শিক্ষা

উৎপাদন বন্ধের বিন্দু কি

উৎপাদন বন্ধের বিন্দু কি: পূর্ণ প্রতিযােগিতামূলক এমন বাজারে স্বল্পকালে ফার্ম অনেক লােকসান স্বীকার করেও উৎপাদন এমন কার্য চালিয়ে যেতে পারে। অথবা আবার উৎপাদন বন্ধের এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্তঃ আবার যতক্ষণ পর্যন্ত AR বা এই সব দামের মধ্যে গড় পরিবর্তনীয় কিছু খরচের (AVC) সাথে গড় লেনদেন স্থির খরচের (AFC) কিছু অংশ নিতে অন্তত ও উঠে আসে ততক্ষণ এই পর্যন্ত ফার্ম লােকসান দিয়েও উৎপাদন এমন একটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ।

Asiatic mode of production) আবার এর তত্ত্বটি কার্ল মার্কস এই ১৮৫০ এর দশকের গোড়ার এমন দিকে তৈরিও করেছিলেন। তত্ত্বের মূল বক্তব্যকে এই”[পরামর্শ] হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে,

আবার”এশীয় সমাজগুলো একটি স্বৈরাচারী এমন একটি শাসক গোষ্ঠী দ্বারা সমবেত ছিল, কেন্দ্রীয় শহরগুলোতে এমন ভাবে বাস করত এবং মূলত স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং সাধারণভাবে আবার  অপৃথকীকৃত গ্রাম সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক উদ্বৃত্ত দখল করা হত”।

১৮৫২ থেকে ১৮৫৮ সালের মধ্যে কিছু কিছু লেখা ভারত সম্পর্কে তার নিবন্ধগুলিতে মার্কস এই ভারতে প্রচলিত এএমপির কিছু একটা প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য উন্নয়ন তুলে ধরেছিলেন। 

আরো পড়ুন: বুনিয়াদি শিক্ষা কি? বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য

উৎপাদন বন্ধের বিন্দু কি

তত্ত্বটি সমকালীন মার্কসবাদী আবার অ-মার্কসবাদীদের মধ্যে উত্তপ্ত আলোচনা জাগিয়ে ও তোলে। পুঁজিবাদ-পূর্ব এশিয়ার এই আর্থ-সামাজিক কাঠামো অনুযায়ী সামন্তীয় ইউরোপের বিভিন্ন তুলনায় বিশেষ পদবী গ্রহণের মাধ্যমে পক্ষে যথেষ্ট নয়

বলে দাবি কেউ কেউ এই কারণেই পুরো এমন ধারণাটিকে প্রত্যাখ্যান ও করেছেন। মার্কস ছাড়াও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস আবার এই তত্ত্বে মনোনিবেশ ও করেছিলেন।

পরবর্তী কাজগুলিতে, মার্কস আবার এঙ্গেলস উভয়ই পৃথক এশীয় দেশগুলোর উৎপাদনের ধারণাটি বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন এবং অন্যান্য মূলত চারটি বুনিয়াদি রূপগুলি নানা ভাবে রেখেছিলেন: উপজাতীয়, ও প্রাচীন, সামন্তবাদী ও পুঁজিবাদী। এই১৯২০ এর দশকে, সোভিয়েত অনেক লেখকরা এই শব্দটির ব্যবহার করা সম্পর্কে তীব্র বিতর্ক ও করেছিলেন। 

কেউ কেউ একে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। লিওন ট্রটস্কির মতো অন্যরাও নিশ্চয়ই চীন সম্পর্কে তার লেখায় উল্লেখ পরামর্শ দিয়েছিলেন যে ‘চীনা আবার সামন্তবাদ’ এই ধারণাটির সাথে এমন সাদৃশ্যপূর্ণ।

উৎপাদন বন্ধের বিন্দু কি
উৎপাদন বন্ধের বিন্দু কি

উৎপাদন বন্ধের বিন্দু কাকে বলে

মার্ক্সের তত্ত্বটি শ্রমের সংগঠনে মাধ্যমে মনোনিবেশ করে ও নিম্নলিখিত বিষয়গুলির বিশিষ্টতার এমন কিছু উপর তা নির্ভর করে:

