ইসলামিকশিক্ষা

কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েজ? ইসলামিক ব্যাখ্যা?

কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা: ইসলামিক বিভিন্ন কার্য প্রণালীর মধ্যে একটি শিক্ষামূলক প্রণালী হল কোরআন শিক্ষা। অর্থাৎ কুরআন শিক্ষা দেয় এবং কুরআন শিক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে টাকা নেই তাহলে তারা তার জন্য ইসলামিক ভাবে জায়েজ কিনা এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন। 

পাশাপাশি প্রতিটি মুসলমান কি ইসলামিক সঙ্গে জ্ঞান জ্ঞান ধারণা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন এবং ইসলামিক বিভিন্ন হাদিস ও শরীয়ত মোতাবেক কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জানা প্রয়োজন এবং তার যথাযথভাবে পালন করা আদর্শ দায়িত্ব ও কর্তব্য। 

কোন শিক্ষক যদি কাউকে কোরআন শিখার দান করেন এবং তার পরিবর্তে যদি ঐ শিক্ষক হাদিয়া গ্রহণ করেন তখন তা তার জন্য জায়েজ করা হয়। এ সম্পর্কে বিশদ প্রণালী বিভিন্ন হাদিস শরীফে উল্লেখ করা রয়েছে। 

তাই প্রতিটি মুসলমানকে কুরআন শিক্ষা করতে হবে এবং কোরআন শিক্ষা অর্জনস্বরূপ যদি শিক্ষক কাউকে শিক্ষা দিয়ে থাকেন তাহলে তার পরিবর্তে সে যদি টাকা নেই তাহলে তার নিয়া ওই টাকাটির তার জন্য জায়েজ। বিভিন্ন হাদিসে এ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করার মাধ্যমে জানানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন: ইসলামিক মোটিভেশনাল গল্প, জীবন বদলানোর গল্প

কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েজ ইসলামিক ব্যাখ্যা
কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েজ ইসলামিক ব্যাখ্যা

কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েজ

কুরআন শিক্ষা দিলে তার বিপরীতে টাকা নেওয়া জায়েজ।  হযরত মুহাম্মদ সাঃ যখন তার সহপাঠী অথবা অন্যান্যদের কে কুরআন শিক্ষার দিকে দিতেন তখন তিনি তার পরিবর্তে তাদের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করতেন। 

অর্থাৎ কেউ যদি কুরআন শিক্ষা দেয় কাউকে এবং সে যদি তাকে উপহারস্বর কোন টাকা হাদিয়া হাদিয়া দেয় তখন তার জন্য তা নেওয়া অর্থাৎ শিক্ষকের জন্য তা নেয়া জায়েজ। এছাড়াও বিভিন্ন হাদিসে এ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে বলা হয়েছে যে এ টাকা নেওয়া কি হারাম নয় বরং তার জায়েজ। 

  • কুরআন শিক্ষা দিতে গিয়ে টাকা নেওয়া জায়েজ। 

কুরআন শিক্ষা দিয়ে চাকা নিয়া কি জায়েজ আছে এ বিষয়ে সহি হাদিস

খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহনকারী হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ এর কথা বুখারী শরীফে উল্লেখ করা আছে যে –তিনি একদিন এক ব্যক্তিকে দোকান খোলার জন্য উদ্দেশ্য হয়ে যখন বেরিয়েছিলেন তখন তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে তিনি কোথায় যাচ্ছেন এবং তিনি উত্তরে বলেছিলেন, 

তখন তিনি বলেছিলেন তিনি দোকান খুলতে যাচ্ছেন এবং পরবর্তী তিনি রাষ্ট্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনেছেন এবং তার মাধ্যম থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বরূপে হযরত আবু বকর রাঃ তাকি কিছু শিক্ষামূলক কথা বলেছিলেন এবং স্মৃতিতে তিনি তাকে হাদিয়া প্রদান করেছিলেন। 

এবং প্রধানকৃত ওই হাদিয়া অর্থাৎ টাকা আবু বকর রাদিয়াল্লাহু সালাম গ্রহণ করেছিলেন। অর্থাৎ কেউ যদি কাউকে কোন শিক্ষা দেয় এবং তার পরিবর্তে যদি সে টাকা নেই তাহলে সে টাকা নিয়া তার জন্য জায়েজ। 

অর্থাৎ এ থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যদি কোন শিক্ষক কাউকে কুরআন শিক্ষা দান করেন এবং তার পরিবর্তে ঐশিক ওকে টাকা দেয়া হয় তাহলে তা তার জন্য জায়েজ। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি যে কোন শিক্ষক যদি কাউকে কোরআন মাজীদ সম্পর্কে শিক্ষা দেয় এবং তার পরিবর্তে যদি তাকে কেউ হাদিয়া প্রদান করেন এবং ওই ব্যক্তি অর্থাৎ শিক্ষক যদি ওই হাদিয়া গ্রহণ করেন তাহলে ওই শিক্ষকের জন্য নিয়ে ওই হাদিয়াটি জায়েজ। 

অর্থাৎ কুরআন মাজিদে শিক্ষার ফলে যদি হাদিয়া দেয়া হয় এবং তারা তার জন্য জায়েজ কিনা এই সম্পর্কে যদি আপনার কোন তথ্য বা মতামত জানার থাকে তা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

আরো পড়ুন: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button