সাধারণত কিডনিতে: ইউরিয়া এবং সিরাম ক্রিয়েটিনিন যদি কমে যায় বা বেড়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়
ইউরিয়া এবং সিরাম ক্রিয়েটিনিন হচ্ছে কিডনির প্রধান দুটি অংশ। কিডনিতে এ দুইটি অংশ পরীক্ষার ফলে যদি কোন সমস্যা দেখা না দেয় তাহলে বুঝতে হবে কিডনিটি ভালো আছে।
সাধারণত কিডনিতে ইউরিয়া এবং সিরাম ক্রিয়েটিনিন যদি কমে যায় বা বেড়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।
জিএফআর অথবা সি সি আর পরীক্ষা করার মাধ্যমে একটি কিডনি কতটুকু অসুস্থ অথবা কতটুকু সুস্থ আছে তার পরিমাণ পর্যন্ত জানা যায়।
যদি পরীক্ষার ফলাফল হিসেবে জিএফ আর এর ফলাফল ৯০ এর উপরে হয় তাহলে একজন ব্যক্তির নিশ্চিতভাবে মনে করতে পারেন যে তার কিডনি একেবারে সুস্থ আছে।
তবে কিডনি কতটুকু সুস্থ আছে সেইটুকু বুঝার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা জরুরী।
কিডনির নরমাল পয়েন্ট কত
সাধারণভাবে সুস্থ নারীদের ক্ষেত্রে তাদের কিডনির নরমাল পয়েন্ট বা ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা হলো ০.৫-১.১ মিলিগ্রাম।
একইভাবে স্বাভাবিক বা স্বাস্থ্য পুরুষের ক্ষেত্রে এর মাত্রা অথবা পয়েন্ট ০.৬-১.২ মিলিগ্রাম।
আবার এরকম কিছু রোগী আছে যাদের নেই সে ক্ষেত্রে তাদের কিডনির নরমাল পয়েন্ট হলো:-
১.৮ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার রক্তে।
আবার শিশুদের ক্ষেত্রে কিডনির নরমাল পয়েন্ট অথবা ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা হলো : ০.৩-০.৭ গ্রাম তাদের প্রতি ডেসিলিটার রক্তের তুলনায়।
আরো পড়ুন: কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার
কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার কিডনির নরমাল সাইজ কত
সাধারণত কিডনির নরমাল সাইজ লিঙ্গ বেরিয়ে পরিবর্তন যোগ্য।পুরুষদের তুলনায় নারীদের কিডনির সাইজ অর্থাৎ নরমাল সাইট কিছুটা ছোট হয়ে থাকে।
নারীদের কিডনির চাই ছোট হওয়া সত্ত্বেও পুরুষদের এবং নারীদের উভয় ক্ষেত্রেই কিডনির কার্যকারিতা বা কাজ সম্পন্ন করার ক্ষমতা একই রয়েছে।
তবে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের কিডনির সাইজ ছোট হওয়ার কারণে মহিলাদের কিডনিতে নেফ্রনের পরিমাণ পুরুষদের তুলনায় কম থাকে।
তাই আকারের ভিত্তিতেও বলা যায় যে পুরুষদের কিডনিতে কাজ করা ক্ষমতা বাটা শক্তিশালী অনুভব মহিলাদের তুলনায় বেশি।
অতএব মহিলাদের কিডনির আকার একটু ছোট হওয়ার ফলে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের কিডনি এর নরমাল আকার ছোট এবং এর এটির শক্তিশালী পুরুষদের তুলনায় একটু কম।
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
যে সকল রোগীদের কিডনিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাদের প্রতিনিয়ত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হয়।
তবে এরফলেও যদি কারো কিডনিতে এরকম দেখা দেয় যে কিডনির প্রায় মোট পরিমাণের ১০ থেকে ১৫ অংশ ছাড়া বাকি অংশটুকু নষ্ট হয়ে গেছে বা অকেজো হয়ে গেছে সেই ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন পড়ে।
আপনি কি সুস্থ রাখতে এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে কিডনির কার্যকারিতা অক্ষত না রেখে অব্যাহত রাখা জরুরী।
এক্ষেত্রে কিডনি যদি তার মোট কাজের পরিমাণের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ অংশ শুধুমাত্র করতে পারে তাহলে রোগীর ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয় এবং এক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজনীয়তা অনেক।
এরকম একজন রোগীকে সুস্থ করার ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস করতে হয়।
আবার এভাবেও বলা যায় যে যখন রোগীর দুই টিকিট নিয়ে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায় তখন ডায়ালাইসিস করা জরুরী অর্থাৎ দেয়ালাইসিসের মাধ্যমে সুস্থ করা যায়।
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো
সাধারণভাবে কিডনির সাধারণ পয়েন্ট যত হয় সেটি শিশু, পুরুষ এবং মহিলা ভেদের পয়েন্ট অনুযায়ী ভালো অথবা খারাপ বিবেচনা করা হয়।
- নারীদের ক্ষেত্রে তাদের প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ০.৫-১.১ মিলিগ্রাম
- ক্রিয়েটিনিন থাকলে এটি কিডনির ভালো অবস্থা উল্লেখ করে।
- আবার পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ০.৬-১.২ মিলিগ্রাম ক্রিয়েটিনিন থাকলে এটি পুরুষদের কিডনির ভালো পয়েন্ট ঘোষণা করে।
- এছাড়া ও শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের প্রতি ডেসিলিটার রক্তের ০.৩-০.৭ মিলিগ্রাম ক্রিয়েটিনিন থাকলে কিডনির ভালো অবস্থা বোঝায়।