উৎপাদনের উপায় বা শক্তি; আবার অর্থাৎ জমি, প্রাকৃতিক সম্পদ, সরঞ্জাম, এবং মানবিক দক্ষতা এবং জ্ঞানের মত একটা বিষয়গুলো, যা সামাজিকভাবে দরকারী কিছু পণ্য উৎপাদন করার জন্য নানা ভাবে প্রয়োজনীয় ।

এই সব উৎপাদনের সম্পর্কগুলি,আবার যেগুলো হল সামাজিকভাবে দরকারী কিছু কিছু পণ্যগুলির উৎপাদন প্রক্রিয়াগুলোতে মানুষের একতাবদ্ধ হয়ে গেছে আবার হবার ফলে (“verbindung”) গঠিত সামাজিক ও সম্পর্ক।

এগুলো একত্র হয়ে উৎপাদন এমন ভাবে পদ্ধতি তৈরি করে, এবং মার্কস পৃথক পৃথক অভিযানে প্রধান উৎপাদন পদ্ধতির মাধ্যমে (এশীয়) জন্য ঐতিহাসিক কিছু কিছু যুগগুলোকে পৃথক করেছেন।

মার্কস ও এঙ্গেলস তুলে ধরেছিলেন আবার জোর দিয়েছিলেন যে কোনো এশীয় সমাজগুলিতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ভূমিকা প্রভাবশালী ছিল ।

আবার যা ভূমি মালিকানার রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ একচেটিয়া, তার ওপর স্পষ্ট রাজনৈতিক এবং সামরিক শক্তি, আবার অথবা সেচ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি নিয়ন্ত্রণ দ্বারা পরিচালিত ও হয়েছিল। দাসত্বের ধ্রুপদী রূপগুলি এমন একটি যেমন ইউরোপে বিদ্যমান মিল ছিল সেগুলি এই সমাজগুলিতে নানা ভাবে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত ছিল। 

উৎপাদন বন্ধের বিন্দু কোনটি

মার্ক্স তার এ কনট্রিবিউশন টু আবার ক্রিটিক অফ পলিটিকাল এমন কিছু ইকোনমি গ্রন্থের ভূমিকায় অবতীর্ণ লেখেন, ” বিস্তৃত রূপরেখায়, এশীয়, প্রাচীন, আবার অনেক সামন্ত এবং আধুনিক মানুষ বুর্জোয়া উৎপাদন পদ্ধতিগুলি অসভ্য

সমাজের অর্থনৈতিক অবস্থা বিকাশের অগ্রগতি চিহ্নিতকরণের অনেক সময় যুগ হিসাবে চিহ্নিত হতে ও পারে”।[৫] তিনি এশীয় উৎপাদন মধ্যম পদ্ধতিগুলোকে তিনি নিচের এই কথাগুলোর মাধ্যমে এমন ভাবে অন্যান্য সমস্ত প্রাক-পুঁজিবাদী গুলো উৎপাদন পদ্ধতিগুলোর এই জন্যে থেকে আলাদা করেছিলেন। 

প্রধানত ক্ষুদ্র অংশ এককের (সামাজিক বা প্রশাসনিক) মাধ্যমে পক্ষে অনেক সময় এর মধ্যে শিল্পোৎপাদন এবং এই কৃষির সংমিশ্রণে নানা ভাবে তৈরি হয়েছিল (…) তাদের উদ্বৃত্ত শ্রমের এক একটি অংশ উচ্চতর শিক্ষা সম্প্রদায়ের অধীনে থাকে, যা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত একজন ব্যক্তি হিসেবেই এই প্রতীয়মান হয়। 

উৎপাদন বন্ধের বিন্দু বলতে কি বুঝ

উদ্বৃত্ত শ্রমের এক একটি অংশ উচ্চতর সম্প্রদায়ের ওপর অধীনে থাকে, যা চূড়ান্তভাবে একজন এমন ব্যক্তি হিসেবেই প্রতীয়মান হয়,আবার এই উদ্বৃত্ত শ্রম রাজস্ব্যাদির এমন রূপ নেয়, পাশাপাশি সে ক্ষেত্রে সামাজিক এককের উন্নয়ন,

