গণশিক্ষা সমাজের সকল সম্প্রদায়ের সম্মান ও সমানতা উন্নত করে। এটি সকল সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন ও বৈশিষ্ট্যের মর্যাদা রক্ষা করতে সাহায্য করে।
গণশিক্ষা কি
গণশিক্ষার প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সামাজিক সমগ্রতা অর্জন করা। গণশিক্ষা একটি সমাজসেবী প্রক্রিয়া যা একটি রাষ্ট্র বা সমাজের সব স্তরে শিক্ষার উপকরণ সরবরাহ করে। গণশিক্ষার উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য একাধিক দিক থেকে বিবেচনা করা যেতে পারে:
১. সামাজিক সমগ্রতা: গণশিক্ষার প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সামাজিক সমগ্রতা অর্জন করা।
এটি সকল রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সারবার করে সামাজিক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে সমগ্র জনগণের শিক্ষায় অংশ গ্রহণ করা।
২. সাক্ষরতা: গণশিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের সাক্ষরতা বৃদ্ধি করা।সাক্ষরতা সম্পন্ন একজন ব্যক্তি তাঁর জীবনে বিভিন্ন সুযোগ এবং সম্ভাবনা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
৩. জাতি, ধর্ম, জেন্ডার এবং স্থানীয় সমগ্রতা: গণশিক্ষার উদ্দেশ্য হলো একই সমান সুযোগ এবং সমমানের ভাষা সাধারণ মানুষের জন্য উপলব্ধ করা।
৪. জ্ঞান অর্জন: গণশিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো জনগণের জ্ঞান অর্জন ও বুদ্ধির বৃদ্ধি করা।
এটি জনগণের বৃদ্ধি, ক্রিয়েটিভিটি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশের জনগণের মধ্যে একটি উন্নত করে।
৫. প্রাকৃতিক উদ্দীপনা: গণশিক্ষার লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের প্রাকৃতিক উদ্দীপনা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এটি শিক্ষার্থীদের সবদিকে জানায় এবং তাদের আগ্রহ বা পক্ষপাত উদ্ভাবন করে।
৬. স্বতন্ত্র ভাবনা: গণশিক্ষা উপার্জন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র ভাবনা এবং অনুশাসন বৃদ্ধি করা যায়।
৭. বৃদ্ধি এবং ক্ষুধার্ত শিক্ষা: গণশিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য বৃদ্ধি এবং ক্ষুধার্ত শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে। এটি উচ্চতর শিক্ষার সম্ভাব্য পথ নির্ধারণ করে।
৮. নিরাপত্তা ও সুরক্ষা: গণশিক্ষা শিক্ষার্থীদের জনগণের সাথে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সম্পর্কে প্রযুক্তি সরবরাহ করে।
সহযোগিতা প্রদান করে, বাল্য বিবাহ, শ্রম, যৌন উপহাস।
৯. প্রযুক্তি এবং আবিষ্কারের অনুশীলন: গণশিক্ষা তাঁবু প্রযুক্তি এবং আবিষ্কারের অনুশীলন প্রয়োগের জন্য শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে।
১০. সম্প্রদায়ের সম্মান: গণশিক্ষা সমাজের সকল সম্প্রদায়ের সম্মান ও সমানতা উন্নত করে। এটি সকল সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন ও বৈশিষ্ট্যের মর্যাদা রক্ষা করতে সাহায্য করে।
গণশিক্ষা অধিদপ্তর
গণশিক্ষা অধিদপ্তর (জনশিক্ষা অধিদপ্তর হিসেবে পরিচিত) একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষামূলক কার্যক্রম নির্ধারণ এবং নির্দেশনা প্রদান করে।
এটি শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা বিকাশের জন্য কাজ করে যা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (যেমন সরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি) কাঠামো এবং পরিপ্রেক্ষ্য অনুসারে হয়।
গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মূল কাজ মধ্যে থাকে:
১. শিক্ষা নীতি উন্নতি: গণশিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষামূলক নীতি গঠন এবং উন্নত করে।এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানক স্থাপন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চতর শিক্ষার দরকার এবং সেবা প্রদানের উন্নতি সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করে।
২. শিক্ষা মানক এবং পরীক্ষা: গণশিক্ষা অধিদপ্তর বিভিন্ন শিক্ষা মানক উন্নত করে এবং শিক্ষার্থীদের মানক অনুসারে পরীক্ষা প্রদান করে।
৩. শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও উন্নতি: গণশিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং তাদের উন্নতি ও পেশাদার উত্থানের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চালায়।
৪. শিক্ষার্থী উন্নতি ও সমর্থন: গণশিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের উন্নতি ও সমর্থনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।
৫. শিক্ষা বার্তা: গণশিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সময় থেকে সময় শিক্ষাবার্তা প্রকাশ করে।
এটি বিভিন্ন শিক্ষা বিষয়ক খবর ও তথ্য প্রদান করে, যা শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও সাম্প্রতিক শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করে।
৬. শিক্ষা প্রতিযোগিতা এবং উদ্যোগ: গণশিক্ষা অধিদপ্তর অনুষ্ঠানিক এবং অপরিসীম উদ্যোগ, প্রতিযোগিতা, ও উপলক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করে।
৭. শিক্ষা প্রযুক্তি: গণশিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়ক হতে পারে।
এটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতি, শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল শিক্ষা প্রদান, অনলাইন পরীক্ষা সম্পর্কে কাজ করে।
৮. শিক্ষা অভিভাবক সম্পর্ক: গণশিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ এবং সহযোগিতা করে।
৯. শিক্ষা সম্পদ ব্যবস্থাপনা: গণশিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ (যেমন জমি, বই, পরিকল্পনা, সরঞ্জামসহ) ব্যবস্থাপনা এবং সুরক্ষা করে।
