চর্যাপদ কি? চর্যাপদ : আবিষ্কার, ভাষা ও রচনাকাল

চর্যাপদ কি :- আসসালামু আলাইকুম,,,, আমাদের ওয়েবসাইটের উক্ত পোস্টে অর্থাৎ চর্যাপদ রিলেটেড পোস্ট যা বাংলার আগ নিদর্শন নামে পরিচিত উক্ত পোস্টে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। 

আমাদের উক্ত পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনারা চর্যাপদ রিলেটেড বিভিন্ন তথ্য যেমন:-  চর্যাপদ কি,, চর্যাপদ রচনা কাল,,, এবং চর্যাপদের ইতিহাস ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাচ্ছি। 

$100 গিফট কার্ড অফার

একটি ভাষা বা ভাষার বিভিন্ন রীতি সাধারণত সাহিত্যের উপর টিকে থাকে। সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যখন সাহিত্য রচনা করা হয় বা যা নিয়ে সাহিত্য রচনা করা হয়েছিল সে সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

পৃথিবীতে সর্বপ্রথম যখন বাংলা পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সাহিত্য  রিলেটেড বিভিন্ন গ্রন্থা গুলো  তৈরি করা হয়েছে তার চেয়েও আগে সর্বপ্রথম যে বইটি রচনা করা হয় বাজা রচনা করা হয়েছে সেগুলোকে চর্যাপদ নামকরণ দেয়া হয়। সেজন্য বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

চর্যাপদ কি?

বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন হলো চর্যাপদ।  তবে বাংলা সাহিত্যের যে সামগ্রিক ইতিহাস রয়েছে তার তিনটি যুগে ভাগ করা হয়।

এক্ষেত্রে যখন তিনটি যুগে ভাগ করা হয় তখন প্রথম যুগের নাম দেয়া হয় প্রাচীন যুগ।  তবে কেউ কেউ এই প্রাচীন যুগকে কয়টি নামিয়ে অভিহিত করেছেন। 

সে নাম সমূহ হলো :- গৌড় যুগ,,, প্রাক-তুর্কি যুগ,,, আদি যুগ,,, হিন্দু-বৌদ্ধ যুগ,,,  গীতিকবিতার যুগ,,,  আদ্যকাল,,,ইত্যাদি। 

অর্থাৎ বাংলা ভাষায় রচিত প্রাচীন যুগে প্রাচীর অন্যতম প্রাচীনতম যে গ্রন্থটি রচনা করা হয় তা হলো চর্যাপদ। উক্ত গ্রহন গ্রন্থটির মূল

নাম এখন পর্যন্ত অজ্ঞাত তবে জ্বর জ্বর ঠিকাকার মনি দত্তের টিকা বাষ্য রচনা উপরে ভিত্তি করে এবং তা থেকে কিছু অনুমিত পাওয়া যায় বলে শিরোনাম যথাক্রমে  ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’ ও ‘চর্যাগীতিকোষবৃত্তি’দেওয়া হয়। 

চর্যাপদের রচনাকাল

চর্যাপদের ভাষা খুবই দুর্বুদ্ধ এবং তার সাংকেতিক চিহ্নবিশেষ। ধারণ করা হয় যে আনুমানিক ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার থেকে অর্থাৎ নেপালের রাজবাড়ীর একটি গ্রন্থাগার থেকে সর্বপ্রথম  চর্যাপদের কিছু অংশ পাওয়া যায়। 

পরবর্তীতে বিভিন্ন অংশ থেকে বিভিন্ন অংশসমূহ একত্রিত করার মাধ্যমে ১৯১৬ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ চর্যাপদ রচনা করা হয় এবং তা কলকাতায় প্রকাশ করা হয়। এজন্য চর্যাপদের রচনাকাল বলা হয় ১৯০৭ সাল  থেকে ১০১৬ সালের  সময় পর্যন্ত। 

চর্যাপদ কি চর্যাপদ আবিষ্কার, ভাষা ও রচনাকাল
চর্যাপদ কি চর্যাপদ আবিষ্কার, ভাষা ও রচনাকাল

চর্যাপদ আবিষ্কারের ইতিহাস

বলা হয় যে চর্যাপদ সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯০৭ সালে। ১৯০৭  সালে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন নেপালের রাজ দরবারের একটি গ্রন্থাগার থেকে এবং হরপ্রসাদ শাস্ত্রী অর্থাৎ পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সেখানে চর্যাপদের পুঁথির সন্ধান পেয়েছিলেন। 

পরবর্তীকালে পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯৬০ সালে যেখানে অর্থাৎ নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার থেকে যে পথের সন্ধান পেয়েছিলেন তা মূলত চর্যাপদ। 

  • তবে ”চর্যাগীতি কোষ’,,,
  • কৃষ্ণাচার্যের ‘দোহাকোষ’,,,,
  •  সরহবজ্রের,,, 
  • ‘দোহাকোষ’,,, 
  • ‘ডাকার্ণব,,,

এগুলো পতিকে একত্র করার মাধ্যমে ও ১৯১৬ সালে হাজার হাজার বছরের ’ পুরান বাংলার বন্ধু গান এবং দোহাই এর শিরোনাম বঙ্গীয় সাহিত্যের মাধ্যমে পরিষদ করা হয় এবং তা কলকাতা থেকে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। 

১৯৬০ সালের যখন নেপালের রাজপ্রাসাদ থেকে চর্যাপদ পাওয়া যায় এবং ১৯১৬ সালে অখন্ড অনেকগুলো চর্যাপদ একত্রে সমষ্টির মাধ্যমে একটি সাহিত্যে পরিণত করা হয় এবং তা প্রকাশ করা হয় তখন থেকে তা চর্যাপদ নামে পরিচিত। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে চর্যাপদ অর্থাৎ বাংলা ভাষাভাষীর আদি নিদর্শন চর্যাপদ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি। 

আশা করি, চর্যাপদ সম্পর্কিত যে সকল তথ্য বা প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আপনারা জানতে চান বা জানতে চেয়েছেন তা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে যথাযথভাবে জানার মাধ্যম উপকৃত হতে পারবেন। 

Leave a Comment