কাফের কাকে বলে?
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের ওয়েবসাইটের শিক্ষা রিলেটেড উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে কাফের কাকে বলে কাফেরের শাস্তি এবং কাফেরের প্রতি মানুষের আচরণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাচ্ছি।
পবিত্র ধর্ম অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে মহান আল্লাহতালা এবং নবী রাসুলগণ বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন সময়ে মানুষকে জানিয়েছেন।
এক্ষেত্রে কাফের অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তি মন আল্লাহ তায়ালা এবং পবিত্র কুরআনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন না তাদেরকে কাফের বলে।
মহান আল্লাহতালা কাফেরদের জন্য রেখেছে অবশ্যই শাস্তির ব্যবস্থা। বরং মহান আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করবেন। এজন্য প্রতিটি মুমিনকে একজন আদর্শ মুমিনের চরিত্র এবং কাফেরের চরিত্র সম্পর্কেও জানতে হবে।
কাফের কাকে বলে?
পবিত্র কোরআন এবং আসমানি কিতাব সমূহের সকল বিষয়ের উপর অবিশ্বাস স্থাপন করলে তাকে কাফের বলা হয়। অর্থাৎ ইসলামের যে সকল মূল বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো উপায় যদি কোন ব্যক্তি বিশ্বাস স্থাপন না করে তাহলে তাকে কাফের বলা হবে, আখিরাতে কাফেরের ফলাফল হবে অনেক ভয়াবহ।
এমন অনেকেই রয়েছে যারা মনে করে যারা কুফরি করে শুধু তাদেরকেই কাফের বলা হয়। তবে মনে রাখতে হবে যেযদি মহান আল্লাহতালার পবিত্র গ্রন্থ সমূহ এবং ইসলাম ধর্মের কে কেউ অস্বীকার করে এবং অবিশ্বাস করে তাহলে তাকে কাফের বলা হয়।
কেননা ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো ঈমান। একইভাবে সঠিক ক্ষতিকর একটি দিক রয়েছে সেগুলো হল ইসলামকে অবিশ্বাস করা কিংবা ইসলামের বিষয়গুলোকে অবিশ্বাস স্থাপন করা, যার ফলে একজন কাফের হয়ে যেতে পারে।
কুরআন ও হাদীসে কাফিরের শাস্তি
কোরআন এবং হাদিসের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাফেরের শাস্তি সমূহ তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামের প্রধান চারটি গ্রন্থ এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ আল কুরআন এবং আল্লাহতালা অস্তিত্বে যদি কেউ অবিশ্বাস করে তাকে কাফের বলা হয়।
কাফেরের শাস্তি সম্পর্কে মহান আল্লাহতালা বলেছেন —
এ সকল ব্যক্তিরা কাফের এবং যে সকল ব্যক্তিরা মহান আল্লাহতালার পথ থেকে বিভিন্ন মানুষকে ফিরিয়ে রাখে তাদেরকে মহান আল্লাহতালা কাফের অবস্থাতেই মৃত্যু দিবে। এমনকি এমন ব্যক্তিদের কে মহান আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবে না।
যারা দিনের পথে যাওয়ার জন্য মানুষদেরকে বাধা দেয় সেই সকল মানুষদেরকে মহান আল্লাহতালা পরকালে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।
এছাড়াও বলেছেন —
নিশ্চয়ই তারা এবং তাদের মধ্যে এমন যে বিষয়গুলো রয়েছে যার ফলে মহান আল্লাহ তাআলা তাদের উপর আযাব দান করবেন না।
কাফিরদের প্রতি আচরণ
১. ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের আগে সালাম দেয়া যাবে না কেননা তাদের প্রতি যদি কারো দেখা হয় তবে তাদের সংকীর্ণ পথের দিকে যেতে বাধ্য করতে হবে।
২. মহান আল্লাহতালা যাদেরকে পবিত্র কোরানকে দিয়েছি পৃথিবী দিয়েছে তাদের খাদ্যদ্রব্য তিনি হালাল করে দিয়েছেন।এছাড়া সহি ভাবে বর্ণিত রয়েছে, মদিনাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহুদীদের সঙ্গে খাবার গ্রহণের জন্য দাওয়াত করা হয়েছিল তো তবে তিনি সে দাওয়াত গ্রহণ করেন। এবং তার উদ্দেশ্যে পরিবেশিত তাদের খাবার থেকে তিনি খাবার গ্রহণ করেন।
৩. যদি কোন মোমিন রুম অনেকে তার নিকট বিয়ে দেয়া হয় তাহলে ইহুদি বা খ্রিস্টান এর কিতাব অনুযায়ী রমণীদের বিয়ে করা বৈধ। তবে আল্লাহ তা’আলা মুমিন রমনীকে কাফিরের সাথে বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সাধারণভাবে নিষেধ করেন।
তিনি বলেন —
“”মুমিন নারীরা কাফেরদের জন্য বৈধ নয় কেননা কাফেরগণ মুমিন নারীদের জন্য কখনো বৈধ হতে পারে না। “”
৪. কোন ব্যক্তি ঈমান না আনা পর্যন্ত তিনি মুশরিক পুরুষদের সাথে কোন মুসলিম নারীর বিয়ে দেওয়া যাবে না। এছাড়াও মুসলিম পুরুষ কর্তৃক যদি কোন কিতাবি নারীকে বিয়ে করার বৈধতার ব্যাপার থাকে তাহলে সে সম্পর্কে আল্লাহ বলেন —
অবশ্যই তোমাদের আগে যা দেখে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদের সত্যরিত্রা নারীদেরকে তোমাদের জন্য অবৈধ করা হল। এখন তোমরা যদি তাদের মোহর প্রদান কর বিয়ের জন্য তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রকাশ্য বা গোপনে প্রণয়িনী গ্রহণকারী হিসেবে নয়।
৫. যখন কোন ব্যক্তি হাঁচি যাবে তখন অবশ্যই আলহামদুলিল্লাহ বলার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করবে।
এছাড়া আল্লাহ তোমাদেরকে হেদায়েত দান করুক এবং মহান আল্লাহ তায়ালা তোমাদের অবস্থাকে ভালো করে দিন,, উত্তরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এটাই বলেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ইয়ারহামুকাল্লাহ।
অর্থাৎ মহান আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে ভালো অবস্থায় ফিরিয়ে দিক এবং হেদায়েত দান করুক।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে কাফের কাকে বলে, পবিত্র কোরআনের আলোকে কাফিরের শাস্তি এবং কাফেরের প্রতি মানুষের আচরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানিয়েছি।
আশা করি আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে কাফের সম্পর্কে যে সকল তথ্য বা প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন, তা জানার মাধ্যমে উপকৃত হতে পেরেছেন।