কোন গাছের ছায়া মস্তিষ্কের স্ট্রেস লেভেল হ্রাস করে

কোন গাছের ছায়া ব্রেনের জন্য ভালো

নির্দিষ্ট কিছু গাছ রয়েছে যেগুলোর ছায়া আমাদের ব্রেন বা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এবং বিশেষ করে কোন কোন গাছের ছায়া আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এ বিষয়ে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করবো আশা করি আজকের প্রতিবেদন থেকে অনেকটাই উপকারিতা হবেন

গাছের ছায়ার উপকারিতা
মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ

প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং মানসিক স্বাস্থ্য

এক গবেষণায় দেখা গেছে জে প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটালে মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক চাপ কমে। প্রকৃতির সাথে সংযুক্ত থাকা ব্রেনের নিউরোলজিক্যাল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস প্রকৃতির সবুজ গাছপালা এবং শান্ত মনোরম পরিবেশ আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের ওপর আরামদায়ক প্রভাব ফেলে, যা মানসিক চাপ কমাতে এবং ব্রেনের ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করে।

নিম গাছের ছায়া

নিম গাছকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বিশেষ স্থান দেওয়া হয়। নিম গাছের নিচে বসলে স্নায়ুতন্ত্রের ওপর এক ধরণের শীতল প্রভাব পড়ে যেটি আপনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন নিমের পাতায় থাকা ফাইটোকেমিক্যালস বাতাসকে বিশুদ্ধ করে, যা শ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং ব্রেনের অঙ্গগুলোর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম গাছের নিচে কিছু সময় বসলে ব্রেনের স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ কমে যায়, যা মানসিক প্রশান্তি আনে এবং এটা আপনাকে মানসিক চাপ কমায়

বট গাছের ছায়া

বট গাছের নিচে বসাও ব্রেনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর শীতল ছায়া এবং এর পাতাগুলি অনেক বেশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক। বট গাছকে অনেক সময় (স্নায়ুবল সুরক্ষা গাছ) হিসেবে উল্লেখ করা হয় কারণ এর পাতা এবং মূলের সংস্পর্শে থাকলে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র আরাম অনুভব করে এবং ব্রেন্টের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায় 

তুলসী গাছের উপকারিতা 

তুলসী গাছের আশেপাশে থাকার ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তুলসী গাছ থেকে যে অক্সিজেন আসে সেটা শুধু আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, এটি ব্রেনের জন্যও অত্যন্ত উপকারী তুলসীর পাতা থেকে নির্গত গন্ধ আমাদের মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে এবং চাপমুক্ত রাখতে এটা খুবই কার্যকর এই কারণে তুলসী গাছের পাশে বসে কিছু সময় সকাল সন্ধ্যা ঘোরাফেরা করলে ব্রেনের ফোকাস ও মেমরি পাওয়ার অধিক পরিমাণে বেড়ে যায় 

পাইন গাছ এবং মস্তিষ্কের উদ্দীপনা

পাইন গাছের নিচে বসে সময় কাটানো ব্রেনের উদ্দীপনা বাড়ায়। পাইন গাছের পাতা থেকে আশা বিশেষ এক ধরনের সুবাস মস্তিষ্ককে সতেজ ও উজ্জীবিত করে এই গাছের ছায়ায় থাকা মস্তিষ্কের স্ট্রেস লেভেল হ্রাস করে এবং আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

গাছপালার ছায়ায় বসার কিছু সাধারণ উপকারিতা

গাছের ছায়ায় বসা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় কাটালে মনোযোগ ও ফোকাস বাড়ে, স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমে, এবং সৃজনশীলতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা তুলে ধরা হলো:

 

১. মনোযোগ ও ফোকাস বৃদ্ধি: গাছপালার ছায়ায় কিছু সময় কাটালে মনোযোগের স্থায়িত্ব বাড়ে, যা পড়াশোনা বা কাজের ফোকাস ধরে রাখতে সহায়ক।

 

২. স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমানো: প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানোর মাধ্যমে মানসিক চাপ হ্রাস পায় এবং উদ্বেগ কমে যায়। এটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

 

৩. স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি: গবেষণায় পাওয়া যায় যে, প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, যা দৈনন্দিন কাজের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক।

 

৪. সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: প্রকৃতির আশ্রয়ে থাকার ফলে আমাদের সৃজনশীলতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। গাছের ছায়ায় সময় কাটালে আমাদের মন মস্তিষ্কে নতুন ধারণা ও সৃষ্টিশীল চিন্তা উদ্ভাবনের ক্ষমতা বাড়ে।

উপসংহার

প্রকৃতির ছায়ায় সময় কাটানো মানসিক প্রশান্তি ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নিম, বট, তুলসী ও পাইন গাছের ছায়া মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই যতটা সম্ভব এই গাছগুলোর আশেপাশে সময় কাটানোর চেষ্টা করা উচিত। এটি আমাদের মানসিক চাপ কমাতে, মনোযোগ বাড়াতে এবং সৃজনশীলতায় উৎসাহ যোগায়।

 

 

No schema found.

Leave a Comment