এমন আংশিকভাবে প্রকৃত স্বৈরশাসকের এমন উন্নয়ন, আংশিকভাবে এই কাল্পনিক গোষ্ঠী-সত্তা ঈশ্বরের কাছে জন্য সাধারণ শ্রমের রূপ নেয়”। 

দাস কাপিটালে তিনি লিখেছেন যে “আবার এই ভাবে এশীয় উৎপাদনশীল জীবনের সারল্য এবং. এশীয় সমাজগুলোর অপরিবর্তনশীলতার এমন ধাঁধাটির মূল চাবিকাঠি সরবরাহ করে, যা এশীয় রাষ্ট্রগুলির অবিরাম দ্রবীভবন ও পুনর্গঠন ।

রাজবংশগুলোর বিরামহীন পরিবর্তনের মাধ্যমে সাথে ভীষণভাবে আপাত দৃষ্টিতে বৈপরীত্য প্রদর্শন করে। রাজনীতির মেঘময় এমন কিছু অঞ্চলকে সরিয়ে দেয়া ঝড়গুলো সমাজের অনেক মৌলিক অর্থনৈতিক অবস্থা উপাদানগুলোর কাঠামোকে স্পর্শ করেনা। 

উৎপাদন বন্ধের

মার্ক্সবাদী এবং অ-মার্কসবাদী ভাষ্যকার এই ভাবে উভয়ের কাছেই এশীয় উৎপাদন পদ্ধতির মাধ্যমে ধারণাটি আলোচনার একটি নির্দিষ্ট বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এএমপি হল মার্ক্স আবার এমন এঙ্গেলসের কাজগুলোতে বর্ণিত উৎপাদনের সর্বাধিক ভাবে

কিছু বিতর্কিত পদ্ধতি। নির্দিষ্ট প্রদত্ত তথ্যের সমাজগুলোর বাস্তবতার মুখোমুখি সাথে এএমপি মিলে যায় কিনা আবার এই প্রসঙ্গে এএমপির এমন একটি ধারণার বৈধতা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্থাপিত ও হয়েছিল। 

ঐতিহাসিকরা এএমপির ধারণার জন্ম থেকে গুরুত্বকে ভারতীয় অথবা চীনা ইতিহাসের “তথ্য” এমন ব্যাখ্যা হিসাবেও প্রশ্ন করেছেন। তত্ত্বটিকে এই ১৯৩০ এর দশকে সোভিয়েত এবং ইউনিয়নে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।

কার্টেল কি

স্ত্যালিনের রাশিয়ার অস্বস্তিকর মিলের এমন একটি বিষয় এর জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন এমন কিছু কিছু তত্ত্বটিকে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি সাম্যবাদের এই জন্যে আধিপত্যবাদী প্রকৃতিকে প্রাচ্যের এমন জল নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক সময় প্রয়োজনীয় সমগ্রতাবাদী অসভ্য শাসনের সম্প্রসারণ হিসেবে ও দেখেছিলেন।

জন হালডন এবং ক্রিস উইকহ্যামের আবার এর মতো মার্ক্সবাদী ঐতিহাসিকরা যুক্তি গুলো দেখিয়েছেন যে, এএমপির উদাহরণ স্বরূপ হিসাবে মার্কস দ্বারা আক্রান্ত ব্যাখ্যা করা সমাজগুলোকে অনেক সময় উপনদীয় উৎপাদন পদ্ধতির এবং আবার (টিএমপি) আলোকে আরও ভাল বোঝা গুলো যায়।

টিএমপি অনুসারে এই প্রথম”রাষ্ট্রীয় শ্রেণী” নামে   একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর কোনো প্রকার অস্তিত্ব থাকে, যাদের মধ্যে কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বৃত্ত শ্রম শোষণের বিরুদ্ধে একচেটিয়া বা প্রায় একচেটিয়া ব্যবসা অধিকার থাকে, কিন্তু এই ভাবে শ্রেণী ভোগদখলমূলক নিয়ন্ত্রণের জন্য চর্চা করেনা।

আরো পড়ুন: মানসম্মত শিক্ষা কাকে বলে?

