ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো কি কি?
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে কিছু কথা নিয়ে হাজির হয়েছি, আমাদের দেশে প্রতি বছরই ডেঙ্গু জ্বরের কারণে শিশু সহ অনেকেই প্রাণ হারায়, বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
ডেঙ্গু জ্বর একটি মশা-বাহিত ভাইরাস রোগ। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে প্রথমবার ডেঙ্গু-তে আক্রান্ত ব্যক্তির বিশেষ উপসর্গ অথবা লক্ষণ দেখা যায় না। শুধু অল্প ক্ষেত্রেই রোগের প্রভাব গভীর হয়ে থাকে। ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ হলো –
১.উচ্চ জ্বর (40°C/104°F)
২.তীব্র মাথার যন্ত্রণা
৩.চোখের পিছনে ব্যথার অনুভূতি
৪.মাংসপেশি এবং অস্থি সন্ধি (bone) তে যন্ত্রণা
৫.বমিভাব
৬.মাথাঘোরা
৭.গ্রন্থি ফুলে যাওয়া
৮.ত্বকে বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি
এই উপসর্গ গুলি রোগ সংক্রমণের ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেখা দেয়। সাধারণত ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত উপসর্গ স্থায়ী হয়। দ্বিতীয় বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে থাকে,
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় জানুন
বাড়ির চারপাশে পানি জমতে কোনো ভাবেই দেয়া যাবে না জমা পানিতে মশারা ভালো ভাবে বংশবিস্তার করে থাকে। জল জমতে না দিয়ে মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সপ্তাহে ১ বার জল জমতে পারে, সে জায়গা গুলো পরিষ্কার করুন, গাছের টব, ফুলদানি আবার পরে থাকা গাড়ির টায়ারের জমে থাকা পানি গুলো ফেলে দিন।
শরীর ঢাকা জামা যেমন লম্বা-হাতা শার্ট, লম্বা প্যান্ট, মোজা ও জুতা পরুন।ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক বেশি সক্রিয় থাকে।
ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে
তবে লক্ষণগুলো সাধারণত ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত থাকে এবং ১ সপ্তাহের মধ্যেই বেশিরভাগ রোগী সুস্থতার দিকে চলে আসেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন যে জ্বর কমলে অথবা রোগী ভালো হয়ে যাওয়ার পর রোগীর রক্তের প্লাটিলেট কাউন্ট অল্প হয়ে যেতে পারে ও তখনি রক্তক্ষরণসহ অনেক জটিলতা দেখা দিত পারে।
সাধারণত এডিস মশা কামড়ানোর ৫ থেকে ৭ দিন মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর আসে।দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বাড়ছে। ডেঙ্গু জ্বরে থাকে মাথাব্যথা, ও চোখের পেছনে ব্যথা
কিন্তু দিন বলতে শুধু সকালবেলা নয়; সকাল-থেকে সন্ধ্যা, সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত এডিস মশার কামড়ের সময় বোঝানো হয়।
জ্বর হলে করণীয় কি
করণীয়প্রচুর তরল পান: মৌসুমি রোগ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হলে প্রথম উপদেশই পেয়ে যাবেন। প্রচুর পানি এবং অন্যান্য তরল পান করার। এর কারণ প্রধান হল জ্বরের কারণে তাপমাত্রা বাড়লে শরীর তাড়াতাড়ি পানিশূন্যতার দিকে যেতে থাকে।
বিশ্রাম: অসুস্থ অবস্থায় যত সক্রিয় থাকবেন ততই আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তাই বিশ্রামে থাকলে তাপমাত্রা কমবে ও তাড়াতাড়ি রোগমুক্তি হবে দ্রুত।
গোসল: কপাল ও ঘাড়ের পেছনের অংশে জলপট্টি দেওয়া জ্বর কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । পুরোদস্তুর গোসলের বদলে কুসুম গরম পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে পুরো গা মোছাও দ্রুত জ্বর কমাতে সাহায্য করে থাকে। চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া জ্বর নিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে কোনো ভাবেই গোসল করা যাবে না। অন্যথায় শরীরে কাঁপুনি দেখা দিবে এবং জ্বর আরও বেড়ে যাবে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম
সর্দি সাধারণত ভাই*রাস আক্রান্ত হলে এই অবস্থা হয়। আবার শরীরের তাপমাত্রা থেকে বেড়ে যায় তা জ্বর হয়। অতঃপর কাশি হয় আর গলায় প্রবেশ করার কারণে। এইসব রোগ নিরাময়ের জন্য অনেক প্রকার ঔষধ আপনি পেয়ে যাবেন। কিন্তু এখানে আছে উল্লেখ করেছি যে জ্বর সর্দি কাশির অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম।
যে ট্যাবলেট অথবা ওষুধগুলো গ্রহণ করলে জ্বরের সমস্যাগুলো অতি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে, তাই ট্যাবলেট গুলোর নাম জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। নিচে জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম গুলো উল্লেখ করা হলো।
# Azin 250 mg
# AZ 250 mg
# AZ 500 mg
# Adiz 500 mg
# Azin 500mg
# Zimex 250 mg
# Zimex 500 mg
# Adiz 250 mg
কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ
ম্যালেরিয়া রোগের প্রধান লক্ষণ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা।কারণজীবাণু সংক্রমিত কিছু মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হয়। মশা কামড়ানোর ১০ থেকে ১৫ দিন পর ম্যালেরিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়।
লক্ষণ
♦ জ্বর
♦ অস্বস্তি
♦ ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়া
♦ মাথা ব্যথা
♦ বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
♦ ডায়রিয়া
♦ তল পেটে ব্যথা
♦ মাংসপেশি বা জয়েন্টে ব্যথা
♦ ক্লান্তি
♦ শ্বাসকষ্ট
♦ হৃদস্পন্দনের গতি বৃদ্ধি
♦ কাশি
করণীয় মশার কামড় এড়াতে মশারি ব্যবহার করুন।বড় হাতার জামাকাপড় পরতে হবে। ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকায় পর জ্বর এলে কোনো ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। ৪৮ ঘণ্টা পর যদি কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ব্লাড ফিল্ম অথবা রক্ত অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া শনাক্ত হতে পারে।প্রয়োজনে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। চিকিৎসা নিতে দেরি করলে ঐ আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে।
এই জন্যে ম্যালেরিয়া হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা নিতে হবে। কুইনাইন অথবা আর্টিমেসিনিন গ্রুপের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী করা হয় এমন ওষুধ দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। ম্যালেরিয়ার টিকা অনুমোদন পেলেও এখন সেইটা আর সহজলভ্য নয়।
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ? সে সম্পর্কে জানতে পারলেন, আপনি যদি এই পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন, কাছের মানুষদের সঙ্গে শেয়ার করুন।