- আবার এরকম কিছু রোগী রয়েছে যাদের কিডনি শুধু একটি রয়েছে অপরটি নিয়ে তাদের ক্ষেত্রে কিডনির ক্রিয়েটিনিংনএর পরিমাণ ১.৮ থাকলে কিডনির ভালো অবস্থা বোঝায়।
আরো পড়ুন: কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়
১. রোগীকে প্রতিদিন পটাশিয়াম গ্রহণ করতে হবে প্রায় ৪০-৬০ ইকুইভিন্টে পর্যন্ত।
২. একজন ডায়েটিশিয়ান এর নির্দেশ অনুযায়ী ফল এবং সবজি গ্রহণ করবে।
৩. পেঁপে, পেয়ারা, নাশপাতি এবং আপেল এই চার ধরনের ফল সাধারণত খাওয়ার নির্দেশ দেয়া হতে পারে।
৪. কবে ফলের মাত্রা এবং কোন কোন ফল খেতে পারবে সেটি রোগীর দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে।
অর্থাৎ কিডনির পয়েন্ট কমানোর ক্ষেত্রে ডায়েটিশিয়ান এর নিয়ম অনুযায়ী খাবার গ্রহণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম গ্রহণের মাধ্যমে এটিকে পর্যাপ্ত বা নিয়ন্ত্রণ মাত্রায় রাখা যায় এবং অধিক হারে বেড়ে গেলে তা কমানো যায়।
এছাড়াও,, প্রচুর জল খান কিডনিকে ভালো রাখার একটি সহজ উপায় হল প্রচুর পরিমাণে জল খওয়া,,
- নিয়মিত ব্যায়াম করা,,
- ধূমপান ত্যাগ করুন,,
- ব্যথার ওষুধ কম খান,,,
- রক্তে শর্করার মাত্রা কমান,,,,,
ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
১.শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের কিডনিতে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে যদি ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা ২ মিলিগ্রাম হয় তাহলে ডায়ালাইসিস করতে হয়।
২. আবার প্রাপ্তবয়স্কদের খেতে তাদের কিডনিতে প্রতি ডেসি লিটার রক্তে যদি ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা ৫মিলিগ্রাম হয় তাহলে ডায়ালাইসিস করতে হয়।
কিডনিতে যদি এই হারে ক্রিয়েটিনিং এর মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে কিডনি অপসারণ করার ক্ষেত্রে এই ইহার বজ্র অপসারণ করতে বা বজ্র পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস করতে হয়।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায়
যাদের রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কমানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন ঔষধ সরাসরি ভাবে নেই।
তবে ডাক্তারগনের চিকিৎসা অনুযায়ী বলা হয় যে ক্রিয়েটিনিয়ার এর মাত্রা সাধারণত অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে বেড়ে যায়।।
তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যে সকল রোগের কারণে এর মাত্রা বেড়ে যায় সে সকল রোগের সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।
দৈহিক এমন অনেক রূপ রয়েছে যে রোগগুলোর ফলে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে যায়। এর মাত্রা কমানোর জন্য অথবা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অন্যান্য শারীরিক সমস্যা বা শারীরিক অন্যান্য রোগ সমূহের সমাধান করতে হবে।
আরো পড়ুন: কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো?
ক্রিয়েটিনিন লেভেল কত
সাধারণভাবে সুস্থ নারীদের ক্ষেত্রে তাদের কিডনির নরমাল পয়েন্ট বা ক্রিয়েটিনিন লেভেল ০.৫-১.১ মিলিগ্রাম।
একইভাবে স্বাভাবিক বা স্বাস্থ্য পুরুষের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিন লেভেল ০.৬-১.২ মিলিগ্রাম।
আবার এরকম কিছু রোগী আছে যাদের নেই সে ক্ষেত্রে তাদের কিডনির ক্রিয়েটিনিন লেবেল :-
১.৮ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার রক্তে।
আবার শিশুদের ক্ষেত্রে কিডনির নরমাল পয়েন্ট অথবা ক্রিয়েটিনিন লেভেল : ০.৩-০.৭ গ্রাম তাদের প্রতি ডেসিলিটার রক্তের তুলনায়।
নষ্ট কিডনি ভালো করার উপায়
কিডনির সমস্যা বড় এবং ছোট যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে। দুটি কারণ জেনেটিক এর সমস্যার কারণে অথবা বয়স এর কারণে কি সমস্যা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে সমাধানের চেষ্টা করা যায়।
কতটুকু সম্ভব সংক্রামন রোধ এড়িয়ে চলতে হবে।
মূত্রনালীর মাধ্যমে রেনাল ইনফেকশন বা পাইলোনেফ্রাইটিস আমের একটি সংক্রামক এর ফলে কিডনি এ ধরনের সমস্যা পোহাতে হয়।
সমগ্র কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে কিডনিতে পেপসিন নামক সংক্রমনের ব্যাধি দেখা দেয়।
সম্ভবত এটি হচ্ছে কিডনির একটি বিকল হওয়ার হুমকির অবস্থা।
কিডনির এই অবস্থা হওয়ার লক্ষণসমূহ নিম্নরূপ :-
- জ্বর,,
- ঠাণ্ডা,,,
- বমি বমি ভাব,,,
- বমি,,
- যেমন জ্বালা,,,
- ফ্রিকোয়েন্সি বা জরুরী,,
তাই এর মাধ্যমে যাতে বিপদ না হয়ে যায় বা নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে সংখ্যা কিডনি পরীক্ষা করতে হবে এবং সারিয়ে তুলতে হবে।