প্রান্তিক পরিবর্তনের হার কি
প্রান্তিক পরিবর্তনের হার কি

প্রান্তিক পরিবর্তনের হার কি

সরকার চাহিদার দিকটা সামনে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, কিন্তু তারপরও আবার উৎপাদনের দিকটা উন্নত দেশে করা দরকার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন আরও উল্লেখ করেছেন, অর্ধশত আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে,আবার অনেক সময় এখন বোরো উৎপাদনের দিকে ও নজর দিতে হবে।

দেশের অগ্রযাত্রায় অনেক সময় সমস্যা আসতে পারে আবার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আমাদের বাংলাদেশ একাগ্রতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করতে সংশ্লিষ্ট  এলাকার সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ আহ্বান জানান।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়নকারী এই সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং সংস্থাগুলোকে প্রকল্প অনুমোদন বাস্তবায়নের সময় অর্থ ব্যয়ে এই কঠোরতা অনুসরণ করে করার নির্দেশনা অনুযায়ী পুর্নব্যক্ত করার পাশাপাশি আরও বেশি ঘনিষ্ঠভাবে পরিকল্পিত উপায়ে অনেক প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের এমন নির্দেশ দেন।

ব্রেক ইভেন বিন্দু কি

স্থির মূল্য এবং সেই মূল্য মোট মুনাফা দিয়ে ভাগ করে কোনও কোম্পানির ব্রেক ইভেন পয়েন্ট বের করা হয়।স্টক মার্কেট ব্রেক ইভেন এর পয়েন্টের উদাহরণ—

ধরা যাক, কোনও বিনিয়োগকারী এই সব মাইক্রোসফটের স্টক ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে কিনলেন। এবার সেই স্টকের এই মূল্য যদি ১০ হাজারের অধিক বেশি হয়, তখন সংশ্লিষ্ট এলাকার বিনিয়োগকারী মুনাফা অর্জন শেয়ার করবেন। আবার যদি তার মূল্য অস্বাভাবিক ১০ হাজার টাকার কম হয়, এবং তা হলে তাঁর লোকসান হবে। 

এই জন্যে এবার যদি ওই স্টের মূল্য ১০ হাজার টাকাই অগ্রিম থাকে, কিন্তু তা হলে তখন বলতে হবে ওই এমন ভাবে বিনিয়োগকারী ব্রেক ইভেন এই পয়েন্টে পৌঁছেছেন। কারণ, এক্ষেত্রে আপনার লাভ বা ক্ষতি কিছুই হয়নি।তাহলে  দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা বজায় রয়েছে।

ভোক্তার উদ্বৃত্ত কি 

ক্রেতা কোন দ্রব্য বা সেবার জন্য আবেদন যে মূল্য দিতে প্রস্তুত থাকে, সেই একই মুল্যে প্রতিষ্ঠা যদি ক্রেতা তার প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত সেবা বা দ্রব্য ক্রয় করতে নানা ভাবে সক্ষম হয় তাহলে ঐ সময় অতিরিক্ত সেবা বা দ্রব্যের মূল্যকে এই ভোক্তার উদ্বৃত্ত বলা হয়।

অপরদিকে, উৎপাদক কোন ভাবেই নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রব্য বা সেবা গুলি বাজারে যে মূল্যে বিক্রি গুলো করতে প্রস্তুত থাকে, ঐ সময় পরিমাণ দ্রব্য বা সেবা নির্ধারিত সময় দামের চেয়ে বেশি পরিমাণ মূল্যে বিক্রি করে উৎপাদক যে অতিরিক্ত এমন লাভ পায় তাকে উৎপাদকের এই উদ্বৃত্ত বলা হয়।

[একটি দ্রব্যের জন্য ভোক্তা যে এমন দাম দিতে ইচ্ছুক তাই তাকে ব্যক্তিগত চাহিদা দাম ও আবার এমন ভাবে প্রকৃতপক্ষে, সে যে দাম দিয়ে তা ক্রয় করে আবার তাকে বাজার দাম বলে। ব্যক্তিগত সামগ্রী চাহিদা দাম ও বাজার দামের একটি মধ্যে

ইতিবাচক ব্যবধানই এই জন্যে হল ভোক্তার উদ্বৃত্ত। বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবিদ ভোক্তার এই জন্য উদ্বৃত্তের বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান ও করেছেন। নিম্নে তাদের এ সংজ্ঞাগুলো হলো প্রদত্ত।

আরো পড়ুন: কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েজ? ইসলামিক ব্যাখ্যা?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button