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হলে সরকারের মন্ত্রী যার দায়িত্ব প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা ক্ষেত্রে গঠিত নীতি ও কর্মক্রম সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এই পদের মধ্যে একজন প্রতিমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রীর নামেও পরিচিত হয়।
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কার্যকালে একাধিক কাজের দায়িত্ব থাকে, যেমন:
১.শিক্ষা নীতি এবং প্রণয়নের নির্ধারণ করা।
২.প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের বাজেট প্রস্তুত করা এবং নোটিশ প্রদান করা।
৩.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা।
৪.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদানের মানদণ্ড এবং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার নির্ধারণ সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করা।
৫.শিক্ষা মানদণ্ড ও শিক্ষা পাঠ্যপুস্তক সংক্রান্ত নীতি গঠন করা।
৬.শিক্ষা সাংবাদিকতা, উন্নয়ন প্রকল্প, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষমতা উন্নয়নের সম্পর্কে পরিচিতি গঠন করা।
৭.শিক্ষার প্রাক্তনীতি এবং শিক্ষা সংস্কৃতির উন্নতি: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী একাধিক প্রাক্তনীতি বা প্রকল্প শুরু করতে পারেন।
যার মাধ্যমে শিক্ষা সেক্টরে উন্নতি এবং সংস্কৃতির প্রচার করা হয়।
৮.ডিজিটাল শিক্ষা উন্নতি: আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ডিজিটাল শিক্ষার উন্নতি এবং শিক্ষার্থীদের উপকারক শিক্ষামূলক সামগ্রী প্রদানের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।
৯.উন্নত গবেষণা এবং উন্নতি: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সেক্টরে গবেষণা এবং উন্নতির জন্য,
নতুন প্রকল্প অনুষ্ঠান গ্রহণ করতে পারেন। এটি একাধিক বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার মান ও গুণমান উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১০.শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান প্রদান এবং উচ্চ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের জন্য প্রকল্প বাহিয়া করতে পারে।
১১.শিক্ষা সম্প্রসারণ: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শিক্ষা সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা প্রচারের জন্য বিভিন্ন উপায়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা করতে পারেন।
আরো পড়ুন: উচ্চ শিক্ষা কি
গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়
গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একটি অংগ।
এই মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক উদ্দেশ্য দেশের প্রাথমিক শিক্ষা সেবা উন্নত করা, বৃদ্ধি করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা সামগ্রীর প্রাধান্য প্রদান করা এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মাধ্যমে সমগ্র ব্যক্তিত্বের উন্নতি সহায়ক হওয়া। গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের মধ্যে মূলভূত কাজগুলো নিম্নরূপ:
১. প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান: মন্ত্রণালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামাজিক ও প্রতিষ্ঠানিক শর্তগুলি উন্নত করে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে।
২.কর্মকর্তা ও শিক্ষকের তালিকা: মন্ত্রণালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ, তালিকা প্রস্তুত করে এবং তাদের সম্প্রসারণ সম্পর্কিত কাজ করে।
৩.শিক্ষা সমগ্রতা: মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষা সামগ্রী, বই, পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং সমগ্র শিক্ষা সৃষ্টির উন্নতির জন্য কাজ করে।
৪.শিক্ষা মান উন্নতি: মন্ত্রণালয় শিক্ষার মান উন্নতির জন্য প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ, সেমিনার এবং অন্যান্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সমর্থন করে।
৫.সার্টিফিকেট ও পরীক্ষা: মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার প্রকাশ, প্রমোশন, ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কিত সার্টিফিকেট জারি করে।
৬.শিক্ষা নীতি তৈরি: মন্ত্রণালয় শিক্ষা ক্ষেত্রে নীতিগত কাজে একাধিক শিক্ষা নীতি তৈরি করে যা শিক্ষা কর্মকাণ্ডে সুসংবদ্ধভাবে অনুসরণ করা হয়।
৭.কর্মকর্তা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ: গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা ও শিক্ষকের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সমর্থন করে যাতে তারা শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুনত্ব এবং উন্নতির প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
৮.শিক্ষা সম্পদ ব্যবস্থাপনা: মন্ত্রণালয় শিক্ষা ক্ষেত্রে বাড়তি সম্পদ উন্নতি, সম্পদের ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবহার সম্পর্কিত কাজ করে।
৯.শিক্ষা সম্পদ বিতরণ: প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষামূলক সরঞ্জাম, শিক্ষা সামগ্রী, কম্পিউটার, এবং অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণ সম্পর্কিত কাজ মন্ত্রণালয় করে।
১০.কর্মকর্তা এবং শিক্ষকের উন্নতি: গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা এবং শিক্ষকের উন্নতির জন্য উপযুক্ত কার্যক্রম সমর্থন করে।
১১.শিক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা এবং উন্নতি: মন্ত্রণালয় শিক্ষার সংক্রান্ত গবেষণা করে এবং উন্নতির প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা নেয় যাতে শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন ও উন্নত প্রয়োগ করা যায়।