ডিজিটাল কম্পিউটার: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকিং কাজকর্ম ও বিভিন্ন ধরনের তথাপি, হিসাব নিকাশ, বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম, ইত্যাদি মিনি কম্পিউটার এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।
ডিজিটাল কম্পিউটার কি
- বর্তমান সময়ে আইসিটি নির্ভর যে সকল কম্পিউটারে শূন্য এবং এক এই দুইটা বাইনারি ভিজিট নিয়ে কাজ করা হয় সেগুলোকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলা হয়।
- এতে দুইটি ডিজিটের মাধ্যমে ইনপুট থাকলেও আউটপুট ব্যবস্থা রয়েছে তিনটি।
- ডিজিটাল কম্পিউটার গুলোতে বাইনারি সংখ্যাগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সকল হিসাব নিকাশ করা হয়। ডিজিটাল কম্পিউটার স্থাপন করা হয় 1940 সালে শেষের দিকে।
- ইলেকট্রনিক নিউম্যারিকেল ইন্ট্রিগেটর এন্ড কম্পিউটার,,,যা হলো প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার।
- ডিজিটাল কম্পিউটারের সবকিছু উন্নত মানের হওয়ায় কাজ সম্পাদন অতি দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা হয়।
ডিজিটাল কম্পিউটারের প্রকারভেদ
ডিজিটাল কম্পিউটার গুলোকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলো হলো :
- ১. মেইনফ্রেম কম্পিউটার
- ২. মিনি কম্পিউটার
- ৩. সুপার কম্পিউটার
- ৪. মাইক্রো কম্পিউটার
১.মেইনফ্রেম কম্পিউটার:
কম্পিউটার গুলোতে রয়েছে উচ্চমানের প্রসেসর সমূহ। এতে রয়েছে বড় আকারের মেশিন এবং স্টোরেস স্পেজ পাশাপাশি এতে একাধিক হাই প্রসেসর বিদ্যমান।
আদমশুমারি গণনা সহ বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি এর বিভিন্ন কারজাতি ইহার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।
মেইন প্রেম কম্পিউটার সর্বপ্রথম আবিষ্কার বা চালু করা হয় ১৯৩০ সালের দিকে।
প্রদীপ পরিচিতি লাভ করি এ ধরনের কম্পিউটার ব্যাপক পরিমাণে জটিল প্রোগ্রাম গুলো সমাধান করতে সক্ষম হয়।
২. মিনি কম্পিউটার:
মিনি কম্পিউটার গুলো অনেক ছোট থাকায় এ কম্পিউটার গুলোর নাম দেওয়া হয়েছে মিনি কম্পিউটার। এ কম্পিউটার গুলোতে একই সময়ে শতাধিক মানুষ কাজ করতে পারে একটি টার্মিনালের মাধ্যমে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকিং কাজকর্ম ও বিভিন্ন ধরনের তথাপি, হিসাব নিকাশ, বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম, ইত্যাদি মিনি কম্পিউটার এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।
৩. সুপার কম্পিউটার:
সুপার কম্পিউটার যা হলো সর্বোত্তম কম্পিউটার। হাজার হাজার প্রসেসর একত্রিত করে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুপার কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় স্থানে প্রচুর পরিমাণ ডেটাবে সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস পদার্থবিজ্ঞান রসায়ন জীববিজ্ঞান গাণিতিক বিশ্লেষাবলী ইত্যাদি সকল কাজ যে পালন করে সুপার কম্পিউটার সমূহ গুলো।
৪. মাইক্রো কম্পিউটার:
মাইক্রো কম্পিউটার শব্দটির অর্থ হল ক্ষুদ্র বা ছোট কম্পিউটার। মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনে যে কম্পিউটার ব্যবহার করে তাকে সেটি হল মাইক্রো কম্পিউটার।
প্রাইমারি সেকেন্ডারি মেমরি সহ রয়েছে ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস এ কম্পিউটার গুলোতে। কাজ করার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে সহজ তো আর বহনের ক্ষেত্রে এ কম্পিউটার গুলো উপযোগী ভূমিকা পালন করে।
ডিজিটাল কম্পিউটারের উপাদান
- ডিজিটাল কম্পিউটারের প্রধান উপাদানসমূহ হলো হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার।
- কম্পিউটারে ব্যবহৃত যে সকল জিনিসগুলো কে হাতে ধরা যায় স্পর্শ করা যায় সেগুলোকে বলা হয় হার্ডওয়ার।
- অপরদিকে যে যন্ত্রপাতিগুলো বাজে কাজগুলো মানুষ হাত স্পর্শ করতে পারে না ওটা ডিভাইস কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সেগুলোকে বলা হয় সফটওয়্যার।
- হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে ডিজিটাল কম্পিউটার গুলো অরুন্নত মানের কম্পিউটার গুলোকে ছাড়িয়ে বর্তমান সময়ে উন্নত জায়গায় পৌঁছে গেছে।
- প্রথম যখন কম্পিউটার চালু করা হয়েছিল তখন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের ফলে সর্বোচ্চ উন্নয়নমূলক কম্পিউটার হিসেবে ডিজিটাল কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে।