গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়, কমানোর উপায়

আসসালামু আলাইকুম,, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে বাচ্চার এবং মায়ের যে সকল ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কিত উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। 

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে জন্মের পর শিশুর বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে এবং বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।  উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে এ সম্পর্কে জানাচ্ছি। 

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি এমন কি সমস্যা হতে পারে। এ অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফর্মুলা অবলম্বন করতে হবে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার যে সকল ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কেও জানতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়

গর্ভাবস্থায় যদি ডায়াবেটিস হয় তাহলে সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস থাকার কারণে শিশুদের জন্মগত ত্রুটি হতে পারে।  এক্ষেত্রে যদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকে তাহলে অনেকের অনেক বড় বাচ্চা হয়।  সে ক্ষেত্রে বাচ্চা প্রসবের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। 

এছাড়াও জন্মের পর শিশুদের লো- ব্লাড সুগার এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিভিন্ন ইলেকট্রোলাইট লবণের কম বা বেশি এ সমস্যা হতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের লক্ষণসমূহ হলো :-

→ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ,,

→ ক্রমান্বয়ে ওজন কমতে থাকা,, 

→ বেশি বেশি পানি পিপাসা পাওয়া,, 

→ বেশি ক্ষুদা লাগা,, 

→ দুর্বল অনুভূত হওয়া,,, 

→ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া,,,  ইত্যাদি। 

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত থাকা উচিত

অধ্যাপক মাহাতাব বললেন,, গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ রাখা অতি গুরুত্বপূর্।  এজন্য গর্ভকালীন অবস্থায় খালি পেটে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা তুলনামূলক ৪.৫  মিনিমোল/ লিটার থেকে সর্বোচ্চ ৫ অথবা ৫.৫ মিলিমোল /লিটার হতে পারে। তবে গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস কি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

গর্ভাবস্থায় অবশ্যই রক্তের শর্করার পরিমাণ কে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।  এজন্য ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হল শর্করার পরিমাণ কমানো এবং খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন আঁশযুক্ত খাবার যোগ করা। 

যেমন :- ফল, তাজা শাকসবজি,  সম্পূর্ণ  শস্য,, ইত্যাদি। সরল শর্করার মধ্যে গ্লুকোজ জাতীয় খাবার, সাদা রুটি বা চা,  মিষ্টি যুক্ত খাবার,,  এগুলো খাওয়ার পরিবর্তে গোটা শস্য, লাল চাল,  ওটস, লাল আটা ইত্যাদি বেছে নিতে পারেন। 

অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর প্রধান ও অন্যতম উপায় হলো খাদ্য তালিকা নিয়ন্ত্রণ করা এবং খাদ্য তালিকায় পরিমিত পরিমাণের প্রয়োজনীয় খাবারগুলো সংযুক্ত করা। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে বাচ্চার যে সকল সমস্যা বা ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি। 

আশা করি আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে বাচ্চার যে সকল সমস্যা বা ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আপনার উপকৃত হতে পেরেছেন।

Leave a Comment