বিজ্ঞান

ক্রোমোজোম কি? প্রকার ও কার্যাবলী

আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে ক্রোমোজোম কি? এ সম্পর্কে জানতে চলেছেন, আপনার যদি জানার আগ্রহ থাকে, তবে পড়তে থাকুন।

ক্রোমোজোম কি

ক্রোমোজোম হচ্ছে বংশগতির প্রধান একটি উপাদান।কোষের নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে বাস করে নিউক্লিওপ্রোটিন দ্বারা গঠিত যে তন্তুর মাধ্যমে জীবের যাবতীয় কারণে বংশ পরস্পরায় সঞ্চারিত হয়, তাকে ক্রোমোজোম (Chromosome) বলা হয়।

প্রতিটি কোষে 23 জোড়া (46টি) ক্রোমোজোম থাকে। এর মাধ্যমেই জীবের সমস্ত বৈশিষ্ট্য বংশ পরস্পরায় সঞ্চারিত হয়ে থাকে। ক্রোমোজোম ডিএনএ (DNA) অথবা জীন অণু ধারণ করে এবং এর মাধ্যমে প্রোটিন সংশ্লেষ করে থাকে।

১৯৩৩ সালে বিজ্ঞানী বোভেরি (Bovery) প্রমাণ করেছেন যে ক্রোমোজোমই বংশগতির ধারক এবং বাহক। ১৯৩৫ সালে বিজ্ঞানী হেইজ (Heitz) প্রথম ক্রোমোজোমের গঠনের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলেন।

ক্রোমোজোম কি
ক্রোমোজোম কি

ক্রোমোজোমের গঠন

ক্রোমোজোমের রাসায়নিক গঠনের মধ্যে আছে নিউক্লিক এসিড (DNA, RNA), এবং প্রোটিন (Histone, non-histon), ধাতব আয়ন (Ca, Mg, Fe ইত্যাদি) আবার অনেক রকম এনজাইম। প্রাথমিকভাবে ক্রোমোজোমে 90% DNA ও ক্ষারীয় প্রোটিন (হিস্টোন) ও 10%RNA এবং আম্লিক প্রোটিন থাকে। 

ক্রোমোজোমের আকারে একটু দণ্ডাকার হয়। সাধারণ ক্রোমোজোমের দৈর্ঘ্যে ০.২৫-৫০ μm ও ব্যাস ০.০২-২μm হতে পারে। মানুষের ক্রোমোজোমের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬μm।

ক্রোমোজোমের প্রকারভেদ

কাজের উপর নিয়ন্ত্রণ করে ক্রোমোজোম ২ প্রকার যেমন, অটোজম ও সেক্স ক্রোমোজোম। 

১. অটোজম (Autosomes): জীবের দৈহিকভাবে নিয়ন্ত্রণকারী ক্রোমোজোমকে অটোজম বলা হয়। মানুষের দেহকোষে এই অটোজমের সংখ্যা ৪৪টি (২২ জোড়া),  সেটকে A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।দেহকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যাকে ডিপ্লয়েড বলা হয়।

২. সেক্স ক্রোমোজোম (Sex chromosomes): জীবের যৌনতার নিয়ন্ত্রণকারী ক্রোমোজোমকে সেক্স ক্রোমোজোম বলা হয়। মানুষের জনন কোষে (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু) ১ জোড়া (X,Y) লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম রয়েছে। পুরুষের দেহে সেক্স ক্রোমোজোম  XY ও স্ত্রীর দেহে  XX সেক্স ক্রোমোজোম। 

ক্রোমোজোম কি (2)

ক্রোমোজোমের কাজ

মানুষের দৈহিক বৈশিষ্ট্য যেমন, চোখের রং এবং চুলের প্রকৃতি, দেহের গঠন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। পিতামাতা থেকে বংশধরদের থেকে জেনেটিক তথ্য স্থানান্তর করে থাকে।

DNA) বা জীন অণু ধারণ করে থাকে।জীবের যাবতীয় তথ্য বংশ পরস্পরায় সঞ্চারিত করে থাকে । DNA এর মাধ্যমে প্রোটিন সংশ্লেষের জীবের যাবতীয় জৈব রাসায়নিক এবং দৈহিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।বিবর্তনের মূল উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে।

কোষ বিভাজনে সহায়তা করে থাকে।নিউক্লিয় উপাদান তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা আছে।আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে ক্রোমোজোম কি? সে সম্পর্কে জানতে পারলেন, আপনি যদি কোনো ভাবে এই পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন, তবে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button