এবং সে ক্ষেত্রে সে সময় আহিত করাটি নিজে থেকেও যে পরিমাণ চুম্বকীয় ক্ষেত্র উৎপন্ন করে তাকে আহিতো কণার সাপেক্ষে তড়িৎ ক্ষেত্র বলা হয়। 

তড়িৎ ক্ষেত্র ও তড়িৎ তীব্রতা একই নয় কেন

তড়িৎ ক্ষেত্র ও তড়িৎ তীব্রতা একই নয়।  কারণ :-

যদি কোন একটি বৈদ্যুতিক আহিত কোন তার যে অবস্থানে রয়েছি সেখানে তার চারিদিকে যতদূর পর্যন্ত তার বলে প্রভাব অথবা আকর্ষণ অথবা বিকর্ষণ বিস্তৃত থাকে তাকে সেই অঞ্চলের তড়িৎ ক্ষেত্র বলা হয়।

কোন বৈদ্যুতিকভাবে আহিত কণা যেখানে অবস্থান করে সেখানে তার চারিদিকে যতদূর পর্যন্ত তার বলের প্রভাব (আকর্ষণ/বিকর্ষণজনিত) বিস্তৃত থাকে, সেই অঞ্চলকে বলা হয় তড়িৎ ক্ষেত্র।

তবে তড়িৎ ক্ষেত্রে কোন একটি বিন্দুতে একক ধনাত্মক পরিমাণ আদান স্থাপন করলে অনুভব করবে তাকে ওই বস্তুর তড়িৎ তীব্রতা বা তড়িৎ প্রাবল্য বলা হয়। তাই তড়িৎ বল কে তার আধান দিয়ে যদি ভাগ করা হয় তাহলে তড়িৎ তীব্রতা পাওয়া যায়। 

সেক্ষেত্রে তড়িৎ ক্ষেত্র হলো, স্থান আর তড়িৎ তীব্রতা হল তার এক প্রকার বল। এজন্য বলা হয় যে তড়িৎক্ষেত্র ও তড়িৎ তীব্রতা এক নয়। 

তড়িৎ ক্ষেত্রের মাত্রা

কোন একটি আনিত বস্তুর চারদিকে যে অঞ্চল জুড়ে তড়িৎবলের প্রভাব বিদ্যমান থাকে সেই অঞ্চলকে বস্তুটির তড়িৎ ক্ষেত্র বলা হয়। 

তড়িৎ বিভব ভোল্ট মিটারের সাহায্যে মাপা হয়।  সে ক্ষেত্রে একটি তড়িৎ ক্ষেত্রের মাত্রা হলো :- [ML²T–³I–¹] তবে তড়িৎ ক্ষেত্রে তড়িৎ বিভব মাপার যন্ত্রের নাম হল পটেনশিওমিটার। 

তড়িৎ ক্ষেত্র কাকে বলে
তড়িৎ ক্ষেত্র কাকে বলে

তড়িৎ ক্ষেত্রের সূত্র

কোন একটি আনিত বস্তুর চারদিকে যে অঞ্চল জুড়ে তড়িৎবলের প্রভাব বিদ্যমান থাকে  সেই অঞ্চলকে বস্তুটির তড়িৎ ক্ষেত্র বলা হয়।

বিভিন্ন বিজ্ঞানী তড়িৎ ক্ষেত্রের বিভিন্ন সূত্র প্রণয়ন করেছেন। এক্ষেত্রে তড়িৎ ক্ষেত্রের একটি সূত্র হলো,, 

V = W/q²= (1/4πε),,,

যেখানে q/r এটি তড়িৎক্ষেত্র মাপার স্কেলার মাপক সরুপ।

তবে এক্ষেত্রে যদি চার্জ  দুইটি একই হয় তাহলে একে অপরকে বিকর্ষণ করবে এবং যদি বিপরীত বিশিষ্ট হয় তাহলে আকর্ষণ করবে। 

তড়িৎ ক্ষেত্র একক

তড়িৎ ক্ষেত্রের মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এর একক বিদ্যমান রয়েছে। 

সে ক্ষেত্রে তড়িৎ ক্ষেত্রের একটি সূত্র থেকে তার একক নির্ণয় করা হয়।

সূত্রটি হল :-

V = W/Q ;

 যেখানে W = কৃতকার্য,,

 Q = আধান,, 

সূত্রের হিসাব অনুযায়ী তড়িৎ ক্ষেত্রের SI একক   হলো :- ভোল্ট  এবং CGS  একক হলো:-  স্ট্যাটভোল্ট,,,, 

যা একটি স্কেলার রাশি। 

তড়িৎ ক্ষেত্রের সংক্ষিপ্ত আকার হলে   E,,,

তড়িৎ ক্ষেত্র কে আবিষ্কার করেন?

সর্বপ্রথম তড়িৎ ক্ষেত্র আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী → মাইকেল ফ্যারাডে। তিনি হলেন একজন রসায়নবিদ এবং পদার্থবিদ। বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে ইংল্যান্ডের রয়েল ইনস্টিটিউটে রসায়নবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন। 

পরবর্তীতে ১৮৪৫ সালের চুম্বক্ষেত্রের প্রভাব সম্পর্কিত তল আবিষ্কার করেন। এছাড়াও আবিষ্কারের পর বিভিন্ন বিজ্ঞানী চুম্বকত্ব এবং তড়িৎ ক্ষেত্র সম্পর্কে গবেষণা করেন। 

তবে পরবর্তীকালে তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ তথ্য আবিষ্কার এবং চুম্বকীয় তথ্য আবিষ্কারের পাশাপাশি তড়িৎ ক্ষেত্র আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনি আপেক্ষিক আবশ্যিক ধারকত্ব ইত্যাদ আবিষ্কারের জন্য অমর হয়ে আছেন। 

এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে তড়িৎ ক্ষেত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি তড়িৎ ক্ষেত্র সম্পর্কিত যে সকল তথ্য বা প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আপনারা জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন, তা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Leave a Comment